যিশুর জন্ম এটা যেভাবে শান্তি নিয়ে আসে
যিশুর জন্ম এটা যেভাবে শান্তি নিয়ে আসে
“পৃথিবীতে [তাঁহার] প্রীতিপাত্র মনুষ্যদের মধ্যে শান্তি,” এই ঘোষণাটাই যিশুর জন্মের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত একমাত্র ভবিষ্যদ্বাণী ছিল না। চমৎকৃত মেষপালকদের কাছে স্বর্গদূতেরা যা বলেছিল, সেটা ছাড়াও স্বর্গ থেকে বার্তাবাহকরা মরিয়ম ও তার স্বামী যোষেফের কাছে ঐশিকভাবে অনুপ্রাণিত হয়ে নবজাত যিশু সম্বন্ধে ঘোষণা করেছিল। এই বার্তাগুলো বিবেচনা করা আমাদেরকে যিশুর জন্ম সম্বন্ধে আরও ব্যাপক ধারণা লাভ করতে এবং মানুষের মধ্যে শান্তির বিষয়ে স্বর্গদূতদের করা প্রতিজ্ঞার পিছনে যে-প্রকৃত তাৎপর্য রয়েছে, তা বুঝতে সমর্থ করবে।
যিশুর জন্মের আগে, এমনকি মরিয়ম গর্ভবতী হওয়ারও আগে, একজন স্বর্গদূত মরিয়মকে দেখা দিয়েছিলেন, যাকে বাইবেল গাব্রিয়েল বলে শনাক্ত করে। “অয়ি মহানুগৃহীতে, মঙ্গল হউক; প্রভু [“যিহোবা,” NW] তোমার সহবর্ত্তী,” সেই স্বর্গদূত সম্ভাষণ করেছিলেন। আপনি হয়তো কল্পনা করতে পারেন যে, মরিয়ম এতে বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন এবং খুব সম্ভবত একটু ভয়ও পেয়েছিলেন। এই ধরনের সম্ভাষণের অর্থ কী হতে পারে?
গাব্রিয়েল ব্যাখ্যা করেছিলেন: “তুমি গর্ব্ভবতী হইয়া পুত্ত্র প্রসব করিবে, ও তাঁহার নাম যীশু রাখিবে। তিনি মহান্ হইবেন, আর তাঁহাকে পরাৎপরের পুত্ত্র বলা যাইবে; আর প্রভু [“যিহোবা,” NW] ঈশ্বর তাঁহার পিতা দায়ূদের সিংহাসন তাঁহাকে দিবেন; তিনি যাকোব-কুলের উপরে যুগে যুগে রাজত্ব করিবেন, ও তাঁহার রাজ্যের শেষ হইবে না।” মরিয়ম জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, কীভাবে এটা ঘটবে কারণ তিনি কুমারী আর কোনো পুরুষের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করেননি। গাব্রিয়েল উত্তর দিয়েছিলেন যে, ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার মাধ্যমে গর্ভধারণের ফলে এই শিশু জন্মগ্রহণ করবে। এই শিশু কোনো সাধারণ শিশু হবে না।—লূক ১:২৮-৩৫.
ভবিষ্যদ্বাণীকৃত একজন রাজা
গাব্রিয়েলের কথাগুলো নিশ্চয়ই মরিয়মকে এটা বুঝতে সাহায্য করেছিল যে, তিনি যে-পুত্র ধারণ করবেন, সেই পুত্র প্রাচীন ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর মুখ্য বিষয় ছিল। যিহোবা মরিয়মের পুত্রকে “তাঁহার পিতা দায়ূদের সিংহাসন” দিবেন, এই বিষয়টার প্রকাশ মরিয়মকে—এবং বস্তুতপক্ষে শাস্ত্র সম্পর্কে অবগত যেকোনো যিহুদি ব্যক্তিকে—ইস্রায়েলের রাজা দায়ূদের কাছে ঈশ্বর যে-প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তা নিয়ে চিন্তা করতে পরিচালিত করেছিল।
ভাববাদী নাথনের মাধ্যমে যিহোবা দায়ূদকে বলেছিলেন: “তোমার কুল ও তোমার রাজত্ব তোমার সম্মুখে চিরকাল স্থির থাকিবে; তোমার সিংহাসন চিরস্থায়ী হইবে।” (২ শমূয়েল ৭:৪, ১৬) যিহোবা দায়ূদের বিষয়ে বলেছিলেন: “আমি তাহার বংশকে নিত্যস্থায়ী করিব, তাহার সিংহাসন আকাশের আয়ুর ন্যায় করিব। তাহার বংশ চিরকাল থাকিবে, তাহার সিংহাসন আমার সাক্ষাতে সূর্য্যের ন্যায় হইবে।” (গীতসংহিতা ৮৯:২০, ২৯, ৩৫, ৩৬) তাই, মরিয়ম ও যোষেফ যে দায়ূদের বংশোদ্ভূত ছিল, এটা আকস্মিক কোনো ঘটনা ছিল না।
দায়ূদের এক রাজকীয় পুত্রের বিষয়ে ইব্রীয় শাস্ত্রে কেবল এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলোই ছিল না। মরিয়ম, যিশাইয়ের এই ভবিষ্যদ্বাণী সম্বন্ধেও জানতেন: “একটী বালক আমাদের জন্য জন্মিয়াছেন, একটী পুত্ত্র আমাদিগকে দত্ত হইয়াছে; আর তাঁহারই স্কন্ধের উপরে কর্ত্তৃত্বভার থাকিবে, এবং তাঁহার নাম হইবে—‘আশ্চর্য্য মন্ত্রী, বিক্রমশালী ঈশ্বর, সনাতন পিতা, শান্তিরাজ’। দায়ূদের সিংহাসন ও তাঁহার রাজ্যের উপরে কর্ত্তৃত্ববৃদ্ধির ও শান্তির সীমা থাকিবে না, যেন তাহা সুস্থির ও সুদৃঢ় করা হয়, ন্যায়বিচারে ও ধার্ম্মিকতা সহকারে, এখন অবধি অনন্তকাল পর্য্যন্ত। বাহিনীগণের সদাপ্রভুর উদ্যোগ ইহা সম্পন্ন করিবে।”—যিশাইয় ৯:৬, ৭.
তাই, গাব্রিয়েল মরিয়মের কাছে যে-বার্তা ঘোষণা করেছিলেন, তা অলৌকিকভাবে এক শিশুপুত্রের জন্মের চেয়েও আরও বেশি কিছু ছিল। তার পুত্র রাজা দায়ূদের রাজকীয় উত্তরাধিকারী—ঐশিকভাবে নিযুক্ত এক রাজ্যের স্থায়ী, অনন্তকালীন উত্তরাধিকারী—হবেন। যিশুর ভবিষ্যৎ ভূমিকা সম্বন্ধে
গাব্রিয়েলের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো আমাদের সকলের জন্য গভীর তাৎপর্যপূর্ণ।যোষেফ যখন জানতে পেরেছিলেন যে তার ভাবী স্ত্রী গর্ভবতী, তখন তিনি তাদের বাগ্দান ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি জানতেন যে, এই বাচ্চা তার নয় কারণ তিনি কখনোই তার বাগ্দত্তার সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করেননি। আপনি নিশ্চয়ই কল্পনা করতে পারেন যে, মরিয়ম যেভাবে গর্ভবতী হয়েছেন, সেই সম্বন্ধে মরিয়মের নিজের ব্যাখ্যা বিশ্বাস করা যোষেফের পক্ষে কতটা কঠিন ছিল। সুসমাচারের বিবরণ বলে: “প্রভুর [“যিহোবার,” NW] এক দূত স্বপ্নে তাঁহাকে দর্শন দিয়া কহিলেন, যোষেফ, দায়ূদ-সন্তান, তোমার স্ত্রী মরিয়মকে গ্রহণ করিতে ভয় করিও না, কেননা তাঁহার গর্ব্ভে যাহা জন্মিয়াছে, তাহা পবিত্র আত্মা হইতে হইয়াছে; আর তিনি পুত্ত্র প্রসব করিবেন, এবং তুমি তাঁহার নাম যীশু [ত্রাণকর্ত্তা] রাখিবে; কারণ তিনিই আপন প্রজাদিগকে তাহাদের পাপ হইতে ত্রাণ করিবেন।”—মথি ১:২০, ২১.
সেই শিশু “আপন প্রজাদিগকে তাহাদের পাপ হইতে ত্রাণ” করবেন, এই বিষয়টা যোষেফ কতটুকু বুঝতে পেরেছিলেন, সেই সম্বন্ধে বাইবেল কিছু বলে না। তা সত্ত্বেও, এই বার্তা যোষেফকে এই বিষয়ে আশ্বস্ত করার জন্য যথেষ্ট ছিল যে, সেই গর্ভবতী মা যেকোনো অন্যায় থেকে নির্দোষ ছিলেন। স্বর্গদূত তাকে যে-নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিনি তা-ই করেছিলেন এবং মরিয়মকে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়েছিলেন, যে-কাজটা বিয়ের অনুষ্ঠানের সমতুল্য ছিল।
শাস্ত্রের অন্যান্য জায়গায় পাওয়া তথ্যের সাহায্যে আমরা বুঝতে পারি যে, সেই স্বর্গদূত কী বুঝিয়েছিলেন। মানব ইতিহাসের শুরুতে, এক বিদ্রোহী স্বর্গদূত যিহোবার সার্বভৌমত্বের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। ইব্রীয় শাস্ত্র দেখায় যে অন্যান্য বিষয় ছাড়াও, এই বিদ্রোহী দাবি করেছিল যে, ঈশ্বরের শাসনপদ্ধতি অন্যায্য ছিল এবং পরীক্ষার মুখোমুখি হলে কোনো মানুষই যিহোবার প্রতি তার নীতিনিষ্ঠা বজায় রাখতে পারবে না। (আদিপুস্তক ৩:২-৫; ইয়োব ১:৬-১২) আদম ছিল সেই ব্যক্তি, যে তা বজায় রাখতে পারেনি। এর ফলস্বরূপ, সমস্ত মানুষই উত্তরাধিকারসূত্রে পাপ পেয়েছে আর পাপের পরিণতি হল মৃত্যু। (রোমীয় ৫:১২; ৬:২৩) কিন্তু, যিশু নিষ্পাপ অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন কারণ তাঁর জন্ম কোনো মনুষ্য পিতার মাধ্যমে হয়নি। আদম যা হারিয়েছিল, সেটার একেবারে সমরূপ মুক্তির মূল্য হিসেবে তাঁর সিদ্ধ মনুষ্য জীবন স্বেচ্ছায় সমর্পণ করার মাধ্যমে, যিশু মানুষকে তাদের পাপ থেকে পরিত্রাণ করার ও তাদেরকে অনন্তজীবনের আশা প্রদান করার মতো অবস্থানে ছিলেন।—১ তীমথিয় ২:৩-৬; তীত ৩:৬, ৭; ১ যোহন ২:২৫.
যিশু তাঁর পার্থিব পরিচর্যার সময়ে পাপের প্রভাব দূর করার অর্থ কী হবে, সেটার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তিনি লোকেদেরকে সমস্ত ধরনের শারীরিক অসুস্থতা থেকে সুস্থ করেছিলেন ও এমনকি মৃতদের জীবন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। (মথি ৪:২৩; যোহন ১১:১-৪৪) সেই অলৌকিক কাজগুলো তিনি ভবিষ্যতে যা যা করবেন, সেগুলোর পূর্বাভাসস্বরূপ ছিল। যিশু নিজে বলেছিলেন: “এমন সময় আসিতেছে, যখন কবরস্থ সকলে [আমার] রব শুনিবে, এবং . . . বাহির হইয়া আসিবে।”—যোহন ৫:২৮, ২৯.
ভবিষ্যৎ পুনরুত্থান সম্বন্ধে সেই প্রতিজ্ঞা ব্যাখ্যা করে যে, কেন যিশুর জন্ম—আর বিশেষ করে তাঁর মৃত্যু—আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে জগতে পাঠিয়েছিলেন ‘যেন জগৎ তাঁহার দ্বারা পরিত্রাণ পায়,’ যোহন ৩:১৭ পদ বলে। এই চমৎকার সংবাদ আমাদেরকে যিশুর জন্মের রাতে যে-মেষপালকরা তাদের মেষপাল পাহারা দিচ্ছিল, তাদের কাছে ঘোষিত বার্তা স্মরণ করিয়ে দেয়।
“মহানন্দের সুসমাচার”
স্বর্গদূতেরা যখন ‘ত্রাণকর্ত্তা, খ্রীষ্ট প্রভুর’ জন্মের বিষয়ে ঘোষণা করেছিল, তা আসলেই মানবজাতির জন্য এক “মহানন্দের সুসমাচার” ছিল। (লূক ২:১০, ১১) এই শিশুরই সেই মশীহ, মহান ভাববাদী ও শাসক হওয়ার কথা ছিল, যাঁর জন্য ঈশ্বরের লোকেরা বহু বছর ধরে অপেক্ষা করে ছিল। (দ্বিতীয় বিবরণ ১৮:১৮; মীখা ৫:২) পৃথিবীতে তাঁর জন্ম ও মৃত্যু, যিহোবার সর্বজনীন সার্বভৌমত্বের ন্যায্যতা প্রতিপাদন করায় মুখ্য ভূমিকা পালন করবে, যেকারণে স্বর্গদূতেরা বলতে পেরেছিল: “ঊর্দ্ধ্বলোকে ঈশ্বরের মহিমা।”—লূক ২:১৪.
যিশু, যাঁকে বাইবেল “শেষ আদম” বলে, তিনি দেখিয়েছিলেন যে, এমনকি চরম পরীক্ষার মধ্যেও মানুষের পক্ষে যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত থাকা সম্ভব। (১ করিন্থীয় ১৫:৪৫) এভাবে তিনি শয়তানকে একজন দুষ্ট মিথ্যাবাদী হিসেবে প্রমাণ করেছিলেন। এটাই ছিল স্বর্গে বিশ্বস্ত দূতদের জন্য আনন্দের কারণ।
কিন্তু, আসুন আমরা সেই প্রশ্নে ফিরে যাই যে, “যিশুর জন্মের রাতে স্বর্গদূতদের দ্বারা ঘোষিত কথাগুলো পরিপূর্ণ হওয়ার কোনো বাস্তবসম্মত আশা কি রয়েছে?” নিশ্চিতভাবেই এর উত্তর হল, হ্যাঁ! পৃথিবীতে ঐশিক উদ্দেশ্য পরিপূর্ণতার ক্ষেত্রে শান্তি হল এক অপরিহার্য অবস্থা, যেটার অন্তর্ভুক্ত পরমদেশতুল্য পরিস্থিতি পুনর্স্থাপন করা। পৃথিবীব্যাপী তা সম্পাদিত হলে, সমস্ত লোকই প্রেম ও আনুগত্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত হবে। তাই, যিহোবার উদ্দেশ্য সম্পাদন করার অর্থ হচ্ছে, তাঁর সার্বভৌমত্বের প্রতি সমস্ত বিরোধিতা দূর করা। যিহোবার মানগুলোকে ক্ষতিকর বলে দাবি করে যারা শয়তানের পক্ষসমর্থন করে, তাদের জন্য এটা কোনো সুসংবাদ নয়। তাদের জন্য এর অর্থ হবে ধ্বংস।—গীতসংহিতা ৩৭:১১; হিতোপদেশ ২:২১, ২২.
লক্ষ করুন যে, স্বর্গদূতেরা মেষপালকদের কাছে এমনটা বলেনি যে, সমস্ত মানুষের মধ্যে শান্তি ও প্রীতি থাকবে। এর পরিবর্তে, তারা ঘোষণা করেছিল “[তাঁহার] প্রীতিপাত্র মনুষ্যদের মধ্যে শান্তি।” এর অর্থ হচ্ছে, সেই ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত থাকবে যারা ঈশ্বরের দ্বারা অনুমোদিত ও যাদের প্রতি তাঁর প্রীতি রয়েছে। যারা যিহোবার প্রতি প্রকৃত বিশ্বাস প্রকাশ করে, তারা যিশুর বিশ্বস্ত অনুসারী ও অনুকরণকারী হয়ে ওঠে। এই ধরনের নারী-পুরুষ অন্যদের প্রতি উদারতা ও বিবেচনা প্রদর্শন করতে ইচ্ছুক, তবে তা কেবলমাত্র বছরের কয়েক দিনের জন্য নয় কিন্তু প্রতিদিনের জন্য।
খ্রিস্টীয় মনোভাব—বছর জুড়ে?
যিশুর প্রচারিত সুসমাচারের শক্তি অগণিত ব্যক্তির জীবনকে স্পর্শ করেছে। অনেকে তাদের জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে খ্রিস্টীয় নীতিগুলো গ্রহণ করেছে। যে-লোকেরা মূলত এক সময়ে আত্মকেন্দ্রিক ছিল, তারা জিজ্ঞেস করতে শুরু করেছে যে, তারা যে-পরিস্থিতিতে রয়েছে, সেই ধরনের পরিস্থিতিতে যিশু কী করতেন। যে-লোকেরা ধনসম্পদ ও আরামআয়েশকে ঘিরে জীবনযাপন করত, তারা আধ্যাত্মিক মূল্যবোধগুলোর এবং সেগুলো তাদের প্রতিবেশীদেরকে জানানোর গুরুত্ব সম্বন্ধে উপলব্ধি করেছে। যে-লোকেরা তা করে থাকে, তারা বছর জুড়ে উদারতা ও দয়া দেখানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। সত্য খ্রিস্টানদের কাছ থেকে আপনি কি তা-ই আশা করবেন না?
যদি সমস্ত আন্তরিক ব্যক্তি শান্তি সম্বন্ধে স্বর্গদূতদের বার্তার পিছনে কোন বিষয়টা নিহিত রয়েছে, তা নিয়ে চিন্তা করার জন্য একটু থামে এবং সেই বিবেচনার সঙ্গে মিল রেখে কাজ করে, তা হলে নিশ্চিতভাবেই এই জগৎ এক ভিন্ন জায়গা হবে।
যিশুর জন্মকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো, যাদের প্রতি ঈশ্বরের প্রীতি রয়েছে, তাদেরকে এই আশ্বাস দেয় যে, তারা অনন্তকাল ধরে প্রকৃত শান্তি উপভোগ করতে পারে। আপনিও কি সেটাই চান না? আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি যে, যিশুর জন্মের সময়ে শান্তি সম্বন্ধে দূতদের দ্বারা ঘোষিত ভবিষ্যদ্বাণীমূলক ঘোষণা পরিপূর্ণ হবেই হবে। বড়দিনের মরসুমে অর্থহীন কথাবার্তার পরিবর্তে শান্তি নিশ্চিতভাবেই অনন্তকালের জন্য এক বাস্তব বিষয় হয়ে উঠবে।
[৭ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]
বছর জুড়ে খ্রিস্টীয় মনোভাব দেখানো যেতে পারে এবং তা দেখানো উচিত