সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ঈশ্বরকে খুশি করে এমন বলিগুলো উৎসর্গ করা

ঈশ্বরকে খুশি করে এমন বলিগুলো উৎসর্গ করা

ঈশ্বরকে খুশি করে এমন বলিগুলো উৎসর্গ করা

 “মৃত্যু থেকেই জীবনের উৎপত্তি হয়েছে—এজটেক লোকেরা এমনটাই বিশ্বাস করত, যারা মেজোআমেরিকায় এক নজিরবিহীন মাত্রায় মানববলি অভ্যাস করেছিল,” দ্যা মাইটি এজটেকস্‌ বইটি বলে। “সাম্রাজ্য বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে,” বইটি বলে চলে, “সাম্রাজ্যের ওপর আস্থা বাড়ানোর চেষ্টা করার জন্য মানববলি অভ্যাস করা হতো।” আরেকটি তথ্যগ্রন্থ অনুসারে, এজটেকদের মানববলির সংখ্যা এক বছরে ২০,০০০-এ পৌঁছেছিল।

ভয় এবং অনিশ্চয়তার কারণে অথবা অপরাধবোধ ও অনুশোচনার দ্বারা পরিচালিত হয়ে লোকেরা ইতিহাস জুড়ে তাদের দেব-দেবীর কাছে বিভিন্ন ধরনের বলি উৎসর্গ করেছে। অন্যদিকে বাইবেল দেখায় যে, নির্দিষ্ট কিছু বলি ঐশিকভাবে অর্থাৎ সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যিহোবার দ্বারা প্রবর্তিত হয়েছিল। তাই, এটা জিজ্ঞেস করা উপযুক্ত হবে: কোন ধরনের বলিগুলো ঈশ্বরকে খুশি করে? আর উৎসর্গ ও বলিগুলো কি আজকের দিনের উপাসনার এক অংশ হওয়া উচিত?

সত্য উপাসনায় উৎসর্গ ও বলিগুলো

ইস্রায়েল জাতিকে গঠন করার সময়, যিহোবা যেভাবে চান সেভাবে উপাসনা করার বিষয়ে ইস্রায়েলীয়দেরকে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিলেন আর এর অন্তর্ভুক্ত ছিল, উৎসর্গ ও বলিগুলো। (গণনাপুস্তক ২৮ ও ২৯ অধ্যায়) কিছু উৎসর্গ ছিল ভূমির ফলমূল এবং শস্য; অন্য বলিদানগুলোর অন্তর্ভুক্ত ছিল পশুপাখি উৎসর্গ করা যেমন, গরু, মেষ, ছাগল, কবুতর এবং ঘুঘু। (লেবীয় পুস্তক ১:৩, ৫, ১০, ১৪; ২৩:১০-১৮; গণনাপুস্তক ১৫:১-৭; ২৮:৭) হোমবলি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল, যেগুলো পুরোপুরি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হতো। (যাত্রাপুস্তক ২৯:৩৮-৪২) এ ছাড়া, বিভিন্ন মঙ্গলার্থক বলিও ছিল, যেগুলোতে ঈশ্বরের উদ্দেশে যা প্রদান করা হতো, সেখান থেকে খাওয়ার মাধ্যমে এর প্রদানকারী ব্যক্তিরা এতে অংশ নিতে পারত।—লেবীয় পুস্তক ১৯:৫-৮.

মোশির ব্যবস্থার অধীনে প্রদেয় সমস্ত উৎসর্গ ও বলিদান ছিল ঈশ্বরকে উপাসনা করার এবং তাঁকে নিখিলবিশ্বের সার্বভৌম হিসেবে স্বীকার করার এক উপায়। এই ধরনের বলির মাধ্যমে ইস্রায়েলীয়রা যিহোবার আশীর্বাদ ও সুরক্ষার জন্য তাঁর প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিল এবং সেইসঙ্গে তাদের পাপের ক্ষমা লাভ করেছিল। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উপাসনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যিহোবার চাহিদাগুলো পালন করার ব্যাপারে বিশ্বস্ত ছিল, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা প্রচুররূপে আশীর্বাদ পেয়েছিল।—হিতোপদেশ ৩:৯, ১০.

যিহোবার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল, যারা বলি উৎসর্গ করত তাদের মনোভাব। তাঁর ভাববাদী হোশেয়র মাধ্যমে যিহোবা বলেছিলেন: “আমি দয়াই চাই, বলিদান নয়; এবং হোম অপেক্ষা ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান [চাই]।” (হোশেয় ৬:৬) তাই, যখন লোকেরা সত্য উপাসনা থেকে সরে গিয়েছিল এবং কুকর্ম করেছিল, নির্দোষ ব্যক্তির রক্তপাত করেছিল, তখন যিহোবার বেদিতে দেওয়া তাদের বলিদানের কোনো মূল্যই ছিল না। এই কারণে, যিশাইয়ের মাধ্যমে যিহোবা ইস্রায়েল জাতিকে বলেছিলেন: “তোমাদের বলিদানবাহুল্যে আমার প্রয়োজন কি? মেষের, হোমবলিতে ও পুষ্ট পশুর মেদে আমার আর রুচি নাই; বৃষের কি মেষের, কি ছাগের রক্তে আমার কিছু সন্তোষ নাই।”—যিশাইয় ১:১১.

“ইহা আমি আজ্ঞা করি নাই”

ইস্রায়েলীয়দের একেবারে বিপরীতে, কনানের অধিবাসীরা তাদের সন্তানদেরকে তাদের সেই দেবতাদের উদ্দেশে বলি হিসেবে উৎসর্গ করত, যার মধ্যে ছিল অম্মোনীয়দের দেবতা মোলক, যে মিল্‌কম বলেও পরিচিত ছিল। (১ রাজাবলি ১১:৫, ৭, ৩৩; প্রেরিত ৭:৪৩) হ্যালির বাইবেল হ্যান্ডবুক বলে: “চরিত্রহীনতায় লিপ্ত হয়ে কনানীয়রা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে তাদের দেবতাদের সামনে উপাসনা করত আর তারপর তাদের প্রথমজাত সন্তানদের হত্যা করে, এই একই দেবতাদের কাছে বলিরূপে উৎসর্গ করত।”

এই ধরনের অভ্যাসগুলো কি যিহোবা ঈশ্বরকে খুশি করেছিল? কখনোই না। ইস্রায়েলীয়রা যখন কনান দেশে প্রবেশ করতে যাচ্ছিল, তখন যিহোবা তাদেরকে লেবীয় পুস্তক ২০:২, ৩ পদে লিপিবদ্ধ এই আদেশ দিয়েছিলেন: “তুমি ইস্রায়েল-সন্তানগণকে আরও বল, ইস্রায়েল-সন্তানগণের কোন ব্যক্তি কিম্বা ইস্রায়েলের মধ্যে প্রবাসকারী কোন বিদেশী লোক যদি আপন বংশের কাহাকেও মোলক দেবের উদ্দেশে উৎসর্গ করে, তবে তাহার প্রাণদণ্ড অবশ্য হইবে, দেশের লোকেরা তাহাকে প্রস্তরাঘাতে বধ করিবে। আর আমিও সেই ব্যক্তির প্রতি বিমুখ হইয়া তাহার লোকদের মধ্য হইতে তাহাকে উচ্ছিন্ন করিব; কেননা মোলক দেবের উদ্দেশে আপন বংশজাতকে দেওয়াতে সে আমার ধর্ম্মধাম অশুচি করে, ও আমার পবিত্র নাম অপবিত্র করে।”

যদিও অবিশ্বাস্য বলে মনে হয় কিন্তু কিছু ইস্রায়েলীয়, যারা কিনা সত্য উপাসনা থেকে সরে গিয়েছিল, তারা তাদের সন্তানদের মিথ্যা দেবতাদের উদ্দেশে বলি দেওয়ার এই পৈশাচিক অভ্যাসে রত হয়েছিল। এই বিষয়ে গীতসংহিতা ১০৬:৩৫-৩৮ পদ বলে: “তাহারা জাতিগণের সহিত মিশ্রিত হইল, উহাদের ক্রিয়া শিক্ষা করিল; আর উহাদের প্রতিমা সকলের সেবা করিল, তাহাতে সে সকল তাহাদের ফাঁদ হইয়া উঠিল; ফলে তাহারা আপনাদের পুত্ত্রদিগকে, আর আপনাদের কন্যাদিগকে ভূতদের উদ্দেশে বলিদান করিল; তাহারা নির্দ্দোষদের রক্তপাত, স্ব স্ব পুত্ত্রকন্যাদেরই রক্তপাত করিল, কনানীয় প্রতিমাগণের উদ্দেশে তাহাদিগকে বলিদান করিল; দেশ রক্তে অশুদ্ধ হইল।”

এই অভ্যাসের প্রতি তাঁর তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করে যিহোবা তাঁর ভাববাদী যিরমিয়ের মাধ্যমে যিহূদার সন্তানদের বিষয়ে বলেছিলেন: “এই যে গৃহের উপরে আমার নাম কীর্ত্তিত হইয়াছে, ইহা অশুচি করণার্থে তাহারা ইহার মধ্যে আপনাদের ঘৃণিত বস্তু সকল রাখিয়াছে। আর তাহারা আপন আপন পুত্ত্রকন্যাগণকে আগুনে পোড়াইবার জন্য হিন্নোম-সন্তানের উপত্যকায় তোফতের উচ্চস্থলী সকল প্রস্তুত করিয়াছে; ইহা আমি আজ্ঞা করি নাই, আমার মনেও ইহা উদয় হয় নাই।”—যিরমিয় ৭:৩০, ৩১.

এই ধরনের জঘন্য অভ্যাসগুলোতে রত হওয়ার কারণে ইস্রায়েল জাতি অবশেষে ঈশ্বরের অনুগ্রহ হারিয়েছিল। এর রাজধানী যিরূশালেম শেষ পর্যন্ত ধ্বংস হয়েছিল আর লোকেদের বন্দি করে বাবিলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। (যিরমিয় ৭:৩২-৩৪) স্পষ্টতই, মানববলি উৎসর্গ করার অভ্যাস সত্য ঈশ্বর থেকে নয় এবং বিশুদ্ধ উপাসনারও কোনো অংশ নয়। যেকোনো ধরনের মানববলিই পৈশাচিক আর ঈশ্বরের সত্য উপাসকরা এমন যেকোনো বিষয় থেকে দূরে থাকে, যা এই ধরনের এক অভ্যাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

খ্রিস্ট যিশুর মুক্তির মূল্যরূপ বলিদান

কিন্তু, কেউ কেউ হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারে, ‘তা হলে কেন যিহোবার ব্যবস্থা ইস্রায়েলীয়দের পশুবলি দিতে বলেছিল?’ প্রেরিত পৌল এই প্রশ্নটাই বিবেচনা করেছিলেন এবং এই উত্তর দিয়েছিলেন: “তবে ব্যবস্থা কি? অপরাধের কারণ তাহা যোগ করা হইয়াছিল, যে পর্য্যন্ত না সেই বংশ আইসেন, যাঁহার কাছে প্রতিজ্ঞা করা গিয়াছিল, . . . এই প্রকারে ব্যবস্থা খ্রীষ্টের কাছে আনিবার জন্য আমাদের পরিচালক দাস হইয়া উঠিল।” (গালাতীয় ৩:১৯-২৪) মোশির ব্যবস্থায় পশুবলি দেওয়া রূপকভাবে আরও বড় এক বলিদানকে চিত্রিত করেছিল, যা যিহোবা ঈশ্বর মানবজাতির জন্য জোগাবেন—যেটা হল তাঁর পুত্র যিশু খ্রিস্টকে। যিশু এই প্রেমপূর্ণ কাজের বিষয় উল্লেখ করেছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন: “ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার একজাত পুত্ত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।”—যোহন ৩:১৬.

ঈশ্বর এবং মানবজাতির প্রতি প্রেমের কারণে যিশু স্বেচ্ছায় তাঁর সিদ্ধ মানবজীবন আদমের বংশধরদের জন্য মুক্তির মূল্য হিসেবে সমর্পণ করেছিলেন। (রোমীয় ৫:১২, ১৫) যিশু বলেছিলেন: “মনুষ্যপুত্ত্র পরিচর্য্যা পাইতে আইসেন নাই, কিন্তু পরিচর্য্যা করিতে, এবং অনেকের পরিবর্ত্তে আপন প্রাণ মুক্তির মূল্যরূপে দিতে আসিয়াছেন।” (মথি ২০:২৮) পৃথিবীর কোনো মানুষই পাপ ও মৃত্যুর সেই বন্দিত্ব থেকে মানুষকে মুক্ত করতে পারত না, যে-বন্দিত্বে আদম তাদেরকে বিক্রি করে দিয়েছিল। (গীতসংহিতা ৪৯:৭, ৮) তাই, পৌল ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, যিশু “ছাগদের ও গোবৎসদের রক্তের গুণে নয়, কিন্তু নিজ রক্তের গুণে—একবারে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করিয়াছেন, ও অনন্তকালীয় মুক্তি উপার্জ্জন করিয়াছেন।” (ইব্রীয় ৯:১২) যিশুর বলিদানের রক্ত গ্রহণ করে ঈশ্বর ‘আমাদের প্রতিকূল বিধিবদ্ধ হস্তলেখ্য মুছিয়া ফেলিয়াছেন।’ অর্থাৎ, এর অত্যাবশ্যকীয় উৎসর্গ ও বলিদানসহ যিহোবা ব্যবস্থা চুক্তিকে পৃথক করেছিলেন আর এর দ্বারা ‘অনন্ত জীবনের অনুগ্রহ-দান’ নিয়ে এসেছেন।—কলসীয় ২:১৪; রোমীয় ৬:২৩.

আধ্যাত্মিক বলি ও উৎসর্গগুলো

যেহেতু পশুবলি ও উৎসর্গগুলো এখন আর সত্য উপাসনার অংশ নয়, তাই আজকে কি আমাদের কোনো বলিদান করার প্রয়োজন আছে? হ্যাঁ, আছে। যিশু খ্রিস্ট ঈশ্বরের প্রতি তাঁর সেবায় এক ত্যাগস্বীকারমূলক জীবনযাপন করেছিলেন এবং শেষে মানবজাতির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তাই, তিনি ঘোষণা করেছিলেন: “কেহ যদি আমার পশ্চাৎ আসিতে ইচ্ছা করে, তবে সে আপনাকে অস্বীকার করুক, আপন ক্রুশ তুলিয়া লউক, এবং আমার পশ্চাদ্গামী হউক।” (মথি ১৬:২৪) এর মানে যেকেউ যিশুর অনুসারী হতে চান, তাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু বলি উৎসর্গ করতে হবে। সেগুলো কী?

এর মধ্যে একটা বিষয় হল, খ্রিস্টের একজন অকৃত্রিম অনুসারী নিজের জন্য জীবনযাপন না করে বরং ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার জন্য জীবনযাপন করেন। ঈশ্বরের বিষয়গুলো প্রথমে রাখার জন্য তিনি তার ব্যক্তিগত ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষাগুলোকে দ্বিতীয় স্থানে রাখেন। লক্ষ করুন যে, প্রেরিত পৌল কীভাবে তা রেখেছিলেন: “হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা। আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি, যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।”—রোমীয় ১২:১, ২.

অধিকন্তু, বাইবেল ইঙ্গিত করে যে, আমাদের প্রশংসার অভিব্যক্তিগুলোকে যিহোবার প্রতি উৎসর্গীকৃত বলি হিসেবে দেখা হয়। ঈশ্বর যে আমাদের ওষ্ঠাধরের প্রশংসাকে সবচেয়ে চমৎকার এক বলি হিসেবে বিবেচনা করেন, তা দেখাতে ভাববাদী হোশেয় ‘আপন আপন ওষ্ঠাধর বৃষরূপ’ বাক্যাংশটা ব্যবহার করেছিলেন। (হোশেয় ১৪:২) প্রেরিত পৌল ইব্রীয় খ্রিস্টানদের জোরালো পরামর্শ দিয়েছিলেন: ‘ঈশ্বরের উদ্দেশে নিয়ত স্তব-বলি, অর্থাৎ তাঁহার নাম স্বীকারকারী ওষ্ঠাধরের ফল, উৎসর্গ কর।’ (ইব্রীয় ১৩:১৫) আজকে, যিহোবার সাক্ষিরা সুসমাচার প্রচারে এবং সমস্ত জাতির লোকেদের শিষ্য করায় খুবই ব্যস্ত থাকে। (মথি ২৪:১৪; ২৮:১৯, ২০) তারা পৃথিবীব্যাপী দিনরাত্রি ঈশ্বরের উদ্দেশে স্তব বা প্রশংসাবলি উৎসর্গ করে চলেছে।—প্রকাশিত বাক্য ৭:১৫.

প্রচার কাজের সঙ্গে অন্যদের উপকার করাও বলিদান বা যজ্ঞের অন্তর্ভুক্ত, যা ঈশ্বরকে খুশি করে। পৌল পরামর্শ দিয়েছিলেন, “উপকার ও সহভাগিতার কার্য্য ভুলিও না, কেননা সেই প্রকার যজ্ঞে ঈশ্বর প্রীত হন।” (ইব্রীয় ১৩:১৬) বস্তুতপক্ষে, প্রশংসাবলি ঈশ্বরের কাছে সন্তোষজনক হতে হলে, যারা এটা উৎসর্গ করে, তাদেরকে উপকারজনক বা ভাল আচরণও করতে হবে। পৌল পরামর্শ দিয়েছিলেন: “খ্রীষ্টের সুসমাচারের যোগ্যরূপে তাঁহার প্রজাদের মত আচরণ কর।”—ফিলিপীয় ১:২৭; যিশাইয় ৫২:১১.

অতীতের মতো, সত্য উপাসনাকে সমর্থন করে এমন সমস্ত বলি প্রচুর আনন্দ ও যিহোবার কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়ে আসবে। তাই, আসুন আমরা ঈশ্বরকে খুশি করে এমন বলিগুলো উৎসর্গ করার জন্য যথাসাধ্য করি!

[১৮ পৃষ্ঠার চিত্র]

‘তাহারা স্ব স্ব পুত্ত্রকন্যাদেরই কনানীয় প্রতিমাগণের উদ্দেশে বলিদান করিল’

[২০ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

সুসমাচার প্রচার করে ও অন্যান্য উপায়ে সাহায্যকারী হয়ে সত্য খ্রিস্টানরা ঈশ্বরকে খুশি করে এমন বলিগুলো উৎসর্গ করে