সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

সুরাকূষ পৌলের সমুদ্রযাত্রার এক বিরতি স্থান

সুরাকূষ পৌলের সমুদ্রযাত্রার এক বিরতি স্থান

সুরাকূষ পৌলের সমুদ্রযাত্রার এক বিরতি স্থান

 সাধারণ কাল প্রায় ৫৯ সালে, একটা জাহাজ ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ মিলিতা থেকে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। এই জাহাজে ‘যমজ-দেবের’ চিহ্ন ছিল, যে-দেবতাদেরকে নাবিকদের রক্ষাকর্তা হিসেবে মনে করা হতো। বাইবেল লেখক লূক বর্ণনা করেন যে, সেই জাহাজটা সিসিলির দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের “সুরাকূষে” নোঙ্গর ফেলেছিল এবং সেখানে ‘তিন দিবস থাকিল।’ (প্রেরিত ২৮:১১, ১২) লূকের সঙ্গে সেই জাহাজে ছিলেন আরিষ্টার্খ ও প্রেরিত পৌল, যাকে বিচারের জন্য রোমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।—প্রেরিত ২৭:২.

সুরাকূষে পৌলকে জাহাজ থেকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কি না, তা আমরা জানি না। তিনি অথবা তার ভ্রমণ সঙ্গীরা যদি নেমে থাকে, তা হলে তারা সম্ভবত কী দেখেছিল?

গ্রিক ও রোমীয়দের সময়ে, সুরাকূষ প্রায় এথেন্স এবং রোমের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, সা.কা.পূ. ৭৩৪ সালে করিন্থীয়রা এটার পত্তন করেছিল। সুরাকূষের অনেক গৌরবময় মুহূর্ত ছিল আর এটা ছিল প্রাচীনকালের অনেক সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব, যেমন নাট্যকার এপিকারমাস এবং গণিতবিদ আর্কিমিডিসের জন্মস্থান। সা.কা.পূ. ২১২ সালে রোমীয়রা সুরাকূষ জয় করেছিল।

আধুনিক শহরটাকে পরিদর্শন করা হয়তো আপনাকে পৌলের সময়কার সুরাকূষ সম্বন্ধে কিছুটা ধারণা দিতে পারে। সেই শহরটাকে দুটো অংশে বিভক্ত করা হয়েছিল, একটা অংশ ছোট অর্টিজিয়া দ্বীপে অবস্থিত ছিল, যেখানে সম্ভবত পৌলের জাহাজ ভিড়ানো হয়েছিল আর অন্যটা মূল ভূখণ্ডে অবস্থিত ছিল।

আজকে, সেই দ্বীপে আপনি প্রাচীন গ্রিসের স্থাপত্যরীতি অনুসারে নির্মিত সিসিলির মন্দিরের—সা.কা.পূ. ষষ্ঠ শতাব্দীর আ্যপোলোর মন্দিরের—ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাবেন। এ ছাড়া, সেখানে এথেনার উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত সা.কা.পূ. পঞ্চম শতাব্দীর একটা মন্দিরের স্তম্ভগুলো রয়েছে, তবে এই মন্দিরটা ক্যাথিড্রালের অংশ হয়ে উঠেছিল।

মূল ভূখণ্ডে আধুনিক নগরকেন্দ্র অবস্থিত, যেখানে আপনি নিয়াপলি প্রত্নতাত্ত্বিক পার্কটি পরিদর্শন করতে পারেন। এর প্রবেশদ্বারের একেবারে কাছেই গ্রিক থিয়েটার অবস্থিত। এটা গ্রিক থিয়েটারের স্থাপত্যশিল্পের রক্ষাপ্রাপ্ত সবচেয়ে চমৎকার নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটাকে তুলে ধরে। সমুদ্রের দিকে মুখ করে থাকায়, এটা মঞ্চাভিনয়ের জন্য এক চমৎকার পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছিল। এই পার্কের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে সা.কা. তৃতীয় শতাব্দীর রোমীয় আ্যম্ফিথিয়েটার রয়েছে। এটা ডিম্বাকার, দৈর্ঘ্যে ১৪০ মিটার, প্রস্থে ১১৯ মিটার আর সমগ্র ইতালিতে এটা তৃতীয় বৃহত্তম আ্যম্ফিথিয়েটার।

আপনার যদি সুরাকূষ পরিদর্শন করার সুযোগ হয়ে থাকে, তা হলে আপনি হয়তো অর্টিজিয়াতে সমুদ্রের তীরে একটা বেঞ্চে বসে আপনার বাইবেল থেকে প্রেরিত ২৮:১২ পদ খুলতে পারেন এবং কল্পনা করতে পারেন যে, একটা জাহাজ বন্দরের এগিয়ে আসছে, যেটাতে প্রেরিত পৌল রয়েছেন।

[৩০ পৃষ্ঠার ডায়াগ্রাম/মানচিত্র]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

ইতালি

রোম

পূতিয়লী

রীগিয়

সিসিলি

সুরাকূষ

মিলিতা

[৩০ পৃষ্ঠার চিত্র]

সুরাকূষে একটা গ্রিক থিয়েটারের ধ্বংসাবশেষ