সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

দুর্দশাপূর্ণ এক জগতে আশা খুঁজে পাওয়া

দুর্দশাপূর্ণ এক জগতে আশা খুঁজে পাওয়া

দুর্দশাপূর্ণ এক জগতে আশা খুঁজে পাওয়া

 “ইতিহাসের যেকোনো সময়ের চাইতে সাধারণ নাগরিকদের এখন জনগণের জন্য উপকারজনক কিছু করার ও তাদের সমস্যাগুলোর সমাধান করার বেশি ক্ষমতা রয়েছে।” এই কথাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিন্টন, ২০০৬ সালের মার্চ মাসে কানাডার অটোয়াতে একটা অধিবেশন চলাকালীন বলেছিলেন। তিনি উপসংহার করেছিলেন যে, ২০০৪ সালে ঘটা সুনামির পর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রীতি অর্জনের একটা হিড়িক পড়ে গিয়েছে এবং তিনি আশাবাদের আভাস দিয়ে বলেছিলেন যে, পৃথিবী এখন “নজিরবিহীনভাবে একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।”

আমরা কি আশা করতে পারি যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো সমস্ত জায়গায় লোকেদেরকে এক উত্তম ভবিষ্যৎ অর্জন করার জন্য কাজ করার দিকে পরিচালিত করবে? ‘নজিরবিহীনভাবে একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়া’ কি প্রকৃত শান্তি এবং স্থায়ী নিরাপত্তাপূর্ণ এক ভবিষ্যতের আশা করার এক নির্ভরযোগ্য ভিত্তি?

প্রকৃত আশার উৎস

ছয় হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে মানবজাতির প্রচেষ্টার দীর্ঘ ইতিহাস দেখায় যে, মানুষ বার বারই একে অন্যকে হতাশ করে এসেছে। তাই, উপযুক্তভাবেই অনুপ্রাণিত শাস্ত্র আমাদের পরামর্শ দেয়: “তোমরা নির্ভর করিও না রাজন্যগণে, বা মনুষ্য-সন্তানে, যাহার নিকটে ত্রাণ নাই।” (গীতসংহিতা ১৪৬:৩) এই জগতের সংগঠনগুলো, বস্তুগত জিনিস এবং এর স্বপ্নগুলোর ওপর আমাদের আশা রাখা শুধুমাত্র হতাশার দিকেই পরিচালিত করবে। কেন? কারণ “জগৎ ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে।”—১ যোহন ২:১৭.

কিন্তু, বহু শতাব্দী ধরে ঈশ্বর ধার্মিক মানুষদের জন্য অব্যর্থ আশা হয়ে এসেছেন। বাইবেল তাঁকে “[প্রাচীন] ইস্রায়েলের আশাভূমি” ও “[ইস্রায়েলের] পিতৃপুরুষগণের আশাভূমি” হিসেবে অভিহিত করে এবং এতে তাঁর ওপর আশা, বিশ্বাস ও আস্থা রাখার মতো আরও অনেক অভিব্যক্তি রয়েছে। (যিরমিয় ১৪:৮; ১৭:১৩; ৫০:৭) প্রকৃতপক্ষে, শাস্ত্র আমাদেরকে “সদাপ্রভুর অপেক্ষায়” বা আশায় ‘থাকিবার’ জন্য উৎসাহ দেয়।—গীতসংহিতা ২৭:১৪.

হিতোপদেশ ৩:৫, ৬ পদ আমাদের পরামর্শ দেয়: “তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করিও না; তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর; তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন।” যেহেতু যিহোবা ঈশ্বর হলেন অপরিবর্তনীয়, নির্ভরযোগ্য এবং তাঁর কথা অনুযায়ী কাজ করেন, তাই এইরকম এক প্রতিজ্ঞাতে পূর্ণ আস্থা রাখার যথেষ্ট কারণ আপনার রয়েছে। (মালাখি ৩:৬; যাকোব ১:১৭) তিনি আপনার জন্য সর্বোত্তম বিষয়টি চান এবং তাঁর বাক্য বাইবেলে যা বলা আছে, তা যদি আপনি সবসময় মেনে চলেন, তা হলে এটি আপনাকে এই ভীতিপূর্ণ সময়ের মধ্যেও সফলতার সঙ্গে নির্দেশনা দেবে।—যিশাইয় ৪৮:১৭, ১৮.

একজন ব্যক্তি যিনি মনপ্রাণ দিয়ে ঈশ্বরের নির্দেশনা অনুসরণ করেন, তিনি এই প্রতিজ্ঞার ওপর নির্ভর করতে পারেন: “ভয় করিও না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি; ব্যাকুল হইও না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর; আমি তোমাকে পরাক্রম দিব; আমি তোমার সাহায্য করিব; আমি আপন ধর্ম্মশীলতার দক্ষিণ হস্ত দ্বারা তোমাকে ধরিয়া রাখিব।” (যিশাইয় ৪১:১০) ঐকান্তিক প্রার্থনা এবং এই আশ্বাসবাণী নিয়ে ধ্যান করা সেই সমস্ত ব্যক্তির জন্য খুবই সান্ত্বনাদায়ক, যারা সত্যিই যিহোবা ঈশ্বরকে ভালবাসে কারণ এটা তাদের কঠিন পরিস্থিতি ও উদ্বেগগুলোকে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।

আ্যন্ড্রিয়া নামে একজন যিহোবার সাক্ষি ও দুই সন্তানের এক মায়ের কথা বিবেচনা করুন। তিনি বলেন: “শুধুমাত্র প্রার্থনা এবং যিহোবার প্রতিজ্ঞাগুলোর ওপর ধ্যান করার দ্বারাই আমি আমার জীবনে আসা অনিশ্চয়তার সময়গুলো কাটিয়ে উঠতে শক্তি পেয়েছি। যদি আমি আমার জীবনে যিহোবাকে সর্বদা ধরে রাখি, তা হলে স্থিরতা বজায় রাখা অনেক সহজ হয়।”

যিহোবার ওপর আপনার আশাকে দৃঢ় করুন

যিহোবাতে আশা রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে একজন গীতরচক বলেছিলেন: “যাহারা তোমার ব্যবস্থা ভালবাসে, তাহাদের পরম শান্তি, তাহাদের উছোট লাগে না।” (গীতসংহিতা ১১৯:১৬৫) ঈশ্বরের বাক্য আন্তরিকভাবে অধ্যয়ন করা ‘যাহা যাহা সত্য, আদরণীয়, ন্যায্য, বিশুদ্ধ, প্রীতিজনক, সুখ্যাতিযুক্ত, যে কোন সদ্‌গুণ ও যে কোন কীর্ত্তি’ আপনার মনে ও হৃদয়ে ভরে রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে। এগুলো আপনার ওপর আধ্যাত্মিকভাবে গঠনমূলক ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। যদি আপনি এইরকম বিষয়গুলো শোনার, শেখার, গ্রহণ করার ও মেনে চলার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা করেন, তা হলে “শান্তির ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে থাকিবেন।”—ফিলিপীয় ৪:৮, ৯.

বহু দশকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জন বলেন: “ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আমার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার জন্য, আমার এটা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, এক সিদ্ধ, অদৃশ্য ঈশ্বরের সঙ্গে এক সম্পর্ক গড়ে তোলার আশা করার আগে আমার ব্যক্তিত্ব ও চিন্তাভাবনার মধ্যে আমুল পরিবর্তন করার প্রয়োজন ছিল। শুধুমাত্র একজন আধ্যাত্মিকমনা ব্যক্তি হওয়ার দ্বারাই আমি সেই সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারতাম। আর সেটার অন্তর্ভুক্ত ছিল তাঁর অনুপ্রাণিত বাক্য পড়ার এবং এটির ওপর ধ্যান করার দ্বারা একজন ঈশ্বরমনা ব্যক্তি হওয়া, ঈশ্বরের মতো করে বিষয়গুলোকে দেখা।”

আপনি যদি অনুপ্রাণিত শাস্ত্রে থাকা সতেজতাদায়ক, জীবনদায়ী সত্যের জল গ্রহণ করেন, তা হলে আপনি প্রচারমাধ্যমে প্রতিদিন উপস্থাপিত মন্দ বিষয়গুলোর জোয়ারকে প্রতিরোধ করার জন্য এক কার্যকারী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারবেন। বাইবেলে যা বলা আছে, তা প্রয়োগ করাও আপনার পরিবারের বন্ধনকে মজবুত করবে এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করবে। অধিকন্তু, ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, তিনি ‘তাঁহার প্রতি যাহাদের অন্তঃকরণ একাগ্র, তাহাদের পক্ষে আপনাকে বলবান দেখাইবার জন্য’ প্রস্তুত আছেন। (২ বংশাবলি ১৬:৯) তিনি বিষয়গুলোকে এমনভাবে পরিচালিত করবেন যে, আপনার ভয়ের কোনো কারণই থাকবে না।

ফিনিয়েস যিনি যুদ্ধ ও গণহত্যার সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি বলেন: “আমি আমার জীবনকে যিহোবার যত্নশীল হাতে ছেড়ে দিতে শিখেছি। বাইবেলের নীতিগুলো মেনে চলা আমাকে অনেক সমস্যা এড়াতে সাহায্য করেছে।” আপনি যদি প্রকৃতই যিহোবা ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করেন, তা হলে তিনি যেকোনো দুর্দশার প্রাচীরকে অতিক্রম করতে আপনাকে সাহায্য করবেন। (গীতসংহিতা ১৮:২৯) বাবামার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন একটা ছোট বাচ্চা তার বাবামার ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে এবং তাদের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষিত বোধ করে এমনকি তখনও, যখন সে অসুস্থ হয় বা কোনোভাবে সমস্যায় পড়ে থাকে। একই অনুভূতি আপনারও হতে পারে যদি আপনি প্রচেষ্টা করেন এবং যিহোবার অপেক্ষায় থাকার বা তাঁর ওপর আশা রাখার সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।—গীতসংহিতা ৩৭:৩৪.

আশার এক নিশ্চিত ভিত্তি

যিশু খ্রিস্ট তাঁর অনুসারীদের বলেছিলেন: “তোমরা এই মত প্রার্থনা করিও; হে আমাদের স্বর্গস্থ পিতঃ, তোমার নাম পবিত্র বলিয়া মান্য হউক, তোমার রাজ্য আইসুক, তোমার ইচ্ছা সিদ্ধ হউক, যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও হউক।” (মথি ৬:৯, ১০) সেই স্বর্গীয় রাজ্য হল—যিশু খ্রিস্টের নিয়ন্ত্রণাধীনে এক সরকার—পৃথিবীর ওপরে ঈশ্বরের ন্যায্য সার্বভৌমত্ব প্রকাশের এক মাধ্যম।—গীতসংহিতা ২:৭-১২; দানিয়েল ৭:১৩, ১৪.

ভয়ের বিভিন্ন দিক যেগুলো আজ জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে সেগুলো হচ্ছে এক স্পষ্ট ইঙ্গিত যে, ঐশিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন। আনন্দের বিষয় যে, খুব শীঘ্রই সেই হস্তক্ষেপ করা হবে! বর্তমানে ঈশ্বরের দ্বারা সিংহাসনে অধিষ্ঠিত মশীহ রাজা, যিশু খ্রিস্টকে যিহোবার সার্বভৌমত্ব প্রতিপাদন করার এবং তাঁর নামকে পবিত্রীকৃত করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। (মথি ২৮:১৮) শীঘ্রই, ভয় ও উদ্বেগের সমস্ত কারণকে নির্মূল করার জন্য পৃথিবীতে রাজ্য শাসন আনা হবে। যিশাইয় ৯:৬ পদ সেই প্রমাণগুলো সম্বন্ধে উল্লেখ করে যেগুলো দেখায় যে, যিশু হলেন যোগ্য শাসক যিনি আমাদেরকে আমাদের ভয় করার কারণগুলো থেকে স্বস্তি দিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, তাঁকে “সনাতন পিতা,” “আশ্চর্য্য মন্ত্রী” এবং “শান্তিরাজ” বলা হয়েছে।

“সনাতন পিতা,” এই স্নেহপরায়ণ অভিব্যক্তিটি বিবেচনা করুন। “সনাতন পিতা” হিসেবে যিশুর তাঁর মুক্তির মূল্যের উৎকর্ষের ভিত্তিতে বাধ্য মানুষদেরকে অনন্তজীবনের প্রত্যাশা দেওয়ার ক্ষমতা ও অধিকার—সেইসঙ্গে আকাঙ্ক্ষা—রয়েছে। এর মানে হল যে, তারা শেষ পর্যন্ত প্রথম পাপী মানুষ আদমের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া পাপ ও অসিদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে। (মথি ২০:২৮; রোমীয় ৫:১২; ৬:২৩) এ ছাড়া, খ্রিস্ট বহু মৃত ব্যক্তির জীবন ফিরিয়ে দিতেও তাঁর ঈশ্বরদত্ত ক্ষমতাকে ব্যবহার করবেন।—যোহন ১১:২৫, ২৬.

যিশু পৃথিবীতে থাকার সময় “আশ্চর্য্য মন্ত্রী” হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিলেন। ঈশ্বরের বাক্য সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান এবং মানব প্রকৃতি সম্বন্ধে তাঁর অসাধারণ বোধগম্যতার কারণে যিশু জানতেন যে, কীভাবে জীবনের দৈনন্দিন সমস্যাগুলো সমাধান করা যায়। স্বর্গে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে খ্রিস্ট “আশ্চর্য্য মন্ত্রী” হিসেবে রয়েছেন, মানবজাতির সঙ্গে যিহোবার যোগাযোগের প্রধান ব্যক্তি হিসেবে সেবা করে যাচ্ছেন। বাইবেলে লিপিবদ্ধ যিশুর পরামর্শ, সবসময় বিজ্ঞ এবং নির্ভুল। এটা জানা এবং বিশ্বাস করা আপনাকে অনিশ্চয়তামুক্ত ও ভয়ের দ্বারা জর্জরিত হয়ে পড়া থেকে মুক্ত এক জীবনের দিকে পরিচালিত করতে পারে।

যিশাইয় ৯:৬ পদে যিশুকে “শান্তিরাজ” হিসেবেও শনাক্ত করে। সেই ভূমিকায় খ্রিস্ট শীঘ্রই রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক—সব ধরনের বৈষম্য—দূর করতে তাঁর শক্তিকে প্রয়োগ করবেন। কীভাবে? মানবজাতিকে মশীহ রাজ্যের একমাত্র শান্তিপূর্ণ শাসনের অধীনে আনার দ্বারা।—দানিয়েল ২:৪৪.

রাজ্য শাসনের অধীনে, পৃথিবীব্যাপী শান্তি বিরাজ করবে। কেন আপনি এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেন? যিশাইয় ১১:৯ পদে কারণটা প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে আমরা পড়ি: “সে সকল [রাজ্যের প্রজারা] আমার পবিত্র পর্ব্বতের কোন স্থানে হিংসা কিম্বা বিনাশ করিবে না; কারণ সমুদ্র যেমন জলে আচ্ছন্ন, তেমনি পৃথিবী সদাপ্রভু-বিষয়ক জ্ঞানে পরিপূর্ণ হইবে।” পরিশেষে, পৃথিবীতে প্রত্যেকটা মানুষ ঈশ্বর সম্বন্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ জ্ঞান লাভ করবে এবং তাঁর বাধ্য হবে। এই আশা কি আপনাকে আনন্দিত করে? যদি তা করে, তা হলে বহুমূল্যবান ‘সদাপ্রভু-বিষয়ক জ্ঞান’ নিতে দেরি করবেন না।

আমাদের দিনের ঘটনাগুলো সম্বন্ধে বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয় এবং বাইবেলে প্রতিজ্ঞাত উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে পরীক্ষা করার দ্বারা আপনি বিশ্বাস গঠনকারী ও জীবনদায়ী ঈশ্বরীয় জ্ঞান নেওয়ার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেন। তাই, আমরা আপনাকে আপনার এলাকার যিহোবার সাক্ষিরা বিনামূল্যে যে-বাইবেল অধ্যয়ন কার্যক্রম প্রদান করে থাকে, তার জন্য নিজেকে প্রাপ্তিসাধ্য করতে অনুরোধ জানাই। এটা ভয় কমানোর এবং দুর্দশাপূর্ণ এক জগতে আশা খুঁজে পাওয়ার এক উপায়।

[৭ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্রগুলো]

যে-কারণে রাজ্য সরকার আশার সঞ্চার করে

ঈশ্বরের রাজ্যের রাজা হিসেবে যিশু খ্রিস্টকে, সর্বজনীনভাবে তাঁর শক্তি প্রয়োগ করার ক্ষমতা ও অধিকার দেওয়া হয়েছে। (মথি ২৮:১৮) তিনি পৃথিবীর বাস্তুসংস্থানকে নিখুঁত ভারসাম্যে ফিরিয়ে আনবেন। অসুস্থতা ও রোগব্যাধির ওপরও তাঁর কর্তৃত্ব রয়েছে। পৃথিবীতে যিশু যে-পরাক্রম কাজগুলো করেছিলেন, সেগুলো ভবিষ্যতে একজন সিদ্ধ ও বিশ্বাসযোগ্য রাজা হিসেবে তাঁর শাসনের অধীনে এমনকি আরও মহৎ মহৎ আশীর্বাদের পূর্বাভাস ছিল। নীচে তালিকাবদ্ধ গুণগুলোর মধ্যে এই মশীহ রাজার কোন গুণটা আপনার হৃদয়কে স্পর্শ করে?

▪ সহজগম্য।—মার্ক ১০:১৩-১৬.

▪ যুক্তিবাদী ও পক্ষপাতশূন্য।—মার্ক ১০:৩৫-৪৫.

▪ নির্ভরযোগ্য ও নিঃস্বার্থ।-—মথি ৪:৫-৭; লূক ৬:১৯.

▪ ধার্মিক ও ন্যায়পরায়ণ।—যিশাইয় ১১:৩-৫; যোহন ৫:৩০; ৮:১৬.

▪ চিন্তাশীল, বিবেচক এবং নম্র।—যোহন ১৩:৩-১৫.

[৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

বাইবেল পড়া এবং ধ্যান করা যিহোবার ওপর আশা রাখতে আমাদের অনুপ্রাণিত করে