পাঠক-পাঠিকাদের থেকে প্রশ্নসকল
পাঠক-পাঠিকাদের থেকে প্রশ্নসকল
কোন অর্থে উপদেশক “সহস্রের মধ্যে” কেবল “এক পুরুষকে” পেয়েছিলেন কিন্তু “সেই সকলের মধ্যে একটী স্ত্রীলোককেও” পাননি?—উপদেশক ৭:২৮.
অনুপ্রাণিত এই কথাগুলোকে সঠিকভাবে বুঝতে হলে, প্রথমে আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে, ঈশ্বর নারীদের কোন দৃষ্টিতে দেখেন। বাইবেল বিধবা নয়মীর পুত্রবধূ রূৎকে “সাধ্বী [“চমৎকার মহিলা,” NW]” বলে উল্লেখ করে। (রূতের বিবরণ ৩:১১) হিতোপদেশ ৩১:১০ পদ অনুসারে এক উত্তম স্ত্রীর ‘মূল্য মুক্তা হইতেও অনেক অধিক।’ তা হলে, প্রাচীন ইস্রায়েলের রাজা শলোমন এর দ্বারা কী বুঝিয়েছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন: “আমি . . . সহস্রের মধ্যে এক পুরুষকে পাইয়াছি; কিন্তু . . . একটী স্ত্রীলোককেও পাই নাই”?
প্রসঙ্গটি দেখায় যে, শলোমনের দিনে নিশ্চয়ই নারীদের মধ্যে নিচু নৈতিক মান বিদ্যমান ছিল। (উপদেশক ৭:২৬) এটা সম্ভবত অনেকাংশে সেইসমস্ত বিদেশি নারীর প্রভাবের কারণে হয়েছিল, যারা বাল দেবতার উপাসনা করত। এমনকি রাজা শলোমনও তার অনেক বিদেশি স্ত্রীর কাছ থেকে আসা চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছিলেন। “সাত শত রমণী তাঁহার পত্নী, ও তিন শত তাঁহার উপপত্নী ছিল,” বাইবেল বলে, আর “তাঁহার সেই স্ত্রীরা তাঁহার হৃদয়কে” মিথ্যা দেবতাদের উপাসনায় “বিপথগামী করিল।” (১ রাজাবলি ১১:১-৪) এ ছাড়া, পুরুষদের নৈতিক মানও ভাল ছিল না—এক হাজার পুরুষের মধ্যে একজন ধার্মিক পুরুষ খুব বিরল আর প্রায় নগণ্য এক বিষয় ছিল। “কেবল ইহাই জানিতে পাইয়াছি যে,” শলোমন উপসংহার করেন “ঈশ্বর মনুষ্যকে সরল [“ন্যায়নিষ্ঠ,” NW] করিয়া নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন, কিন্তু তাহারা অনেক কল্পনার অন্বেষণ করিয়া লইয়াছে।” (উপদেশক ৭:২৯) এটা মানবজাতি সম্বন্ধে এক উপসংহার। তাই, উপদেশক ৭:২৮ পদে পাওয়া কথাগুলোকে শলোমনের দিনের লোকেদের সাধারণ নৈতিক অবস্থার বিষয়ে এক মন্তব্য হিসেবে দেখা উচিত।
কিন্তু, এই পদের আরেকটা সম্ভাব্য অর্থ রয়েছে। এটা ভবিষ্যদ্বাণীমূলকও হতে পারে কারণ কোনো নারীই যিহোবার প্রতি নিখুঁত বাধ্যতা দেখাননি। কিন্তু একজন পুরুষ তা দেখিয়েছেন আর তিনি হলেন যিশু খ্রিস্ট।—রোমীয় ৫:১৫-১৭.
[৩১ পৃষ্ঠার চিত্র]
‘সহস্রের মধ্যে এক পুরুষ’