গিনিতে আধ্যাত্মিক সম্পদ খুঁজে পাওয়া
গিনিতে আধ্যাত্মিক সম্পদ খুঁজে পাওয়া
শত শত বছর ধরে, আবিষ্কারকরা ধনসম্পদের খোঁজে তাদের জীবনের ঝুঁকি পর্যন্ত নিয়েছে। যে-সাহসী ব্যক্তিরা পশ্চিম আফ্রিকার গিনিতে পৌঁছেছিল, তারা সম্পূর্ণ আলাদা দুই ধরনের সম্পদ খুঁজে পেয়েছিল আর সেগুলো হচ্ছে বস্তুগত ও আধ্যাত্মিক সম্পদ। হিরে, সোনা, আকরিক লোহা এবং উচ্চমানের বক্সাইটে (যেটা থেকে আ্যলুমিনাম নিষ্কাশন করা হয়) সমৃদ্ধ এই গিনির জনসংখ্যা নব্বই লক্ষেরও বেশি।
যদিও খ্রিস্টীয়জগতের ধর্মগুলো এই দেশে তেমন একটা প্রভাব বিস্তার করে না কিন্তু এখানে উপাসনা এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর অনেকে আধ্যাত্মিক সম্পদকে মূল্যবান বলে গণ্য করে থাকে। এই সম্পদগুলো আসলে কী? এরা হচ্ছে যিহোবার বিশ্বস্ত দাসেরা, হগয় ২:৭ পদে যাদেরকে “মনোরঞ্জন বস্তু সকল” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
আধ্যাত্মিক সম্পদ
গুপ্তধনের সন্ধানে মাটির গভীরে খনন করার জন্য যথেষ্ট প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয়। একইভাবে, খ্রিস্টীয় পরিচর্যায় আধ্যাত্মিক সম্পদ খুঁজে পাওয়ার জন্য ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অত্যাবশ্যক। গিনিতে, ১৯৫০ এর দশকের প্রথম দিকে দেশের মধ্যভাগে রাজ্য প্রচার কাজ শুরু হয়েছিল, তবে ১৯৬০ এর দশকের প্রথম দিক পর্যন্ত রাজধানী কোনাক্রিতে সুসমাচার পৌঁছায়নি। এখন দেশজুড়ে ২১টা মণ্ডলী ও দলগুলোতে প্রায় ৯০০ জন যিহোবার সাক্ষি রয়েছে।
মিশনারিরা ১৯৮৭ সালে এখানে এসে পৌঁছেছিল এবং কোনাক্রির একমাত্র মণ্ডলীর সঙ্গে কাজ করেছিল। এখন রাজধানী শহরে ও দেশের মধ্যভাগে ২০ জনেরও বেশি মিশনারি রয়েছে। তারা উদ্যোগের সঙ্গে মণ্ডলীগুলোকে গেঁথে তোলে এবং স্থানীয় ভাইবোনদের সঙ্গে পরিচর্যায় অংশ নেয়।
কোনাক্রিতে বসবাসরত লুক, আ্যলবার নামে একজন যুবক ডাক্তারের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করার আনন্দ উপভোগ করেছিলেন। আ্যলবার বিভিন্ন গির্জায় গিয়ে ধর্মীয় সত্য খুঁজেছিলেন আর তিনি প্রেতচর্চায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। তিনি একটা আংটি পরতেন, যা একজন ভূতুড়িয়া তাকে এই নিশ্চয়তাসহ দিয়েছিলেন যে, এটা তার জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনবে। সত্য ধর্ম খুঁজতে গিয়ে বেশ হতাশ হওয়ার পর আ্যলবার তার আংটিটা ফেলে দেন এবং প্রার্থনা করেন: “হে ঈশ্বর, তুমি যদি থেকে থাকো, তা হলে তোমাকে জানার ও সেবা করার সুযোগ আমাকে করে দাও। তা না হলে, আমি আমার ইচ্ছেমতো জীবনযাপন করব।” এর অল্প কিছুদিন পর, আ্যলবার তার দিদির বাড়িতে বেড়াতে যান এবং হঠাৎ করে একজন যিহোবার সাক্ষির কথা শুনতে পান, যিনি তার ভাগনিকে বাইবেল অধ্যয়ন করাচ্ছিলেন। শীঘ্রই আ্যলবারকে যাতে লুক বাইবেল অধ্যয়ন করাতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হয়।
সপ্তাহের পর সপ্তাহ, লুক আনন্দের সঙ্গে আসতে-যেতে ৫ কিলোমিটার করে পথ হেঁটে আ্যলবারকে অধ্যয়ন করাতে যেতেন। যদিও লুক ততটা শিক্ষিত ছিলেন না কিন্তু শাস্ত্রের প্রতি তার দৃঢ় বিশ্বাস ও বিষয়বস্তুর ব্যবহারিক প্রয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গ্র্যাজুয়েট আ্যলবারকে খুবই প্রভাবিত করেছিল। মানবজাতির দুঃখকষ্ট ভোগ করার জন্য ঈশ্বর দায়ী নন বরং যিহোবার উদ্দেশ্য হচ্ছে সমস্ত দুঃখকষ্টের অবসান ঘটানো ও এই পৃথিবীকে এক পরমদেশে পরিণত করা, এই বিষয়টা জানতে পেরে আ্যলবার অনেক খুশি হয়েছিলেন। (গীতসংহিতা ৩৭:৯-১১) বাইবেলের সত্য ও সেইসঙ্গে তিনি মণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে যে-উত্তম আচরণ লক্ষ করেছিলেন, তা আ্যলবারের হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল।
কিন্তু, অশোধিত হিরে যাতে জ্বল জ্বল করে সেইজন্য একজন দক্ষ কারিগরকে যেমন অত্যন্ত যত্ন সহকারে ও পরিশ্রমের সঙ্গে তা কাটতে হয়, তেমনই আ্যলবারের জীবনকে ঈশ্বরের ধার্মিক মানগুলোর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করার জন্য তার জীবন থেকে অনেক জাগতিক বৈশিষ্ট্যকে কেটে সরিয়ে ফেলতে হয়েছিল। তিনি ভূতুড়িয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করা বন্ধ করেন, অতিরিক্ত মদ খাওয়া পরিত্যাগ করেন এবং জুয়াখেলা ছেড়ে দেন। ধূমপান ছাড়তে আ্যলবারের সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি যখন ঐকান্তিকভাবে যিহোবার কাছে সাহায্য চেয়ে প্রার্থনা করেন, তখন তিনি তাতে সফল হন। ছয় মাস পর, তিনি তার বিয়েকে বৈধ করেছিলেন। তার স্ত্রী বাইবেল অধ্যয়ন করতে শুরু করেন। এখন তারা দুজনেই যিহোবার বাপ্তাইজিত দাস।
মারটাঁ হলেন আরেক আধ্যাত্মিক হিরে। তার বয়স যখন ১৫ বছর, তখন তিনি গেকেডুতে বাইবেল অধ্যয়ন করতে শুরু
করেছিলেন। তার বাবামা ক্যাথলিক ছিল আর তারা যিহোবার সাক্ষিদের সভায় যোগ দেওয়ার জন্য তার বিরোধিতা করেছিল। তারা মারটাঁর বাইবেল সাহিত্যাদি নষ্ট করে দেয়, তাকে মারধর করে এবং ঘর থেকে বের করে দেয়। কার্বনের ওপর প্রচণ্ড চাপ প্রয়োগ করা হলে যেমন হিরে আকার লাভ করে, তেমনই বিরোধিতার ফলে বাইবেলের সত্যের প্রতি মারটাঁর ভালবাসা আরও দৃঢ় হয়ে ওঠে। একসময়, তার বাবামার মনোভাব নরম হয় এবং মারটাঁ ঘরে ফিরে আসেন। কোন বিষয়টা তার বাবামার মনোভাবকে পালটে দিয়েছিল? তারা মারটাঁর আচরণ ও তার সেই ছোট ভাইবোনদের আচরণের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য লক্ষ করেছিল, যারা বিদ্রোহী মনোভাব গড়ে তুলেছিল ও যৌন অনৈতিকতায় জড়িয়ে পড়েছিল। মারটাঁর নতুন ধর্ম তার জন্য উপকারজনক হয়েছে এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তার বাবা মণ্ডলীর সদস্যদের তার ঘরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ভাইয়েরা মারটাঁকে সাহায্য করার জন্য যা কিছু করেছে, সেই সমস্ত কাজের জন্য মারটাঁর মা অনেক বার ভাইদের ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। ১৮ বছর বয়সে বাপ্তিস্ম নিয়ে মারটাঁ পরে মিনিস্টিরিয়াল ট্রেনিং স্কুলে যোগ দেন এবং এখন একজন বিশেষ অগ্রগামী পরিচারক হিসেবে সেবা করছেন।আমদানি করা আধ্যাত্মিক সম্পদ
যদিও গিনি তার অধিকাংশ প্রাকৃতিক সম্পদ রপ্তানি করে থাকে কিন্তু এখানকার কিছু আধ্যাত্মিক সম্পদ “আমদানি করা” হয়েছে। অনেকে সাধারণত অর্থনৈতিক কারণে আফ্রিকার অন্যান্য দেশ থেকে এসে এখানে বাস করছে। অন্যেরা দীর্ঘদিন ধরে চলা ও নিষ্ঠুর যুদ্ধ থেকে রক্ষা পেতে এখানে চলে এসেছে।
আরনেস্টিন, ১২ বছর আগে ক্যামেরুন থেকে গিনিতে চলে এসেছিলেন। তিনি যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করেছেন এবং বাপ্তিস্ম না নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সভাগুলোতে যোগ দিচ্ছিলেন। ২০০৩ সালে যিহোবার সাক্ষিদের এক সীমা সম্মেলনে লোকেদের বাপ্তিস্ম নিতে দেখার সময় তার চোখে জল এসে যায়। নিজেকে দোষী মনে করার অনুভূতি দ্বারা জর্জরিত হয়ে তিনি যিহোবার কাছে প্রার্থনা করেছিলেন: “আমার বয়স এখন ৫১ বছর আর আমি তোমার জন্য ভাল কিছুই করিনি। আমি তোমাকে সেবা করতে চাই।” পরে আরনেস্টিন তার নম্র প্রার্থনার সঙ্গে মিল রেখে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি যে-লোকের
সঙ্গে থাকতেন তাকে ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, একমাত্র বৈধভাবে বিয়ে করার মাধ্যমেই তারা একত্রে থাকতে পারবে। সেই ব্যক্তি এতে রাজি হন আর ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে তার নিজের বাপ্তিস্মের সময় তার চোখ দিয়ে আনন্দাশ্রু গড়িয়ে পড়ে।গিনি ১৯৯০ এর দশকের প্রথম দিক থেকে লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওনের হাজার হাজার শরণার্থীকে গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে যিহোবার শত শত দাসও ছিল। একটা শরণার্থী শিবিরে উপস্থিত হওয়ার পর পরই ভাইয়েরা নিয়মিত সভার ব্যবস্থা করে, প্রচার কাজ সংগঠিত করে এবং একটা কিংডম হল নির্মাণ করে। কিছু লোক সেই শরণার্থী শিবিরগুলোতেই যিহোবার দাস হয়ে উঠেছে। আইজেক হচ্ছেন তাদের মধ্যে একজন। তার বাপ্তিস্মের পর, আইজেকের জন্য বড় এক লাইবেরীয় কোম্পানিতে তার আগের পদে চাকরিতে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। এর পরিবর্তে, তিনি লিনা শরণার্থী শিবিরে নিয়মিত অগ্রগামী হিসেবে সেবা করে যাওয়া বেছে নিয়েছিলেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন: “এখন সভা বা কোনো সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমাকে বসের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। যিহোবাকে সেবা করার জন্য আমি মুক্ত।” ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে, এই দূরবর্তী শিবিরের ৩০,০০০ জন শরণার্থীর মধ্যে বসবাসরত ১৫০ জন সাক্ষির জন্য এক জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে আনন্দের সঙ্গে ৫৯১ জন উপস্থিত হয়েছিল, যাদের মধ্যে ৯ জন বধির লোক সাংকেতিক ভাষার মাধ্যমে কার্যক্রম বুঝতে পেরেছিল। বারোজন বাপ্তিস্ম নিয়েছিল। তাদের জন্য আধ্যাত্মিক ভোজ জোগাতে যে-প্রচেষ্টা করা হয়েছিল, সেই বিষয়টা ভাইয়েরা গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিল।
“মনোরঞ্জন বস্তু সকল” প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো করে
সোনা ও হিরে অন্বেষণকারীদের জন্য কোনো বাধাকেই খুব বড় বলে মনে হয় না। কিন্তু, যিহোবাকে সেবা করার জন্য নতুন ব্যক্তিরা সমস্ত বাধাকে কাটিয়ে ওঠার জন্য যে-প্রচেষ্টা করে থাকে, তা দেখা হৃদয়কে স্পর্শ করে। জাইনাবের অভিজ্ঞতা বিবেচনা করুন।
তেরো বছর বয়সে জাইনাবকে শিশু দাসত্ব গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। তাকে পূর্ব আফ্রিকার আরেকটা দেশে তার নিজের বাড়ি থেকে গিনিতে নিয়ে আসা হয়েছিল। ২০ বছর বয়সে তিনি বাইবেলের বার্তা শুনতে পান। তিনি যা শিখছিলেন, তা প্রয়োগ করতে খুবই উৎসুক ছিলেন।
উপাসনার জন্য খ্রিস্টীয় সমাবেশগুলোতে যোগ দেওয়া জাইনাবের জন্য কঠিন ছিল। কিন্তু, সভাগুলোর প্রতি তার গভীর উপলব্ধি ছিল আর তিনি সেগুলো বাদ না দেওয়ার বিষয়ে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ ছিলেন। (ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫) তিনি তার বইগুলোকে বাইরে লুকিয়ে রাখতেন, যাতে সভাগুলোতে যাওয়ার সময় সেগুলো নিয়ে যেতে পারেন। বেশ কয়েক বার, এই আধ্যাত্মিক সমাবেশে যোগ দেওয়ার কারণে তার “মালিকরা” তাকে মারধর করেছিল।
পরে পরিস্থিতি পালটে যায় আর জাইনাব মুক্ত হন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত সভায় যোগ দিতে শুরু করেন, যা তাকে দ্রুত আধ্যাত্মিক উন্নতি করতে সাহায্য করেছিল। তিনি খুব ভাল বেতনের একটা চাকরি প্রত্যাখ্যান করেন, যেটা তাকে খ্রিস্টীয় নির্দেশনা লাভ করার জন্য সভাগুলোতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করত। তিনি ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয়ে নাম লেখান, একজন অবাপ্তাইজিত রাজ্য প্রকাশক হন এবং পরে যিহোবার কাছে উৎসর্গীকরণের চিহ্ন হিসেবে জলে বাপ্তিস্ম নিয়ে তা প্রকাশ করেন। এর পর পরই, তিনি সহায়ক অগ্রগামীর পরিচর্যায় রত হন। ছয় মাস পর, তিনি একজন নিয়মিত অগ্রগামী পরিচারক হিসেবে সেবা করার জন্য আবেদন করেন।
কয়েকটা সভায় যোগ দেওয়ার পর, একজন আগ্রহী ব্যক্তি বলেছিলেন: “এখানে আসলে পর আমার নিজেকে গরিব বলে মনে হয় না।” যদিও অনেক লোক শুধুমাত্র গিনির বস্তুগত সম্পদের প্রতি আগ্রহী কিন্তু যারা যিহোবাকে ভালবাসে তারা উৎসুকভাবে আধ্যাত্মিক সম্পদ খুঁজে চলেছে। হ্যাঁ, “সর্ব্বজাতির মনোরঞ্জন বস্তু সকল” আজকে যিহোবার বিশুদ্ধ উপাসনার দিকে এগিয়ে আসছে!
[৮ পৃষ্ঠার বাক্স]
গিনি - ২০০৫
সাক্ষিদের শীর্ষ সংখ্যা: ৮৮৩
বাইবেল অধ্যয়ন: ১,৭১০
স্মরণার্থ সভার উপস্থিতি: ৩,২৫৫
[৮ পৃষ্ঠার মানচিত্রগুলো]
(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)
গিনি
কোনাক্রি
সিয়েরা লিওন
লাইবেরিয়া
[৯ পৃষ্ঠার চিত্র]
আ্যলবার ও লুক
[৯ পৃষ্ঠার চিত্র]
কোনাক্রিতে কিংডম হল
[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]
আরনেস্টিন
[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]
মারটাঁ
[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]
জাইনাব
[৮ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]
USAID