সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

মানবমর্যাদা সকলের জন্য সম্ভব

মানবমর্যাদা সকলের জন্য সম্ভব

মানবমর্যাদা সকলের জন্য সম্ভব

“আমাদের এমন এক নতুন জগৎ—আরও উত্তম এক জগৎ— গড়ে তুলতে হবে, যেখানে মানুষের চিরন্তন মর্যাদাকে সম্মান করা হবে।”—যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হ্যারি ট্রুম্যান, সান ফ্রান্সিসকো, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, এপ্রিল ২৫, ১৯৪৫.

 দ্বি তীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের বছরগুলোতে অনে কের মতো রাষ্ট্রপতি ট্রুম্যানও মনে করতেন যে, লোকেরা বুঝি তাদের অতীত থেকে শিখতে পারবে এবং সকলের জন্য মর্যাদাসহ “এক নতুন জগৎ” বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু, দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় যে, আধুনিক ইতিহাস এক ভিন্ন বাস্তবতা তুলে ধরে। “মানুষের চিরন্তন মর্যাদাকে” ক্রমাগত পদদলিত করা হচ্ছে কারণ সমস্যার মূলে মানুষ নয় বরং রয়েছে মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু।

সমস্যার মূল

বাইবেল এই শত্রুকে শয়তান দিয়াবল, এক দুষ্ট আত্মিক প্রাণী হিসেবে শনাক্ত করে, যে মানব ইতিহাসের একেবারে শুরুতেই ঈশ্বরের শাসন করার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এদন উদ্যানে হবার সঙ্গে কথা বলার সময় থেকেই তার লক্ষ্য হল সৃষ্টিকর্তার সেবা করা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসা। (আদিপুস্তক ৩:১-৫) আদম ও হবা যখন দিয়াবলের প্ররোচনায় কান দিয়েছিল, তখন তাদের ওপর যে-বিপর্যয়মূলক প্রভাবগুলো এসেছিল, তা নিয়ে চিন্তা করুন! নিষিদ্ধ ফলের বিষয়ে ঈশ্বরের আইন অমান্য করার তাৎক্ষণিক পরিণতি ছিল যে, তারা দুজন ‘সদাপ্রভু ঈশ্বরের সম্মুখ হইতে লুকাইয়াছিল।’ কেন? আদম স্বীকার করেছিল: “আমি . . . ভীত হইলাম, কারণ আমি উলঙ্গ, তাই আপনাকে লুকাইয়াছি।” (আদিপুস্তক ৩:৮-১০) স্বর্গীয় পিতার সঙ্গে আদমের সম্পর্ক এবং নিজের সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল। সে লজ্জা বোধ করেছিল এবং যিহোবার উপস্থিতিতে আর স্বচ্ছন্দ বোধ করছিল না।

কেন দিয়াবল দেখতে চেয়েছিল যেন আদমের আত্মসম্মান হ্রাস পায়? কারণ মানুষকে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি করা হয়েছে আর শয়তান তাকে এমন উপায়ে কাজ করতে দেখে অত্যন্ত আনন্দিত হয় যা মানুষ ঈশ্বরের যে-গৌরব প্রতিফলন করে, সেটাকে কলঙ্কময় করে দেয়। (আদিপুস্তক ১:২৭; রোমীয় ৩:২৩) এটা আমাদের বুঝতে সাহায্য করে যে, কেন অবমাননাকর কাজগুলোর দ্বারা মানব ইতিহাস ছেয়ে আছে। “এই যুগের দেব” হিসেবে শয়তান এই মনোভাবকে উৎসাহিত করে থাকে, যখন “কোন কোন সময়ে এক জন অন্যের উপরে তাহার অমঙ্গলার্থে কর্ত্তৃত্ব করে।” (২ করিন্থীয় ৪:৪; উপদেশক ৮:৯; ১ যোহন ৫:১৯) এর অর্থ কি এই যে, উপযুক্ত মানবমর্যাদা চিরতরে হারিয়ে গিয়েছে?

যিহোবা তাঁর সৃষ্টিকে মর্যাদা দেন

আদম ও হবা পাপ করার আগে এদন উদ্যানে যে-অবস্থা ছিল, তা নিয়ে আবারও চিন্তা করুন। তাদের জন্য প্রচুর খাবার, পরিতৃপ্তিদায়ক কাজ এবং নিজেদের ও তাদের বংশধরের জন্য স্বাস্থ্যকর এবং অশেষ জীবনের প্রত্যাশা ছিল। (আদিপুস্তক ১:২৮) তাদের অস্তিত্বের সমস্ত দিক মানবজাতির জন্য ঈশ্বরের প্রেমময় ও মর্যাদাপূর্ণ উদ্দেশ্যকে তুলে ধরেছিল।

আদম ও হবা যখন পাপ করেছিল, তখন মানবমর্যাদার বিষয়ে যিহোবার দৃষ্টিভঙ্গি কি পালটে গিয়েছিল? না। উলঙ্গ হওয়ার ফলে তারা তখন যে-লজ্জা বোধ করছিল, সেটার প্রতি তিনি বিবেচনা দেখিয়েছিলেন। তারা একত্রে নিজেদের জন্য ডুমুরবৃক্ষের যে-ঘাগরা সেলাই করেছিল, সেটার পরিবর্তে ঈশ্বর প্রেমের সঙ্গে তাদের জন্য “চর্ম্মের বস্ত্র” জুগিয়েছিলেন। (আদিপুস্তক ৩:৭, ২১) তাদেরকে লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে ফেলে রাখার পরিবর্তে, ঈশ্বর তাদের সঙ্গে মর্যাদা সহকারে আচরণ করেছিলেন।

পরবর্তী সময়ে, ইস্রায়েল জাতির সঙ্গে আচরণ করার সময় যিহোবা অনাথ, বিধবা ও বিদেশিদের—সমাজের যে-সদস্যদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি খারাপ ব্যবহার করা হয়, তাদের—প্রতি করুণা দেখিয়েছিলেন। (গীতসংহিতা ৭২:১৩) উদাহরণস্বরূপ, ইস্রায়েলীয়দের বলা হয়েছিল তারা যেন শস্য কাটার, জিতবৃক্ষের ফল পাড়ার এবং দ্রাক্ষাফল সংগ্রহ করার পর পতিত শস্য বা ফল কুড়ানোর জন্য ফিরে না যায়। এর পরিবর্তে, ঈশ্বর আদেশ দিয়েছিলেন যে সেই পতিত শস্য বা ফল “বিদেশীর, পিতৃহীনের ও বিধবার জন্য থাকিবে।” (দ্বিতীয় বিবরণ ২৪:১৯-২১) যখন প্রয়োগ করা হয়েছিল, তখন এই আইনগুলো ভিক্ষা করার প্রয়োজনীয়তাকে দূর করে দিয়েছিল আর এমনকি সবচেয়ে দরিদ্র ব্যক্তিদের জন্যও মর্যাদাপূর্ণ কাজ জুগিয়ে দিয়েছিল।

যিশু অন্যদের মর্যাদা দিয়েছিলেন

পৃথিবীতে থাকাকালীন ঈশ্বরের পুত্র যিশু খ্রিস্ট অন্যদেরকে মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, গালীলে থাকাকালীন তাঁর কাছে এমন একজন ব্যক্তি এসেছিলেন, যার কুষ্ঠ চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছিল। মোশির ব্যবস্থা অনুসারে, অন্যদেরকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কুষ্ঠরোগীকে চিৎকার করে বলতে হতো: “অশুচি, অশুচি।” (লেবীয় পুস্তক ১৩:৪৫) কিন্তু, এই ব্যক্তি যখন যিশুর কাছে এসেছিলেন, তখন চিৎকার করে সাবধানবাণী দেওয়া উপেক্ষা করেছিলেন। এর পরিবর্তে, তিনি উবুড় হয়ে পড়ে যিশুর কাছে বিনতি করে বলেছিলেন: “প্রভু, যদি আপনার ইচ্ছা হয়, তবে আমাকে শুচি করিতে পারেন।” (লূক ৫:১২) যিশু কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন? ব্যবস্থা লঙ্ঘন করার ফলে যিশু তাকে কঠোর শাস্তি দেননি অথবা সেই ব্যক্তিকে উপেক্ষা করেননি বা তাকে এড়িয়েও যাননি। বরং, সেই কুষ্ঠরোগীকে স্পর্শ করার মাধ্যমে তিনি তাকে মর্যাদা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন: “আমার ইচ্ছা, তুমি শুচীকৃত হও।”—লূক ৫:১৩.

অন্যান্য সময়ে, যিশু কোনো স্পর্শ ছাড়াই—কখনো কখনো দূর থেকেই—তাঁর আরোগ্য করার ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিলেন। কিন্তু, এই ক্ষেত্রে তিনি সেই ব্যক্তিকে স্পর্শ করা বেছে নিয়েছিলেন। (মথি ১৫:২১-২৮; মার্ক ১০:৫১, ৫২; লূক ৭:১-১০) যেহেতু সেই ব্যক্তি “সর্ব্বাঙ্গকুষ্ঠ” ছিলেন, তাই কোনো সন্দেহ নেই যে, দীর্ঘসময় ধরে অন্য কোনো মানুষ তাকে স্পর্শ করেনি। আবারও কারো স্পর্শ অনুভব করা নিশ্চয়ই কত সান্ত্বনাজনকই না ছিল! নিশ্চিতভাবেই সেই ব্যক্তি কেবল এই আশাই করেছিলেন যে, তার কুষ্ঠরোগ যেন ভাল হয়ে যায়। কিন্তু, যিশু যেভাবে তাকে আরোগ্য করেছিলেন তা নিঃসন্দেহে আরও কিছু ফিরে পেতে সাহায্য করেছিল আর তা হল সেই ব্যক্তির মর্যাদা। এটা বিশ্বাস করা কি বাস্তবসম্মত যে, অন্যদের মর্যাদার প্রতি এই ধরনের চিন্তা আজকের সমাজেও দেখা যেতে পারে? যদি পারে, তা হলে সেটা কীভাবে দেখানো যেতে পারে?

যে-নিয়ম মর্যাদা প্রদান করে

যিশু যা বলেছিলেন, সেটাকে অনেকে মানবসম্পর্কের ব্যাপারে দেওয়া সর্বকালের সবচেয়ে বিখ্যাত নির্দেশনা বলে মনে করে: “অতএব সর্ব্ববিষয়ে তোমরা যাহা যাহা ইচ্ছা কর যে, লোকে তোমাদের প্রতি করে, তোমরাও তাহাদের প্রতি সেইরূপ করিও।” (মথি ৭:১২) এই সুবর্ণ নিয়ম—প্রায়ই এটাকে যেভাবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে—একজন ব্যক্তিকে এই আশা নিয়ে তার সহমানবকে সম্মান করতে অনুপ্রাণিত করে যে, তার সঙ্গেও একই আচরণ করা হবে।

ইতিহাস যেমন দেখায় যে, এই নিয়ম প্রয়োগ করার বিষয়টা সহজাতভাবে ঘটে না—বেশির ভাগ সময়ই ঠিক বিপরীতটাই সত্য হয়ে থাকে। “আমি আসলে অন্যদেরকে অবমানিত করে আনন্দ পেতাম,” একজন ব্যক্তি বলেন, যাকে আমরা হ্যারল্ড বলে ডাকব। “মাত্র কয়েকটা কথা বলেই আমি লোকেদেরকে বিচলিত করতে, অস্বস্তিতে ফেলতে এবং মাঝে মাঝে কাঁদাতে পারতাম।” কিন্তু এমন কিছু ঘটেছিল, যা হ্যারল্ডকে অন্যদের সঙ্গে তিনি যেভাবে আচরণ করতেন, তা পরিবর্তন করতে অনুপ্রাণিত করেছিল। “বেশ কয়েক জন যিহোবার সাক্ষি আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শুরু করে। আমি তাদেরকে যে-ধরনের কথা বলেছি এবং মাঝে মাঝে তাদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেছি, তা মনে করি লজ্জিত হই। কিন্তু, তারা কখনো হাল ছেড়ে দেয়নি আর ধীরে ধীরে বাইবেলের সত্যগুলো আমার হৃদয়কে স্পর্শ করে এবং আমাকে পরিবর্তিত হতে পরিচালিত করে।” বর্তমানে হ্যারল্ড খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে একজন প্রাচীন হিসেবে সেবা করছেন।

হ্যারল্ড হলেন জীবন্ত প্রমাণ যে, “ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও কার্য্যসাধক, এবং সমস্ত দ্বিধার খড়গ অপেক্ষা তীক্ষ্ণ, এবং প্রাণ ও আত্মা, গ্রন্থি ও মজ্জা, এই সকলের বিভেদ পর্য্যন্ত মর্ম্মবেধী, এবং হৃদয়ের চিন্তা ও বিবেচনার সূক্ষ্ম বিচারক।” (ইব্রীয় ৪:১২) একজন ব্যক্তির হৃদয় স্পর্শ করার ও তার চিন্তাভাবনা এবং আচরণ পরিবর্তন করার ক্ষমতা ঈশ্বরের বাক্যের রয়েছে। এটাই হল অন্যদেরকে মর্যাদা প্রদান করার চাবিকাঠি—আঘাত দেওয়ার পরিবর্তে সাহায্য করার এবং অবমানিত করার পরিবর্তে সম্মান করার এক আন্তরিক আকাঙ্ক্ষা।—প্রেরিত ২০:৩৫; রোমীয় ১২:১০.

উপযুক্ত মর্যাদা পুনর্স্থাপিত

এই একই আকাঙ্ক্ষা যিহোবার সাক্ষিদেরকে অন্যদের সঙ্গে বাইবেলের অপূর্ব বার্তা নিয়ে কথা বলতে উদ্বুদ্ধ করে। (প্রেরিত ৫:৪২) সহমানবকে “মঙ্গলের সুসমাচার” জানানোর মাধ্যমে যে-সম্মান ও মার্যাদা দেখানো হয়, তার চেয়ে উত্তম উপায় আর নেই। (যিশাইয় ৫২:৭) এই “মঙ্গলের” অন্তর্ভুক্ত “নূতন মনুষ্যকে” বা ব্যক্তিত্বকে পরিধান করা, যা অন্যদেরকে অবমানিত করার ‘কুঅভিলাষকে’ মৃত্যুসাৎ করবে। (কলসীয় ৩:৫-১০) এ ছাড়া, যে-অবস্থা ও মনোভাবগুলো মানুষকে তার মর্যাদা লাভ করা থেকে বঞ্চিত করে, সেগুলো ও সেইসঙ্গে এর প্ররোচক শয়তান দিয়াবলকে শীঘ্রই দূর করে দেওয়ার বিষয়ে যিহোবার উদ্দেশ্যও এর অন্তর্ভুক্ত। (দানিয়েল ২:৪৪; মথি ৬:৯, ১০; প্রকাশিত বাক্য ২০:১, ২, ১০) একমাত্র তখনই সকলের জন্য মর্যাদা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে, যখন পৃথিবী “সদাপ্রভু-বিষয়ক জ্ঞানে পরিপূর্ণ” হবে।—যিশাইয় ১১:৯.

আমরা আপনাকে এই অপূর্ব আশা সম্বন্ধে জানতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে মেলামেশা করার মাধ্যমে আপনি নিজে দেখতে পাবেন যে, বাইবেলের নীতিগুলো কাজে লাগানো অন্যদেরকে মর্যাদা প্রদান করে। আর আপনি জানতে পারবেন যে, কীভাবে ঈশ্বরের রাজ্য শীঘ্রই ‘এক নতুন ও আরও উত্তম জগৎ’ নিয়ে আসবে, যে-জগতে ‘মানুষের চিরন্তন মর্যাদা’ এক বাস্তব বিষয় হবে, যা আর কখনো পদদলিত হবে না।

[৬ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

নীতিনিষ্ঠা বজায় রাখা তাদের মর্যাদাকে অক্ষুণ্ণ রেখেছিল

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ২,০০০রেরও বেশি যিহোবার সাক্ষিকে তাদের বিশ্বাসের জন্য নাৎসি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল। যে-উল্লেখযোগ্য উপায়ে তারা তাদের নীতিনিষ্ঠা প্রদর্শন করেছিল, তা লক্ষ করে প্রাক্তন রেভেন্সব্রুকের একজন বন্দি জেমা লা গারডিয়া গ্রুক তার আমার কাহিনী (ইংরেজি) নামক বইয়ে বলেন: “একসময় গেসটাপো (জার্মানির গোয়েন্দা পুলিশ) ঘোষণা দিয়েছিল যে, যেকোনো বাইবেল ছাত্র তার বিশ্বাস পরিত্যাগ করবে ও সেটা একটা বিবৃতিতে স্বাক্ষর করে জানাবে, তাকে মুক্ত করে দেওয়া হবে এবং আর তাড়না করা হবে না।” যারা সেই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা প্রত্যাখ্যান করেছিল, তাদের সম্বন্ধে তিনি লেখেন: “তারা কষ্টভোগ করা বেছে নিয়েছিল আর মুক্তির দিনের জন্য ধৈর্যের সঙ্গে অপেক্ষা করছিল।” কেন তারা এইরকম অবস্থান বজায় রেখেছিল? আগের প্রবন্ধের শুরুতে উল্লেখিত ম্যাগডেলেনা, যার বয়স এখন ৮০র কোঠায়, তিনি ব্যাখ্যা করেন: “যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত থাকা, যেকোনো মূল্যে বেঁচে থাকার চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের মর্যাদা বজায় রাখার অর্থ ছিল আমাদের নীতিনিষ্ঠা বজায় রাখা।” *

[পাদটীকা]

^ কুসেরো পরিবারের বিস্তারিত বিবরণের জন্য ১৯৮৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বর প্রহরীদুর্গ (ইংরেজি) পত্রিকার ১০-১৫ পৃষ্ঠা দেখুন।

[৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

যিশু যাদের আরোগ্য করেছিলেন, তাদেরকে মর্যাদা দিয়েছিলেন

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

যিহোবার সাক্ষিরা অন্যদেরকে “মঙ্গলের সুসমাচার” জানানোর মাধ্যমে তাদের প্রতি মর্যাদা দেখায়