সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

নকশার প্রশংসা করুন নকশাবিদ সম্বন্ধে শিখুন

নকশার প্রশংসা করুন নকশাবিদ সম্বন্ধে শিখুন

নকশার প্রশংসা করুন নকশাবিদ সম্বন্ধে শিখুন

 আপনি সম্ভবত ইতালীয় চিত্রকর ও ভাস্কর মাইকেলাঞ্জেলোর সম্পর্কে শুনেছেন। যদিও আপনি হয়তো কখনো তার আসল শিল্পকর্মগুলোর একটাও দেখেননি, তবুও সম্ভবত আপনি সেই শিল্প ঐতিহাসিকের সঙ্গে একমত হবেন, যিনি এই ইতালীয় প্রতিভাবান ব্যক্তিকে একজন “চমৎকার ও অতুলনীয় শিল্পী” বলেছেন। মাইকেলাঞ্জেলোর সহজাত দক্ষতাকে অস্বীকার করা যায় না। এমন কেউ কি আছেন, যিনি মাইকেলাঞ্জেলোর শিল্পকর্মের প্রশংসা করেন অথচ তাকে একজন বিশিষ্ট শিল্পী হিসেবে স্বীকার করেন না?

এখন পৃথিবীতে আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা জীবনের বিস্ময়কর জটিলতা ও বৈচিত্র্য সম্বন্ধে চিন্তা করুন। উপযুক্তভাবেই, দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকা বিজ্ঞানের একজন অধ্যাপকের কথা উদ্ধৃতি করেছিল, যিনি বলেছিলেন: “জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নকশার ভৌত প্রামাণ স্পষ্ট দেখা যায়।” তিনি আরও বলেছিলেন: “জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নকশার উপস্থিতি আমাদের অভিভূত করে।” নকশা দেখে প্রশংসা করে নকশাবিদকে অস্বীকার করা কি যুক্তিযুক্ত?

প্রেরিত পৌল, যিনি তার চারপাশে বিদ্যমান বিষয়গুলোর এক মনোযোগী পর্যবেক্ষক ছিলেন, তিনি তাদের সম্পর্কে বলেছিলেন, যারা “সৃষ্ট বস্তুর পূজা ও আরাধনা করিয়াছে, সেই সৃষ্টিকর্ত্তার নয়।” (রোমীয় ১:২৫) বিবর্তনবাদের বিভিন্ন ধারণার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কেউ কেউ এই বিষয়টাকে প্রত্যাখ্যান করে বা স্বীকার করতে ব্যর্থ হয় যে, নকশা নিশ্চিতভাবেই ইঙ্গিত করে, একজন নকশাবিদ আছেন। কিন্তু বিবর্তনবাদ কি সর্বোৎকৃষ্টভাবে প্রকৃত বিজ্ঞানকে প্রতিনিধিত্ব করে? ভিয়েনার ক্যাথলিক আর্চবিশপ ক্রিস্তফ শুয়িনবর্ন, দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় উপসংহারে যা বলেছিলেন, তা লক্ষ করুন: “যেকোনো ধরনের মতবাদ, যেটা জীববিজ্ঞানে উপস্থিত নকশার প্রচুর প্রমাণকে প্রত্যাখ্যান করে বা তুচ্ছ করার চেষ্টা করে, তা হল এক ভাবাদর্শ, সেটা কোনো বিজ্ঞান নয়।”

সৃষ্টিকর্তাকে স্বীকার করা কি বিজ্ঞানের পথ বন্ধ করে দেয়?

কিন্তু, এমন কিছু লোক রয়েছে যারা মনে করে যে, একজন সৃষ্টিকর্তা রয়েছেন, এই প্রমাণকে স্বীকার করে নেওয়া “গবেষণায় বাধা সৃষ্টি করবে।” নিউ সাইনটিস্ট পত্রিকার একটি প্রবন্ধ এইরকম ভয় সম্বন্ধে প্রকাশ করে এই দাবি করে যে, “বিজ্ঞান, যেটা হচ্ছে আবিষ্কারের অফুরন্ত সম্ভাবনার এক পথ, তা এই অভেদ্য বাধা দ্বারা বন্ধ হয়ে যাবে যে, ‘এটা নকশাবিদ করেছেন।’” এই ভয়ের কি কোনো দৃঢ় ভিত্তি রয়েছে? একদমই নেই। প্রকৃতপক্ষে, এর বিপরীতটাই সত্য। কেন?

আমাদের নিখিলবিশ্ব এবং পৃথিবীতে জীবনের কারণ হল এক আকস্মিক ঘটনা ও বিবর্তন, এটা স্বীকার করে নেওয়া প্রকৃতপক্ষে যেকোনো অর্থপূর্ণ ব্যাখ্যা জানাকে বাতিল করার এক প্রচেষ্টা মাত্র। অন্যদিকে, আমরা আমাদের চারপাশে যা দেখি, তার পিছনে একজন বুদ্ধিমান সৃষ্টিকর্তা রয়েছেন, এটা স্বীকার করা আমাদেরকে প্রকৃতি ও ভৌত নিখিলবিশ্বে প্রতীয়মান তাঁর বুদ্ধির প্রয়োগকে অনুসন্ধান করতে পরিচালিত করে। এই বিষয়টা বিবেচনা করুন: লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি “মোনালিসা” ছবিটি এঁকেছেন শুধুমাত্র তা জানাই শিল্প ঐতিহাসিকদের তার ব্যবহৃত পদ্ধতি ও সামগ্রী সম্পর্কে অনুসন্ধান করা থেকে বিরত করেনি। একইভাবে, একজন নকশাবিদ রয়েছেন, তা স্বীকার করা আমাদেরকে তাঁর নকশা এবং সৃষ্টির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিষয় ও জটিলতা সম্বন্ধে অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা উচিত নয়।

গবেষণার অগ্রগতিতে বাধা দেওয়ার পরিবর্তে, বাইবেল বৈজ্ঞানিক ও আধ্যাত্মিক উভয় প্রশ্নের উত্তরগুলো সন্ধান করার জন্য উৎসাহিত করে। প্রাচীন রাজা দায়ূদ, সুদক্ষভাবে গঠিত তার দেহের শারীরিক গঠন নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করেছিলেন। ফলস্বরূপ, তিনি বলেছিলেন: “আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্য্যরূপে নির্ম্মিত; তোমার কর্ম্ম সকল আশ্চর্য্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।” (গীতসংহিতা ১৩৯:১৪) প্রকৃতপক্ষে, বাইবেল তুলে ধরে যে, সৃষ্টিকর্তা কুলপতি ইয়োবকে জিজ্ঞেস করছেন: “তুমি কি ভুবনের বিস্তার জ্ঞাত হইয়াছ?” (ইয়োব ৩৮:১৮) এই কথা নিশ্চয়ই কোনো অনুসন্ধান বা তদন্ত না করার ইঙ্গিত দেয় না। এর বিপরীতে, দক্ষ নকশাবিদ এখানে তাঁর হস্তকৃত কাজ সম্বন্ধে অধ্যয়ন করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এ ছাড়া, ভাববাদী যিশাইয়ের লেখা এই আমন্ত্রণটিও বিবেচনা করুন, যেটা আমাদেরকে সেই ব্যক্তির সম্বন্ধে আমাদের বোধগম্যতাকে বাড়াতে পরিচালিত করে, যিনি আমাদের চারপাশে বিদ্যমান সৃষ্টির উৎস: “ঊর্দ্ধ্বদিকে চক্ষু তুলিয়া দেখ, ঐ সকলের সৃষ্টি কে করিয়াছে?” প্রকৃতপক্ষে, যিশাইয় ৪০:২৬ পদটি E=mc (শক্তি সমান ভর গুণণ আলোর দ্রুতির বর্গ), আইনস্টাইনের এই সুপরিচিত সূত্রের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ একটা তথ্যকে তুলে ধরে। সেই বিষয়টা হল যে, নিখিলবিশ্ব প্রবল শক্তি ও ক্ষমতার উৎসের দ্বারা সৃষ্ট হয়েছে।

এটা ঠিক যে, সৃষ্টি সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরগুলো সবসময় প্রাপ্তিসাধ্য নয়। খানিকটা এইজন্য যে, আমাদের বোঝার ক্ষমতা হল সীমিত আর আমরা যে-জগতে বাস করি, সেটা সম্বন্ধে আমাদের ধারণা অসম্পূর্ণ। ইয়োব এই বিষয়টা বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি সৃষ্টিকর্তার উচ্চপ্রশংসা করেছিলেন, যাঁর নির্দেশনাধীনে মহাশূন্যে আমাদের পৃথিবী অবস্তুর বা শূন্যের ওপর ঝুলছে আর জল-ভরতি মেঘগুলো পৃথিবীর ওপরে ভাসমান রয়েছে। (ইয়োব ২৬:৭-৯) তা সত্ত্বেও, ইয়োব উপলব্ধি করেছিলেন যে, এইরকম আশ্চর্য বিষয়গুলো “তাঁর কাজের মাত্র একটুখানি প্রকাশ।” (ইয়োব ২৬:১৪, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন) নিঃসন্দেহে, ইয়োব তার চারপাশের জগৎ সম্বন্ধে আরও কিছু শিখতে চেয়েছিলেন। আর দায়ূদ এই কথা লিখে তার নিজের সীমাবদ্ধতাগুলোকে স্বীকার করেছিলেন: “এই জ্ঞান আমার নিকটে অতি আশ্চর্য্য, তাহা উচ্চ, আমার বোধের অগম্য।”—গীতসংহিতা ১৩৯:৬.

একজন সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে স্বীকার করা বৈজ্ঞানিক উন্নতিতে বাধা দেয় না। ভৌত ও আধ্যাত্মিক উভয় বিষয়গুলো সম্পর্কে আরও পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান লাভের জন্য অনুসন্ধান প্রকৃতপক্ষে অফুরন্ত ও অনন্ত। একজন প্রাচীন রাজা, যিনি তার অগাধ জ্ঞানের জন্য পরিচিত ছিলেন, তিনি নম্রতার সঙ্গে লিখেছিলেন: “তিনি . . . তাহাদের হৃদয়মধ্যে চিরকাল রাখিয়াছেন; তথাপি ঈশ্বর আদি অবধি শেষ পর্য্যন্ত যে সকল কার্য্য করেন, মনুষ্য তাহার তত্ত্ব বাহির করিতে পারে না।”—উপদেশক ৩:১১.

ঈশ্বর কি “এক সুবিধাজনক ব্যাখ্যা”?

কেউ কেউ আপত্তি করে যে, যেখানে কোনো প্রমাণসাপেক্ষ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই, সেখানে ঈশ্বরই হচ্ছেন “এক ব্যাখ্যামূলক সমাধান।” অন্য কথায়, এইরকম দাবি করা হয় যে, এই ধরনের একজন ঐশিক নকশাবিদ “এক সুবিধাজনক ব্যাখ্যা” হয়ে ওঠেন অর্থাৎ মানুষ যখন কোনো বিষয়ের যুক্তিযুক্ত ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে পারে না, তখন তারা শুধু এই বলে থাকে যে, “ঈশ্বর” তা করেছেন। কিন্তু, এখানে প্রকৃতপক্ষে কোন বিষয়গুলো বাদ পড়েছে? আমাদের জ্ঞানে কি কেবল ক্ষুদ্র ও সামান্য ফাঁক রয়েছে? না, প্রকৃতপক্ষে সেগুলো হচ্ছে বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষেত্রে বিরাট ফাঁক, যা ডারউইনের বিবর্তনবাদে রয়েছে। এগুলো জীববিদ্যার বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক ফাঁক যেগুলোকে বিবর্তনবাদও পূরণ করতে অসমর্থ হয়েছে। সত্যি বলতে কী, যে-বিবর্তনবাদীরা ওই সমস্ত অসমর্থিত দাবিগুলোকে বিশ্বাস করে, তারা মূলত ডারউইনের মতবাদকে “এক সুবিধাজনক ব্যাখ্যা” হিসেবে ব্যবহার করে, যা বিজ্ঞান প্রমাণ করতে পারে না।

বাইবেলে উপস্থাপিত সৃষ্টিকর্তা “এক সুবিধাজনক ব্যাখ্যা” নন। পরিবর্তে, তাঁর কাজ সৃষ্টির সমস্ত পর্যায়, দিক এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ সমস্তকিছুকেই অন্তর্ভুক্ত করে। গীতরচক যিহোবার সমস্ত দিককে পরিবেষ্টিত করে এমন সৃজনশীল কাজকর্মের ওপর জোর দিয়েছিলেন: “তুমিই সমস্ত জীবনের উৎস এবং তোমার আলোতেই আমরা আলোকিত হই।” (গীতসংহিতা ৩৬:৯, টুডেজ ইংলিশ ভারসন) তাঁকে উপযুক্তভাবে এমন একজন বলে বর্ণনা করা হয়েছে, যিনি “আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র এবং এই সকলের মধ্যে যাহা কিছু আছে, সমস্তের নির্ম্মাণকর্ত্তা।” (প্রেরিত ৪:২৪; ১৪:১৫; ১৭:২৪) তাই উপযুক্ত কারণেই, প্রথম শতাব্দীর একজন শিক্ষক লিখেছিলেন যে, ঈশ্বর “সমুদয়ের সৃষ্টিকর্ত্তা।”—ইফিষীয় ৩:৯.

অধিকন্তু, ঈশ্বর পদার্থ ও শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে এমন ভৌত নিয়মাবলি অর্থাৎ “আকাশমণ্ডলের বিধান কলাপ” স্থাপন করেছেন, যে-নিয়মগুলো সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনও অধ্যয়ন করে চলেছে। (ইয়োব ৩৮:৩৩) তাঁর নকশা হল পূর্ণাঙ্গ ও উদ্দেশ্যপূর্ণ, যা প্রচুর বৈচিত্র্যময় সজীব বস্তুর বাসস্থান হিসেবে পৃথিবীকে গঠন করার বিষয়ে তাঁর লক্ষ্যকে পূর্ণ করেছে।

নকশা ও সাধারণ জ্ঞান

পরিশেষে, আমাদের সাধারণ জ্ঞান সম্বন্ধীয় প্রশ্নটি বিবেচনা করতে হবে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক মতবাদের স্থায়িত্ব সম্পর্কে সাধারণভাবে মন্তব্য করার সময়, বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক জন হরগান বলেছিলেন: “যখন জোরালো প্রমাণ থাকে না, তখন নির্দেশনার জন্য আমাদের সাধারণ জ্ঞানকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত নয়।”

আপনার কাছে কি এটা যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয় যে, জীবন আকস্মিকভাবে বা কোনো দৈব শক্তির মাধ্যমে অস্তিত্বে এসেছে? বিবর্তনবাদ ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও, বিজ্ঞানীরাসহ অনেক বুদ্ধিমান ব্যক্তি এই বিষয়টা সম্বন্ধে দৃঢ়প্রত্যয়ী যে, একজন বুদ্ধিমান সৃষ্টিকর্তা রয়েছেন। বিজ্ঞানের একজন অধ্যাপক বলেন যে, সাধারণ লোকেরা “দৃঢ় এবং যুক্তিযুক্তভাবে মনে করে যে, জীবনের নকশা করা হয়েছে।” কেন তা বলা যায়? বেশির ভাগ লোকই প্রেরিত পৌলের এই উক্তির সঙ্গে একমত হবে: “প্রত্যেক গৃহ কাহারও দ্বারা সংস্থাপিত হয়।” (ইব্রীয় ৩:৪) এরপর পৌল এই যুক্তিযুক্ত উপসংহারে পৌঁছান: “যিনি সকলই সংস্থাপন করিয়াছেন, তিনি ঈশ্বর।” বাইবেলের দৃষ্টিকোণ থেকে, একটা বাড়ি নির্মাণের জন্য একজন নকশাবিদের প্রয়োজন এটা স্বীকার করা অথচ একইসময়ে একটা জটিল কোষ দুর্ঘটনাবশত অস্তিত্বে এসেছে, এটা দাবি করা যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয় না।

যারা একজন নকশাবিদ ও সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে অস্বীকার করে, বাইবেল সেই ব্যক্তিদের সম্বন্ধে মন্তব্য করে: “মূঢ় মনে মনে বলিয়াছে, ‘ঈশ্বর নাই’।” (গীতসংহিতা ১৪:১) গীতরচক এখানে তাদেরকে তিরস্কার করছেন, যাদের এখনও দৃঢ়প্রত্যয়ী হওয়া বাকি রয়েছে। একজন ব্যক্তি হয়তো পক্ষপাতশূন্যভাবে পরিচালিত হওয়ার পরিবর্তে, তার ব্যক্তিগত মতামত দ্বারা পরিচলিত হতে পারেন। অন্যদিকে, একজন জ্ঞানী, বিচক্ষণ ব্যক্তি নম্রভাবে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে স্বীকার করেন।—যিশাইয় ৪৫:১৮.

একজন সর্বোচ্চ নকশাবিদকে সমর্থন করার মতো প্রমাণ রয়েছে সেই বিষয়ে অনেক চিন্তাশীল ব্যক্তি সন্দেহাতীত।

আপনি নকশাবিদ সম্বন্ধে জানতে পারেন

আমরা যদি মনে করি যে, আমাদের কোনো উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে, তা হলে কোন উদ্দেশ্যে? আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী? শুধুমাত্র বিজ্ঞান এই ধরনের প্রশ্নগুলোর সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারে না। কিন্তু, এই মৌলিক বিচার্য বিষয়গুলোর দৃঢ়প্রত্যয়জনক ও সন্তোষজনক উত্তর থাকা প্রয়োজন। বাইবেল এই ক্ষেত্রে প্রচুর উপকার করতে পারে। এটি যিহোবাকে শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তা হিসেবেই নয় কিন্তু একজন উদ্দেশ্যকারী হিসেবেও শনাক্ত করে, এমন একজন যিনি যা কিছু করেন, সেগুলোর পিছনে যুক্তিযুক্ত কারণ রয়েছে। শাস্ত্র মানবজাতির জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য প্রকাশ করে, আমাদেরকে এক ভবিষ্যৎ এবং এক আশা প্রদান করে।

তবে, যিহোবা কে? তিনি কী ধরনের ঈশ্বর? যিহোবার সাক্ষিরা আমাদের দক্ষ নকশাবিদকে একজন বাস্তব ব্যক্তি হিসেবে জানতে আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। আপনি তাঁর নাম এবং গুণাবলি ও মানবজাতির সঙ্গে তাঁর আচরণ সম্বন্ধে শিখতে পারেন। তাঁর বাক্য বাইবেলের মাধ্যমে আপনি দেখতে পাবেন যে, কেন আমাদের তাঁর চমৎকার নকশার শুধু প্রশংসাই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে তাঁকে একজন নকশাবিদ হিসেবে গৌরবও প্রদান করা উচিত।—গীতসংহিতা ৮৬:১২; প্রকাশিত বাক্য ৪:১১.

[৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

মাইকেলাঞ্জেলো

[৫ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

একজন নকশাবিদে বিশ্বাস প্রকৃত বিজ্ঞানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ

[৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

বৈচিত্র্য এবং অভিযোজন, এক বিজ্ঞ নকশার মধ্যে বৈচিত্র্যের প্রমাণ দেয়

[৭ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

নকশা থাকলে একজন নকশাবিদের প্রয়োজন