নারীওপুরুষ একে অপরের জন্য সৃষ্ট
নারীওপুরুষ একে অপরের জন্য সৃষ্ট
নারী ও পুরুষ সবসময়ই একসঙ্গে থাকার আকাঙ্ক্ষা করেছে। ঈশ্বরই এই আকাঙ্ক্ষা দিয়েছেন। যিহোবা লক্ষ করেছিলেন যে, প্রথম মানুষ আদমের পক্ষে একাকী থাকা ভাল নয়। তাই, ঈশ্বর “[পুরুষের] জন্য তাহার অনুরূপ সহকারিণী” নির্মাণ করেছিলেন।
যিহোবা আদমকে ঘোর নিদ্রায় মগ্ন করেছিলেন আর এরপর তিনি তার একটা পঞ্জর নিয়ে “সেই পঞ্জরে এক স্ত্রী নির্ম্মাণ করিলেন ও তাঁহাকে আদমের নিকটে আনিলেন।” যিহোবার এই অপূর্ব সৃষ্টির সঙ্গে মিলিত হয়ে আদম এতটাই রোমাঞ্চিত হয়েছিলেন যে, তিনি বলেছিলেন: “এবার [হইয়াছে]; ইনি আমার অস্থির অস্থি ও মাংসের মাংস।” স্ত্রীসুলভ গুণাবলিসহ সিদ্ধ নারী হবা সত্যিই ভালবাসার যোগ্য ছিল। আর পুরুষোচিত মর্যাদাসহ সিদ্ধ আদম ছিল সম্মান লাভের যোগ্য। তাদেরকে একে অপরের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছিল। বাইবেল বলে: “এই কারণ মনুষ্য আপন পিতা মাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীতে আসক্ত হইবে, এবং তাহারা একাঙ্গ হইবে।”—আদিপুস্তক ২:১৮-২৪.
কিন্তু, আজকে পরিবারগুলো ভেঙে যাচ্ছে এবং নারী ও পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক প্রায়ই দৌরাত্ম্যপূর্ণ অথবা স্বার্থপরতার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। নারী ও পুরুষের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব দ্বন্দ্ব ও বিবাদের সৃষ্টি করেছে। এই সমস্তকিছুই নারী ও পুরুষের জন্য ঈশ্বরের যে-উদ্দেশ্য রয়েছে, সেটার বিপরীত। পুরুষকে পৃথিবীতে এক চমৎকার ভূমিকা পালন করার জন্য আর নারীকে পুরুষের পাশে এক অদ্বিতীয় ও সম্মানীয় অবস্থান অধিকার করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছিল। তারা একত্রে সংগতি বজায় রেখে কাজ করবে। মানব অস্তিত্বের শুরু থেকেই ঈশ্বরভয়শীল নারী ও পুরুষেরা, ঈশ্বর তাদের জন্য যে-ভূমিকা স্থির করেছিলেন, তা বিশ্বস্ততার সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করেছে আর তা তাদের সুখ এবং পরিতৃপ্তিকে বৃদ্ধি করেছে। সেই ভূমিকাগুলো কী এবং আমরা কীভাবে তা পালন করতে পারি?
[৩ পৃষ্ঠার চিত্র]
ঈশ্বরের ব্যবস্থায় নারী ও পুরুষকে মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকা অধিকার করার জন্য সৃষ্টি করা হয়