সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

কেন একত্রে মিলিত হবেন?

কেন একত্রে মিলিত হবেন?

কেন একত্রে মিলিত হবেন?

 হঠাৎ করেই ক্রিস্টিনের স্বামী বিয়ের ২০ বছর পর তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। ক্রিস্টিন একাই তার সাত ছেলে ও এক মেয়েকে বড় করে তুলেছিলেন। তাদের বয়স পর্যায়ক্রমে ৭ থেকে ১৮ বছর। “সেই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো আমাকেই নিতে হতো,” তিনি বলেন। “দায়িত্বের কারণে আমি ভারগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম এবং আকুলভাবে সমর্থন ও নির্দেশনা পেতে চাইতাম।” কোথায় তিনি প্রয়োজনীয় সাহায্য খুঁজে পেয়েছিলেন?

“খ্রিস্টীয় সভাগুলো আমার ও আমার পরিবারের জন্য জীবনরক্ষাকারী ছিল,” ক্রিস্টিন বলেন। “সভাগুলোতে আমরা আমাদের বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে সমর্থন ও ঈশ্বরের বাক্য থেকে নির্দেশনা পেতাম। নিয়মিত সভাগুলোতে যোগ দেওয়া আমাদের পারিবারিক জীবনের প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আমাদেরকে সাহায্য করেছিল।”

এই ‘বিষম সময়ে’ আমাদের সকলকে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়। (২ তীমথিয় ৩:১) ক্রিস্টিনের মতো আপনিও হয়তো যিহোবার সাক্ষিদের সভাগুলোকে এক আধ্যাত্মিক জীবনরক্ষাকারী হিসেবে, যিহোবার উপাসনায় আপনার জন্য এক অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখেন। খুব সম্ভবত প্রত্যেক সপ্তাহের জন্য তালিকাবদ্ধ মণ্ডলীর পাঁচটি সভা ঈশ্বরের জন্য আপনার ভালবাসাকে উদ্দীপিত করে, ভবিষ্যতের জন্য আপনার প্রত্যাশাকে শক্তিশালী করে এবং পরীক্ষাগুলোর সঙ্গে যেভাবে মোকাবিলা করতে হয়, সেই বিষয়ে আপনাকে বাইবেলভিত্তিক পরামর্শ প্রদান করে।

কিন্তু এমন ব্যক্তিরা রয়েছে, যারা নিয়মিতভাবে সভাগুলোতে যোগ দেওয়াকে কঠিন বলে মনে করে। দিনের শেষে তারা অনেক ক্লান্ত থাকে এবং যথোপযুক্ত পোশাক-আশাক পরা ও সভাতে যাওয়ার বিষয়ে চিন্তা করা হয়তো তাদের কাছে আরও কঠিন বলে মনে হয়। কারো কারো কাজের তালিকা তাদেরকে সভাতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মিতভাবে বাধা দেয়। সবগুলো সভায় যোগ দেওয়ার কারণে তাদের আয় হয়তো কিছুটা কম হতে পারে অথবা তাদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি থাকতে পারে। কেউ কেউ হয়তো সভা বাদ দেয় কারণ তারা মনে করে যে, মণ্ডলীর সঙ্গে মেলামেশা করার চেয়ে কোনো ধরনের আমোদপ্রমোদ আরও বেশি সতেজতাদায়ক হবে।

তাই, খ্রিস্টীয় সভাগুলোতে যোগ দেওয়ার কোন গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো রয়েছে? আপনি কীভাবে এই ধরনের সভাগুলোকে ব্যক্তিগতভাবে সতেজতাদায়ক করতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আসুন আমরা মথি ১১:২৮-৩০ পদে লিপিবদ্ধ যিশুর উষ্ণ আমন্ত্রণ পরীক্ষা করে দেখি। তিনি বলেছিলেন: “হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব। আমার যোঁয়ালি আপনাদের উপরে তুলিয়া লও, এবং আমার কাছে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে। কারণ আমার যোঁয়ালি সহজ ও আমার ভার লঘু।”

“আমার নিকটে আইস”

যিশু বলেছিলেন: “আমার নিকটে আইস।” সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার একটা উপায় হল, নিয়মিতভাবে সভাগুলোতে যোগ দেওয়া। উপস্থিত হওয়ার জন্য উত্তম কারণ রয়েছে, কারণ আরেকটা ঘটনায় যিশু বলেছিলেন: “যেখানে দুই কি তিন জন আমার নামে একত্র হয়, সেইখানে আমি তাহাদের মধ্যে আছি।”—মথি ১৮:২০.

প্রথম শতাব্দীতে যিশু ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন লোককে তাঁকে অনুসরণ করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এভাবে তিনি তাদেরকে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। কেউ কেউ সঙ্গে সঙ্গেই সেই সুযোগ গ্রহণ করেছিল। (মথি ৪:১৮-২২) অন্যেরা আবার বস্তুগত বিষয়গুলোকে সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে তাদেরকে বাধা দিতে অনুমোদন করেছিল। (মার্ক ১০:২১, ২২; লূক ৯:৫৭-৬২) যারা তাঁকে অনুসরণ করেছিল, তাদেরকে তিনি এই আশ্বাসদায়ক কথাগুলো বলেছিলেন: “তোমরা যে আমাকে মনোনীত করিয়াছ, এমন নয়, কিন্তু আমিই তোমাদিগকে মনোনীত করিয়াছি।”—যোহন ১৫:১৬.

তাঁর মৃত্যু ও পুনরুত্থানের পর খ্রিস্ট তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে আর দৈহিকভাবে উপস্থিত থাকেননি। কিন্তু তিনি সেই অর্থে তাদের সঙ্গে ছিলেন যে, তিনি তাদের কাজে নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং তাঁর পরামর্শের প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া লক্ষ করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, তাঁর পুনরুত্থানের প্রায় ৭০ বছর পর, যিশু এশিয়া মাইনরের সাতটা মণ্ডলীকে পরামর্শ ও উৎসাহ প্রদান করেছিলেন। তাঁর মন্তব্য সেই মণ্ডলীগুলোর ব্যক্তি বিশেষদের ভাল গুণাবলি ও দুর্বলতাগুলো সম্বন্ধে তাঁর বিস্তারিত জ্ঞানকে প্রকাশ করেছিল।—প্রকাশিত বাক্য ২:১–৩:২২.

যিশু এখনও তাঁর প্রত্যেক শিষ্যের প্রতি গভীরভাবে আগ্রহী। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন: “দেখ, আমিই যুগান্ত পর্য্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।” (মথি ২৮:২০) আমরা এখন শেষ সময়ে বাস করছি আর তাই আমাদের তাঁকে অনুসরণ করার জন্য যিশুর আমন্ত্রণের সঙ্গে মিল রেখে কাজ করতে হবে। আর তা করার জন্য অন্যান্য বিষয় ছাড়াও আমাদের নিয়মিতভাবে সভাগুলোতে যোগ দিতে হবে। যিশু চান যেন আমরা তাঁর কথা শুনি এবং বাইবেলভিত্তিক অধ্যয়ন ও বক্তৃতা, যেগুলো সভাগুলোর নিয়মিত বিষয়, সেগুলোর মাধ্যমে ‘তাঁহাতেই শিক্ষিত হই।’ (ইফিষীয় ৪:২০, ২১) আপনি কি যিশুর এই আমন্ত্রণে সাড়া দিচ্ছেন: “আমার নিকটে আইস”?

“হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল”

খ্রিস্টীয় সভাগুলোতে যোগ দেওয়ার একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল, উৎসাহ লাভ করা। (ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫) আমাদের মধ্যে অনেকে নিশ্চিতভাবেই বিভিন্ন উপায়ে “পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত।” আপনি হয়তো ব্যক্তিগত উদ্বিগ্নতা, যেমন স্বাস্থ্যগত সমস্যাগুলোর দ্বারা ভারাক্রান্ত। খ্রিস্টীয় সভাগুলোতে আপনি উভয় পক্ষের আশ্বাস বা উৎসাহ উপভোগ করতে পারেন। (রোমীয় ১:১১, ১২) উদাহরণস্বরূপ, আপনি আধ্যাত্মিকভাবে গঠনমূলক মন্তব্যগুলো শুনতে পাবেন, আপনার বাইবেলভিত্তিক প্রত্যাশা সম্বন্ধে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে এবং যারা পরীক্ষাগুলো সহ্য করছে, তাদের বিশ্বাস দেখতে পাবেন। এই সমস্তকিছু আপনাকে আপনার সমস্যাগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করতে ও সেগুলোকে ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে দেখতে সাহায্য করতে পারে।

একজন খ্রিস্টান নারীর মন্তব্য বিবেচনা করুন, যিনি দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। “আমার অসুস্থতার জন্য আমাকে মাঝে মাঝে কিছু সময় হাসপাতালে থাকতে হয়,” তিনি ব্যাখ্যা করেন। “হাসপাতালে থাকার পর সভাগুলোতে যাওয়া কঠিন হতে পারে কিন্তু আসলে সেটাই আমার উপযুক্ত জায়গা। ভাইবোনদের উষ্ণতা ও ভালবাসা আমার আনন্দকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং যিহোবা ও যিশুর দেওয়া শিক্ষা ও পরিচালনা আমার জীবনকে অর্থপূর্ণ করে।”

“আমার যোঁয়ালি সহজ ও আমার ভার লঘু”

আমরা যে-বাক্যাংশ বিশ্লেষণ করছি, সেখানে লক্ষ করুন যে যিশু বলেছিলেন: “আমার কাছে শিক্ষা কর।” যিশুর কাছ থেকে শেখার মাধ্যমে আমরা তাঁর শিষ্য হয়ে উঠি এবং আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গীকরণ করি ও বাপ্তিস্ম নিই, তখন আমরা তাঁর জোয়াল গ্রহণ করি। (মথি ২৮:১৯, ২০) যিশুর শিষ্য হিসেবে বহাল থাকার জন্য নিয়মিত সভাগুলোতে অংশগ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। কেন? কারণ খ্রিস্টীয় সভাগুলোতেই আমাদেরকে যিশু, তাঁর শিক্ষাগুলো এবং তাঁর পদ্ধতিগুলো সম্বন্ধে শেখানো হয়।

আমরা কোন ভার বহন করি বলে যিশু চান? এটা সেই একই ভার, যেটা তিনি নিজে বহন করেন—ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার বিশেষ সুযোগ। (যোহন ৪:৩৪; ১৫:৮) ঈশ্বরের আজ্ঞাগুলো মেনে চলার জন্য প্রচেষ্টা প্রয়োজন কিন্তু এই ভার এত ভারী নয় যে আমরা তা বহন করতে পারব না। এটা ভারী বলে মনে হতে পারে, যদি আমরা সেটা আমাদের নিজেদের শক্তিতে বহন করার চেষ্টা করি। কিন্তু, আমরা যদি ঈশ্বরের আত্মার জন্য প্রার্থনা করি ও সভাগুলোতে উপস্থাপিত আধ্যাত্মিক খাদ্যে পুষ্ট হই, তা হলে আমরা ঈশ্বরদত্ত “পরাক্রমের উৎকর্ষ” লাভ করব। (২ করিন্থীয় ৪:৭) সভাগুলোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার ও সেগুলোতে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আমরা যিহোবার জন্য আমাদের ভালবাসাকে আরও শক্তিশালী করি। আর আমরা যখন প্রেমের দ্বারা প্রণোদিত হই, তখন ঈশ্বরের আজ্ঞাগুলো “দুর্ব্বহ নয়।”—১ যোহন ৫:৩.

অধিকাংশ লোক বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকে যেমন, জীবনোপায় অর্জন, স্বাস্থ্যগত বিষয় ও ব্যক্তিগত সমস্যাগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করা। কিন্তু, সেগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমরা কেবল মানব প্রজ্ঞার ওপর নির্ভর করি না। মণ্ডলীর সভাগুলো আমাদেরকে ‘ভাবিত না হইতে’ সাহায্য করে কারণ যিহোবা আমাদের প্রয়োজনগুলো সরবরাহ করেন এবং সমস্যাগুলোর সঙ্গে সফলভাবে মোকাবিলা করার জন্য সাহায্য করেন। (মথি ৬:২৫-৩৩) বস্তুতপক্ষে, খ্রিস্টীয় সভাগুলো আমাদের জন্য ঈশ্বরের ভালবাসার এক অভিব্যক্তি।

“আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত”

যিশু রীতি অনুসারে সমাজগৃহে যেতেন, যেখানে ঈশ্বরের বাক্য নিয়ে আলোচনা করা হতো। একবার সমাজগৃহে থাকাকালীন যিশু যিশাইয়ের পুস্তক নিয়েছিলেন ও এই কথাগুলো পড়েছিলেন: “প্রভুর [“যিহোবার,” NW] আত্মা আমাতে অধিষ্ঠান করেন, কারণ তিনি আমাকে অভিষিক্ত করিয়াছেন, দরিদ্রদের কাছে সুসমাচার প্রচার করিবার জন্য; তিনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, বন্দিগণের কাছে মুক্তি প্রচার করিবার জন্য, অন্ধদের কাছে চক্ষুর্দ্দান প্রচার করিবার জন্য, উপদ্রুতদিগকে নিস্তার করিয়া বিদায় করিবার জন্য, প্রভুর [“যিহোবার,” NW] প্রসন্নতার বৎসর ঘোষণা করিবার জন্য।” (লূক ৪:১৬, ১৮, ১৯) “অদ্যই এই শাস্ত্রীয় বচন তোমাদের কর্ণগোচরে পূর্ণ হইল,” এই কথাগুলো বলার দ্বারা যিশু যখন সেই কথাগুলোর প্রয়োগ দেখিয়েছিলেন, তখন তা শোনা কতই না রোমাঞ্চকর হয়েছিল!—লূক ৪:২১

মৃদুশীল “প্রধান পালক” যিশু এখনও তাঁর অনুসারীদের আধ্যাত্মিক যত্নের বিষয়ে তত্ত্বাবধান করছেন। (১ পিতর ৫:১-৪) তাঁর নির্দেশনার অধীনে “বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান্‌ দাস” বিশ্বব্যাপী যিহোবার সাক্ষিদের মণ্ডলীতে পালক হিসেবে পুরুষদের নিযুক্ত করেছে। (মথি ২৪:৪৫-৪৭; তীত ১:৫-৯) এই পুরুষরা মৃদুতার সঙ্গে ‘ঈশ্বরের সেই মণ্ডলীকে পালন করে’ এবং নিয়মিতভাবে সভাগুলোতে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে উত্তম উদাহরণ স্থাপন করে। আপনি সভাগুলোতে উপস্থিত থাকার মাধ্যমে ‘মনুষ্যদিগের নানা বর’ বা এই দানরূপ মানুষদের প্রতি উপলব্ধি দেখাতে পারেন, যেখানে আপনার উপস্থিতি ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে আপনি অন্যদের উৎসাহিত করতে পারেন।—প্রেরিত ১৫:৩০-৩৩; ২০:২৮; ইফিষীয় ৪:৮, ১১, ১২.

“তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে”

আপনি যখন খ্রিস্টীয় সভাগুলোতে যোগ দেন, তখন আপনি কীভাবে নিশ্চিত করতে পারেন যে এই সভাগুলো সত্যিই বিশ্রামদায়ক বা সতেজতাদায়ক? একটা উপায় হল, যিশুর এই পরামর্শ কাজে লাগানো: “কিভাবে শুনছ সেই বিষয়ে মনোযোগ দাও।” (লূক ৮:১৮, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন) যে-লোকেরা শেখার জন্য গভীরভাবে আকাঙ্ক্ষা করেছিল, তারা যিশুর প্রতি পূর্ণ মনোযোগ প্রদান করেছিল। তারা তাঁকে তাঁর দৃষ্টান্তগুলো ব্যাখ্যা করতে বলেছিল আর এর ফলস্বরূপ তারা আরও গভীর বোধগম্যতার দ্বারা পুরস্কৃত হয়েছিল।—মথি ১৩:১০-১৬.

আমাদের সভাগুলোতে উপস্থাপিত বক্তৃতাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনার মাধ্যমে আপনি আধ্যাত্মিকভাবে ক্ষুধার্ত এই ধরনের ব্যক্তিদের অনুকরণ করতে পারেন। (মথি ৫:৩, ৬) আপনার মনকে কেন্দ্রীভূত রাখার জন্য বক্তার যুক্তির ধারা অনুসরণ করার চেষ্টা করুন। নিজেকে মনে মনে এই ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুন: ‘কীভাবে আমি এই তথ্য আমার জীবনে কাজে লাগাতে পারি? অন্যদের সাহায্য করার জন্য কীভাবে আমি এটা ব্যবহার করতে পারি? কীভাবে আমি এই বিষয়টা ব্যাখ্যা করতে পারি?’ এ ছাড়া, বক্তার মূল বিষয়গুলো সমর্থনে ব্যবহৃত শাস্ত্রপদগুলো পরীক্ষা করুন। আপনি যেভাবে শোনেন সেটার প্রতি আপনি যত মনোযাগ দেবেন, সভাগুলো ততই আরও সতেজতাদায়ক হয়ে উঠবে।

সভার পর, কার্যক্রমটি নিয়ে অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করুন। বিষয়বস্তুর প্রতি ও সেইসঙ্গে কীভাবে সেটা প্রয়োগ করা যায়, তার প্রতি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করুন। গঠনমূলক কথাবার্তা সভাগুলোকে অনেক সতেজতাদায়ক করে তোলে।

নিশ্চিতভাবেই আমাদের একত্রে মিলিত হওয়ার উত্তম কারণগুলো রয়েছে। এইমাত্র আলোচিত উপকারগুলো পুনরালোচনা করার পর নিজেকে জিজ্ঞেস করুন না কেন, ‘“আমার নিকটে আইস,” যিশুর এই আমন্ত্রণের প্রতি আমি কীভাবে সাড়া দিচ্ছি?’

[১১ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

অন্যান্য কাজকর্ম কি আপনাকে সভায় যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেয়?