সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

পাঠক-পাঠিকাদের থেকে প্রশ্নসকল

পাঠক-পাঠিকাদের থেকে প্রশ্নসকল

পাঠক-পাঠিকাদের থেকে প্রশ্নসকল

 যদিও শৌল আগেই দায়ূদকে তার পরিচারক হওয়ার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন, তা হলে দায়ূদ গলিয়াৎকে হত্যা করার পর রাজা শৌল কেন তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “হে যুবক, তুমি কাহার পুত্ত্র?”—১ শমূয়েল ১৬:২২; ১৭:৫৮.

একটা সহজ উত্তর হল দায়ূদ কে, তা শৌল ভুলে গিয়েছিলেন কারণ তাদের প্রথম সাক্ষাৎ খুবই সংক্ষিপ্ত ছিল। কিন্তু, এটা সম্ভবত সঠিক নয় কারণ ১ শমূয়েল ১৬:১৮-২৩ পদের বিবরণ দেখায় যে, রাজা শৌল নির্দিষ্টভাবে দায়ূদকেই ডেকে পাঠিয়েছিলেন এবং তাকে অতিশয় ভালবেসেছিলেন ও তাকে তার শস্ত্রবাহক করেছিলেন। শৌল নিশ্চয়ই দায়ূদের সঙ্গে ভালভাবেই পরিচিত ছিলেন।

কিছু বাইবেল পণ্ডিত ১ শমূয়েল ১৭:১২-৩১ এবং ১৭:৫৫–১৮:৫ পদগুলোকে পরবর্তী সময়ের সংযোজন বলে মনে করে, কারণ এই পদগুলো সা.কা.পূ. দ্বিতীয় শতাব্দীতে সম্পূর্ণ হওয়া ইব্রীয় শাস্ত্রের একটি অনুবাদ গ্রিক সেপ্টুয়াজিন্ট এর নির্দিষ্ট কিছু কপিতে পাওয়া যায় না। কিন্তু, কেবল সেপ্টুয়াজিন্ট এর এই কপিগুলোর ওপর ভিত্তি করে এই ধরনের এক উপসংহারে পৌঁছানো বিজ্ঞতার কাজ নয় কারণ ইব্রীয় শাস্ত্রের অন্যান্য প্রামাণিক পাণ্ডুলিপিতে এই বাক্যাংশগুলো দেখা যায়।

স্পষ্টতই, প্রথমে অব্‌নের ও পরে স্বয়ং দায়ূদকে প্রশ্ন করার মাধ্যমে শৌল কেবলমাত্র দায়ূদের বাবার নাম জানার ব্যাপারেই আগ্রহী ছিলেন না। দায়ূদ যিনি সবেমাত্র গলিয়াৎকে পরাজিত করেছেন, তাকে প্রচুর বিশ্বাস ও সাহসের অধিকারী একজন ব্যক্তি হিসেবে পুরোপুরি নতুনভাবে দেখতে পেয়ে, শৌল জানতে চেয়েছিলেন যে, কোন ধরনের ব্যক্তি এই ছেলেকে বড় করে তুলেছিলেন। শৌল হয়তো দায়ূদের বাবা যিশয় অথবা তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে সেনাবাহিনীতে যুক্ত করার কথা চিন্তা করেছিলেন কারণ দায়ূদের মধ্যে যে-সাহস ও নির্ভীকতা দেখা গিয়েছিল, তা হয়তো তাদের মধ্যেও পাওয়া যাবে।

যদিও ১ শমূয়েল ১৭:৫৮ পদ কেবল “আমি আপনার দাস বৈৎলেহমীয় যিশয়ের পুত্ত্র” দায়ূদের এই সংক্ষিপ্ত উত্তরকে অন্তর্ভুক্ত করে কিন্তু এর পরের বিবরণ দেখায় যে, সেখানে হয়তো আরও কথাবার্তা হয়েছে। এই বিষয়ে বাইবেল পণ্ডিত সি. এফ. কাইল এবং এফ. ডেলিট্‌শের মন্তব্য লক্ষ করুন: “[১ শমূয়েল ১৮:১ পদে] ‘শৌলের সহিত তাঁহার কথা সাঙ্গ হইলে’ এই অভিব্যক্তি থেকে এটা খুবই স্পষ্ট যে, শৌল তার পরিবারের বিভিন্ন বিষয়ে আরও কথাবার্তা বলেছিলেন কারণ সেই অভিব্যক্তি দীর্ঘ কথাবার্তাকে ইঙ্গিত করে।”

এই সমস্তকিছু থেকে আমরা এই উপসংহারে আসতে পারি যে, “হে যুবক, তুমি কাহার পুত্ত্র?” এই প্রশ্ন করার মাধ্যমে শৌল দায়ূদের পরিচয় জানতে চাননি, যা তিনি ইতিমধ্যেই জানতেন বরং তিনি দায়ূদের পটভূমি সম্বন্ধে জানতে চেয়েছিলেন।

[৩১ পৃষ্ঠার চিত্র]

কেন শৌল দায়ূদকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, তিনি কার ছেলে?