সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

কীভাবে আমি আমার সন্তানদের প্রকৃতই শিক্ষিত হয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারি?

কীভাবে আমি আমার সন্তানদের প্রকৃতই শিক্ষিত হয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারি?

কীভাবে আমি আমার সন্তানদের প্রকৃতই শিক্ষিত হয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারি?

 একটা সন্তানের শিক্ষাদান সংক্রান্ত বিষয়কে এক রোমাঞ্চকর ও কঠিন যাত্রার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। আপনি ও আপনার সন্তানরা একসঙ্গে এই যাত্রা করে থাকেন। আপনি তাদের উৎসাহ দেন ও প্রেমের সঙ্গে নির্দেশনা প্রদান করেন, জীবনে চলার পথে উন্নতি করতে তাদের সাহায্য করেন। তাদের শেখার জন্য অনেক কিছু রয়েছে!

জীবনে প্রকৃতই সফল ও সুখী হতে হলে সন্তানদের অবশ্যই নৈতিক ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে হবে, ভাল-মন্দের পার্থক্য করতে শিখতে হবে। তারা যদি যিহোবাকে জানতে ও ভালবাসতে শুরু করে, তা হলে তাদের শিক্ষা সত্যিই পুরস্কারদায়ক হবে এবং তারা যে-নির্দেশনা লাভ করে, তা চিরস্থায়ী হবে। আপনার সন্তানরা কী শেখে এবং কীভাবে সেটাকে মূল্যায়ন করে ও বোঝে, সেক্ষেত্রে একজন বাবা অথবা মা হিসেবে আপনি এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন।

এই যাত্রায় অনেক বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করতে হয়। সন্তানরা সহজেই প্রভাবিত হয় আর পরিবারের বাইরের বিভিন্ন উৎস থেকে তারা এমন অনেক বিষয় শিখতে পারে, যেগুলো গঠনমূলক নয়। আমরা শয়তান দিয়াবলের দ্বারা শাসিত এক জগতে বাস করছি। (১ যোহন ৫:১৯) সে আপনার সন্তানদের শিক্ষার ব্যাপারে আগ্রহী, তবে তা একেবারে ভিন্ন কারণগুলোর জন্য। শয়তান একজন দক্ষ ও অত্যন্ত অভিজ্ঞ শিক্ষক—কিন্তু কোনো সন্দেহ নেই যে সে দুষ্ট। যদিও সে “দীপ্তিময় দূতের” ভান করে কিন্তু সে যে-জ্ঞানালোক প্রদান করে, তা প্রতারণামূলক এবং যিহোবার বাক্য ও ইচ্ছার বিপরীত। (২ করিন্থীয় ৪:৪; ১১:১৪; যিরমিয় ৮:৯) দিয়াবল ও তার মন্দ দূতেরা উভয়েই প্রতারণা, স্বার্থপরতা, অসততা ও নৈতিক অবক্ষয় বৃদ্ধি করায় অত্যন্ত দক্ষ।—১ তীমথিয় ৪:১.

আপনার সন্তানদেরকে ভ্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য আপনি কী করতে পারেন? যা সত্য ও যথার্থ, তা গ্রহণ করার জন্য আপনি কীভাবে তাদের শিক্ষা দিতে পারেন? একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল, নিজেকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা। আপনাকে এক উত্তম উদাহরণ স্থাপন করতে হবে। এ ছাড়া, আপনার সন্তানদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আপনার দায়িত্বকে গ্রহণ ও তা করার জন্য প্রয়োজনীয় সময় ব্যয় করাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, এই বিষয়গুলো বিবেচনা করার আগে আসুন আমরা এক প্রকৃত শিক্ষার ভিত্তিকে শনাক্ত করি।

এক প্রকৃত শিক্ষার ভিত্তি

আমরা সর্বকালের সর্ববিজ্ঞ ব্যক্তিদের মধ্যে একজন, ইস্রায়েলের রাজা শলোমনের কাছ থেকে শিখতে পারি। বাইবেল আমাদের বলে: “ঈশ্বর শলোমনকে বিপুল জ্ঞান ও সূক্ষ্মবুদ্ধি এবং সমুদ্রতীরস্থ বালুকার ন্যায় চিত্তের বিস্তীর্ণতা দিলেন। তাহাতে পূর্ব্বদেশের সমস্ত লোকের জ্ঞান ও মিস্রীয়দের যাবতীয় জ্ঞান হইতে শলোমনের অধিক জ্ঞান হইল।” শলোমন “তিন সহস্র প্রবাদ বাক্য বলিতেন, ও তাঁহার এক সহস্র পাঁচটী গীত ছিল।” উদ্ভিদবিদ্যা ও প্রাণীজগৎ সম্বন্ধে তার গভীর জ্ঞান ছিল। (১ রাজাবলি ৪:২৯-৩৪) এ ছাড়া, রাজা শলোমন যিরূশালেমে যিহোবার চমৎকার মন্দির নির্মাণসহ ইস্রায়েলের বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পগুলোও তত্ত্বাবধান করেছিলেন।

শলোমনের লেখাগুলো, যেমন যেগুলো উপদেশক বইয়ে পাওয়া যায়, সেগুলো প্রকাশ করে যে, মানব স্বভাব সম্বন্ধে তার গভীর বোধগম্যতা ছিল। প্রকৃত শিক্ষার ভিত্তি সম্বন্ধে জোর দেওয়ার জন্য তিনি ঐশিকভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। শলোমন বলেছিলেন: “সদাপ্রভুর ভয় জ্ঞানের আরম্ভ।” বিজ্ঞ রাজা আরও বলেছিলেন: “সদাপ্রভুকে ভয় করাই প্রজ্ঞার আরম্ভ, পবিত্রতম-বিষয়ক জ্ঞানই সুবিবেচনা।”—হিতোপদেশ ১:৭; ৯:১০.

আমরা যদি ঈশ্বরকে ভয় করি, তা হলে তাঁর প্রতি আমাদের সশ্রদ্ধ সম্মান থাকে এবং আমরা তাঁকে অসন্তুষ্ট না করার বিষয়ে সতর্ক থাকি। আমরা উপলব্ধি করি যে, তিনি হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ এবং আমরা তাঁর বশীভূত। যে-ব্যক্তির ওপর আমাদের জীবন নির্ভর করে, তাঁকে যারা অসম্মান করে, তারা মানুষের দ্বারা বিজ্ঞ বলে বিবেচিত হতে পারে কিন্তু এই ধরনের বিজ্ঞতা হল “ঈশ্বরের নিকটে মূর্খতা।” (১ করিন্থীয় ৩:১৯) আপনার সন্তানদের এমন এক শিক্ষা প্রয়োজন, যার ভিত্তি সেই জ্ঞান, “যে জ্ঞান উপর হইতে আইসে।”—যাকোব ৩:১৫, ১৭.

যিহোবাকে অসন্তুষ্ট করার ভয়, তাঁর প্রতি ভালবাসার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যিহোবা চান যে, তাঁর দাসেরা একই সময়ে তাঁকে ভয় করবে এবং ভালবাসবে। মোশি বলেছিলেন: “হে ইস্রায়েল, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার কাছে কি চাহেন? কেবল এই, যেন তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় কর, তাঁহার সকল পথে চল ও তাঁহাকে প্রেম কর, এবং তোমার সমস্ত হৃদয় ও তোমার সমস্ত প্রাণের সহিত তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা কর, অদ্য আমি তোমার মঙ্গলার্থে সদাপ্রভুর যে যে আজ্ঞা ও বিধি তোমাকে দিতেছি, সেই সকল যেন পালন কর।”—দ্বিতীয় বিবরণ ১০:১২, ১৩.

আমরা যদি আমাদের সন্তানদের মধ্যে যিহোবার প্রতি সশ্রদ্ধ ভয় গেঁথে দিই, তা হলে আমরা এমন এক শিক্ষার ভিত্তি স্থাপন করে দিচ্ছি, যা আমাদের সন্তানদের প্রকৃতই বিজ্ঞ করবে। সেই ভিত্তির ওপর গড়ে ওঠার সময়ে, তাদের সৃষ্টিকর্তার, সমস্ত সত্য জ্ঞানের উৎসের প্রতি তাদের উপলব্ধি বৃদ্ধি পাবে। এটা আমাদের সন্তানদেরকে তাদের শেখা বিষয়গুলো সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে ও ভুল উপসংহারে না পৌঁছাতে সাহায্য করবে। তারা ‘সদসৎ বিষয়ের বিচারণের’ ক্ষমতা গড়ে তুলবে। (ইব্রীয় ৫:১৪) এ ছাড়া, এই ধরনের এক ভিত্তি তাদের নম্র থাকতে ও যা মন্দ তা করা এড়িয়ে চলতে সাহায্য করবে।—হিতোপদেশ ৮:১৩; ১৬:৬.

আপনার সন্তানরা আপনাকে লক্ষ করছে!

তা সত্ত্বেও, কীভাবে আমরা আমাদের সন্তানদের যিহোবাকে ভালবাসতে ও তাঁকে ভয় করতে সাহায্য করতে পারি? এই প্রশ্নের উত্তর ব্যবস্থার মধ্যে পাওয়া যায়, যেটি যিহোবা ভাববাদী মোশির মাধ্যমে ইস্রায়েলের লোকেদের দিয়েছিলেন। ইস্রায়েলীয় বাবামাদের বলা হয়েছিল: “তুমি তোমার সমস্ত হৃদয়, তোমার সমস্ত প্রাণ, ও তোমার সমস্ত শক্তি দিয়া আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম করিবে। আর এই যে সকল কথা আমি অদ্য তোমাকে আজ্ঞা করি, তাহা তোমার হৃদয়ে থাকুক। আর তোমরা প্রত্যেকে আপন আপন সন্তানগণকে এ সকল যত্নপূর্ব্বক শিক্ষা দিবে, এবং গৃহে বসিবার কিম্বা পথে চলিবার সময়ে এবং শয়ন কিম্বা গাত্রোত্থান কালে ঐ সমস্তের কথোপকথন করিবে।”—দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৫-৭.

এই বাক্যাংশ বাবামাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রদান করে। একটা হল: একজন বাবা অথবা মা হিসেবে, আপনাকে এক উত্তম উদাহরণ স্থাপন করতে হবে। আপনার সন্তানদের যিহোবাকে ভালবাসতে শেখানোর জন্য আপনাকে ঈশ্বরকে ভালবাসতে হবে এবং তাঁর বাক্য আপনার হৃদয়ে থাকতে হবে। কেন তা এত গুরুত্বপূর্ণ? কারণ আপনিই হচ্ছেন আপনার সন্তানদের প্রথম শিক্ষক। আপনার উদাহরণ থেকে তারা যা শেখে, তাদের ওপর সেটার এক গভীর প্রভাব থাকবে। আর বাবামার উদাহরণের চেয়ে অন্য কোনোকিছুই সন্তানের জীবনে এত বেশি প্রভাব ফেলে না।

আপনার বিভিন্ন আকাঙ্ক্ষা, আদর্শ, মূল্যবোধ ও আগ্রহ কেবল আপনি যা বলেন, তার মধ্যেই নয় কিন্তু আপনি যা করেন, সেটার মধ্যে দিয়েও প্রকাশিত হয়। (রোমীয় ২:২১, ২২) শিশুকাল থেকেই সন্তানরা তাদের বাবামাকে সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে শেখে। সন্তানরা লক্ষ করে যে, তাদের বাবামার কাছে কোন বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ আর এই বিষয়গুলো প্রায়ই এই অল্পবয়সিদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আপনি যদি সত্যি সত্যিই যিহোবাকে ভালবাসেন, তা হলে আপনার সন্তানরা সেটা উপলব্ধি করবে। উদাহরণস্বরূপ, তারা দেখবে যে, বাইবেল পড়া ও অধ্যয়ন করা আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তারা উপলব্ধি করবে যে, রাজ্যের বিষয়গুলোকে আপনি জীবনে প্রথম স্থানে রাখেন। (মথি ৬:৩৩) খ্রিস্টীয় সভাগুলোতে আপনার নিয়মিত উপস্থিতি এবং রাজ্যের প্রচার কাজে নিয়মিত অংশগ্রহণ তাদের দেখাবে যে, যিহোবাকে পবিত্র সেবা প্রদান করা আপনার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।—মথি ২৮:১৯, ২০; ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫.

আপনার দায়িত্ব গ্রহণ করুন

দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৫-৭ পদ থেকে বাবামারা আরেকটা যে-শিক্ষা লাভ করতে পারে তা হল: আপনার সন্তানকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব আপনার। প্রাচীনকালের যিহোবার লোকেদের মধ্যে বাবামারা তাদের সন্তানদের শিক্ষার ব্যাপারে সতর্ক ছিল। প্রথম শতাব্দীর খ্রিস্টানদের মধ্যে বাবামারা তাদের সন্তানদের শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছিল। (২ তীমথিয় ১:৫; ৩:১৪, ১৫) সহখ্রিস্টানদের কাছে লেখার সময় প্রেরিত পৌল ইঙ্গিত করেছিলেন যে, বিশেষভাবে বাবাদের ‘প্রভুর [“যিহোবার,” NW] শাসনে ও চেতনা প্রদানে [তাহাদের সন্তানদিগকে] মানুষ করিয়া তুলিতে’ হবে।—ইফিষীয় ৬:৪.

বর্তমানের চাহিদা, চাকরি ও প্রতিযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে বাবামারা হয়তো তাদের সন্তানদের শিক্ষার দায়িত্ব অন্যদের কাছে যেমন, স্কুলের শিক্ষকদের এবং শিশু-তত্ত্বাবধান কর্মীদের কাছে দেওয়ার জন্য প্রলোভিত হতে পারে। কিন্তু, একজন প্রেমময়, যত্নশীল বাবা অথবা মায়ের স্থান কেউই নিতে পারে না। আপনার গুরুত্ব ও প্রভাবকে কখনো ছোট করে দেখবেন না। যদি আপনার সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তা হলে বিজ্ঞতার সঙ্গে তা বাছাই করুন কিন্তু কখনোই আপনার পবিত্র দায়িত্বকে পরিত্যাগ করবেন না।

আপনার সন্তানদের প্রশিক্ষণ দিতে সময় ব্যয় করুন

দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৫-৭ পদ থেকে বাবামারা আরেকটা যে-শিক্ষা লাভ করতে পারে তা হল: সন্তানদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সময় ও প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ইস্রায়েলীয় বাবামাদের তাদের সন্তানদেরকে ঈশ্বরের সত্য সম্বন্ধে “যত্নপূর্ব্বক শিক্ষা” দিতে হয়েছিল। মূল ইব্রীয় ভাষায় অনুবাদিত “যত্নপূর্ব্বক শিক্ষা” শব্দগুলোর অর্থ “পুনরাবৃত্তি করা,” “বার বার বলা।” এটা সারাদিন করতে হতো, হ্যাঁ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, “গৃহে” এবং “পথে।” সন্তানদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার এবং তাদের মনোভাব ও আচরণকে গঠন করার জন্য সময় ও প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যাতে তারা ঈশ্বরের কাছে সন্তোষজনক হয়।

তাই, আপনার সন্তানদেরকে প্রকৃতই শিক্ষিত হয়ে উঠতে সাহায্য করার জন্য আপনি কী করতে পারেন? অনেক কিছু। তাদের যিহোবাকে ভালবাসতে ও তাঁকে ভয় করতে শিক্ষা দিন। উত্তম উদাহরণ স্থাপন করুন। আপনার সন্তানদেরকে শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব নিন এবং তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সময় ব্যয় করুন। আপনি সিদ্ধ নন আর তাই সন্তানদের প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে আপনি বিভিন্ন ভুল করবেন। কিন্তু আপনি যদি আন্তরিকতার সঙ্গে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার চেষ্টা করেন, তা হলে খুব সম্ভবত আপনার সন্তানরা আপনার প্রচেষ্টাগুলোকে উপলব্ধি করবে ও সেগুলো থেকে উপকৃত হবে। “বালককে তাহার গন্তব্য পথানুরূপ শিক্ষা দেও,” হিতোপদেশ ২২:৬ পদ বলে। “সে প্রাচীন হইলেও তাহা ছাড়িবে না।” মেয়েদের প্রতিও একই নীতি প্রযোজ্য।

শিক্ষা হল এমন এক যাত্রা, যা আজীবন স্থায়ী হয়। যদি আপনি ও আপনার সন্তানরা ঈশ্বরকে ভালবাসেন, তা হলে এটা এমন এক যাত্রা হবে, যা আপনারা চিরকাল ধরে উপভোগ করবেন। কারণ যিহোবা সম্বন্ধে ও আমরা কীভাবে তাঁর উদ্দেশ্য সাধন করতে পারি, সেই সম্বন্ধে শেখার জন্য সবসময়ই আরও বিষয় থাকবে।—উপদেশক ৩:১০, ১১.

[১৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

আপনি কি আপনার সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে বাইবেল পড়েন?

[১৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

আপনার সন্তানদেরকে সৃষ্টিকর্তা সম্বন্ধে শেখানোর জন্য সময় করে নিন