সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনার ওপর কি ঈশ্বরের চোখ রয়েছে?

আপনার ওপর কি ঈশ্বরের চোখ রয়েছে?

আপনার ওপর কি ঈশ্বরের চোখ রয়েছে?

 সুদক্ষ সৃষ্টিকর্তা যিহোবার কি দেখার ক্ষমতা রয়েছে? অবশ্যই! বাইবেল সুস্পষ্টভাবে যুক্তি করে: “যিনি চক্ষু গঠন করিয়াছেন, তিনি কি দেখিবেন না?” (গীতসংহিতা ৯৪:৯) যিহোবার দৃষ্টিশক্তি মানুষের দৃষ্টিশক্তির চেয়ে হাজার হাজার গুণ শ্রেষ্ঠ। তিনি কেবল আমাদের বাহ্যিক চেহারাই দেখেন না বরং সেইসঙ্গে তিনি “চিত্তের পরীক্ষা করেন” এবং তিনি “হৃদয় সকল তৌল” করতে পারেন। (হিতোপদেশ ১৭:৩; ২১:২) হ্যাঁ, আমাদের চিন্তাভাবনা, প্রেরণা এবং মনের গভীরতম আকাঙ্ক্ষাগুলো মূল্যায়ন করার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে।

আমরা জীবনে যেসমস্ত সমস্যার মুখোমুখি হতে পারি, সেই সম্বন্ধে যিহোবা অবগত আছেন এবং তিনি আমাদের বিনতির প্রতি সাড়া দিয়ে থাকেন। গীতরচক লিখেছিলেন: “ধার্ম্মিকগণের প্রতি সদাপ্রভুর দৃষ্টি আছে, তাহাদের আর্ত্তনাদের প্রতি তাঁহার কর্ণ আছে। সদাপ্রভু ভগ্নচিত্তদের নিকটবর্ত্তী, তিনি চূর্ণমনাদের পরিত্রাণ করেন।” (গীতসংহিতা ৩৪:১৫, ১৮) এটা জানা কতই না সান্ত্বনাদায়ক যে, যিহোবা আমাদের পরিস্থিতিগুলো বোঝেন এবং আমাদের আন্তরিক অনুরোধের প্রতি মনোযোগ দেন!

যিহোবা ঈশ্বর এমনকি অতি গোপনে করা কাজগুলো সম্বন্ধেও অবগত আছেন। হ্যাঁ, “তাঁহার চক্ষুর্গোচরে সকলই নগ্ন ও অনাবৃত রহিয়াছে, যাঁহার কাছে আমাদিগকে নিকাশ দিতে হইবে।” (ইব্রীয় ৪:১৩) তাই, আমাদের কাজ ভাল বা মন্দ যা-ই হোক না কেন, ঈশ্বর সেগুলোর সমস্তই লক্ষ করেন। (হিতোপদেশ ১৫:৩) উদাহরণস্বরূপ, আদিপুস্তক ৬:৮, ৯ পদ বলে যে, “নোহ সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হইলেন” এবং তিনি “ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন করিতেন।” হ্যাঁ, নোহ যিহোবার অনুমোদন ও আশীর্বাদ লাভ করেছিলেন কারণ তিনি বাধ্য ছিলেন এবং ঈশ্বরের ধার্মিক নীতিগুলোকে সমর্থন করেছিলেন। (আদিপুস্তক ৬:২২) এর বিপরীতে, নোহের দিনের লোকেরা দৌরাত্ম্যপূর্ণ ও নৈতিক দিক দিয়ে কলুষিত ছিল। ঈশ্বর এই পরিস্থিতি সম্বন্ধে অজ্ঞাত ছিলেন না। তিনি “দেখিলেন, পৃথিবীতে মনুষ্যের দুষ্টতা বড়, এবং তাহার অন্তঃকরণের চিন্তার সমস্ত কল্পনা নিরন্তর কেবল মন্দ।” শেষপর্যন্ত, যিহোবা দুষ্টদের ওপর ধ্বংস নিয়ে এসেছিলেন কিন্তু নোহ ও তার পরিবারকে রক্ষা করেছিলেন।—আদিপুস্তক ৬:৫; ৭:২৩.

যিহোবা কি আপনাকে অনুগ্রহের দৃষ্টিতে দেখবেন? বস্তুতপক্ষে, যিহোবার চোখ ‘তাঁহার প্রতি যাহাদের অন্তঃকরণ একাগ্র, তাহাদের পক্ষে আপনাকে বলবান দেখাইবার জন্য পৃথিবীর সর্ব্বত্র ভ্রমণ করে।’ (২ বংশাবলি ১৬:৯) শীঘ্রই তিনি আবারও সমস্ত দুষ্টকে দেশ বা পৃথিবী থেকে দূর করবেন এবং যারা হৃদয়ে মৃদুশীল, তাদের উদ্ধার করবেন।—গীতসংহিতা ৩৭:১০, ১১.