“তিনি আমাদিগকে সাধ্যসাধনা করিয়া লইয়া গেলেন”
“তিনি আমাদিগকে সাধ্যসাধনা করিয়া লইয়া গেলেন”
আতিথেয়তা দেখানোর জন্য প্রাচ্যের দেশগুলো সুপরিচিত। উদাহরণস্বরূপ, ভারতে একটা পরিবার একজন অপ্রত্যাশিত অতিথিকে আপ্যায়ন করার জন্য এমনকি নিজেরা হয়তো না খেয়ে থাকতে পারে। ইরানে একজন মা সবসময় ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণ করে রাখেন, যাতে অপ্রত্যাশিত অতিথিদের তিনি আতিথেয়তা দেখাতে পারেন।
বাইবেলে উল্লেখিত অনেক ব্যক্তির মধ্যেও এই ধরনের উদারভাবে দান করার মনোভাব দেখা গিয়েছিল। এর এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলেন লুদিয়া, সম্ভবত একজন ধর্মান্তরিত যিহুদি, যিনি মাকিদনিয়া বিভাগের প্রথম বা প্রধান নগর ফিলিপীতে বাস করতেন। একদিন বিশ্রামবারে, পৌল ও তার ভ্রমণসঙ্গীরা ফিলিপীর বাইরে নদী তীরে সমবেত লুদিয়া ও কয়েক জন মহিলাকে দেখতে পেয়েছিল। সেখানে পৌল কথা বলার সময়ে যিহোবা লুদিয়ার হৃদয় খুলে দিয়েছিলেন। ফলস্বরূপ, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা বাপ্তিস্ম নিয়েছিল। এরপর তিনি সেই ভ্রমণকারীদের বিনতি করেছিলেন: ‘আপনারা যদি আমাকে প্রভুতে [“যিহোবাতে,” NW] বিশ্বাসিনী বলিয়া বিবেচনা করিয়া থাকেন, তবে আমার গৃহে আসুন।’ পৌলের সঙ্গী লূক বলেন: “তিনি আমাদিগকে সাধ্যসাধনা করিয়া লইয়া গেলেন।”—প্রেরিত ১৬:১১-১৫.
লুদিয়ার মতো আজকে খ্রিস্টানরাও সহবিশ্বাসীদের প্রতি যেমন, ভ্রমণ অধ্যক্ষ ও তাদের স্ত্রীদের প্রতি আতিথেয়তা দেখিয়ে থাকে। আমন্ত্রণকারীরা ‘তাহাদিগকে সাধ্যসাধনা করিয়া নিয়ে যায়।’ এর ফলে, যারা আতিথেয়তা দেখিয়ে থাকে, তারা গঠনমূলক কথাবার্তা ও আধ্যাত্মিক সাহচর্যের দ্বারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয়। যদিও অধিকাংশ যিহোবার সাক্ষিরই আয় সীমিত, তবুও তারা ‘অতিথি-সেবায় রত হয়।’ (রোমীয় ১২:১৩; ইব্রীয় ১৩:২) দেওয়ার বা দান করার মনোভাব তাদেরকে সুখী করে তোলে। নিশ্চিতভাবেই যিশু সঠিক ছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন: “পাওয়ার চেয়ে দেওয়ারই মধ্যে বেশি সুখ।”—প্রেরিত (শিষ্যচরিত) ২০:৩৫, বাংলা জুবিলী বাইবেল।