সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনি কি মনে করতে পারেন?

আপনি কি মনে করতে পারেন?

আপনি কি মনে করতে পারেন?

 আপনি কি গত কয়েক মাসের প্রহরীদুর্গ পত্রিকাগুলো মন দিয়ে পড়েছেন? যদি পড়ে থাকেন, তা হলে দেখুন আপনি নীচের এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারেন কি না:

গীতসংহিতা ৭২:১২ পদে যেমন ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, যিশু কীভাবে ‘দরিদ্রকে উদ্ধার’ করবেন?

তাঁর রাজত্বকালে সকলে ন্যায়বিচার পাবে, সেখানে কোনো দুর্নীতি থাকবে না। সাধারণত যুদ্ধের দরুনই দারিদ্র আসে কিন্তু খ্রিস্ট সম্পূর্ণ শান্তি নিয়ে আসবেন। তিনি লোকেদের জন্য সমবেদনা বোধ করেন ও সকলকে ঐক্যবদ্ধ করবেন আর মানবজাতির জন্য যেন প্রচুর খাবার থাকে, সেই বিষয়টা তিনি নিশ্চিত করবেন। (গীতসংহিতা ৭২:৪-১৬)—৫/১, পৃষ্ঠা ৭.

• খ্রিস্টান হিসেবে আমরা কীভাবে নির্দ্বিধায় ও সাহসের সঙ্গে কথা বলতে পারি? (১ তীমথিয় ৩:১৩; ফিলীমন ৮; ইব্রীয় ৪:১৬)

উদ্যোগ ও সাহসের সঙ্গে অন্যদের কাছে প্রচার করার, তৎপরতার সঙ্গে এবং কার্যকারীভাবে শিক্ষা ও পরামর্শ দেওয়ার এবং তিনি আমাদের প্রার্থনা শুনবেন ও সেগুলোর উত্তর দেবেন এই আস্থা নিয়ে যিহোবার কাছে মন খুলে প্রার্থনা করার মাধ্যমে আমরা তা করতে পারি।—৫/১৫, পৃষ্ঠা ১৪-১৬.

• ব্যবস্থায় কেন নির্দিষ্ট কিছু স্বাভাবিক যৌনক্রিয়া একজন ব্যক্তিকে “অশুচি” করে এমনভাবে দেখা হতো?

রেতঃপাত, রজস্বলা ও গর্ভধারণের কারণে অশুচি হওয়ার নিয়মগুলো উপকারজনক স্বাস্থ্যবিধি ও এক সুস্থ জীবনযাত্রাকে তুলে ধরেছিল এবং রক্তের পবিত্রতা ও পাপের প্রায়শ্চিত্তের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিল।—৬/১, পৃষ্ঠা ৩১.

• সুখী হতে চাইলে, একজন ব্যক্তির পক্ষে কেন গীতসংহিতা বইটি বিবেচনা করা উপকারজনক হবে?

গীতসংহিতার রচয়িতারা জানতেন যে, ঈশ্বরের সঙ্গে উত্তম সম্পর্ক থাকার ফলে সুখ পাওয়া যায়। (গীতসংহিতা ১১২:১, NW) তারা জোর দিয়েছিলেন যে, কোনো মানব সম্পর্ক, কোনো বস্তুগত সম্পদ এবং কোনো সম্পাদনই সেই সুখ নিয়ে আসতে পারে না, যা “সদাপ্রভু যাহার ঈশ্বর,” ‘সেই জাতির’ অংশ হয়ে পাওয়া যায়। (গীতসংহিতা ১৪৪:১৫)—৬/১৫, পৃষ্ঠা ১২.

যিহোবার সঙ্গে প্রাচীন ইস্রায়েলীয়দের কোন বিশেষ সম্পর্ক ছিল?

সাধারণ কাল পূর্ব ১৫১৩ সালে, যিহোবা একটা চুক্তির মাধ্যমে ইস্রায়েলীয়দের সঙ্গে এক নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। (যাত্রাপুস্তক ১৯:৫, ৬; ২৪:৭) এরপর থেকে, ইস্রায়েলীয়রা তাঁর প্রতি উৎসর্গীকৃত ঈশ্বরের মনোনীত জাতির সদস্য হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিল। তবুও, ঈশ্বরকে সেবা করার বিষয়ে আলাদা আলাদাভাবে প্রত্যেককে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল।—৭/১, পৃষ্ঠা ২১-২.

• কেন আমাদের ‘বচসা বিনা’ সমস্ত কাজ করা উচিত? (ফিলিপীয় ২:১৪)

শাস্ত্রীয় অনেক উদাহরণ দেখায় যে, বচসা করা অতীতে ঈশ্বরের লোকেদের মধ্যে ক্ষতি নিয়ে এসেছিল। তাই, আজকে এটা যে-ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে, সেই সম্বন্ধে আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। অসিদ্ধ মানুষের প্রবণতা হল অভিযোগ করা আর এর যেকোনো লক্ষণ শনাক্ত করার ও তা এড়িয়ে চলার বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত।—৭/১৫, পৃষ্ঠা ১৬-১৭.

• কীভাবে আমরা জানি যে, হিতোপদেশ ৮:২২-৩১ পদে বর্ণিত প্রজ্ঞা শুধুমাত্র তত্ত্বগত প্রজ্ঞা নয়?

এই প্রজ্ঞা যিহোবার পথের আরম্ভে ‘প্রাপ্ত হইয়াছিল’ বা তাঁকে সৃষ্টি করা হয়েছিল। যিহোবা চিরকাল ধরে আছেন এবং সবসময়ই প্রজ্ঞাবান; তাঁর নিজের প্রজ্ঞাকে সৃষ্টি করা হয়নি। হিতোপদেশ ৮:২২-৩১ পদের এই প্রজ্ঞা “কার্য্যকারী” হিসেবে ঈশ্বরের পাশে ছিলেন যা একজন আত্মিক প্রাণীর প্রতি প্রযোজ্য, যিনি ছিলেন যিশু এবং যিনি ঈশ্বরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সৃষ্টির কাজ করেছিলেন। (কলসীয় ১:১৭; প্রকাশিত বাক্য ৩:১৪)—৮/১, পৃষ্ঠা ৩১.