সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

‘গগনস্থ বিশ্বস্ত সাক্ষী’

‘গগনস্থ বিশ্বস্ত সাক্ষী’

‘গগনস্থ বিশ্বস্ত সাক্ষী’

 ক বি ও গীতিকাররা বহু যুগ ধরে চাঁদকে সৌন্দর্যের এক বস্তু হিসেবে প্রশংসা করে এসেছে। উদাহরণস্বরূপ, ঐশিকভাবে অনুপ্রাণিত একটি গীত একজন নারী সম্বন্ধে বলে, যিনি “চন্দ্রের ন্যায় সুন্দরী।” (পরমগীত ৬:১০) আর একজন গীতরচক কাব্যিকভাবে চাঁদকে ‘গগনস্থ বিশ্বস্ত সাক্ষী’ বলেন। (গীতসংহিতা ৮৯:৩৭) চাঁদ সম্বন্ধে বলা এই অভিব্যক্তিটির তাৎপর্য কী?

নিঃসন্দেহে, চাঁদ প্রতি ২৭.৩ দিন অন্তর পৃথিবীর চারপাশে এর কক্ষপথে নির্ভুলভাবে পরিক্রমণ শেষ করে। তাই, চাঁদের বিশ্বস্ততা এর নির্ভরযোগ্যতাকে নির্দেশ করতে পারে। কিন্তু, গীতরচকের মনে হয়তো আরও গভীর অর্থপূর্ণ কোনো বিষয় ছিল। তিনি চাঁদকে সেই রাজ্য সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণীমূলক এক গীতে ‘বিশ্বস্ত সাক্ষী’ বলেছিলেন, যে-রাজ্যের জন্য যিশু তাঁর অনুসারীদের প্রার্থনা করতে শিখিয়েছিলেন।—মথি ৬:৯, ১০.

৩,০০০ বছরেরও বেশি আগে, যিহোবা ঈশ্বর প্রাচীন ইস্রায়েলের রাজা দায়ূদের সঙ্গে রাজ্য চুক্তি করেছিলেন। (২ শমূয়েল ৭:১২-১৬) সেই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল, দায়ূদের উত্তরাধিকারী হিসেবে যিশু খ্রিস্টের জন্য এক বৈধ ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করা, যাতে তিনি চিরকালের জন্য সিংহাসনের অধিকারী হতে পারেন। (যিশাইয় ৯:৭; লূক ১:৩২, ৩৩) দায়ূদের ‘বংশের’ সিংহাসনের বিষয়ে উল্লেখ করে গীতরচক গেয়েছিলেন: “তাহা চন্দ্রের ন্যায় চিরকাল অটল থাকিবে; আর গগনস্থ সাক্ষী বিশ্বস্ত।”—গীতসংহিতা ৮৯:৩৬, ৩৭.

তাই, ‘রাত্রির উপরে কর্ত্তৃত্ব করিতে এক জ্যোতিঃ’—চাঁদ—হল খ্রিস্টের শাসনের স্থায়িত্বের এক উপযুক্ত অনুস্মারক। (আদিপুস্তক ১:১৬) তাঁর রাজ্য সম্বন্ধে দানিয়েল ৭:১৪ পদ উল্লেখ করে: “তাঁহার কর্ত্তৃত্ব অনন্তকালীন কর্ত্তৃত্ব, তাহা লোপ পাইবে না, এবং তাঁহার রাজ্য বিনষ্ট হইবে না।” চাঁদ হল এমন এক সাক্ষি, যেটা আমাদেরকে সেই রাজ্য সম্বন্ধে এবং মানবজাতির ওপর এটা যে-আশীর্বাদগুলো বর্ষণ করবে, সেগুলো সম্বন্ধে মনে করিয়ে দেয়।

[৩২ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

চাঁদ: NASA photo