সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

“আমরা কেন এখানে আছি?”

“আমরা কেন এখানে আছি?”

“আমরা কেন এখানে আছি?”

 নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং নাৎসি হত্যাযজ্ঞ থেকে রক্ষাপ্রাপ্ত ব্যক্তি এলি উইসেল একবার এটাকে “মানুষের ভেবে দেখার মতো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন” হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। কোন প্রশ্ন? সেটা হচ্ছে, “আমরা কেন এখানে আছি?”

আপনি কি কখনো উক্ত প্রশ্নটা নিয়ে গভীরভাবে ভেবে দেখেছেন? অনেকে ভেবেছে কিন্তু তারা উত্তর খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছে। জীবনের অর্থ শনাক্ত করার প্রচেষ্টা করতে গিয়ে ব্রিটিশ ইতিহাসবেত্তা আরনল্ড টয়েনবি লিখেছিলেন: “মানুষের প্রকৃত লক্ষ্য হচ্ছে, ঈশ্বরকে গৌরবান্বিত করা এবং চিরকাল তাঁর কাছ থেকে সুখ উপভোগ করা।”

আগ্রহজনক বিষয়টা হচ্ছে, তিন হাজার বছরেরও বেশি আগে আরেকজন ব্যক্তি যিনি জীবনের বিচক্ষণ পর্যবেক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তিনি ইতিমধ্যেই মৌলিক উত্তরটা শনাক্ত করেছিলেন। বিজ্ঞ রাজা শলোমন বলেছিলেন: “আইস, আমরা সমস্ত বিষয়ের উপসংহার শুনি; ঈশ্বরকে ভয় কর, ও তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন কর, কেননা ইহাই সকল মনুষ্যের কর্ত্তব্য।”—উপদেশক ১২:১৩.

ঈশ্বরের পুত্র যিশু খ্রিস্ট এই মৌলিক নীতিকে সমর্থন করেছিলেন। পৃথিবীতে থাকাকালীন, যিশু তাঁর স্বর্গীয় পিতাকে গৌরবান্বিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করেছিলেন। তাঁর সৃষ্টিকর্তার সেবা করা যিশুর জীবনকে সমৃদ্ধ করেছিল। এটা তাঁকে পুষ্টিবিধান করেছিল ও শক্তি জুগিয়েছিল আর তিনি এই কথা বলতে পেরেছিলেন: “আমার খাদ্য এই, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, যেন তাঁহার ইচ্ছা পালন করি।”—যোহন ৪:৩৪.

তা হলে, আমরা কেন এখানে আছি? যিশু, শলোমন এবং ঈশ্বরের অন্যান্য দাসের মতো আমরাও ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার দ্বারা জীবনের প্রকৃত অর্থ এবং স্থায়ী সুখ খুঁজে পেতে পারি। ঈশ্বরকে কীভাবে “আত্মায় ও সত্যে” উপাসনা করা যায়, সেই বিষয়ে কি আপনি আরও বেশি জানতে চান? (যোহন ৪:২৪) আপনার এলাকার যিহোবার সাক্ষিরা “আমরা কেন এখানে আছি?” এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আপনাকে সাহায্য করতে পেরে খুশি হবে।