সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আ্যড্রিয়ানার ইচ্ছা

আ্যড্রিয়ানার ইচ্ছা

আ্যড্রিয়ানার ইচ্ছা

 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওক্লাহোমার তালসাতে, আ্যড্রিয়ানা নামে ছয় বছরের একটা মেয়ের এক তীব্র ইচ্ছা ছিল। এটাকে গীতরচক দায়ূদের ইচ্ছার সঙ্গে তুলনা করা যায়, যিনি গেয়েছিলেন: “সদাপ্রভুর কাছে আমি একটী বিষয় যাচ্ঞা করিয়াছি, তাহারই অন্বেষণ করিব, যেন জীবনের সমুদয় দিন সদাপ্রভুর গৃহে বাস করি, সদাপ্রভুর সৌন্দর্য্য দেখিবার ও তাঁহার মন্দিরে অনুসন্ধান করিবার জন্য।”—গীতসংহিতা ২৭:৪.

আ্যড্রিয়ানার বয়স যখন মাত্র ছয় মাস, তখন তাকে পরীক্ষা করে জানা যায় যে, তার দেহে নিউরোব্ল্যাস্টোমা রয়েছে, যা হল এমন এক মারাত্মক টিউমার যেটা স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন অংশে বৃদ্ধি পায়। জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ এই রোগের কারণে তার দুটো পা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। চিকিৎসকরা বেশ কয়েক বার অস্ত্রোপচার করে এবং দীর্ঘ এক বছর কেমোথেরাপি দিয়ে তার চিকিৎসা করে।

আ্যড্রিয়ানার বাবা, যিনি আ্যড্রিয়ানা ও তার মায়ের ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিলেন না, তিনি তার মেয়ের জন্য বিশ্ববিখ্যাত এক বিনোদনমূলক পার্কে ভ্রমণের ব্যবস্থা করার জন্য একটা সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, যারা এই ধরনের বাচ্চাদের ইচ্ছাগুলো পূরণ করে থাকে। তবে, এই ইচ্ছা পূরণ করার আগে সেই সংগঠন আ্যড্রিয়ানার সাক্ষাৎকার নিয়েছিল। তার বিষয়ে চিন্তা করার জন্য সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কিন্তু সে তাদেরকে বলে যে, পার্কের পরিবর্তে সে বরং বেথেল পরিদর্শন করতে চায়, যেটা হল নিউ ইয়র্কে যিহোবার সাক্ষিদের বিশ্বব্যাপী কাজের কেন্দ্র। আ্যড্রিয়ানা তার বাবার আবেদনের বিষয় জানার পর, সে যিহোবার কাছে বেথেল পরিদর্শন করার সুযোগের জন্যই প্রার্থনা করেছিল। যদিও প্রথমে চিন্তা করা হয়েছিল যে, বেথেল হয়তো বাচ্চাদের জন্য আনন্দদায়ক জায়গা হবে না কিন্তু তবুও সেই সংগঠন তার ইচ্ছাকে অনুমোদন করেছিল আর তার বাবাও তার এই বাছাইয়ের বিষয়ে কোনো ভিন্নমত পোষণ করেননি।

আ্যড্রিয়ানা তার মা, দিদি এবং একজন বন্ধুর সঙ্গে প্রথমবারের মতো নিউ ইয়র্ক বেথেল পরিদর্শন করে। “যিহোবা আমার প্রার্থনা শুনেছেন,” আ্যড্রিয়ানা বলে। “আমি জানতাম যে তিনি বেথেলে আমাদের সাদরে আমন্ত্রণ জানাবেন। কীভাবে বই, পত্রিকা এবং বাইবেল তৈরি হয়, আমি তা দেখেছি। এটা একটা বিনোদনমূলক পার্কের চেয়ে আরও বেশি উত্তম।”

আ্যড্রিয়ানা ‘সদাপ্রভুর সৌন্দর্য্য দেখিয়াছিল’ এবং আজকে যিহোবার লোকেদের কাজকর্মের কেন্দ্র যেভাবে চলে, সেটার প্রতি উপলব্ধি প্রকাশ করেছিল। বেথেল পরিদর্শন করার জন্য আপনাকেও সাদরে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। নিউ ইয়র্কে যিহোবার সাক্ষিদের বিশ্ব প্রধান কার্যালয়ের পাশাপাশি পৃথিবীর অন্যান্য অংশের বিভিন্ন জায়গায় শাখা অফিসগুলো রয়েছে।