হান্না যেভাবে শান্তি লাভ করেছিলেন
হান্না যেভাবে শান্তি লাভ করেছিলেন
একজন বিশ্বস্ত মহিলা এক প্রার্থনায় উচ্চৈঃস্বরে যিহোবার প্রশংসা করেন। তার মনে হয় যে, ঈশ্বর তাকে ধূলি থেকে তুলেছেন, তার বিষণ্ণতাকে পরিবর্তিত করে আনন্দে পরিণত করেছেন।
এই মহিলার নাম হল হান্না। কোন কারণে তার মনোভাবে এই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে? কেন তিনি এখন এত আনন্দিত? কীভাবে আমরা তার অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হতে পারি? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়ার জন্য, আসুন আমরা হান্নার ঘটনাটা বিবেচনা করি।
চাপের মধ্যে থাকা একটা পরিবার
হান্না হলেন ইফ্রয়িম প্রদেশে বসবাসকারী ইল্কানা নামক এক লেবীয়ের দুই স্ত্রীর মধ্যে একজন। (১ শমূয়েল ১:১, ২ক; ১ বংশাবলি ৬:৩৩, ৩৪) যদিও বহুবিবাহ মানবজাতির জন্য ঈশ্বরের আদি উদ্দেশ্যের অংশ ছিল না কিন্তু মোশির ব্যবস্থায় এটা অনুমোদিত ও বলবৎ ছিল। ইল্কানার পরিবার যিহোবাকে উপাসনা করে কিন্তু বহুগামী বিবাহগুলো প্রায়ই বিবাদের সূচনা ঘটায়, যেমনটা ইল্কানার পারিবারিক জীবন থেকে স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
হান্না বন্ধ্যা কিন্তু ইল্কানার আরেক স্ত্রী পনিন্নার বেশ কয়েক জন সন্তান রয়েছে। পনিন্না হলেন হান্নার সপত্নী বা সতিন।—১ শমূয়েল ১:২খ।
ইস্রায়েলীয় মহিলাদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বকে নিন্দার বিষয়, এমনকি ঈশ্বরের চোখে অযোগ্য বলে গণ্য হওয়ার এক চিহ্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায় না যে, হান্নার সন্তানধারণের অক্ষমতা ঈশ্বরের অনুগ্রহ হারানোর প্রমাণ। তবে, হান্নাকে সান্ত্বনা দেওয়ার পরিবর্তে পনিন্না নিজের সন্তানধারণের ক্ষমতাকে তার সতিনকে দুঃখ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করেন।
যিহোবার ধর্মধামের উদ্দেশে বিভিন্ন যাত্রা
এই চাপগুলো থাকা সত্ত্বেও, প্রতি বছর ইল্কানার পরিবার শীলোতে যিহোবার ধর্মধামে বলি উৎসর্গ করার জন্য যাত্রা করে থাকে। * যাওয়া-আসার এই যাত্রা প্রায় ৬০ কিলোমিটারের পথ আর সম্ভবত তা পায়ে হেঁটেই করা হয়। এই উপলক্ষগুলো অবশ্যই হান্নার জন্য বিশেষভাবে কঠিন কারণ মঙ্গলার্থক বলির বেশির ভাগ অংশই পনিন্না ও তার সন্তানদের দেওয়া হয় আর হান্না শুধুমাত্র একটা ভাগ পেয়ে থাকেন। পনিন্না এই সুযোগগুলোকে হান্নাকে উত্যক্ত করার জন্য ব্যবহার করেন আর হান্না এতে খুবই দুঃখ পান কারণ আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় যেন যিহোবাই ‘হান্নার গর্ব্ভ রুদ্ধ করিয়াছেন।’ এই যন্ত্রণাদায়ক সময় প্রতি বছরই আসে, যার ফলে হান্না খাওয়াদাওয়া না করে কান্নাকাটি করেন। যে-যাত্রাগুলো তার জন্য আনন্দদায়ক হওয়ার কথা, সেগুলো তার জন্য মানসিক যন্ত্রণার সময় হয়ে ওঠে। তা সত্ত্বেও, হান্না যিহোবার ধর্মধামের উদ্দেশে এই যাত্রাগুলো করে থাকেন।—১ শমূয়েল ১:৩-৭.
আপনি কি লক্ষ্য করেছেন যে, কীভাবে হান্না আমাদের জন্য এক উত্তম উদাহরণ স্থাপন করেছেন? হতাশ হয়ে পড়লে আপনি কেমন প্রতিক্রিয়া দেখান? আপনি কি নিজেকে আলাদা করে রাখেন এবং সহবিশ্বাসীদের সঙ্গে মেলামেশা করা বন্ধ করে দেন? হান্না তা করেননি। যিহোবার উপাসকদের মধ্যে থাকাকে তিনি তার অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন। চাপপূর্ণ পরিস্থিতিতে থাকলেও, আমাদেরও একই বিষয় করা উচিত।—গীতসংহিতা ২৬:১২; ১২২:১; হিতোপদেশ ১৮:১; ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫.
ইল্কানা হান্নাকে সান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করেন এবং তার আন্তরিক অনুভূতি খুলে বলতে উৎসাহ দেন। ১ শমূয়েল ১:৮) ইল্কানা সম্ভবত পনিন্নার নির্দয় ব্যবহার সম্বন্ধে জানেন না এবং হান্না হয়তো অভিযোগ করার চেয়ে বরং চুপ করে সহ্য করতে অধিক পছন্দ করেন। যা-ই হোক না কেন, আধ্যাত্মিকমনা হান্না যিহোবার কাছে প্রার্থনা করার দ্বারা শান্তি লাভ করার চেষ্টা করেন।
“হান্না, কেন কাঁদিতেছ? কেন ভোজন করিতেছ না? তোমার মন শোকাকুল কেন?” তিনি জিজ্ঞেস করেন। “তোমার কাছে দশ পুত্ত্র হইতেও কি আমি উত্তম নহি?” (হান্না একটা মানত করেন
মঙ্গলার্থক বলিগুলো যিহোবার ধর্মধামেই খাওয়া হতো। ভোজন স্থান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর হান্না ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন। (১ শমূয়েল ১:৯, ১০) তিনি অনুরোধ জানান, “হে বাহিনীগণের সদাপ্রভু, যদি তুমি তোমার এই দাসীর দুঃখের প্রতি দৃষ্টিপাত কর, আমাকে স্মরণ কর, ও আপন দাসীকে ভুলিয়া না গিয়া আপন দাসীকে পুত্ত্রসন্তান দেও, তবে আমি চিরদিনের জন্য তাহাকে সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিবেদন করিব; তাহার মস্তকে ক্ষুর উঠিবে না।”—১ শমূয়েল ১:১১.
হান্নার প্রার্থনাটি খুবই নির্দিষ্ট। তিনি একটি পুত্রসন্তান চান এবং মানত করেন যে, তাকে সারাজীবনের জন্য এক নাসরীয় হিসেবে যিহোবার কাছে উৎসর্গ করা হবে। (গণনাপুস্তক ৬:১-৫) এইরকম একটা মানতের জন্য তার স্বামীর অনুমোদন পাওয়া প্রয়োজন আর ইল্কানার পরবর্তী কাজকর্ম দেখায় যে, তিনি তার প্রিয় স্ত্রীর মানতকে অনুমোদন করেন।—গণনাপুস্তক ৩০:৬-৮.
হান্না যেভাবে প্রার্থনা করেন, তাতে মহাযাজক এলি তাকে মাতাল ভাবেন। তার ঠোঁট কাঁপতে থাকে কিন্তু স্বর শোনা যায় না, কারণ হান্না মনে মনে কথা বলছেন। এটা হচ্ছে বিশেষভাবে এক আন্তরিক প্রার্থনা। (১ শমূয়েল ১:১২-১৪) এলি যখন হান্নাকে এই বলে তিরস্কার করেন যে তিনি মত্তা, তখন তার কেমন লেগেছে, তা একটু কল্পনা করুন! তা সত্ত্বেও, হান্না সম্মানপূর্বক মহাযাজককে উত্তর দেন। এলি যখন বুঝতে পারেন যে, হান্না “[তাহার] চিন্তার ও [তাহার] মনস্তাপের” জন্য প্রার্থনা করছিলেন, তখন তিনি বলেন: “ইস্রায়েলের ঈশ্বরের কাছে যাহা যাচ্ঞা করিলে, তাহা তিনি তোমাকে দিউন।” (১ শমূয়েল ১:১৫-১৭) এই কথা শুনে হান্না চলে যান ও খাওয়াদাওয়া করেন এবং “তাঁহার মুখ আর বিষণ্ণ [থাকে] না।”—১ শমূয়েল ১:১৮.
এই সমস্তকিছু থেকে আমরা কী শিখতে পারি? আমরা যখন যিহোবার কাছে আমাদের দুশ্চিন্তাগুলো সম্বন্ধে প্রার্থনা করি, তখন আমরা আমাদের অনুভূতি তাঁকে জানাতে এবং আন্তরিক অনুরোধ করতে পারি। কোনো সমস্যা সমাধান করার জন্য আমরা যদি বেশি কিছু করতে না পারি, তা হলে আমাদের বিষয়টাকে যিহোবার হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত। এর চেয়ে ভাল পথ আর নেই।—হিতোপদেশ ৩:৫, ৬.
অন্তর থেকে প্রার্থনা করার পর, যিহোবার দাসেরা খুব সম্ভবত হান্নার মতোই একইরকম শান্তি লাভ করে। প্রার্থনা সম্বন্ধে প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “কোন বিষয়ে ভাবিত হইও না, কিন্তু সর্ব্ববিষয়ে প্রার্থনা ও বিনতি দ্বারা ধন্যবাদ সহকারে তোমাদের যাচ্ঞা সকল ঈশ্বরকে জ্ঞাত কর। তাহাতে সমস্ত চিন্তার অতীত যে ঈশ্বরের শান্তি, তাহা তোমাদের হৃদয় ও মন খ্রীষ্ট যীশুতে রক্ষা করিবে।” (ফিলিপীয় ৪:৬, ৭) আমরা যখন যিহোবার ওপর আমাদের ভার অর্পণ করি, তখন আমাদের অবশ্যই তাঁকে সেই ভারের যত্ন নিতে দিতে হবে। তা হলেই, হান্নার মতো আমাদের আর বিষণ্ণ থাকতে হবে না।—গীতসংহিতা ৫৫:২২.
যিহোবাকে দত্ত এক পুত্র
এখন ঈশ্বর হান্নার প্রতি মনোযোগ দেন; তিনি গর্ভবতী হন ও একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। (১ শমূয়েল ১:১৯, ২০) বাইবেলের বিবরণে অল্প কয়েকটা ঘটনার মধ্যে এটা একটা ঘটনা, যখন ঈশ্বর এমন একজন ব্যক্তির জন্মের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যিনি তাঁর দাস হবেন। ইল্কানা ও হান্নার পুত্র শমূয়েল যিহোবার একজন ভাববাদী হন, যিনি ইস্রায়েলে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
কোনো সন্দেহ নেই যে, হান্না শমূয়েলকে একেবারে শৈশব থেকেই যিহোবা সম্বন্ধে শেখাতে শুরু করেন। কিন্তু তিনি কি তার মানত ভুলে গিয়েছেন? কখনোই না! “বালকটী স্তন্য ত্যাগ করিলেই আমি তাহাকে লইয়া যাইব, তাহাতে সে সদাপ্রভুর সাক্ষাতে নীত হইয়া নিত্য সে স্থানে থাকিবে,” তিনি বলেন। শমূয়েল যখন স্তন্যপান ত্যাগ করেন, সম্ভবত যখন তিনি তিন বছর বা আরেকটু বড়, হান্না তার মানত অনুযায়ী শমূয়েলকে যিহোবার ধর্মধামে রেখে আসার জন্য নিয়ে যান।—১ শমূয়েল ১:২১-২৪; ২ বংশাবলি ৩১:১৬.
যিহোবার কাছে একটা বলি উৎসর্গ করার পর, হান্না ও ১ শমূয়েল ১:২৫-২৮; ২:১১.
তার স্বামী শমূয়েলকে এলির কাছে নিয়ে যান। খুব সম্ভবত হান্না তার ছোট্ট ছেলের হাত ধরেছিলেন, যখন তিনি এলিকে বলেছিলেন: “হে আমার প্রভু, আপনার প্রাণের দিব্য, হে আমার প্রভু, যে স্ত্রী সদাপ্রভুর উদ্দেশে প্রার্থনা করিতে করিতে এই স্থানে আপনার সম্মুখে দাঁড়াইয়াছিল, সে আমি। আমি এই বালকের জন্য প্রার্থনা করিয়াছিলাম; আর সদাপ্রভুর কাছে যাহা চাহিয়াছিলাম, তাহা তিনি আমাকে দিয়াছেন। এই জন্য আমিও ইহাকে সদাপ্রভুকে দিলাম। এ চিরজীবনের জন্য সদাপ্রভুকে দত্ত।” এভাবে ঈশ্বরের উদ্দেশে এক বিশেষ সেবায় শমূয়েলের জীবন শুরু হয়।—সময় অতিক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হান্না নিশ্চয়ই শমূয়েলকে ভুলে যান না। শাস্ত্র বলে: “তাঁহার মাতা প্রতিবৎসর এক একখানি ক্ষুদ্র বস্ত্র প্রস্তুত করিয়া স্বামির সহিত বার্ষিক বলিদানার্থে আসিবার সময়ে তাহা আনিয়া তাঁহাকে দিতেন।” (১ শমূয়েল ২:১৯) নিশ্চিতভাবেই হান্না শমূয়েলের জন্য প্রার্থনা করে চলেন। প্রতি বছর তার পরিদর্শনের সময়, তিনি নিঃসন্দেহে শমূয়েলকে ঈশ্বরের প্রতি তার সেবায় বিশ্বস্ত থাকার জন্য তাকে উৎসাহ দেন।
এই ধরনের এক উপলক্ষে, এলি শমূয়েলের বাবামাকে আশীর্বাদ করেন ও ইল্কানাকে বলেন: “সদাপ্রভুকে যাহা দেওয়া হইয়াছিল, তাহার পরিবর্ত্তে তিনি এই স্ত্রী হইতে তোমাকে আরও সন্তান দিউন।” সেই কথা অনুযায়ী, হান্না ও ইল্কানা আরও তিন পুত্র ও দুই কন্যার জন্ম দিয়ে আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয়।—১ শমূয়েল ২:২০, ২১.
খ্রিস্টান বাবামাদের জন্য ইল্কানা ও হান্না কত চমৎকার এক উদাহরণই না স্থাপন করে! অনেক বাবামা তাদের ছেলেমেয়েদের যিহোবাকে দিতে ইচ্ছুক হয়েছে যেমন, বাড়ি থেকে দূরে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের পূর্ণসময়ের পরিচর্যা করার জন্য তারা ছেলেমেয়েদের উৎসাহিত করেছে। এই প্রেমময় বাবামায়েরা তাদের ত্যাগস্বীকারের জন্য প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। আর যিহোবা তাদেরকে পুরস্কার দেবেন।
হান্নার আনন্দপূর্ণ প্রার্থনা
একসময়ের বন্ধ্যা হান্না কত আনন্দিতই না হন! শাস্ত্রে মহিলাদের বলা প্রার্থনা খুব কমই লিপিবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু, হান্নার দুটো প্রার্থনা সম্বন্ধে আমরা জানতে পারি। প্রথম প্রার্থনায় তার দুর্দশাপূর্ণ ও যন্ত্রণার অনুভূতি এবং দ্বিতীয় প্রার্থনায় তার আনন্দপূর্ণ ধন্যবাদ জ্ঞাপন অন্তর্ভুক্ত। “আমার অন্তঃকরণ সদাপ্রভুতে উল্লাসিত,” হান্না শুরু করেন। তিনি আনন্দ করেন কারণ “বন্ধ্যা স্ত্রী . . . প্রসব করিল,” আর তিনি যিহোবার সম্বন্ধে প্রশংসা করে বলেন যে, তিনি “উন্নত করেন, তিনি ধূলি হইতে দীনহীনকে তুলেন।” বাস্তবিকই, তিনি “সারের ঢিবি হইতে দরিদ্রকে উঠান।”—১ শমূয়েল ২:১-১০.
হান্নার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অনুপ্রাণিত বিবরণ দেখায় যে, আমরা অন্যদের অসিদ্ধতা বা বিদ্বেষের কারণে কষ্ট পেতে পারি। তা সত্ত্বেও, আমরা কখনোই এই ধরনের পরীক্ষাগুলোকে যিহোবাকে সেবা করার আনন্দকে কেড়ে নিতে দেব না। তিনি হলেন মহান প্রার্থনা শ্রবণকারী, যিনি তাঁর বিশ্বস্ত লোকেদের আর্তনাদে সাড়া দেন, তাদেরকে দুর্দশা থেকে উদ্ধার করেন এবং প্রচুর শান্তি ও অন্যান্য আশীর্বাদ প্রদান করেন।—গীতসংহিতা ২২:২৩-২৬; ৩৪:৬-৮; ৬৫:২.
[পাদটীকা]
^ বাইবেল সত্য উপাসনার এই কেন্দ্রকে যিহোবার “মন্দির” বলে অভিহিত করে। কিন্তু, ইস্রায়েলের ইতিহাসের এই সময়ে, নিয়ম-সিন্দুকটি তখনও একটি তাঁবু বা আবাসে রয়েছে। যিহোবার প্রথম স্থায়ী মন্দির রাজা শলোমনের রাজত্বের সময় নির্মিত হবে।—১ শমূয়েল ১:৯; ২ শমূয়েল ৭:২, ৬; ১ রাজাবলি ৭:৫১; ৮:৩, ৪.
[১৭ পৃষ্ঠার চিত্র]
হান্না শমূয়েলকে যিহোবার উদ্দেশে দিয়েছিলেন