সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

“কিত্তীমের জাহাজ সকল” নিয়মিতভাবে সমুদ্রে চলাচল করে

“কিত্তীমের জাহাজ সকল” নিয়মিতভাবে সমুদ্রে চলাচল করে

“কিত্তীমের জাহাজ সকল” নিয়মিতভাবে সমুদ্রে চলাচল করে

 পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল অসংখ্য নৌযুদ্ধের সাক্ষি হয়েছে। খ্রিস্টের জন্মের পাঁচ শতাব্দী আগের এই ধরনের এক যুদ্ধের দৃশ্য কল্পনা করুন। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এক জাহাজ পূর্ণগতিতে এগিয়ে চলেছে, যেটাকে ট্রাইরিম (প্রতি পাশে তিন সারি দাঁড়যুক্ত প্রাচীন যুদ্ধজাহাজ) বলা হয়। তিন সারিতে প্রায় ১৭০ জন দাঁড়ি তাদের সবল পেশীগুলোকে টান টান করে দাঁড় টেনে যাচ্ছে, চামড়ার গদির ওপর বসে সামনে পিছনে ঝুঁকে দাঁড় টানছে।

ঘন্টায় ১৩ থেকে ১৭ কিলোমিটার গতিতে জাহাজটা ঢেউ কাটিয়ে দ্রুতগতিতে এক শত্রু জাহাজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যে-জাহাজটাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, সেটা আক্রমণ এড়ানোর চেষ্টা করে। সংকটময় মুহূর্তে এটা দিশেহারা হয়ে পড়ে আর জাহাজের পার্শ্বদেশ স্পষ্ট দেখা যায়। ফলে ট্রাইরিমের ব্রোঞ্জ আবৃত র্‌যাম (শত্রু জাহাজকে আঘাত করে ফুটো করে দেওয়ার জন্য জাহাজের মাথায় স্থাপিত ধাতব ও তীক্ষ্ণ ফলা) অন্য জাহাজের হালকা কাঠামোতে গিয়ে দ্রুত ও জোরে আঘাত করে। কাঠের পাটাতন ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ার এবং জাহাজের বড় ফুটো দিয়ে প্রবলবেগে প্রবাহিত সমুদ্রের জলের শব্দ, শত্রু জাহাজের দাঁড়িদের আতঙ্কিত করে। ট্রাইরিম থেকে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত যোদ্ধাদের এক ছোট দল আঘাতপ্রাপ্ত জাহাজকে আক্রমণ করার জন্য মধ্যবর্তী তৈরি হওয়া রাস্তা দিয়ে দৌড়ে যায়। হ্যাঁ, প্রাচীনকালের কিছু জাহাজ সত্যিই দুর্দান্ত ছিল!

বাইবেল ছাত্ররা “কিত্তীমের” ও “কিত্তীমের জাহাজ সকল” সম্বন্ধে কিছু ভবিষ্যদ্বাণীমূলক উল্লেখের বিষয়ে প্রচুর আগ্রহ প্রদর্শন করেছে। (গণনাপুস্তক ২৪:২৪; দানিয়েল ১১:৩০; যিশাইয় ২৩:১) কিত্তীম কোথায় ছিল? এখানকার জাহাজগুলো সম্বন্ধে আমরা কী জানি? আর এই উত্তরগুলো কেন আপনার আগ্রহের বিষয় হওয়া উচিত?

যিহুদি ইতিহাসবেত্তা জোসিফাস কিত্তীমকে “হিদিমস” হিসেবে উল্লেখ করেছেন, এটাকে সাইপ্রাস (কুপ্র) দ্বীপের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন। দ্বীপের দক্ষিণপূর্ব অংশের কিতিয়ন (অথবা সিশাম) শহরও কিত্তীমকে সাইপ্রাসের সঙ্গে সংযুক্ত করে। ভৌগলিকভাবে প্রাচীন বাণিজ্য পথগুলোর সংযোগস্থলে অবস্থিত সাইপ্রাস, পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের সমুদ্র বন্দরগুলোর কাছাকাছি থাকায় উপকৃত হওয়ার জন্য খুব ভাল অবস্থানে ছিল। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে সাইপ্রাসকে প্রায়ই যুদ্ধরত জাতিগুলোর মধ্যে কোনো পক্ষ নিতে হতো আর তাই সাইপ্রাসও হয় এক শক্তিশালী মিত্র নতুবা এক বিরক্তিকর প্রতিবন্ধক হয়ে উঠেছিল।

সাইপ্রাসের অধিবাসীরা এবং সমুদ্র

সমুদ্রের নীচের খনন ও সমাধিস্থল থেকে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ এবং সেইসঙ্গে প্রাচীন বইপত্র ও মৃৎশিল্পের ওপর রং দিয়ে আঁকা নকশাগুলো আমাদের সাইপ্রাস থেকে আসা জাহাজগুলোকে মনের চোখে দেখতে সাহায্য করে। সাইপ্রাসের প্রাচীন অধিবাসীরা দক্ষ জাহাজনির্মাতা ছিল। তাদের দ্বীপ গহীন অরণ্যে আবৃত ছিল এবং সুরক্ষামূলক উপসাগরগুলো প্রাকৃতিক পোতাশ্রয় জোগাতো। শুধুমাত্র জাহাজ নির্মাণের জন্যই গাছ কাটা হতো না কিন্তু সেইসঙ্গে তামা—এক প্রাকৃতিক সম্পদ, যা সাইপ্রাসকে প্রাচীন বিশ্বে বিখ্যাত করে তুলেছিল—গলানোর জন্যও তা ব্যবহৃত হতো।

সাইপ্রাসের জমজমাট রপ্তানি বাণিজ্য ফৈনীকীয়দের কনানীয়দের দৃষ্টি এড়ায়নি, যারা তাদের বাণিজ্য পথগুলোতে বিভিন্ন উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। এই ধরনের একটা উপনিবেশ ছিল সাইপ্রাসের কিতিয়ন।—যিশাইয় ২৩:১০-১২.

ফৈনীকীয়দের পোতাশ্রয় এবং প্রধান শহর সোরের পতনের পর এখানকার কিছু লোক স্পষ্টতই কিত্তীমে আশ্রয় নিয়েছিল। সম্ভবত সমুদ্রে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন ফৈনীকীয় উপনিবেশ স্থাপনকারীরা সাইপ্রাসের নৌবাহিনীর প্রযুক্তিতে বিরাট অবদান রেখেছিল। কিতিয়ন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকায় এটা ফৈনীকীয় জাহাজগুলোকে চমৎকার সুরক্ষাও জুগিয়েছিল।

জমজমাট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত

এই সময়কালে, পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের প্রাচীন বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড ব্যাপক ছিল। সাইপ্রাসের মূল্যবান সামগ্রীগুলোকে জাহাজে করে ক্রীতী, সার্দিনিয়া ও সিসিলিতে এবং সেইসঙ্গে ঈজিয়ান সমুদ্রের দ্বীপগুলোতে নিয়ে যাওয়া হতো। এই জায়গাগুলোতে সাইপ্রাস থেকে আনা নানারকম পাত্র ও ফুলদানি আবিষ্কার করা হয়েছে আর সাইপ্রাসে প্রচুর পরিমাণে মাইসেনীয় (গ্রিসের) সুন্দর সুন্দর মৃৎশিল্প পাওয়া গিয়েছে। সার্দিনিয়ায় আবিষ্কৃত তামার পিণ্ড বিশ্লেষণ করে কিছু পণ্ডিত ব্যক্তি মনে করে যে, সেগুলো সাইপ্রাস থেকে আনা হয়েছে।

১৯৮২ সালে দক্ষিণ তুরস্কের উপকূলের কাছাকাছি সা.কা.পূ. ১৪ শতাব্দীর শেষের দিকের ডুবে যাওয়া এক জাহাজ পাওয়া গিয়েছিল। সমুদ্রের তলদেশে করা খনন কাজ বিভিন্ন ধরনের অত্যন্ত মূল্যবান গুপ্তধনের সন্ধান দিয়েছিল—তামার পিণ্ড যেগুলো সাইপ্রাসের বলে মনে করা হয়, অম্বর (এক প্রকার হলুদাভ বাদামী পাথর), কনানীয় পাত্র, আবলুস কাঠ, হাতির দাঁত, সোনা ও রুপোর তৈরি কনানীয় অলংকার ও গুবরে পোকার আকারে খোদাই করা অলংকার এবং মিশরের বিভিন্ন জিনিসপত্র। জাহাজের মধ্যে পাওয়া মৃৎশিল্পের মাটি পরীক্ষা করে দেখে কিছু তথ্যগ্রন্থ সেই জাহাজকে সাইপ্রাসের বলে মনে করে।

আগ্রহের বিষয় হচ্ছে, এই জাহাজডুবি যখন হয়েছিল, সেই আনুমানিক সময়ে বিলিয়ম তার ‘মন্ত্রে’ কিত্তীমের জাহাজের বিষয় উল্লেখ করেছিলেন। (গণনাপুস্তক ২৪:১৫, ২৪) স্পষ্টতই, সাইপ্রাসের জাহাজগুলো মধ্যপ্রাচ্যে সুপরিচিত হয়ে উঠেছিল। এই জাহাজগুলো কেমন ছিল?

বাণিজ্য জাহাজগুলো

মাটি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন জাহাজের ও নৌকার অনেক নমুনা, সাইপ্রাসের প্রাচীন শহর আ্যমেদাসের সমাধিকক্ষগুলোতে আবিষ্কার করা হয়েছে। এই নমুনাগুলো সাইপ্রাসের জাহাজগুলো কেমন ছিল, সেই বিষয়ে মূল্যবান তথ্য প্রদান করে এবং এর কিছু কিছু জাদুঘরে প্রদর্শিত রয়েছে।

নমুনাগুলো দেখায় যে, প্রাচীনকালের জাহাজগুলো স্পষ্টতই শান্তিপূর্ণ বাণিজ্যের জন্য ব্যবহৃত হতো। অপেক্ষাকৃত ছোট জাহাজগুলোতে সাধারণত ২০ জন দাঁড়ি থাকত। সাইপ্রাসের উপকূলবর্তী এলাকায় ছোট ছোট যাত্রায় মালপত্র ও যাত্রীদের বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চওড়া, গভীর কাঠামোর জাহাজ নির্মাণ করা হয়েছিল। প্লিনি দি এলডার উল্লেখ করেন যে, সাইপ্রাসের অধিবাসীরা একটা ছোট, হালকা জাহাজের নকশা করেছিল, যা বৈঠা দিয়ে টানা হতো এবং ৯০ টন পর্যন্ত মাল বহন করতে পারত।

এ ছাড়া ছিল তুরস্কের উপকূলে প্রাপ্ত জাহাজগুলোর মতো বড় বাণিজ্য জাহাজ। কিছু কিছু জাহাজ খোলা সমুদ্রে ৪৫০ টন পর্যন্ত মাল বহন করতে পারত। বড় জাহাজগুলোতে প্রতি পাশে ২৫ জন করে ৫০ জনের মতো দাঁড়ি থাকত আর ৩০ মিটার লম্বা ও ১০ মিটার উঁচু মাস্তুল থাকত।

বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীতে “কিত্তীমের” যুদ্ধজাহাজগুলো

যিহোবার আত্মা এই ঘোষণা করতে অনুপ্রাণিত করেছিল: “কিত্তীমের তীর হইতে জাহাজ আসিবে, তাহারা অশূরকে দুঃখ দিবে।” (গণনাপুস্তক ২৪:২, ২৪) এই ভবিষ্যদ্বাণী কি সত্য হয়েছিল? সাইপ্রাস থেকে আসা জাহাজগুলো কীভাবে এই ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণতায় জড়িত ছিল? ‘কিত্তীমের তীর হইতে জাহাজ সকল’ শান্তিপূর্ণ বাণিজ্য জাহাজ ছিল না, যেগুলো ভূমধ্যসাগরে নিয়মিত চলাচল করত। সেগুলো ছিল দুর্দশা আনয়নকারী যুদ্ধজাহাজ।

যুদ্ধের পরিবর্তনের প্রয়োজনে আরও দ্রুতগতিসম্পন্ন ও আরও শক্তিশালী জাহাজ উৎপাদনের জন্য মৌলিক নকশাকে খাপ খাইয়ে নেওয়া হয়েছিল। প্রাচীনকালের সাইপ্রাসের যুদ্ধজাহাজগুলো সম্ভবত আ্যমেদাসে আবিষ্কৃত একটা চিত্রে তুলে ধরা হয়েছিল। এই চিত্রে এক দীর্ঘ সরু গড়নযুক্ত জাহাজের ছবি রয়েছে, যেটার পশ্চাদ্ভাগ ওপরের দিকে ও ভিতরের দিকে বেঁকে গিয়েছে, যা ফৈনীকীয় এক যুদ্ধজাহাজের মতো। জাহাজের পশ্চাদ্ভাগে এবং অগ্রভাগের কাছে দুপাশেই র্‌যাম ও গোলাকার ঢাল রয়েছে।

সাধারণ কাল পূর্ব অষ্টম শতাব্দীতে গ্রিসে সবচেয়ে প্রথমে বাইরিম (প্রতি পাশে দুই সারি দাঁড়যুক্ত জাহাজ) দেখা গিয়েছে। এই জাহাজগুলোর দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ২৪ মিটার ও প্রস্থ ছিল প্রায় ৩ মিটার। প্রথমে জাহাজগুলো যোদ্ধাদের বহন করার জন্য ব্যবহৃত হতো, তবে প্রকৃত লড়াই স্থলভাগেই হতো। শীঘ্রই, তৃতীয় সারি দাঁড়ি যুক্ত করার সুবিধা শনাক্ত করা হয়েছিল আর জাহাজের অগ্রভাগে তামা আবৃত র্‌যাম লাগানো হয়েছিল। নতুন জাহাজটা ট্রাইরিম হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিল, যেমনটা এই প্রবন্ধের শুরুতে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ধরনের জাহাজ সালামীর যুদ্ধ (সা.কা.পূ. ৪৮০ সাল) চলাকালীন খ্যাতি অর্জন করেছিল, যখন গ্রিকরা পারস্য নৌবাহিনীকে পরাজিত করেছিল।

পরবর্তী সময়ে, মহান আলেকজান্ডার কর্তৃত্ব লাভ করার জন্য তার অভিযানে, তার ট্রাইরিম নৌবহরকে যুদ্ধ করার জন্য পূর্বাভিমূখে চালিত করেছিল। এই জাহাজগুলো যুদ্ধের জন্য তৈরি করা হয়েছিল, গভীর সমুদ্রে দীর্ঘযাত্রা করার জন্য নয়, কারণ এগুলোতে খাদ্যদ্রব্য বা অন্যান্য জিনিস সংরক্ষণের জন্য অল্প কিছু কক্ষ ছিল। এই কারণে খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করার এবং বিভিন্ন সাজসরঞ্জাম লাভ করার জন্য ঈজিয়ান সমুদ্রের দ্বীপগুলোতে থামতে হতো। আলেকজান্ডারের লক্ষ্য ছিল পারস্যের নৌবহরকে ধ্বংস করে দেওয়া। কিন্তু, সফল হওয়ার জন্য তাকে প্রথমে সোর দ্বীপের দুর্দান্ত দুর্গকে অতিক্রম করতে হতো। সাইপ্রাস ছিল সোরের দিকে যাওয়ার পথে যাত্রাবিরতির স্থান।

মহান আলেকজান্ডার যখন (সা.কা.পূ. ৩৩২ সালে) সোর অবরোধ করছিলেন, তখন সাইপ্রাসের অধিবাসীরা তাকে সমর্থন করেছিল, ১২০টা নৌবহর জুগিয়েছিল। সাইপ্রাসের তিনজন রাজা আলেকজান্ডারের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য নৌবহরগুলোকে চালনা করেছিল। তারা সাত মাস ব্যাপী সোর আক্রমণে অংশ নিয়েছিল। সোরের পতন ঘটেছিল এবং বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়েছিল। (যিহিষ্কেল ২৬:৩, ৪; সখরিয় ৯:৩, ৪) তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য আলেকজান্ডার সাইপ্রাসের রাজাদের বিশেষ কর্তৃত্ব প্রদান করেছিলেন।

এক উল্লেখযোগ্য পরিপূর্ণতা

প্রথম শতাব্দীর ইতিহাসবেত্তা স্ট্র্যাবো বর্ণনা করেন যে, আলেকজান্ডার আরবে তার অভিযানের জন্য সাইপ্রাস ও ফৈনীকীয়া থেকে আসা জাহাজগুলোকে নিযুক্ত করেন। এই জাহাজগুলো ছিল হালকা ও বিভিন্ন অংশকে সহজেই খোলা যেত, তাই সেগুলো মাত্র সাতদিনের মধ্যে উত্তর সিরিয়ার থ্যাপসিকাসে (তিপ্‌সহ) পৌঁছেছিল। (১ রাজাবলি ৪:২৪) সেখান থেকে বাবিলে পৌঁছানো সম্ভব ছিল।

তাই, বাইবেলে বলা আপাতদৃষ্টিতে অস্পষ্ট বিবৃতি প্রায় দশ শতাব্দী পরে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিপূর্ণ হয়েছিল! গণনাপুস্তক ২৪:২৪ পদের কথাগুলোর সঙ্গে মিল রেখে, মহান আলেকজান্ডারের সেনাবাহিনী অদম্যভাবে মেসিডোনিয়া (মাকিদনিয়া) থেকে পূর্বাভিমূখে এগিয়ে গিয়েছিল এবং অশূরিয়া দেশকে জয় করেছিল, শেষপর্যন্ত শক্তিশালী মাদীয় পারসিক সাম্রাজ্যকে পরাজিত করেছিল।

‘কিত্তীমের জাহাজ সকলের’ বিষয়ে যে-সীমিত তথ্য আমাদের রয়েছে, তা নির্ভুলভাবে বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীর এক চমৎকার পরিপূর্ণতাকে নির্দেশ করে। এই ধরনের ঐতিহাসিক সাক্ষ্য আমাদের এই প্রত্যয়কে আরও দৃঢ় করে যে, বাইবেলে প্রাপ্ত ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর ওপর নির্ভর করা যায়। এই ধরনের অনেক ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যৎ জড়িত, তাই সেগুলোকে আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত।

[১৬, ১৭ পৃষ্ঠার মানচিত্র]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

ইতালি

সার্দিনিয়া

সিসিলি

ঈজিয়ান সমুদ্র

গ্রিস

ক্রীতী

লিবিয়া

তুরস্ক

সাইপ্রাস

কিতিয়ন

সোর

মিশর

[১৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

গ্রিক যুদ্ধজাহাজ ট্রাইরিমের একটা নমুনা

[সৌজন্যে]

Pictorial Archive (Near Eastern History) Est.

[১৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

প্রাচীন ফৈনীকীয় যুদ্ধজাহাজ বাইরিমের একটা নমুনা

[সৌজন্যে]

Pictorial Archive (Near Eastern History) Est.

[১৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

একটা ফুলদানি যেটাতে সাইপ্রাসের এক জাহাজের চিত্র আঁকা রয়েছে

[সৌজন্যে]

Published by permission of the Director of Antiquities and the Cyprus Museum

[১৮ পৃষ্ঠার চিত্র]

প্রাচীনকালের মালবাহী জাহাজগুলো, যেগুলোর বিষয়ে যিশাইয় ৬০:৯ পদে উল্লেখ রয়েছে