সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

যখন প্রত্যাশাগুলো পরিপূর্ণ হয় না

যখন প্রত্যাশাগুলো পরিপূর্ণ হয় না

যখন প্রত্যাশাগুলো পরিপূর্ণ হয় না

 যেকোনো বিয়েতেই, এমনকি বিবাহপূর্ব মেলামেশার সময় একজন পুরুষ ও নারীকে পরস্পরের জন্য খুবই উপযুক্ত বলে মনে হলেও, হতাশা দেখা দিতে পারে। কিন্তু কীভাবে দুজন ব্যক্তি, যাদেরকে বিয়ের অঙ্গীকার করার আগে পরস্পরের জন্য নির্মিত হয়েছে বলে মনে হয়, তারা পরবর্তী সময়ে এতটা পালটে যেতে পারে?

বাইবেল বলে যে, যারা বিয়ে করে তারা “কষ্ট” পাবে। (১ করিন্থীয় ৭:২৮, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন) প্রায়ই, এই ধরনের কিছুটা ক্লেশ হচ্ছে মানব অসিদ্ধতার ফল। (রোমীয় ৩:২৩) অধিকন্তু, একজন বা উভয় সঙ্গীই হয়তো বাইবেলের নীতিগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়ে থাকে। (যিশাইয় ৪৮:১৭, ১৮) কিন্তু, মাঝে মাঝে আবার একজন পুরুষ অথবা নারী অবাস্তব প্রত্যাশাগুলো নিয়ে বিয়ে করে থাকেন। যখন এইরকমটা হয়ে থাকে, তখন ভুলবোঝাবুঝি আরও গুরুতর সমস্যার দিকে পরিচালিত করতে পারে।

অবাস্তব প্রত্যাশাগুলো

আপনি যদি একজন স্বামী অথবা স্ত্রী হয়ে থাকেন, তা হলে আপনি সম্ভবত বেশ কিছু প্রত্যাশা নিয়ে বিয়ে করেছেন; অধিকাংশ লোক তা-ই করে থাকে। আপনি যেরকম জীবন আশা করেছিলেন, সেই সম্বন্ধে চিন্তা করার জন্য একটু সময় করে নিন। আপনি যেমনটা কল্পনা করেছিলেন, আপনার বিয়ে কি সেইরকম হতে ব্যর্থ হয়েছে? যদি তা-ই হয়, তা হলে এই উপসংহারে আসবেন না যে, সমস্যাগুলো সমাধান করা যাবে না। বাইবেলের নীতিগুলো কাজে লাগানো আপনাকে বিষয়গুলো সংশোধন করার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। * (২ তীমথিয় ৩:১৬) ইতিমধ্যে, আপনার সেই প্রত্যাশাগুলোর কয়েকটা পরীক্ষা করে দেখা বিচক্ষণতার কাজ হবে, যেগুলো হয়তো আপনি আপনার বিয়ে নিয়ে করেছিলেন।

উদাহরণস্বরূপ, কেউ কেউ চিন্তা করেছে যে, বিবাহিত জীবন রোমান্টিকতায় পূর্ণ থাকবে, যেমনটা রূপকথার গল্পে বর্ণনা করা হয়ে থাকে। অথবা আপনি হয়তো মনে করেছিলেন যে, আপনি ও আপনার সঙ্গী অধিকাংশ সময় একসঙ্গে কাটাবেন বা আপনারা দুজনেই প্রতিটা মতবিরোধ নির্ঝঞ্জাটে ও পরিপক্ব উপায়ে সমাধান করবেন। অনেকে মনে করেছে যে, বিয়ে যৌন সংক্রান্ত বিষয়ে ইন্দ্রিয়দমনের প্রয়োজনীয়তা দূর করে দেবে। এইসমস্ত সাধারণ প্রত্যাশা কিছুটা অবাস্তব হওয়ায়, সেগুলো নিশ্চিতভাবেই কারো কারো জন্য হতাশা নিয়ে আসে।—আদিপুস্তক ৩:১৬.

আরেকটা অবাস্তব প্রত্যাশা হল, বিয়ে করাটাই একজন ব্যক্তিকে সুখী করে তুলবে। অবশ্যই, জীবনে একজন সাথি পাওয়া প্রচুর আনন্দের উৎস হতে পারে। (হিতোপদেশ ১৮:২২; ৩১:১০; উপদেশক ৪:৯) কিন্তু, বিয়েকে কি সমস্ত মতবিরোধের এক অলৌকিক সমাধান বলে প্রত্যাশা করা উচিত? যারা এইরকমটা চিন্তা করে থাকে, তারা সাধারণত রূঢ় বাস্তবতার মুখোমুখি হয়!

অব্যক্ত প্রত্যাশাগুলো

সমস্ত প্রত্যাশাই অবাস্তব নয়। বরং কিছু প্রত্যাশার সঙ্গে সেই আকাঙ্ক্ষাগুলো জড়িত, যেগুলো উপযুক্ত। তবে, এমন প্রত্যাশাগুলোও রয়েছে, যেগুলোর কারণে সমস্যা দেখা দিতে পারে। “আমি দেখেছি যে, স্বামী-স্ত্রীরা পরস্পরের ওপর রেগে যায় কারণ একজন সাথি যখন একটা আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবে বলে অপেক্ষা করছে, তখন অন্য আরেকজন সেই আকাঙ্ক্ষা সম্বন্ধে কখনো স্পষ্টভাবে জানেনই না,” বিবাহ বিষয়ক একজন উপদেষ্টা বলেন। কীভাবে এমনটা হতে পারে, তা বোঝার জন্য পরের দৃশ্যপটটা বিবেচনা করুন।

মেরি, ডেভিড নামে একজন ব্যক্তিকে বিয়ে করেন, যিনি মেরির নিজ শহর থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে বাস করেন। বিয়ের আগে মেরি বুঝতে পারেন যে, একটা নতুন এলাকায় যাওয়া কিছু সমস্যা নিয়ে আসবে—বিশেষভাবে যেহেতু তিনি লাজুক স্বভাবের। তবুও তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে, ডেভিড তাকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবেন। উদাহরণস্বরূপ, মেরির প্রত্যাশা ছিল যে, ডেভিড তার পাশে থেকে তার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে পরিচিত হতে সাহায্য করবেন। কিন্তু, এইরকমটা ঘটেনি। ডেভিড তার অনেক বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আলাপআলোচনায় মশগুল হয়ে পড়েন—নবাগত মেরিকে একা ফেলে রেখে। মেরি এতে অবহেলিত এমনকি কিছুটা পরিত্যক্ত বোধ করেন। তিনি এই ভেবে অবাক হন যে, ‘কীভাবে ডেভিড এতটা অনুভূতিহীন হতে পারেন?’

মেরির প্রত্যাশা কি অবাস্তব ছিল? কখনোই না। তিনি কেবল চেয়েছিলেন যে, তার স্বামী যেন তাকে নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করেন। মেরি লাজুক স্বভাবের আর তাই সভাতে এত নতুন লোকের মাঝে তিনি অসহায় বোধ করেন। তবে আসল বিষয়টা হল, মেরি কখনোই তার অনুভূতির কথা ডেভিডের কাছে প্রকাশ করেননি। তাই, ডেভিড জানতেন না যে, মেরি কোন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এই পরিস্থিতি যদি চলতেই থাকে, তা হলে কী হবে? এর ফলে মেরির মধ্যে অসন্তোষ গড়ে উঠতে পারে এবং সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি হয়তো মনে করতে পারেন যে, তার স্বামী তার অনুভূতিগুলোর ব্যাপারে পুরোপুরি উদাসীন।

আপনিও হয়তো হতাশ ও নিরাশ বোধ করেছেন, যখন আপনার সাথিকে আপনার প্রয়োজনগুলোর ব্যাপারে উদাসীন বলে মনে হয়েছে। যদি তা-ই হয়ে থাকে, তা হলে আপনি কী করতে পারেন?

বিষয়টা নিয়ে কথা বলুন

পরিপূর্ণ হয় না এমন প্রত্যাশাগুলো সত্যিই কষ্ট দিতে পারে। (হিতোপদেশ ১৩:১২) তা সত্ত্বেও, সেই পরিস্থিতিতে আপনি কিছু একটা করতে পারেন। “আপনি যদি বিজ্ঞ হন এবং যথোচিতভাবে কথা বলেন, তা হলে আপনি অন্যদেরকে প্রত্যয়ী করতে পারেন,” বাইবেলের একটা প্রবাদ বলে। (হিতোপদেশ ১৬:২৩, কনটেমপোরারি ইংলিশ ভারসন) তাই, আপনার যদি মনে হয় যে, আপনার কোনো যুক্তিযুক্ত প্রত্যাশা পরিপূর্ণ হচ্ছে না, তা হলে বিষয়টা নিয়ে আপনার সাথির সঙ্গে আলোচনা করুন।

আপনার উদ্বিগ্নতাগুলো সম্বন্ধে বলার জন্য সঠিক সময়, সঠিক পরিবেশ এবং সঠিক শব্দ বাছাই করুন। (হিতোপদেশ ২৫:১১) শান্তভাবে ও সম্মানের সঙ্গে কথা বলুন। আপনার উদ্দেশ্য—আপনার সাথিকে দোষারোপ করা নয় বরং আপনার প্রত্যাশা ও অনুভূতিগুলো তাকে জানানোর বিষয়টামনে রাখুন।—হিতোপদেশ ১৫:১.

কেনই বা আপনার তা করা উচিত? একজন বিবেচক সাথি কি আপনার প্রয়োজনগুলো বুঝতে পারবেন না? এটা ঠিক যে, আপনার সাথি হয়তো বিষয়গুলোকে এক ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন কিন্তু আপনি যদি আপনার চাহিদাগুলো সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করেন, তা হলে তিনি সেটা আনন্দের সঙ্গে বিবেচনা করবেন। আপনি কী চান ও আপনার কী প্রয়োজন রয়েছে, তা প্রকাশ করা কোনো অসফল বিয়ের লক্ষণ নয় অথবা এটা এও প্রমাণ দেয় না যে, আপনার সাথি অনুভূতিহীন।

তাই, বিষয়গুলো নিয়ে আপনার সাথির সঙ্গে আলোচনা করতে দ্বিধা করবেন না। উদাহরণস্বরূপ, পূর্বে উল্লেখিত পরিস্থিতিতে মেরি ডেভিডকে বলতে পারতেন: “আমি বলতে চাই যে, সভাতে এত এত নতুন লোকের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া আমার জন্য কিছুটা কঠিন। যতদিন পর্যন্ত না আমি আরও স্বচ্ছন্দ বোধ করি, তুমি কি আমাকে সবার সঙ্গে পরিচিত হতে সাহায্য করবে?”

“শ্রবণে সত্বর”

এবার বিষয়টা আরেকটা দিক থেকে বিবেচনা করুন। ধরুন, আপনার সাথিই আপনার কাছে এসেছেন এবং আপনি একটা যুক্তিযুক্ত প্রত্যাশা পরিপূর্ণ করছেন না বলে তিনি কষ্ট পেয়েছেন। যদি তা-ই হয়ে থাকে, তা হলে আপনার সাথির কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন! আত্মরক্ষা করার চেষ্টা করবেন না। এর পরিবর্তে, “শ্রবণে সত্বর, কথনে ধীর, ক্রোধে ধীর” হোন। (যাকোব ১:১৯; হিতোপদেশ ১৮:১৩) প্রেরিত পৌল খ্রিস্টানদের জোরালো পরামর্শ দিয়েছিলেন: “কেহই স্বার্থ চেষ্টা না করুক, বরং প্রত্যেক জন পরের মঙ্গল চেষ্টা করুক।”—১ করিন্থীয় ১০:২৪.

নিজেকে আপনার সাথির অবস্থানে বসিয়ে আপনি তা করতে পারেন। বাইবেল বলে: “হে স্বামিগণ, . . . [তোমাদের স্ত্রীদের] সহিত জ্ঞানপূর্ব্বক বাস কর,” অথবা জে. বি. ফিলিপসের অনুবাদ যেমন বলে “স্বামীরা, আপনারা যে-স্ত্রীদের সঙ্গে বাস করেন, তাদেরকে বোঝার চেষ্টা করা উচিত।” (১ পিতর ৩:৭) অবশ্য, স্বামীদের বিষয়ে স্ত্রীদেরও একই প্রচেষ্টা করা উচিত।

মনে রাখবেন যে, আপনি ও আপনার সাথি যত উপযুক্তই হোন না কেন, সমস্ত বিষয়ে আপনাদের একই দৃষ্টিভঙ্গি নেই। (“দৃশ্য একই কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন” শিরোনামের বাক্সটা দেখুন।) সত্যিই, এটা একটা আশীর্বাদ কারণ আরেকজনের দৃষ্টিভঙ্গিতে বিষয়গুলো বিবেচনা করা উত্তম। আপনি ও আপনার সাথি প্রত্যেকে পারিবারিক পটভূমি ও সংস্কৃতির মতো বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে আপনাদের বিয়েতে অদ্বিতীয় প্রত্যাশাগুলো নিয়ে আসেন। ফলস্বরূপ, আপনাদের কিছু প্রত্যাশার ক্ষেত্রে ভিন্নতা সত্ত্বেও আপনারা গভীরভাবে ভালবাসতে পারেন।

উদাহরণস্বরূপ, খ্রিস্টান সাথিরা বাইবেলের মস্তকপদের নীতি সম্বন্ধে সম্ভবত খুব ভাল করেই জানে। (ইফিষীয় ৫:২২, ২৩) কিন্তু, নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, আপনার পরিবারে কীভাবে মস্তকপদ ব্যবহার করা হবে এবং কীভাবে বশ্যতা দেখানো হবে? আপনারা দুজন কি বাইবেলের এই নীতির দ্বারা পরিচালিত হন এবং তা কাজে লাগানোর জন্য প্রকৃত প্রচেষ্টা করছেন?

এ ছাড়া, রোজকার জীবনের অন্যান্য বিষয়েও হয়তো আপনাদের ভিন্ন মতামত থাকতে পারে। ঘরের কিছু টুকিটাকি কাজের দেখাশোনা কে করবে? আপনারা কখন আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সময় কাটাবেন এবং কতটা সময়? কীভাবে খ্রিস্টান সাথিরা দেখাবে যে, তারা তাদের জীবনে রাজ্যের বিষয়গুলোকে প্রথমে রাখছে? (মথি ৬:৩৩) টাকাপয়সার বিষয়ে বললে, ঋণের দায়ে পড়া খুবই সহজ, তাই মিতব্যয়ী হওয়া ও পয়সা বাঁচানোর উপায় খুঁজে বের করা উপযুক্ত। তবে, নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে মিতব্যয়ী হওয়া ও পয়সা বাঁচানোর উপায় খুঁজে বের করার মানে আসলে কী? এই ধরনের বিষয় নিয়ে খোলাখুলিভাবে ও সম্মানের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে আর তা অনেক উপকার নিয়ে আসবে।

এই ধরনের আলোচনা আপনার বিয়েতে আরও বেশি শান্তি লাভ করার জন্য সাহায্য করতে পারে, এমনকি এখনও পর্যন্ত যদি কিছু প্রত্যাশা পরিপূর্ণ হয়ে না থাকে। বস্তুতপক্ষে, আপনারা প্রেরিত পৌলের এই উপদেশ আরও ভালভাবে কাজে লাগাতে পারবেন: “পরস্পর সহনশীল হও, এবং যদি কাহাকেও দোষ দিবার কারণ থাকে, তবে পরস্পর ক্ষমা কর।”—কলসীয় ৩:১৩.

[পাদটীকা]

^ দম্পতিদের জন্য অনেক উত্তম উপদেশ, যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত আপনার পারিবারিক জীবন সুখী করা বইয়ে রয়েছে।

[১০ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

দৃশ্য একই কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন

“কল্পনা করুন যে, একদল পর্যটক ছবির মতো একটা দৃশ্য দেখছে। যদিও সম্পূর্ণ দল একই দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু প্রত্যেক ব্যক্তিই সেটাকে ভিন্নভাবে দেখছে। কেন? কারণ প্রত্যেকেই একটা ভিন্ন অবস্থান থেকে দেখছে। দুজন ব্যক্তি কখনোই একেবারে একই অবস্থানে দাঁড়িয়ে নেই। অধিকন্তু, প্রত্যেকেই সেই দৃশ্যের একই অংশে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করছে না। প্রত্যেক ব্যক্তিই এমন একটা ভিন্ন দিক খুঁজে পায়, যা নির্দিষ্টভাবে আগ্রহজনক। বিয়ের ক্ষেত্রেও একই বিষয় সত্য। এমনকি তারা যখন অনেক উপযুক্তও হয়ে থাকে, তখনও দুজন সাথি বিভিন্ন বিষয়ে একেবারে একই দৃষ্টিভঙ্গি রাখে না। . . . ভাববিনিময়ের অন্তর্ভুক্ত হল, বৈসাদৃশ্যগুলোকে এক ঐক্যবদ্ধ সম্পর্কে পরিণত করার প্রচেষ্টা। এর জন্য প্রয়োজন, কথা বলার জন্য সময় করে নেওয়া।”—১৯৯৩ সালের ১লা আগস্ট প্রহরীদুর্গ (ইংরেজি) পত্রিকা, পৃষ্ঠা ৪.

[১১ পৃষ্ঠার বাক্স]

আপনি এখন যা করতে পারেন

• আপনার প্রত্যাশাগুলো পুনরায় পরীক্ষা করুন। সেগুলো কি বাস্তবসম্মত? আপনি কি আপনার সাথির কাছ থেকে যতটা যুক্তিযুক্ত, তার চেয়ে বেশি প্রত্যাশা করেন?—ফিলিপীয় ২:৪; ৪:৫, NW.

• যেকোনো অবাস্তব প্রত্যাশা রদবদল করার চেষ্টা করুন। উদাহরণস্বরূপ, “আমরা কখনো দ্বিমত পোষণ করব না,” এই কথা বলার পরিবর্তে বরং সংকল্প নিন যে, আপনারা বৈসাদৃশ্যগুলোকে শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসা করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।—ইফিষীয় ৪:৩২.

• আপনার প্রত্যাশাগুলো নিয়ে আলোচনা করুন। কীভাবে পরস্পরের প্রতি ভালবাসা ও সম্মান দেখানো যায়, সেটা শেখার একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা।—ইফিষীয় ৫:৩৩, NW.

[৯ পৃষ্ঠার চিত্র]

আপনার সাথির উদ্বিগ্নতাগুলো “শ্রবণে সত্বর” হোন