সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আমাদের চমৎকার পৃথিবীকে উপভোগ করুন

আমাদের চমৎকার পৃথিবীকে উপভোগ করুন

আমাদের চমৎকার পৃথিবীকে উপভোগ করুন

 জ্যোতির্বিদরা দেখেছে যে, মানবজাতির গৃহ হচ্ছে সীমাহীন নিখিলবিশ্বের সুবিশাল পরিধির মধ্যে কেবলমাত্র এক ক্ষুদ্র বিন্দুর মতো। আক্ষরিক নিখিলবিশ্বের আর কোথাও জীবনের সন্ধান পাওয়া যায় না। শুধুমাত্র এই পৃথিবী গ্রহেই একেবারে উপযুক্ত পরিবেশ বিদ্যমান।

অধিকন্তু, আমরা এই চমৎকার পৃথিবীতে জীবন উপভোগ করতে পারি। এক শীতল দিনে সূর্যের উষ্ণতা অনুভব করা কতই না উপভোগ্য! আমাদের মধ্যে কেই বা অপূর্ব সূর্যোদয় অথবা সূর্যাস্ত দেখে রোমাঞ্চিত হই না? অবশ্য, সূর্য শুধুমাত্র আমাদের ইন্দ্রিয়গুলোকে পরিতৃপ্ত করার চেয়েও আরও বেশি কিছু করে থাকে। এটা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য অত্যাবশ্যক।

অগণিত লক্ষ লক্ষ বছর ধরে, সূর্য এর মহাকর্ষীয় বলের মাধ্যমে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহকে এদের স্থায়ী কক্ষপথে ধরে রেখেছে। আর ছাত্র-ছাত্রীরা যেমন স্কুলে শিখে থাকে যে, সমগ্র সৌরজগৎ আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্রের চারিদিকে পরিক্রমণ করে। কিন্তু, আমাদের ছায়াপথে পরিক্রমণরত ১০,০০০ কোটিরও বেশি নক্ষত্রের মধ্যে সূর্য হল কেবলমাত্র একটা।

মিল্কিওয়ে ছায়াপথ প্রায় ৩৫টা ছায়াপথের একটা গুচ্ছের মধ্যে আবদ্ধ। বড় বড় গুচ্ছে হাজার হাজার ছায়াপথ রয়েছে। আমাদের সৌরজগৎ সম্ভবত এতটা স্থির থাকত না, যদি এটা আরও বড়, ঘন ছায়াপথের গুচ্ছের মধ্যে অবস্থিত হতো। কিন্তু, এটার মতো নিখিলবিশ্বের খুব কম অংশই “আমাদের জীবনের মতো এতটা জটিল জীবনের উপযুক্ত,” গিলারমো গনজালেস ও জে ডব্লু. রিচার্ডস তাদের অদ্বিতীয় গ্রহ (ইংরেজি) বইয়ে বর্ণনা করে।

এই গ্রহে জীবনের অস্তিত্ব কি কোনো আকস্মিক ঘটনা, যা কোনো অংশে হঠাৎ “প্রচণ্ড বিস্ফোরণের” ফলে সংঘটিত হয়েছে? নাকি এই চমৎকার পৃথিবী গ্রহে জীবনের অস্তিত্বের আরও কোনো মহৎ অর্থ রয়েছে?

অনেক লোক এই উপসংহারে এসেছে যে, আমাদের পার্থিব গৃহকে নির্দিষ্টভাবে জীবনের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছিল। * বহু শতাব্দী পূর্বে, একজন ইব্রীয় কবি পৃথিবী ও আকাশমণ্ডলের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন: “আমি তোমার অঙ্গুলি-নির্ম্মিত আকাশমণ্ডল, তোমার স্থাপিত চন্দ্র ও তারকামালা নিরীক্ষণ করি, [বলি], মর্ত্ত্য কি?” (গীতসংহিতা ৮:৩, ৪) এই কবি বিশ্বাস করতেন যে, অবশ্যই একজন ঈশ্বর আছেন। আমাদের এই বৈজ্ঞানিক যুগে এটা কি এক যুক্তিসংগত উপসংহার?

[পাদটীকা]

^ গীতসংহিতা বইটি দেখুন, বিশেষ করে গীতসংহিতা ৮ অধ্যায়।

[৩ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

“অনেক অনেক দূর থেকে মহাশূন্যের অন্ধকারের মধ্যে পৃথিবী একটা নীল রত্নের মতো চকচক করে,” দি ইলাসট্রেটেড সায়েন্স এনসাইক্লোপিডিয়া—আ্যমেইজিং প্ল্যানেট আর্থ বইটি বর্ণনা করে।

[সৌজন্যে]

পৃথিবী: U.S. Fish & Wildlife Service, Washington, D.C./NASA