সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

জর্জিয়ার একটা সম্মেলনে দুটো “অসাধারণ ঘটনা”

জর্জিয়ার একটা সম্মেলনে দুটো “অসাধারণ ঘটনা”

জর্জিয়ার একটা সম্মেলনে দুটো “অসাধারণ ঘটনা”

 জর্জিয়ায় ২০০৬ সালে এমন এক অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটেছিল, যা দুটো ‘অসাধারণ ঘটনার’ কারণে উল্লেখযোগ্য। জুলাই মাসের ৭ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত তিনদিন ধরে যিহোবার সাক্ষিদের “মুক্তি সন্নিকট!” জেলা সম্মেলন দেশ জুড়ে ছয়টা জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপস্থিত ১৭,০০০ জনেরও বেশি লোক এই আধ্যাত্মিক ভোজ উপভোগ করেছিল।

২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে, প্রধান সম্মেলন শহর জর্জিয়ার রাজধানী টিবলিসিতে, হাজার হাজার লোক মিলিত হতে পারে এমন একটা উপযুক্ত জায়গা খোঁজার প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। অন্যান্য সম্মেলনস্থলের সঙ্গে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে সংযোগ থাকবে।

গত কয়েক বছর ধরে জর্জিয়ায় উপাসনা করার ক্ষেত্রে স্বাধীনতাকে ধীরে ধীরে অনুমোদন করা হয়েছে। তাই, অতীতের ব্যাপক বিরোধিতা সত্ত্বেও সাক্ষিরা দৃঢ়ভাবে ক্রমশ সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল, তাদের এই আস্থা ছিল যে রাজধানীতেই একটা সম্মেলনস্থল পাওয়া যাবে। জর্জিয়ার লোকেরা স্বভাবতই বন্ধুত্বপরায়ণ ও অতিথিপরায়ণ। কিন্তু, কিছু সরকারি কর্মকর্তার মধ্যে ধর্মীয় ভেদাভেদের ধারণা গভীরভাবে রয়েছে। তারা কি তাদের অনুভূতি কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং সাক্ষিদেরকে সম্মেলনের জন্য একটা জায়গা ভাড়া নেওয়ার অনুমতি দেবে?

সম্মেলন কমিটির ভাইয়েরা বিভিন্ন স্টেডিয়াম এবং বড় বড় স্পোর্টস্‌ হল ঘুরে দেখেছিল। ম্যানেজাররা তাদের জায়গা ব্যবহার করতে দেবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছিল কিন্তু ভাইয়েরা যখন ভাড়া করার জন্য নির্দিষ্ট তারিখের কথা উল্লেখ করে, তখন তারা পিছিয়ে গিয়েছিল। তাই, টিবলিসি ফিলহারমনিক কর্তৃপক্ষ যখন যিহোবার সাক্ষিদের কাছে তাদের জায়গা ভাড়া দিতে রাজি হয়েছিল, তখন কমিটি খুবই অবাক হয়ে গিয়েছিল। এই কনসার্ট হলটি শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত, যেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।

তাদের প্রচেষ্টা যে শেষপর্যন্ত আকাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করেছে, তার দ্বারা উৎসাহিত হয়ে কমিটি টিবলিসি সম্মেলন ও সেইসঙ্গে দেশ জুড়ে স্নরি, কুটায়িসি, জুগডিডি, কাসপি ও গরিসহ বিভিন্ন শহরে সম্মেলনের ব্যবস্থা করতে শুরু করেছিল। এই কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করতে এইসমস্ত সম্মেলনস্থলের সঙ্গে টেলিফোন হুকআপের মাধ্যমে সংযুক্ত করার জন্য অনেক কাজ করা হয়েছিল। সম্মেলনের জন্য সমস্তকিছুই প্রস্তুত ছিল। এরপর, সম্মেলন শুরু হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ আগে টিবলিসি ফিলহারমনিক কনসার্ট হলের কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে চুক্তি বাতিল করে দিয়েছিল। এইরকম করার পিছনে কোনো কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।

প্রথম “অসাধারণ ঘটনা”

এতটা দেরি হয়ে যাওয়ায় ভাইয়েরা কী করতে পারত? তাদের কাছে একমাত্র বিকল্প ব্যবস্থা ছিল, টিবলিসির বাইরে ৪০ কিলোমিটার দূরে মারনিউলি খামার এলাকায় চলে যাওয়া। সেখানে এক যিহোবার সাক্ষি পরিবারের নিজস্ব জায়গায় অনেক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই জায়গাটা আগে একটা বিরাট বাগান ছিল। গত দশ বছর ধরে এটাই হচ্ছে একমাত্র জায়গা, যা টিবলিসির মণ্ডলীগুলো সম্মেলনের জন্য ব্যবহার করতে পারত। কিন্তু, এই মারনিউলি এলাকাতেও যিহোবার সাক্ষিরা হিংস্র জনতার আক্রমণের শিকার হয়েছিল।

এগুলোর মধ্যে একটা ঘটনা ঘটেছিল ২০০০ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর। সাক্ষিদেরকে সম্মেলনস্থলে পৌঁছাতে বাধা দেওয়ার জন্য মারনিউলি শহরের পুলিশ পথিমধ্যে ব্যারিকেড স্থাপন করেছিল। এরপর অপসারিত একজন অর্থোডক্স যাজক ভাসিলি কালাভিশভিলির নেতৃত্বে বাসভর্তি হিংস্র লোকেরা এসেছিল। তারা মারনিউলি সম্মেলনের উদ্দেশে যাত্রা করা গাড়ি ও বাসগুলোকে থামিয়েছিল, কয়েক জন অভ্যাগতকে গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিষ্ঠুরভাবে তাদের মারধর করেছিল, সেইসঙ্গে অন্য যাত্রীদের কাছ থেকে তাদের বাইবেল ও বাইবেলভিত্তিক সাহিত্যাদিসহ সমস্তকিছু ছিনিয়ে নিয়েছিল।

এ ছাড়া, প্রায় ৬০ জন হিংস্র লোকের একটা দল মারনিউলিতে সম্মেলনস্থলে আক্রমণ করেছিল। এতে প্রায় ৪০ জন সাক্ষি আহত হয়েছিল। একজন ভাইয়ের বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। কিছু আক্রমণকারী কাটা বন্দুক উঁচিয়ে এসেছিল, যেগুলো থেকে তারা অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে শূন্যে গুলি ছুঁড়ছিল। তাদের মধ্যে একজন সেই জায়গার মালিকের দিকে বন্দুক তাক করেছিল এবং টাকাপয়সা ও অলংকার দাবি করেছিল। সেই হিংস্র জনতা সম্মেলনস্থলের এক প্রান্তে অবস্থিত তার বাড়িতে তন্ন তন্ন করে খুঁজেছিল এবং তার মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করেছিল। বাড়ির সব জানালা ভেঙে ফেলার পর তারা বাইবেল সাহিত্যাদি ও বিশেষভাবে সম্মেলনের জন্য তৈরি বেঞ্চগুলো পুড়িয়ে ফেলেছিল। দেড় টন সাহিত্যাদি নষ্ট করা হয়েছিল। অপরাধ দমন করা তো দূরের কথা, পুলিশ বরং সাক্ষিদের বিরুদ্ধে দৌরাত্ম্যপূর্ণ কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল। *

সম্মেলন কমিটিকে কেবল দৌরাত্ম্যের হুমকিই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে এমন একটা জায়গায় ৫,০০০ জনের বসার ব্যবস্থা করার প্রতিদ্বন্দ্বিতারও মুখোমুখি হতে হয়েছিল, যে-জায়গাতে সাধারণত ২,৫০০ জন ধরে। এত অল্পসময়ের মধ্যে কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে? পার্শ্ববর্তী দুটো জায়গার মালিকরা যখন ভাইদের কাছে এসেছিল এবং তাদের বাগানের জমিকে ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল, তখন সেটাকে একটা অসাধারণ ঘটনা বলেই মনে হয়েছিল।

সেই জমিগুলোকে উপযুক্ত সম্মেলনস্থলে পরিণত করা বেশ কঠিন কাজ ছিল। আবহাওয়া পরিস্থিতিকে আরও প্রতিকূল করে তুলেছিল—সম্মেলনের আগে পুরো সপ্তাহ জুড়েই বৃষ্টি হয়েছিল। প্রতিবেশীদের জমিতে আলু চাষ করা হয়েছিল আর সেগুলো তোলার সময় হয়ে গিয়েছিল। প্রথমে, বৃষ্টির মধ্যে আলু তোলার জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা একত্রিত হয়েছিল। এরপর বেড়া সরিয়ে ফেলা হয়েছিল এবং রোদ ও বৃষ্টি থেকে শ্রোতাদের রক্ষা করতে ছাউনির মতো কাঠামো স্থাপন করা হয়েছিল। আরও কাঠের বেঞ্চ তৈরি করার প্রয়োজন হয়েছিল এবং অতিরিক্ত লাউডস্পিকার স্থাপন করা হয়েছিল। কাঠের কাজের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজ করার জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা দিনরাত পরিশ্রম করেছিল, কেউ কেউ এমনকি ঘুমও বাদ দিয়েছিল।

“যদি সম্মেলনের সময়েও বৃষ্টি হতে থাকে, তা হলে কী হবে?” সবাই ভেবেছিল। “অভ্যাগতরা কি কাদায় গড়াগড়ি যাবে?” ভেজা মাটি ঢেকে দেওয়ার জন্য খড় কেনা হয়েছিল। অবশেষে সূর্যের মুখ দেখা গিয়েছিল! সম্মেলনের তিনদিনই জমির ওপর উজ্জ্বল রোদ ঝলমল করেছিল।

অভ্যাগতরা যখন পৌঁছেছিল, তখন তারা এক চমৎকার দৃশ্য দেখতে পেয়েছিল। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নতুন জগতের পূর্বাভাস দিয়েছিল বলে মনে হয়েছিল। অভ্যাগতরা আরামে বসতে পেরেছিল, তাদের চারপাশে ডুমুর ও অন্যান্য ফলের গাছ ছিল এবং ভুট্টা ও টম্যাটো খেত ছিল। মঞ্চের পিছন দিকটা আঙুরলতা দিয়ে সাজানো হয়েছিল। কার্যক্রম চলাকালীন মাঝে মাঝে শ্রোতারা মোরগের ডাক এবং ডিম সংগ্রহ করার সময়ে মুরগির ডাক শুনতে পেত। সেইসঙ্গে গ্রামাঞ্চলে প্রায়ই শোনা যায় এমন অন্যান্য আওয়াজও শোনা গিয়েছিল কিন্তু উপস্থিত ব্যক্তিদের কাছে সেগুলো কেবল এক মনোমুগ্ধকর সুরের মতোই ছিল। শ্রোতারা সেগুলোর দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয়নি, বলতে গেলে তারা সেগুলোতে মনই দেয়নি কারণ তারা পূর্ণ মনোযোগের সঙ্গে চমৎকার বাইবেলভিত্তিক কার্যক্রম শুনছিল। তবে, কেবল এগুলোই সেই সম্মেলনের স্মরণীয় মুহূর্ত ছিল না।

দ্বিতীয় “অসাধারণ ঘটনা”

শুক্রবার সকালের অধিবেশনের শেষে অভ্যাগতরা খুবই বিস্মিত হয়ে গিয়েছিল, যখন যিহোবার সাক্ষিদের পরিচালক গোষ্ঠীর একজন সদস্য জেফরি জ্যাকসন জর্জিয়ান ভাষায় পুরো পবিত্র শাস্ত্রের নতুন জগৎ অনুবাদ (ইংরেজি) এর প্রকাশ সম্বন্ধে ঘোষণা করেছিলেন। * বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে অনেকের চোখে জল এসে গিয়েছিল। একটা পরিবার রোমাঞ্চিত হয়ে এই মন্তব্য করেছিল: “আমরা এই অসাধারণ ঘটনার জন্য—যিহোবার কৃত অসাধারণ ঘটনার জন্য—আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে থাকতে পারছি না। এত অল্পসময়ে এক বিশাল কাজ সম্পন্ন হয়েছে!”

টালেনজিহা শহরের একজন বোন, যিনি টেলিফোনের মাধ্যমে কার্যক্রম শুনেছিলেন, তিনি বলেন: “পুরো বাইবেল পেয়ে আমার যে-আনন্দের অনুভূতি হয়েছে, তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তিনদিনের চমৎকার সম্মেলনের জন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটা সত্যিই এক ঐতিহাসিক ঘটনা ছিল।” কৃষ্ণ সাগরের কাছেই পশ্চিম জর্জিয়ার এক মণ্ডলীর একটা পরিবার বলেছিল: “এতদিন আমাদের পরিবারে কেবলমাত্র একটি বাইবেল ছিল কিন্তু এখন আমাদের চারজনেরই নিজ নিজ নতুন জগৎ অনুবাদ এর কপি রয়েছে। এখন আমরা প্রত্যেকেই ব্যক্তিগতভাবে বাইবেল পড়তে পারব।”

কিন্তু, শ্রোতাদের অগোচরে সমস্তকিছুই যে নির্বিঘ্নে সাধিত হয়েছে এমন নয়। উদাহরণস্বরূপ, পুরো নতুন জগৎ অনুবাদ সম্মেলনের অনেক আগেই ছাপানো হয়েছিল এবং জাহাজে করে জর্জিয়ার উদ্দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা জাহাজে আসা মালপত্রকে সীমান্ত অতিক্রম করতে অনুমতি দেয়নি। ভাইয়েরা এই কারণে ন্যায়পালের অফিসে আপিল করেছিল। ন্যায়পাল আটকে রাখা বাইবেলগুলোকে সম্মেলনের আগে, একেবারে ঠিক সময়ে ছেড়ে দিতে সমর্থ হয়েছিলেন। এমনকি তিনি তাদের অফিসের জন্য নতুন বাইবেলের কয়েকটি কপি পেতে তার সহকারীকে মারনিউলি সম্মেলনে পাঠিয়েছিলেন।

জর্জিয়ার রীতিতে উষ্ণ অভ্যর্থনা

আরেকটা কারণে মারনিউলি সম্মেলন জর্জিয়ার যিহোবার সাক্ষিদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ ছিল। যিহোবার সাক্ষিদের পরিচালক গোষ্ঠীর একজন সদস্য সেই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সকলে এতটাই রোমাঞ্চিত হয়েছিল যে, তারা তাকে ব্যক্তিগতভাবে তাদের রীতিগত উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে চেয়েছিল। সম্মেলনের আগে, সম্মেলন চলাকালীন ও সম্মেলনের শেষে ভাইবোনদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য ভাই জ্যাকসনকে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল কিন্তু তিনি তা করতে পেরে আনন্দিত ছিলেন।

১৯০৩ সালে আরেকটা জায়গায় অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনের শেষে একজন ভাই বলেছিলেন: “যদিও আমি একজন দরিদ্র ব্যক্তি কিন্তু তারপরও এই সম্মেলন থেকে আমি যে-উপকার লাভ করেছি, তা আমি এমনকি এক হাজার ডলারের বিনিময়েও ত্যাগ করব না।” এখন একশো বছরেরও বেশি সময় পর, সেই সাক্ষিদের অনুভূতিও একেবারে একইরকম, যারা ২০০৬ সালের গরমের সময়ে জর্জিয়ায় অনুষ্ঠিত অতি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনগুলোতে যোগ দিয়েছিল।

[পাদটীকাগুলো]

^ জর্জিয়ায় যিহোবার সাক্ষিদের ওপর তাড়না সম্বন্ধে আরও বিস্তারিত বর্ণনার জন্য ২০০২ সালের ২২শে জানুয়ারি সচেতন থাক! (ইংরেজি) পত্রিকার ১৮-২৪ পৃষ্ঠা দেখুন।

^ ২০০৪ সালে জর্জিয়ান ভাষায় খ্রিস্টান গ্রিক শাস্ত্রের নতুন জগৎ অনুবাদ (ইংরেজি) প্রকাশ করা হয়েছিল।

[১৯ পৃষ্ঠার বাক্স]

“যে ছোট,” সে বৃদ্ধি পেয়েছে

জর্জিয়ায় যিশাইয় ৬০:২২ পদের এই কথাগুলো সত্য প্রমাণিত হয়েছে: “যে ছোট, সে সহস্র হইয়া উঠিবে, যে ক্ষুদ্র, সে বলবান্‌ জাতি হইয়া উঠিবে; আমি সদাপ্রভু যথাকালে ইহা সম্পন্ন করিতে সত্বর হইব।” ২০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে জর্জিয়ার রাজ্য প্রকাশকদের সংখ্যা ১০০ জনেরও কম থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৬,০০০ জন হয়েছে। ঈশ্বরের বাক্যের এই উদ্যোগী পরিচারকরা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৮,০০০ গৃহ বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করছে, যা জর্জিয়ায় আরও বৃদ্ধির এক চমৎকার সম্ভাবনা।

[১৬ পৃষ্ঠার ডায়াগ্রাম/মানচিত্রগুলো]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

রাশিয়ান ফেডারেশন

জর্জিয়া

⇨ জুগডিডি

⇨ কুটায়িসি

মারনিউলি ⇨ গরি

⇨ কাসপি

⇨ স্নরি

টিবলিসি

তুরস্ক

আর্মেনিয়া

আজারবাইজান

[সৌজন্যে]

ভূগোলক: Based on NASA/Visible Earth imagery

[১৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

টিবলিসিতে মূর্তি

[১৭ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

মারনিউলিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আরও পাঁচটা জায়গার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছিল

[১৮ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

জর্জিয়ান ভাষায় পুরো “নতুন জগৎ অনুবাদ” প্রকাশ হওয়ায় অভ্যাগতরা আনন্দিত ও বিস্মিত হয়েছিল