আপনার সন্তানের হৃদয়ে ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসা গড়ে তোলার জন্য যেভাবে প্রচেষ্টা করা যায় ❖
আপনার সন্তানের হৃদয়ে ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসা গড়ে তোলার জন্য যেভাবে প্রচেষ্টা করা যায় ❖
আজকে যিহোবা ঈশ্বরের সঙ্গে এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা একজন ব্যক্তির জন্য প্রকৃতই এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। (গীতসংহিতা ১৬:৮) যেমন ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, আমরা ‘শেষ কালের বিষম সময়ে’ বাস করছি। বেশির ভাগ লোকই “ঈশ্বরপ্রিয় নয়, বরং বিলাসপ্রিয়।” (২ তীমথিয় ৩:১-৫) হ্যাঁ, আজকের জগতে ঈশ্বরের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা খুবই বিরল।
একজন সন্তানের হৃদয়ে ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসা এমনি এমনি গড়ে উঠতে পারে না। আমাদের সন্তানদের হৃদয়ে যিহোবা ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসা গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা করতে হবে। কীভাবে আমরা তা করতে পারি?
খোলাখুলি ভাববিনিময়
আমরা আমাদের সন্তানদের হৃদয়ে ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করতে পারি, যদি আমাদের নিজেদের হৃদয় তাঁর প্রতি ভালবাসায় পূর্ণ থাকে। (লূক ৬:৪০) বাইবেল এই বিষয়ে ইঙ্গিত দেয়, যখন এটি বলে: “তুমি তোমার সমস্ত হৃদয়, তোমার সমস্ত প্রাণ, ও তোমার সমস্ত শক্তি দিয়া আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম করিবে। আর এই যে সকল কথা আমি অদ্য তোমাকে আজ্ঞা করি, তাহা তোমার হৃদয়ে থাকুক। আর তোমরা প্রত্যেকে আপন আপন সন্তানগণকে এ সকল যত্নপূর্ব্বক শিক্ষা দিবে।”—দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৪-৭.
কীভাবে আমরা আমাদের সন্তানের হৃদয়ে ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করতে পারি? প্রথমত, আমাদের সন্তানের হৃদয়ে কী আছে, তা আমাদেরকে জানতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমাদের নিজেদের হৃদয়ে কী আছে, তা জানাতে হবে।
ইম্মায়ূ নামক গ্রামের পথে তাঁর দুজন শিষ্যের সঙ্গে যাওয়ার সময়, যিশু খ্রিস্ট প্রথমে তাঁর শিষ্যদেরকে তাদের প্রত্যাশা ও উদ্বেগগুলো প্রকাশ করতে উৎসাহিত করেছিলেন। কিছু সময় ধরে তাদের কথা শোনার পরই যিশু শাস্ত্র থেকে ব্যাখ্যা করে তাদের চিন্তাধারাকে সংশোধন করেছিলেন। পরে তারা মন্তব্য করেছিল: “যখন তিনি আমাদের সহিত কথা বলিতেছিলেন . . . তখন আমাদের অন্তরে আমাদের চিত্ত কি উত্তপ্ত হইয়া উঠিতেছিল না?” সেই কথোপকথন ছিল খোলাখুলি ভাববিনিময়ের এক উদাহরণ। (লূক ২৪:১৫-৩২) কীভাবে আমরা আমাদের সন্তানের অনুভূতিগুলোকে বুঝতে পারি?
সম্প্রতি, কিছু বাবামা—যাদের সন্তানরা এখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গিয়েছে বা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের সন্তানরা বিশ্বাসের উত্তম উদাহরণ—তাদেরকে খোলাখুলি ভাববিনিময় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, মেক্সিকোতে বসবাসকারী গ্লেন নামে একজন ব্যক্তির চারজন প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান রয়েছে। * তিনি বলেন: “বাবামা ও সন্তানদের মধ্যে খোলাখুলি ভাববিনিময় এমনি এমনি হয়ে যায় না। আমার স্ত্রী এবং আমি সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর পিছনে কম সময় ব্যয় করতাম। তারা যখন তাদের কৈশোরে ছিল, সেই সময় মাঝে মাঝে আমরা পুরো সন্ধ্যেটাই তাদের সঙ্গে বসে তাদের মনের কথা শুনতাম। একইভাবে, খাওয়াদাওয়ার সময়গুলোতেও তাদের কথাবার্তা শোনার দ্বারা আমরা তাদের সমস্যাগুলো বোঝার চেষ্টা করতাম আর তাদেরকে বুঝতে না দিয়েই, সদয়ভাবে তাদের কোনো একটা ভুল প্রবণতাকে সংশোধন করে দিতাম।”
এ ছাড়া, খোলাখুলি ভাববিনিময়ের সঙ্গে আমাদের নিজেদের হৃদয়ে কী আছে, তা জানানোও জড়িত। যিশু বলেছিলেন: “ভাল মানুষ আপন হৃদয়ের ভাল ভাণ্ডার হইতে ভালই বাহির করে . . . যেহেতুক হৃদয়ের উপচয় হইতে তাহার মুখ কথা কহে।” (লূক ৬:৪৫) তোশিকি, যার তিন সন্তান জাপানে পূর্ণসময়ের পরিচারক হিসেবে সেবা করছে, তিনি বলেন: “আমি তাদেরকে অনেক বার বলেছি যে, কেন আমি যিহোবার প্রতি আমার বিশ্বাস গড়ে তুলেছি, কীভাবে আমি পূর্ণহৃদয়ে তাঁর অস্তিত্বে বিশ্বাস করতে শুরু করেছি আর কীভাবে আমার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা আমাকে এই বিষয়ে দৃঢ়প্রত্যয়ী করেছে যে, বাইবেলই হল সত্য এবং জীবনের জন্য সর্বোত্তম নির্দেশিকা।” মেক্সিকোর সিন্ডি বলেন: “আমার স্বামী সবসময় আমার সন্তানদের সঙ্গে প্রার্থনা করতেন। তারা যখন তার আন্তরিক অভিব্যক্তিগুলো শুনত, তখন তারা জানতে পেরেছিল যে, যিহোবা কোনো কাল্পনিক ব্যক্তি নন।”
আমাদের নিজেদের উদাহরণের জোরালো প্রভাব
আমাদের কথাবার্তার চেয়ে এমনকি আমাদের জীবনধারা আরও বেশি জোরালো প্রভাব ফেলে, কারণ এটা আমাদের সন্তানদের দেখায় যে, আমরা ঈশ্বরকে কতখানি ভালবাসি। যিহোবার প্রতি যিশু খ্রিস্টের বাধ্যতা লক্ষ করার দ্বারা লোকেরা হয়তো ঈশ্বরের প্রতি তাঁর ভালবাসার গভীরতাকে নির্ণয় করতে পারবে। যোহন ১৪:৩১.
“জগৎ যেন জানিতে পায় যে, আমি পিতাকে প্রেম করি,” যিশু বলেছিলেন, “এবং পিতা আমাকে যেরূপ আজ্ঞা দিয়াছেন, আমি সেইরূপ করি।”—গেরেথ নামে ওয়েলসের একজন যিহোবার সাক্ষি মন্তব্য করেন: “আমাদের সন্তানদের অবশ্যই দেখতে হবে যে, আমরা যিহোবাকে ভালবাসি ও তাঁর মতো করে বিষয়গুলো করার চেষ্টা করি। উদাহরণস্বরূপ, আমার সন্তানেরা দেখে যে, ঈশ্বর আমাদের যা কিছু বলেন, সেগুলোর বাধ্য হয়ে আমি আমার ভুলগুলোকে স্বীকার করি। আর এখন আমার সন্তানেরাও সেইভাবেই আচরণ করার চেষ্টা করে।”
গ্রেগ নামে অস্ট্রেলিয়ার একজন ব্যক্তি বলেন: “আমরা আমাদের সন্তানদের দেখাতে চেয়েছিলাম যে, আমাদের জীবন সত্যকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে। আমরা যখন কোনো কাজ অথবা বিনোদন সম্বন্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নিই, তখন প্রথমে আমরা বিবেচনা করি যে, সেটা আমাদের খ্রিস্টীয় কাজকর্মকে কতটা প্রভাবিত করবে। এটা দেখা আমাদের জন্য আনন্দদায়ক যে, আমাদের ১৯ বছর বয়সি মেয়েও সহায়ক অগ্রগামীর কাজ করার ক্ষেত্রে এই একইরকম মনোভাব গড়ে তুলেছে।”
আমাদের সন্তানদের ঈশ্বরকে বুঝতে সাহায্য করা
আমরা যাকে বুঝতে পারি না, এমন কাউকে আমরা ভালবাসতে বা তার ওপর নির্ভর করতে পারি না। প্রেরিত পৌল যখন চেয়েছিলেন যে, ফিলিপীর খ্রিস্টানরা যিহোবার প্রতি তাদের ভালবাসাকে বৃদ্ধি করুক, তখন তিনি লিখেছিলেন: “আমি এই প্রার্থনা করিয়া থাকি, তোমাদের প্রেম যেন তত্ত্বজ্ঞানে ও সর্ব্বপ্রকার সূক্ষ্মচৈতন্যে উত্তর উত্তর উপচিয়া পড়ে।” (ফিলিপীয় ১:৯) পেরুর অধিবাসী ফালকোনেরাইয়ো যিনি তার চার সন্তানকে বড় করে তুলছেন, তিনি বলেন: “সন্তানদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে বাইবেল পড়া ও অধ্যয়ন করা তাদের বিশ্বাসকে গেঁথে তোলে। মাঝে মাঝে আমি তাদের সঙ্গে অধ্যয়ন করতে অবহেলা করেছিলাম আর দেখেছিলাম যে, ঈশ্বরের প্রতি তাদের ভালবাসা দুর্বল হয়ে গিয়েছে।” গ্যারি, যিনি অস্ট্রেলিয়াতে থাকেন, তিনি বলেন: “বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো যে সত্য হচ্ছে সেই বিষয়ে প্রায়ই আমি আমার সন্তানদের প্রমাণ দেখিয়ে থাকি। বাইবেলের নীতিগুলোকে প্রয়োগ করার উপকারগুলোও আমি দেখিয়ে থাকি। তাদের বিশ্বাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের নিয়মিত পারিবারিক বাইবেল অধ্যয়ন একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে।”
এক বন্ধুত্বপূর্ণ কিন্তু সম্মানজনক পরিবেশেই সন্তানের হৃদয়ে জ্ঞান সবচেয়ে ভালভাবে পৌঁছাবে, যে-পরিবেশে শেখা হচ্ছে এক আনন্দের বিষয়। (যাকোব ৩:১৮) “পারিবারিক বাইবেল অধ্যয়নের সময় এমনকি যদিও তারা মাঝে মাঝে হইচই করত, তবুও আমরা আমাদের সন্তানদের বকাঝকা না করার চেষ্টা করতাম,” ব্রিটেনে বসবাসকারী শন ও পলিন বলে, যাদের চারজন সন্তান রয়েছে। “আমরা বিভিন্নভাবে অধ্যয়ন পরিচালনা করতাম। কখনো কখনো আমরা সন্তানদেরকেই বিষয় বাছাই করতে আমন্ত্রণ জানাতাম। আমরা যিহোবার সংগঠনের প্রস্তুতকৃত ভিডিওগুলো ব্যবহার করতাম। মাঝে মাঝে আমরা ভিডিওর কোনো একটা অংশ রিপ্লে করতাম বা মাঝখানে আলোচনা করার জন্য পজ্ করতাম।” এ ছাড়া, ব্রিটেনে বসবাসকারী কিম নামে একজন মা বলেন: “আমি পারিবারিক অধ্যয়নের জন্য মনোযোগপূর্বক প্রস্তুতি নিই, যাতে আমি আমার ছেলেমেয়েদের এমন প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করতে পারি, যেগুলো তাদেরকে চিন্তা করতে পরিচালিত করবে। আমরা অধ্যয়ন করাকে উপভোগ করি। অধ্যয়নের সময় আমরা অনেক হেসেও থাকি।”
বন্ধুবান্ধব বেছে নেওয়া
যিহোবার প্রতি ভালবাসা এবং সত্য উপাসনার প্রতি উপলব্ধিবোধ আমাদের সন্তানদের মধ্যে সবচেয়ে ভালভাবে বিকশিত হতে পারে, যদি তারা সেইসমস্ত লোকের মাঝে থাকে, যারা ঈশ্বরের বন্ধু। আমাদের ছেলেমেয়েরা যাদের সঙ্গে কথা বলার বা খেলা করার দ্বারা উপকৃত হতে পারে, এমন সঙ্গীসাথিদের সঙ্গে মেলামেশার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য হয়তো প্রচেষ্টার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু তা করার মূল্য রয়েছে! অধিকন্তু, যেসমস্ত যিহোবার সাক্ষি পূর্ণসময়ের পরিচর্যাকে তাদের জীবনের কেরিয়ার হিসেবে নিয়েছে, তাদের সঙ্গে আমাদের সন্তানরা যেন মেলামেশা করতে পারে, সেই সুযোগ করে দেওয়া মূল্যবান। অনেকে যারা এই কাজকে বেছে নিয়েছে, তারা ঈশ্বরের উদ্যোগী দাসদের সঙ্গে মেলামেশা করার কারণেই এমনটা করেছে। একজন বোন, যিনি পরে মিশনারি হয়েছিলেন, তিনি বলেন: “আমার বাবামা প্রায়ই খাওয়ার জন্য অগ্রগামীদের নিমন্ত্রণ করত। সেই অগ্রগামীরা তাদের পরিচর্যা কাজে এত আনন্দিত ছিল যে, আমিও ঈশ্বরকে একইভাবে সেবা করতে চেয়েছিলাম।”
অবশ্য, আমাদের সন্তানদের মনোভাব ভাল ও মন্দ উভয়ভাবেই প্রভাবিত হতে পারে। তাই, কুসংসর্গের বিপদগুলো বাবামা হিসেবে আমাদের দক্ষতাকে পরীক্ষায় ফেলে। (১ করিন্থীয় ১৫:৩৩) যারা যিহোবাকে ভালবাসে না বা তাঁকে জানে না, তাদের সঙ্গে মেলামেশা করা কীভাবে এড়িয়ে চলতে হবে, তা অল্পবয়সিদের শিক্ষা দেওয়া হল একটা কৌশল। (হিতোপদেশ ১৩:২০) শন, যার কথা আগে উদ্ধৃতি করা হয়েছে, তিনি বলেন: “আমরা আমাদের ছোট বাচ্চাদের তাদের স্কুলের সহপাঠীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ হতে কিন্তু সেটা শুধুমাত্র স্কুলেই বজায় রাখতে শিখিয়েছিলাম। তাই, আমাদের সন্তানরা বুঝতে পেরেছে যে, কেন স্কুলের পাঠ্যসূচি বহির্ভূত অতিরিক্ত কার্যকলাপ অথবা স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া উচিত নয়।”
প্রশিক্ষণের মূল্য
আমরা আমাদের সন্তানদের তাদের বিশ্বাস সম্পর্কে কথা বলতে শিক্ষা দিয়ে, তাদেরকে ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করতে সাহায্য করি। মার্ক, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন, তিনি বলেন: “আমরা চেয়েছিলাম আমাদের ছেলেরা যেন বুঝতে পারে যে, যখন তারা জনসাধারণ্যে পরিচর্যায় যাওয়ার মতো পোশাক-আশাক পরে থাকে, শুধুমাত্র তখনই নয় কিন্তু অন্যদের সঙ্গে যেকোনো সময়ই তারা তাদের বিশ্বাস সম্পর্কে কথা বলাকে উপভোগ করতে পারে। তাই, যখন আমরা কোনো পার্ক, সমুদ্রসৈকত বা বনে বেড়াতে যাই, তখন আমরা আমাদের সঙ্গে বাইবেল এবং বাইবেলভিত্তিক সাহিত্যাদি নিয়ে যাই আর সেখানে লোকেদের সঙ্গে আমাদের বিশ্বাস সম্বন্ধে কথা বলি। আমাদের সঙ্গে এইভাবে রীতিবহির্ভূত সাক্ষ্যদান করা ছেলেরা সত্যিই উপভোগ করে থাকে। তারাও আলোচনায় অংশ নেয় ও তাদের বিশ্বাস সম্পর্কে কথা বলে।”
বৃদ্ধ প্রেরিত যোহন অনেক ব্যক্তিকে ঈশ্বরের প্রতি তাদের ভালবাসাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছিলেন। তাদের বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি লিখেছিলেন: “আমার [আত্মিক] সন্তানগণ সত্যে চলে, ইহা শুনিলে যে আনন্দ হয়, তদপেক্ষা মহত্তর আনন্দ আমার নাই।” (৩ যোহন ৪) আমরা যদি আমাদের সন্তানদের হৃদয়ে ঈশ্বরের জন্য ভালবাসা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করি, তা হলে নিশ্চিতভাবে আমরাও একইরকম আনন্দ পাব।
[পাদটীকা]
^ কিছু নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
[৯ পৃষ্ঠার চিত্র]
বিশ্বাস সম্বন্ধে খোলাখুলি কথাবার্তা বলা এমনি এমনি হয় না
[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]
ঈশ্বরের প্রতি তাদের ভালবাসাকে প্রকাশ করতে আপনার সন্তানদের প্রশিক্ষণ দিন
[সৌজন্যে]
Courtesy of Green Chimneys Farm