সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনার বাচ্চাদের মন্তব্য করতে শিক্ষা দিন

আপনার বাচ্চাদের মন্তব্য করতে শিক্ষা দিন

আপনার বাচ্চাদের মন্তব্য করতে শিক্ষা দিন

 মেক্সিকোর পার্লা স্মরণ করেন যে, তিনি যখন খুব ছোট ছিলেন, তখন তার মা তাকে প্রহরীদুর্গ অধ্যয়নের জন্য ছোট ছোট মন্তব্য তৈরি করতে সাহায্য করতেন। এখন পার্লার নিজের পাঁচ বছর বয়সি একটা ছেলে রয়েছে। তাকে তিনি কীভাবে সাহায্য করেন? “প্রথমে অবশ্যই আমার নিজের প্রস্তুতি নিতে হয়। তা করার সময়, আমি এমন একটা অনুচ্ছেদ খুঁজি, যেটা আমার ছেলে বুঝতে পারবে আর নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা করতে পারবে। এরপর আমরা সেই অনুচ্ছেদের প্রতি মনোযোগ দিই, যেটাকে সে ‘আমার অনুচ্ছেদ’ বলে থাকে। আমি তাকে রোজকার উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টা বুঝিয়ে বলতে বলি। এরপর আমরা বেশ কয়েক বার সেই মন্তব্যের মহড়া দিই। আমরা মাইক্রোফোনের আকারের কোনো একটা বস্তু ব্যবহার করি, যাতে সে উত্তর দেওয়ার সময় কীভাবে সেটা ধরতে হবে, তা শিখতে পারে। আমি খুবই আনন্দিত যে, একটা সভাও বাদ যায় না, যেখানে সে মন্তব্য করেনি বা হাত তোলেনি। অধিকাংশ সময়ে, সভার আগেই সে পরিচালকের কাছে যায় এবং কোনটা তার অনুচ্ছেদ, সেটা পরিচালককে বলে আসে।”

ইয়েন্স যিনি হিন্দিভাষী একটা দলে প্রাচীন হিসেবে সেবা করছেন, তার দুটো ছেলে রয়েছে, যাদের বয়স যথাক্রমে দুই ও চার বছর। তিনি ও তার স্ত্রী যখন তাদের বাচ্চাদের সঙ্গে সভার প্রস্তুতি নেন, তখন তারা একটা পদ্ধতি অবলম্বন করে, যা ইয়েন্স তার বাবামার কাছ থেকে শিখেছেন। তিনি বলেন: “বিষয়বস্তুর কোন অংশগুলো বাচ্চারা বুঝতে পারে, আমরা তা নির্ণয় করি। এরপর আমরা তাদেরকে সেই নির্দিষ্ট বিষয়ের সারাংশ অথবা সেই প্রবন্ধের মূল বিষয়গুলো বোঝানোর চেষ্টা করি এবং তারপর আমরা তাদের সেই প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করি, যেগুলোর ওপর সভায় তারা মন্তব্য করবে বলে আমরা চাই। বেশ স্বাভাবিকভাবে দেওয়া তাদের উত্তর শুনে আমরা প্রায়ই অবাক হয়ে যাই। তারা যেভাবে নিজের ভাষায় প্রকাশ করে, তা আসলে তারা যা বোঝে, সেটাকে প্রতিফলিত করে। ফলস্বরূপ, তাদের উত্তরগুলো যিহোবার প্রতি প্রকৃত প্রশংসার এবং তাদের বিশ্বাসের এক ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি হয়ে ওঠে।”