খ্রিস্টের আগমন যা সম্পাদন করবে
খ্রিস্টের আগমন যা সম্পাদন করবে
“সাও পাওলোতে সন্ত্রাস।” এভাবেই ভেজা পত্রিকা ২০০৬ সালের মে মাসের চারদিনকে বর্ণনা করেছিল, যখন সংগঠিত অপরাধ ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ও ধনী শহরকে “অসহায়” করে ফেলেছিল। “১০০ ঘন্টারও বেশি সময়” ধরে ঘটা “সন্ত্রাসের” কারণে আইন বলবৎকারী প্রায় ১৫০ জন কর্মকর্তা, অপরাধী এবং সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছিল।
পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটা প্রান্তেই খবরের শিরোনামে দৌরাত্ম্যের সংবাদ থাকে। মানব নেতারা এটা বন্ধ করতে অসমর্থ বলে মনে হয়। আমাদের পৃথিবী বসবাসের জন্য দিনের পর দিন এক ভয়ংকর জায়গা হয়ে উঠছে। সম্ভবত আপনি নিরুৎসাহিত বোধ করে থাকেন কারণ যেদিকেই তাকান না কেন, প্রচুর খারাপ খবর রয়েছে। কিন্তু, একটা পরিবর্তন আসার সময় নিকটবর্তী।
যিশু তাঁর অনুসারীদের ঈশ্বরের রাজ্য আসার জন্য এবং ঈশ্বরের ইচ্ছা “যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও” সিদ্ধ হওয়ার জন্য প্রার্থনা করতে শিখিয়েছিলেন। (মথি ৬:৯, ১০) এই রাজ্য হল ঈশ্বর নিযুক্ত রাজা খ্রিস্ট যিশুকে নিয়ে এক সরকার। এটা মানবজাতির সমস্ত সমস্যার সমাধান করবে। কিন্তু, ঈশ্বরের রাজ্যের এই পৃথিবীতে বিভিন্ন পরিবর্তন নিয়ে আসতে হলে মনুষ্য শাসনের পরিবর্তে খ্রিস্টের শাসন আনতে হবে। খ্রিস্টের আগমন ঠিক এই বিষয়টাই সম্পাদন করবে।
এক শান্তিপূর্ণ পরিবর্তন?
জাতিগুলো কি শান্তিপূর্ণভাবে খ্রিস্টের শাসনের বশীভূত হবে? প্রেরিত যোহনকে দেওয়া একটা দর্শনে এর উত্তর দেওয়া হয়েছে। যোহন বলেন: “আমি দেখিলাম, ঐ অশ্বারোহী ব্যক্তির [যিশু] ও তাঁহার সৈন্যের সহিত যুদ্ধ করিবার জন্য সেই পশু [পৃথিবীর রাজনৈতিক ব্যবস্থা] ও পৃথিবীর রাজগণ ও তাহাদের সৈন্যগণ একত্র হইল।” (প্রকাশিত বাক্য ১৯:১৯) এই যুদ্ধে পৃথিবীর রাজাদের কী হবে? বাইবেল বলে, যিহোবার অভিষিক্ত রাজা “লৌহদণ্ড দ্বারা তাহাদিগকে ভাঙ্গিবে, কুম্ভকারের পাত্রের ন্যায় খণ্ড বিখণ্ড করিবে।” (গীতসংহিতা ২:৯) রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে চূর্ণ করা হবে। ঈশ্বরের রাজ্য “ঐ সকল [মনুষ্য] রাজ্য চূর্ণ ও বিনষ্ট করিয়া আপনি চিরস্থায়ী হইবে।”—দানিয়েল ২:৪৪.
যারা ঈশ্বরের রাজ্যের বিরোধিতা করে, সেই লোকদের সম্বন্ধে কী বলা যায়? “প্রভু যীশু স্বর্গ হইতে আপনার পরাক্রমের দূতগণের সহিত জ্বলন্ত অগ্নিবেষ্টনে প্রকাশিত হইবেন,” যিশুকে এমন একজন ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, যিনি “যাহারা ঈশ্বরকে জানে না ও যাহারা ২ থিষলনীকীয় ১:৭, ৮) হিতোপদেশ ২:২২ পদ বলে, “কিন্তু দুষ্টগণ দেশ হইতে উচ্ছিন্ন হইবে, বিশ্বাসঘাতকেরা তথা হইতে উন্মূলিত হইবে।”
. . . সুসমাচারের আজ্ঞাবহ হয় না, তাহাদিগকে সমুচিত দণ্ড দিবেন।” (খ্রিস্টের আগমন সম্বন্ধে বাইবেল বলে: “দেখ, তিনি ‘মেঘ সহকারে আসিতেছেন,’ আর প্রত্যেক চক্ষু তাঁহাকে দেখিবে।” (প্রকাশিত বাক্য ১:৭) লোকেরা তাদের আক্ষরিক চোখ দিয়ে তাঁকে দেখতে পাবে না। যিশু স্বর্গারোহণ করার পর থেকে একজন আত্মিক ব্যক্তি, যিনি “অগম্য দীপ্তিনিবাসী, যাঁহাকে মনুষ্যদের মধ্যে কেহ কখনও দেখিতে পায় নাই, দেখিতে পারেও না।”—১ তীমথিয় ৬:১৬.
পৃথিবীর অধিবাসীরা যাতে “দেখিতে” পারে সেইজন্য যিশুর মনুষ্যরূপ ধারণ করার প্রয়োজন নেই, ঠিক যেমন মোশির সময়ে মিশরীয়দের ওপর দশটা আঘাত নিয়ে আসার সময় যিহোবাকে দৃশ্যতভাবে উপস্থিত হতে হয়নি। সেই সময়ের লোকেদের কোনো সন্দেহই ছিল না যে, যিহোবা সেই আঘাতগুলো ঘটাচ্ছিলেন এবং তারা তাঁর শক্তিকে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল। (যাত্রাপুস্তক ১২:৩১) একইভাবে, খ্রিস্ট যখন ঈশ্বরের ঘাতক হিসেবে পদক্ষেপ নেবেন, তখন দুষ্টরা ‘দেখিতে’ বা উপলব্ধি করতে বাধ্য হবে যে, তাদের বিচার করার জন্য ঈশ্বরের দ্বারা যিশু ব্যবহৃত হচ্ছেন। তারা এটা জানবে কারণ আগে থেকেই মানবজাতিকে সাবধান করে দেওয়া হবে। হ্যাঁ, “প্রত্যেক চক্ষু [যিশুকে] দেখিবে, আর পৃথিবীর ‘সমস্ত বংশ তাঁহার জন্য বিলাপ’ করিবে।”—প্রকাশিত বাক্য ১:৭.
পৃথিবীতে প্রকৃত শান্তি ও সমৃদ্ধিকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার আগে দুষ্টতার বিনাশ এবং দুষ্ট শাসনব্যবস্থার উচ্ছেদ আবশ্যক। খ্রিস্ট সেটা সম্পাদন করবেন। তারপর তিনি পৃথিবীর সমস্ত বিষয়ের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করবেন এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলো হবে।
এক পুনর্স্থাপন, যা বিভিন্ন উপকার নিয়ে আসে
প্রেরিত পিতর “সমস্ত বিষয়ের পুনঃস্থাপনের” সম্পর্কে বলেছিলেন, “যে . . . বিষয় ঈশ্বর নিজ পবিত্র ভাববাদিগণের মুখ দ্বারা বলিয়াছেন, যাঁহারা পূরাকাল হইতে হইয়া গিয়াছেন।” (প্রেরিত ৩:২১) এই পুনর্স্থাপন, খ্রিস্টের শাসন চলাকালে পৃথিবীতে যে-পরিবর্তনগুলো হবে, সেগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে। সা.কা.পূ. অষ্টম শতাব্দীর ভাববাদী যিশাইয় হলেন সেই ভাববাদীদের মধ্যে একজন, যাদের দ্বারা ঈশ্বর “সমস্ত বিষয়ের পুনঃস্থাপনের” সম্পর্কে বলেছিলেন। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, “শান্তিরাজ” যিশু খ্রিস্ট পৃথিবীতে শান্তি পুনর্স্থাপন করবেন। খ্রিস্টের শাসনব্যবস্থা সম্বন্ধে যিশাইয়ের ভাববাণী বলে: “কর্ত্তৃত্ববৃদ্ধির ও শান্তির সীমা থাকিবে না।” (যিশাইয় ৯:৬, ৭) যিশু পৃথিবীর লোকেদের শান্তিতে বসবাস করতে শিক্ষা দেবেন। যারা দেশে বা পৃথিবীতে বসবাস করবে, তারা “শান্তির বাহুল্যে আমোদ করিবে।”—গীতসংহিতা ৩৭:১১.
খ্রিস্টের শাসনাধীনে দরিদ্রতা ও ক্ষুধার কী হবে? যিশাইয় বলেছিলেন: “বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই পর্ব্বতে সর্ব্বজাতির নিমিত্ত উত্তম খাদ্য দ্রব্যের এক ভোজ, পুরাতন দ্রাক্ষারসের, মেদোযুক্ত উত্তম উত্তম খাদ্য দ্রব্যের ও নির্ম্মলীকৃত পুরাতন দ্রাক্ষারসের এক ভোজ প্রস্তুত করিবেন।” (যিশাইয় ২৫:৬) গীতরচক গেয়েছিলেন: “দেশমধ্যে পর্ব্বত-শিখরে প্রচুর শস্য হইবে।” (গীতসংহিতা ৭২:১৬) অধিকন্তু, পৃথিবীর অধিবাসীদের সম্পর্কে আমরা পড়ি: “লোকেরা গৃহ নির্ম্মাণ করিয়া তাহার মধ্যে বসতি করিবে, দ্রাক্ষাক্ষেত্র প্রস্তুত করিয়া তাহার ফল ভোগ করিবে। তাহারা গৃহ নির্ম্মাণ করিলে অন্যে বাস করিবে না, তাহারা রোপণ করিলে অন্যে ভোগ করিবে না; বস্তুতঃ আমার প্রজাদের আয়ু বৃক্ষের আয়ুর তুল্য হইবে, এবং আমার মনোনীত লোকেরা দীর্ঘকাল আপন আপন হস্তের শ্রমফল ভোগ করিবে।”—যিশাইয় ৬৫:২১, ২২.
রোগব্যাধি ও মৃত্যুর শেষ সম্পর্কেও যিশাইয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। যিশাইয়ের মাধ্যমে ঈশ্বর বলেছিলেন: “তৎকালে অন্ধদের চক্ষু খোলা যাইবে, আর বধিরদের কর্ণ মুক্ত হইবে। তৎকালে খঞ্জ হরিণের ন্যায় লম্ফ দিবে, ও গোঙ্গাদের জিহ্বা আনন্দগান করিবে।” (যিশাইয় ৩৫:৫, ৬) তখন “নগরবাসী কেহ বলিবে না, আমি পীড়িত।” (যিশাইয় ৩৩:২৪) ঈশ্বর ‘মৃত্যুকে অনন্তকালের জন্য বিনষ্ট করিবেন, ও প্রভু সদাপ্রভু সকলের মুখ হইতে চক্ষুর জল মুছিয়া দিবেন।’—যিশাইয় ২৫:৮.
আর “কবরস্থ” সমস্ত মৃত ব্যক্তির সম্পর্কেই বা কী বলা যায়? (যোহন ৫:২৮, ২৯) যিশাইয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন: ‘তোমার মৃতেরা জীবিত হইবে . . . তাহারা উঠিবে।’ (যিশাইয় ২৬:১৯) হ্যাঁ, যারা মৃত্যুতে ঘুমিয়ে আছে তাদের আবার জীবন ফিরিয়ে দেওয়া হবে!
‘ঈশ্বর তাঁহাকে সিংহাসন দিবেন’
খ্রিস্টের আগমন পৃথিবী গ্রহকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্স্থাপনের দিকে পরিচালিত করবে। পৃথিবী এক গৌরবময় পরমদেশে রূপান্তরিত হবে এবং মানবজাতি সত্য ঈশ্বরের উপাসনায় একতাবদ্ধ হবে। আমরা কি নিশ্চিত হতে পারি যে, পৃথিবী থেকে মন্দতা দূর করতে ও ধার্মিক পরিবেশ নিয়ে আসার ক্ষেত্রে যিশু খ্রিস্ট সফল হবেন?
যিশুর ওপর থাকা শক্তি ও কর্তৃত্বের উৎস সম্পর্কে বিবেচনা করুন। পুত্র সম্বন্ধে বাইবেল বলে: “প্রভু ঈশ্বর তাঁহার পিতা দায়ূদের সিংহাসন তাঁহাকে দিবেন।” (লূক ১:৩২) যিশুর সিংহাসনের অর্থাৎ তাঁর পদ বা কর্তৃত্বের উৎস হলেন যিহোবা। ঈশ্বর হলেন এই সিংহাসনের উদ্যোক্তা এবং দাতা। যিশুর পক্ষে কোনো সমস্যার সমাধান করাই কষ্টসাধ্য হবে না।
তাঁর পুনরুত্থানের পর যিশু তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেন: “স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্ত্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে।” (মথি ২৮:১৮) ১ পিতর ৩:২২ পদ বলে, “দূতগণ ও কর্ত্তৃত্ব সকল ও পরাক্রমসমূহ তাঁহার বশীকৃত হইয়াছে।” যিশুর বিরোধিতা করার ক্ষেত্রে কোনো শক্তি বা কর্তৃত্বই সফল হতে পারবে না। কোনোকিছুই তাঁকে মানবজাতির জন্য দীর্ঘস্থায়ী উপকার নিয়ে আসা থেকে প্রতিরোধ করতে পারবে না।
খ্রিস্টের আগমন লোকেদেরকে যেভাবে প্রভাবিত করে
থিষলনীকীয়দের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “আমরা তোমাদের বিশ্বাসের কার্য্য, প্রেমের পরিশ্রম ও আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বিষয়ক প্রত্যাশার ধৈর্য্য আমাদের ঈশ্বর ও পিতার সাক্ষাতে অবিরত স্মরণ করিয়া থাকি।” (১ থিষলনীকীয় ১:৩) পৌল ফলপ্রসূ পরিশ্রম ও ধৈর্যের কারণ হিসেবে যিশু খ্রিস্টের ওপর প্রত্যাশাকে উল্লেখ করেছিলেন। সেই প্রত্যাশার অন্তর্ভুক্ত খ্রিস্টের আগমনের ও সেই পুনর্স্থাপনের ওপর বিশ্বাস রাখা, যে-পুনর্স্থাপনের পথকে খ্রিস্টের আগমন সুগম করে। এই ধরনের প্রত্যাশা সত্য খ্রিস্টানদের শক্তি জোগাতে পারে অথবা অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে চলতে সাহায্য করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, কারলোসের কথা বিবেচনা করুন, যিনি ব্রাজিলের সাও পাওলোতে বাস করেন। ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে কারলোস জানতে পারেন যে, তার ক্যান্সার হয়েছে। তখন থেকে তাকে আটটা অস্ত্রোপচার করতে হয়, যেগুলো খুবই যন্ত্রণাদায়ক ছিল এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে তিনি খুবই দুর্বল হয়ে পড়েন। তা সত্ত্বেও, তিনি অন্যদের জন্য ক্রমাগত উৎসাহের এক উৎস হন। উদাহরণস্বরূপ, একটা বড় হাসপাতালের সামনের রাস্তায় সুসমাচার প্রচার করার সময়, তিনি আরেকজন যিহোবার সাক্ষির দেখা পান, যার স্বামী কেমোথেরাপি নিচ্ছিলেন। ক্যান্সারের মারাত্মক প্রভাব সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা থাকায়, কারলোস সেই স্বামী ও স্ত্রী উভয়কেই উৎসাহ ও সান্ত্বনা দিতে পেরেছিলেন। পরবর্তীকালে তারা মন্তব্য করেছিল যে, সেই কথোপকথন তাদের জন্য মনোবল প্রদানকারী উৎসাহ ছিল। এভাবে, কারলোস পৌলের বলা এই কথাগুলোর সত্যতা সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন: “তিনি আমাদের সমস্ত ক্লেশের মধ্যে আমাদিগকে সান্ত্বনা করেন, যেন আমরা নিজে ঈশ্বর-দত্ত যে সান্ত্বনায় সান্ত্বনাপ্রাপ্ত হই, সেই সান্ত্বনা দ্বারা সমস্ত ক্লেশের পাত্রদিগকে সান্ত্বনা করিতে পারি।”—২ করিন্থীয় ১:৪.
কী কারলোসকে তার নিজের অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও, অন্যদেরকে উৎসাহ দিয়ে যাওয়ার শক্তি পেতে সাহায্য করে? খ্রিস্টের আগমনের প্রত্যাশা এবং এটা যা সম্পাদন করবে, তা কারলোসকে ক্রমাগত “সৎকর্ম্ম করিতে” পরিচালিত করে।—গালাতীয় ৬:৯.
স্যামুয়েলের উদাহরণটাও বিবেচনা করুন, যার ভাই তাদের বাবার বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে খুন হয়েছিল। তার ভাইয়ের শরীরে দশটা গুলি করা হয়েছিল। সেই মৃতদেহ আট ঘন্টা ধরে ফুটপাতের ওপর পড়েছিল, যখন পুলিশ এই অপরাধের বিষয়ে তদন্ত করেছিল। সেদিনের ঘটনা স্যামুয়েল ভুলতে পারেন না। কিন্তু, তিনি এই আশার দ্বারা শক্তি লাভ করেন যে, খ্রিস্ট পৃথিবী থেকে সমস্ত মন্দতা দূর করে দেবেন এবং এরপর যে-ধার্মিক শাসন আসবে, তা মানবজাতির জন্য আশীর্বাদ নিয়ে আসবে। স্যামুয়েল প্রায়ই কল্পনা করেন যে, পরমদেশ পৃথিবীতে তিনি তার পুনরুত্থিত ভাইকে জড়িয়ে ধরছেন।—প্রেরিত ২৪:১৫.
আপনাকে অবশ্যই কী করতে হবে?
খ্রিস্টের আগমন ও এটা যা সম্পাদন করবে, তার প্রতি আশা রাখার দ্বারা আপনি অনেকখানি সান্ত্বনা পেতে পারেন। যিশু খ্রিস্ট নিশ্চিতভাবেই মানবজাতির সমস্যার সমস্ত মূল কারণ ও আমাদেরকে ঘিরে থাকা মন্দতাকে শেষ করবেন।
খ্রিস্টের শাসন মানবজাতির ওপর যে-আশীর্বাদগুলো বর্ষণ করবে, সেগুলো উপভোগ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কী করতে হবে? ঈশ্বরের বাক্য বাইবেল মনোযোগের সঙ্গে অধ্যয়ন করুন। যিশু তাঁর পিতার কাছে একটা প্রার্থনায় বলেছিলেন: “আর ইহাই অনন্ত জীবন যে, তাহারা তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁহাকে পাঠাইয়াছ, তাঁহাকে, যীশু খ্রীষ্টকে, জানিতে পায়।” (যোহন ১৭:৩) বাইবেল যা শিক্ষা দেয়, তা পরীক্ষা করাকে আপনার লক্ষ্য করে তুলুন। এই ক্ষেত্রে আপনার এলাকার যিহোবার সাক্ষিরা আপনাকে সহযোগিতা করতে পেরে খুশি হবে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অথবা এই পত্রিকার প্রকাশকদের চিঠি লিখতে আমরা আপনাকে সাদর আমন্ত্রণ জানাই।
[৭ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]
খ্রিস্টের আগমন পৃথিবীকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্স্থাপনের দিকে পরিচালিত করবে
[সৌজন্যে]
ইনসেটে, শুধুমাত্র পটভূমি: Rhino and Lion Park, Gauteng, South Africa