সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

“সত্য কি?”

“সত্য কি?”

“সত্য কি?”

 এই প্রশ্নটা রোমীয় দেশাধ্যক্ষ পন্তীয় পীলাত উদাসীনভাবে যিশুকে করেছিলেন। তিনি কোনো উত্তর জানার প্রতি আগ্রহী ছিলেন না আর যিশুও তাকে কোনো উত্তর দেননি। সম্ভবত পীলাত মনে করেছিলেন যে, সত্য খুবই দুর্বোধ্য।—যোহন ১৮:৩৮.

সত্যের প্রতি এই তাচ্ছিল্যপূর্ণ মনোভাব আজকে অনেকেরই রয়েছে, যার অন্তর্ভুক্ত হল ধর্মীয় নেতারা, শিক্ষকরা এবং রাজনীতিবিদরা। তারা মনে করে যে, সত্য—বিশেষত নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক সত্য—সম্পূর্ণ নয় কিন্তু আপেক্ষিক আর এটা সবসময় পরিবর্তনশীল। অবশ্য, এটা ইঙ্গিত দেয় যে, লোকেরা নিজেরাই নির্ণয় করতে পারে যে, কোনটা সঠিক ও কোনটা ভুল। (যিশাইয় ৫:২০, ২১) এটা লোকেদেরকে এই ইঙ্গিতও দেয় যে, তারা পূর্ববর্তী প্রজন্মের অনুসরণকৃত মূল্যবোধ ও নৈতিক মানগুলোকে সেকেলে বলে বাতিল করে দিতে পারে।

যে-উক্তিটি পীলাতকে সেই প্রশ্নটা করতে পরিচালিত করেছিল, তা লক্ষ করার মতো। যিশু বলেছিলেন: “আমি এই জন্যই জন্মগ্রহণ করিয়াছি ও এই জন্য জগতে আসিয়াছি, যেন সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিই।” (যোহন ১৮:৩৭) যিশুর কাছে সত্য কোনো অস্পষ্ট, বোধাতীত ধারণা ছিল না। তিনি তাঁর শিষ্যদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন: “তোমরা সেই সত্য জানিবে, এবং সেই সত্য তোমাদিগকে স্বাধীন করিবে।”—যোহন ৮:৩২.

কোথায় এই সত্য পাওয়া যেতে পারে? যিশু একবার ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনায় বলেছিলেন: “তোমার বাক্যই সত্যস্বরূপ।” (যোহন ১৭:১৭) ঐশিক অনুপ্রেরণায় লেখা বাইবেল সেই সত্যকে প্রকাশ করে, যা নির্ভরযোগ্য নির্দেশনা এবং ভবিষ্যতের এক নিশ্চিত আশা—অনন্তজীবন—উভয়ই প্রদান করে।—২ তীমথিয় ৩:১৫-১৭.

সত্য শেখার সেই সুযোগকে পীলাত উদাসীনভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। আপনার সম্বন্ধে কী বলা যায়? যিশু যে-“সত্য” সম্বন্ধে শিখিয়েছিলেন, তা কী, সেই সম্বন্ধে যিহোবার সাক্ষিদের জিজ্ঞেস করুন না কেন? তারা আপনাকে সেই সত্য জানাতে পেরে আনন্দিত হবে।