সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

তারা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে আনন্দিত

তারা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে আনন্দিত

তারা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে আনন্দিত

 যিশু তাঁর পিতার কাছে এই প্রার্থনা করার মাধ্যমে সমস্ত খ্রিস্টানের জন্য একটা আদর্শ স্থাপন করেন: “আমার ইচ্ছা নয়, তোমারই ইচ্ছা সিদ্ধ হউক।” (লূক ২২:৪২) আজকে ঈশ্বরের লক্ষ লক্ষ দাস, যিহোবার প্রতি বশ্যতার সেই নম্র অভিব্যক্তি প্রতিফলিত করে থাকে। তাদের মধ্যে রয়েছে, ওয়াচটাওয়ার বাইবেল স্কুল অভ্‌ গিলিয়েড এর ১২০তম ক্লাসের ৫২ জন ছাত্র-ছাত্রী। ২০০৬ সালের ১১ই মার্চ, গ্র্যাজুয়েটিং ক্লাস বিভিন্ন দেশে, এমনকি কঠিন পরিস্থিতির মুখেও, ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার প্রত্যাশার কারণে আনন্দিত হয়েছিল।

কী এই গ্র্যাজুয়েটদের যিহোবার ইচ্ছাকে তাদের জীবনে পরিচালনা দিতে প্রেরণা দিয়েছে? ক্রিস ও লেজলি নামের এক দম্পতি, যাদেরকে বলিভিয়াতে মিশনারি হিসেবে সেবা করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল, তারা বিষয়টাকে এভাবে বলে: “যেহেতু আমরা নিজেদের অস্বীকার করেছি, তাই আমরা যিহোবার সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত যেকোনো কিছু করার জন্য নিজেদের সবসময় তৈরি রাখতে চাই।” (মার্ক ৮:৩৪) জেসন ও শেরি, যাদেরকে আলবানিয়ায় কার্যভার দেওয়ার হয়েছিল, তারাও বলে: “যিহোবার সংগঠনের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিটা কার্যভারেরই কোনো না কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। কিন্তু, আমরা যিহোবাকে এমন একজন ব্যক্তি হিসেবে জেনেছি, যাঁর ওপর আমরা পূর্ণরূপে নির্ভর করতে পারি।”

যিহোবার ইচ্ছার বশীভূত হওয়ার জন্য উৎসাহ লাভ

বেথেল পরিবারের একজন সদস্য ও আর্ট ডিপার্টমেন্টে সেবারত জর্জ স্মিথ, প্রার্থনা করে গ্র্যাজুয়েশন কার্যক্রম শুরু করেন। যিহোবার সাক্ষিদের পরিচালক গোষ্ঠীর একজন সদস্য ও গ্র্যাজুয়েশন কার্যক্রমের সভাপতি স্টিফেন লেট উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানান। এই আনন্দপূর্ণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ২৩টা দেশ থেকে অতিথিরা নিউ ইয়র্কের প্যাটারসনের ওয়াচটাওয়ার এডুকেশনাল সেন্টারে এসেছিল। ভাই লেট ক্লাসকে বলেছিলেন যে, তারা “খুবই শক্তিশালী কিছু” সম্পন্ন করতে চলেছে। তিনি সেই ‘দুর্গসমূহের’—যেমন মিথ্যা মতবাদগুলোর—প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়েছিলেন, যা নতুন মিশনারিরা শাস্ত্রের শক্তিতে ভেঙে ফেলতে সমর্থ হবে। (২ করিন্থীয় ১০:৪, ৫) উপসংহারে তিনি বলেছিলেন: “আপনাদের কার্যভারে সৎহৃদয়ের লোকেদের মধ্যে থাকা দুর্গসমূহ ভেঙে ফেলার জন্য যিহোবার দ্বারা ব্যবহৃত হওয়া কত আনন্দই না এনে দেবে!”

প্রধান কার্যালয়ের কর্মীদের মধ্যে একজন সদস্য হ্যারল্ড জ্যাকসন এই মূলভাবের ওপর বক্তৃতা দিয়েছিলেন, “মনে রাখার জন্য কয়েকটা বিষয়।” তিনি বলেছিলেন যে, নতুন মিশনারিদের কখনোই ‘প্রথমে রাজ্য ও ঈশ্বরের ধার্ম্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা করিবার’ কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। (মথি ৬:৩৩) তাদের মনে রাখা উচিত যে, “প্রেমই গাঁথিয়া তুলে” আর সেটাই হচ্ছে সাফল্যের অব্যর্থ চাবি। (১ করিন্থীয় ৮:১) তিনি বলেছিলেন: “অন্যদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে প্রেমই যেন পরিচালনাকারী প্রভাব হয়ে ওঠে।”

এরপর, পরিচালক গোষ্ঠীর একজন সদস্য জেফ্রি জ্যাকসন, যিনি ১৯৭৯ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত একজন মিশনারি হিসেবে সেবা করেছিলেন, তিনি গ্র্যাজুয়েটদের জিজ্ঞেস করেছিলেন, “এটি কি আপনার দায়িত্ব?” একজন ব্যক্তির নিজের ও পরিচর্যার প্রতি এক ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি জোর দিয়েছিলেন। খ্রিস্টানদের সত্যের বীজ বপন করার ও তাতে জল সেচন করার কাজে কঠোর পরিশ্রম করার দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু, আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি প্রদান করা যিহোবার দায়িত্ব কারণ ‘ঈশ্বর বৃদ্ধি দিতে থাকেন।’ (১ করিন্থীয় ৩:৬-৯) ভাই জ্যাকসন আরও বলেছিলেন: “সবসময় আধ্যাত্মিকভাবে বলবান থাকার বিষয়ে আপনাকে যিহোবার কাছে নিকাশ দিতে হবে। কিন্তু, আপনার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব কোনটা? যিহোবাকে ভালবাসা এবং আপনি যে-লোকেদের সেবা করতে যাচ্ছেন, তাদের ভালবাসা।”

গিলিয়েড নির্দেশক লরেন্স বোয়েন “আপনার কীরকম আচরণ করা উচিত, তা জানুন,” এই মূলভাবটি বিবেচনা করেছিলেন। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে, যিহোবা প্রান্তরের মধ্যে দিয়ে ইস্রায়েলীয়দের অলৌকিকভাবে পথ দেখিয়েছিলেন ও সুরক্ষা করেছিলেন। (যাত্রাপুস্তক ১৩:২১, ২২) তিনি আজকে “সত্যের স্তম্ভ ও দৃঢ় ভিত্তি” সেই অভিষিক্তদের খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর মাধ্যমে আংশিকভাবে আমাদের পথ দেখান ও সুরক্ষা করেন। (১ তীমথিয় ৩:১৪, ১৫) নতুন মিশনারিরা সত্যকে সমর্থন করে, যা নম্র ব্যক্তিদের নির্দেশনা ও সুরক্ষা প্রদান করে।

আরেকজন গিলিয়েড নির্দেশক ওয়ালেস লিভারেন্স গ্র্যাজুয়েটদের ঈশ্বরের বাক্য ভুলে না যেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন, যা তাদের ‘পশ্চাতে’ রয়েছে। ঈশ্বরের বাক্য এই অর্থে আমাদের পশ্চাতে রয়েছে যে, বাইবেল লেখা শত শত বছর আগে সমাপ্ত হয়েছিল। মেষপালের পিছন থেকে ডেকে ওঠা মেষপালকের মতো যিহোবা তাঁর লোকেদের পশ্চাতে রয়েছেন, তাদেরকে ‘বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান্‌ দাসের’ মাধ্যমে নির্দেশনা দিচ্ছেন। (যিশাইয় ৩০:২১; মথি ২৪:৪৫-৪৭) গিলিয়েড স্কুল এই দাস শ্রেণীর প্রতি গ্র্যাজুয়েটদের উপলব্ধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছিল। সেই “দাস” এমনকি পবিত্র শাস্ত্রের নতুন জগৎ অনুবাদ (ইংরেজি) জুগিয়েছে। বক্তা গ্র্যাজুয়েটদের উৎসাহিত করেছিলেন: “তথ্যের এই ভাণ্ডার সঙ্গে রাখুন এবং অন্যদের শিক্ষা দিতে এটিকে ব্যবহার করুন।”—মথি ১৩:৫২.

ক্ষেত্রের পরিচর্যায় যিহোবার ইচ্ছা পালন করা

গিলিয়েড নির্দেশক মার্ক নুমার “সুসমাচার প্রচার করতে উৎসুক” শিরোনামের কার্যক্রমে গিলিয়েড স্কুলে যোগদান করার সময় গ্র্যাজুয়েটরা জনসাধারণ্যে পরিচর্যায় যে-অভিজ্ঞতাগুলো লাভ করেছিল, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটা তুলে ধরেছিলেন। (রোমীয় ১:১৫) গ্র্যাজুয়েটদের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছিল যে, প্রতিটা সুযোগে প্রচার করার ব্যাপারে তারা বাস্তবিকই লক্ষণীয় উৎসুক মনোভাব দেখিয়েছে।

গ্র্যাজুয়েটরা, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সেবারত তিনজন ভ্রমণ অধ্যক্ষের সাক্ষাৎকার শুনে আরও উৎসাহ লাভ করেছিল, যে-বিষয়টা ভাই কেনেথ ফ্লোডিন পরিচালনা করেছিলেন। রিচার্ড কেলার এবং আলেহান্দ্রো লাকিয়ো, যারা আগে দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকায় সেবা করত, তারা বর্ণনা করেছিল যে কীভাবে তারা বিভিন্ন পরীক্ষার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে আর সেইসঙ্গে মিশনারি হিসেবে সেবা করার সময় যে-আশীর্বাদগুলো উপভোগ করেছিল, সেগুলোর কয়েকটা সম্বন্ধে বলেছিল। মোয়োসির ফেলিসবিনু যেখানে বড় হয়ে উঠেছিলেন, সেই ব্রাজিলে মিশনারিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সময় যে-প্রশিক্ষণ লাভ করেছিলেন, সেই বিষয়ে বর্ণনা করেছিলেন।

ডেভিড শেফার তিনজন অভিজ্ঞ মিশনারি রবার্ট জোনস্‌, উডওয়র্থ মিলস এবং ক্রিস্টোফার স্লের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। তিন জন ভাই বর্ণনা করেছিল যে, বিভিন্ন কষ্ট ভোগ করার সময় কীভাবে তারা যিহোবার ওপর আস্থা সহকারে কাজ করতে শিখেছিল। তারা সেই ক্লাসকে আশ্বাস দিয়ে বলেছিল যে, যিহোবার সংগঠনের কাছ থেকে তারা যে-প্রশিক্ষণ লাভ করেছে, তা তাদেরকে মিশনারি কার্যভারের জন্য ভালভাবে প্রস্তুত হতে সাহায্য করেছে। ভাই মিলস্‌ বিষয়টাকে এভাবে বলেছিলেন: “গিলিয়েডে শেখানো বাইবেলভিত্তিক তথ্যগুলো নয় বরং এই স্কুল নম্রতা ও প্রেম সম্বন্ধে যা শিখিয়েছে, সেটাই আমাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল।”

পরিচালক গোষ্ঠীর সদস্য গায় পিয়ার্স “যিহোবা কখনো ব্যর্থ হবেন না,” এই শিরোনামের মুখ্য বক্তৃতা তুলে ধরেছিলেন। আদম ব্যর্থ হয়েছিল কিন্তু সেটা কি বুঝিয়েছিল যে, যিহোবা ব্যর্থ হয়েছেন? ঈশ্বর কি আদমকে সিদ্ধভাবে সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, যেমনটা কিছু লোক বলে থাকে? কখনোই না, কারণ “ঈশ্বর মনুষ্যকে সরল করিয়া নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন।” (উপদেশক ৭:২৯) পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার মধ্যে যিশুর নীতিনিষ্ঠা প্রমাণ করেছিল যে, “আদমের ব্যর্থ হওয়ার পিছনে কোনো অজুহাত, কোনো যুক্তিসংগত কারণই ছিল না,” সেই বক্তা উল্লেখ করেছিলেন। এদন উদ্যানে আদমের বাধ্যতার পরীক্ষা, যিশু যে-পরীক্ষা সফলভাবে মোকাবিলা করেছিলেন, সেটার মতো এতটা কঠিন ছিল না। তা সত্ত্বেও, আদম ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু, যিহোবা কখনো ব্যর্থ হবেন না। তাঁর উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হবেই। (যিশাইয় ৫৫:১১) ভাই পিয়ার্স নতুন মিশনারিদের উদ্দেশে বলেছিলেন: “আপনাদের আত্মত্যাগমূলক মনোভাবের দ্বারা যিহোবাকে সম্মান করার বিশেষ সুযোগ আপনাদের রয়েছে। আপনারা মিশনারি হিসেবে যেখানেই তাঁকে সেবা করুন না কেন, যিহোবা যেন আপনাদের প্রত্যেকের সঙ্গে সঙ্গে থাকেন।”

যিহোবার সাক্ষিদের বিভিন্ন শাখা অফিস থেকে আসা শুভেচ্ছাবাণী জানানোর পর সভাপতি ভাই লেট গ্র্যাজুয়েটদের ডিপ্লোমা ও কার্যভারের বিষয়টা উপস্থাপন করেছিলেন। বেথেল পরিবারের একজন দীর্ঘদিনের সদস্য, ভেরনন ওয়াইগারভার শ্রোতাদের প্রতিনিধিত্ব করে শেষ প্রার্থনা করেছিলেন।

উপস্থিত ৬,৮৭২ জন মনে করেছিল যে, গ্র্যাজুয়েশন কার্যক্রম ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার বিষয়ে তাদের উদ্যোগকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। (গীতসংহিতা ৪০:৮) গ্র্যাজুয়েট আ্যন্ড্রু এবং আ্যনা বলেছিল: “আমরা যিহোবার কাছে আমাদের জীবন উৎসর্গ করেছি। আমরা যিহোবার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছি যে, তিনি আমাদেরকে যা কিছুই করতে বলেন আমরা করব। এখন যিহোবা আমাদেরকে আফ্রিকার ক্যামেরুনে যেতে বলেছেন।” তারা এবং গ্র্যাজুয়েটিং ক্লাসের অন্য সদস্যরা এমন এক কেরিয়ার শুরু করতে উৎসুক, যা তাদের পূর্ণতা ও পরিতৃপ্তি এনে দেবে। হ্যাঁ, তারা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে আনন্দিত।

[১৭ পৃষ্ঠার বাক্স]

ক্লাসের পরিসংখ্যান

যতগুলো দেশ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা এসেছে: ৬

যতগুলো দেশে তাদের পাঠানো হয়েছে: ২০

মোট ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা: ৫২

গড় বয়স: ৩৫.৭

সত্যে থাকার গড় বছর: ১৮.৩

পূর্ণসময়ের পরিচর্যার গড় বছর: ১৪.৫

[১৮ পৃষ্ঠার চিত্র]

ওয়াচটাওয়ার বাইবেল স্কুল অভ্‌ গিলিয়েড এর ১২০তম গ্র্যাজুয়েটিং ক্লাস

নীচের তালিকাতে সামনে থেকে পিছনে সারিগুলোকে সংখ্যান্বিত করা হয়েছে এবং প্রত্যেক সারিতে বাম দিক থেকে ডান দিকে নামগুলো তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে।

(১) রাইট, এস.; সুয়ারেস, বি.; ক্রাইসেন্ট, বি.; ডেভেনপোর্ট, এল. (২) জনসন, এ.; আ্যলি, সি.; কেডি, কে.; গুয়েররেরো, পি.; আসেস, এ. (৩) অরটিস, এল.; লায়েল, কে.; উজেটা, এম.; পেরেথ, আর.; বেকাস, কে.; কাটেরিনা, সি. (৪) পালমার, বি.; লাভিং, ডি.; ম্যাকডোনা, জে.; বসটক, ডি.; বেনেটাটোস, এল. (৫) জেসিকি, এম.; সারাফিয়ানোস, ই.; স্টেলটার, সি.; ভাইরা, আর.; উন, জে.; প্রেনটিস, কে. (৬) ডেভেনপোর্ট, এইচ.; ক্রাইসেন্ট, এইচ.; পেরেথ, এম.; ভাইরা, ই.; সুয়ারেস, এ.; কাটেরিনা, আই.; রাইট, সি. (৭) কেডি, কে.; ম্যাকডোনা, জে.; অরটিস, এম.; উন, জে.; আ্যলি, জে.; আসেস, এম. (৮) সারাফিয়ানোস, জি.; লায়েল, ডি.; উজেটা, সি.; স্টেলটার, পি.; প্রেনটিস, জি.; জনসন, এ.; বেনেটাটোস, সি. (৯) পালমার, জে.; জেসিকি, ডব্লু.; বেকাস, জে.; বসটক, এস.; গুয়েররেরো, জে.এম.; লাভিং, এস.