সুসমাচার পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলো অতিক্রম করা
সুসমাচার পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলো অতিক্রম করা
আমাদের ট্রাক একটা চেকপয়েন্টের কাছে আসে, যেখানে প্রায় ৬০ জন সশস্ত্র পুরুষ, মহিলা এবং কিশোর-কিশোরীর একটা দল রয়েছে। কেউ কেউ সামরিক পোশাক পরা; অন্যেরা আবার সাধারণ পোশাক পরা। অনেকেই স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র প্রদর্শন করে। মনে হয় যেন তারা আমাদের জন্যই অপেক্ষা করছে। সেখানে আভ্যন্তরীণ বিক্ষোভ চলছে।
আমরা দশ টন বাইবেল সাহিত্যাদি নিয়ে চারদিন ধরে ভ্রমণ করছি। আমরা ভাবতে থাকি যে, তারা আমাদের যেতে দেবে কি না। তারা কি টাকাপয়সা চাইবে? আমাদের কাজ যে শান্তিপূর্ণ, এটা তাদেরকে বিশ্বাস করাতে কতটা সময় লাগতে পারে?
বন্দুকবাজ একজন ব্যক্তি তার রাইফেল থেকে শূন্যে গুলি ছুঁড়ে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, তিনিই হচ্ছেন দলনেতা। তিনি আমাদের মোবাইল ফোনগুলোর দিকে নজর দেন এবং সেগুলো তাকে দেওয়ার জন্য দাবি করেন। আমরা যখন কিছুটা ইতস্তত করি, তখন তিনি নিজের গলার কাছে হাত নিয়ে এমন অঙ্গভঙ্গি করেন যে, যদি কেউ তার কথা না শোনে, তা হলে তিনি তাদের গলা কেটে হত্যা করবেন। আমরা ফোনগুলো দিয়ে দিই।
সামরিক পোশাক পরা একজন মহিলা হঠাৎ করে তার বন্দুকটা আঁকড়ে ধরেন এবং আমাদের দিকে আসেন। তিনি হচ্ছেন দলের “সচিব” আর তিনি চান তাকেও যেন আমরা কিছু দিই। জীবন খুবই কষ্টকর আর আদায় করে নেওয়া যেকোনো ছোট্ট “উপহার,” কোনো না কোনো সময়ে কাজে লাগবে। এরপর আরেকজন সৈন্য তার তেলের পাত্র ভরার জন্য আমাদের ট্রাকের তেলের ট্যাঙ্ক খুলে ফেলেন। আমাদের বাধা উপেক্ষা করে তিনি বলেন যে, তিনি শুধু আদেশ পালন করছেন। আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা কেবল আশা করতে থাকি যে, অন্যেরাও যেন একই বিষয় না করে।
অবশেষে, সেই ব্যারিকেড তুলে নেওয়া হয় আর আমরা আমাদের গন্তব্যে চলতে শুরু করি। আমি এবং আমার সঙ্গী স্বস্তিবোধ করি। পরিস্থিতিটা উত্তেজনাকর ছিল, তবে আমরা এই ধরনের ভীতিকর চেকপয়েন্টগুলোর বিষয়ে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। ২০০২ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে আমরা ক্যামেরুনের দুয়ালা বন্দর থেকে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের রাজধানী বাংগি পর্যন্ত ১৮ বার যাত্রা করেছি। ১,৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রা সবসময়ই নানা ঝুঁকি এবং বিস্ময়ে পূর্ণ থাকে। *
“এই সফরগুলো আমাদেরকে অনেক কিছু শিখিয়েছে,” জোজেফ এবং এমানুয়েল নামের চালকরা বলে, যারা নিয়মিতভাবে এই যাত্রায় অংশ নিয়েছে। “অনেকবার নীরবে প্রার্থনা করা আর এরপর শান্ত থাকাই বিজ্ঞতার কাজ। ‘আমি ঈশ্বরে নির্ভর করিয়াছি, ভয় করিব না,’ গীতরচক লিখেছিলেন। ‘মনুষ্য আমার কি করিতে পারে?’ আমরা একই মনোভাব রাখার চেষ্টা করি। আমরা নিশ্চিত বোধ করি যে, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এক আশার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের যাত্রা সম্বন্ধে যিহোবা অবগত আছেন।”—আধ্যাত্মিক খাদ্য জোগানোর জন্য এক আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা
আফ্রিকার এই অংশে অনেকেই ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার শুনতে পছন্দ করে। আমাদের বহনকৃত সাহিত্যাদি তাদের আত্মাতে দীনহীন অবস্থা বা আধ্যাত্মিক চাহিদা পূরণে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে। (মথি ৫:৩; ২৪:১৪) ক্যামেরুনের দুয়ালাতে অবস্থিত যিহোবার সাক্ষিদের শাখা অফিস ক্যামেরুনে এবং প্রতিবেশী চারটে দেশে বসবাসরত ৩০,০০০রেরও বেশি রাজ্য প্রকাশক ও আগ্রহী লোকেদের কাছে নিয়মিতভাবে সাহিত্যাদি পাঠিয়ে থাকে।
এই সাহিত্যাদি ইতিমধ্যেই এক দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়েছে। এর অধিকাংশই ইতালি, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফিনল্যান্ড এবং স্পেনে ছাপানো হয়েছে। এরপর এগুলো ফ্রান্স থেকে সমুদ্রপথে জাহাজে করে পাঠানো হয়েছে। সাধারণত প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর, বাইবেল সাহিত্যাদির একটা কন্টেইনার দুয়ালা বন্দরে পৌঁছে থাকে।
এরপর, সেই কন্টেইনার শাখা অফিসে নিয়ে আসার জন্য ট্রাকে তোলা হয়। শিপিং ডিপার্টমেন্টের কর্মীরা গন্তব্যস্থল অনুসারে সাহিত্যাদি বাছাই করে আলাদা করে থাকে। এইসমস্ত দেশের দূরবর্তী এলাকাগুলোতে প্রকাশনাদি নিয়ে যাওয়া সহজ কাজ নয়। কিন্তু, এটা “পৃথিবীর প্রান্ত পর্য্যন্ত” সুসমাচার নিয়ে যাওয়ার অংশ বিশেষ। (প্রেরিত ১:৮) শাখা অফিস এই ব্যাপারে আত্মত্যাগী স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর নির্ভর করে, যারা স্বেচ্ছায় ঝুঁকিপূর্ণ ট্রাক যাত্রাগুলো করে থাকে। এভাবে আফ্রিকার মধ্য অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ লোকের কাছে নিয়মিত বাইবেল সাহিত্যাদি সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
এক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ যাত্রা
ক্যামেরুন, চাদ, নিরক্ষীয় গিনি, গাবোন এবং মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের জন্য ট্রাকে করে সাহিত্যাদি পাঠানো হয়। আসুন আমরা একটা ট্রাক এবং এর চালকদের সঙ্গী হই। কল্পনা করুন আপনি চালকদের পাশে বসে আছেন আর এমন এক রোমাঞ্চকর
সফরের জন্য প্রস্তুত, যার জন্য দশ বা তার চেয়েও বেশি দিন সময় লাগবে।ছয়জন চালক এই ভ্রমণের সময়ে দায়িত্ব পালন করে থাকে। তাদের অবশ্যই যথেষ্ট শক্তিশালী, দক্ষ, ধৈর্যশীল এবং পোশাক-আশাকে পরিপাটী হতে হয়। তারা হয় আফ্রিকান পোশাক নতুবা টাইসহ শার্ট পরে। অতীতে শুল্ক আধিকারিকরা এইরকম মন্তব্য করেছিল: “এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ট্রাক এবং পরিপাটী পোশাক পরা চালকদের দেখুন, ঠিক যেমনটা আপনি তাদের প্রকাশনার ছবিগুলোতে তাদেরকে দেখে থাকেন।” কিন্তু, চালকদের বাহ্যিক অবস্থার চাইতে যে-বিষয়টা আরও গুরুত্বপূর্ণ তা হল, অন্যদের সেবা করতে প্রয়োজনে যেকোনো জায়গায় যাওয়ার জন্য তাদের ইচ্ছুক মনোভাব।—গীতসংহিতা ১১০:৩.
অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা শহরের বিরাট যানজট পরিহার করার জন্য দুয়ালা থেকে প্রায় সকাল ছয়টায়, সূর্যোদয়ের ঠিক পর পরই বের হতে হয়। শাখা অফিসের কাছে অবস্থিত একটা সেতু এবং ব্যস্ত শহর অতিক্রম করার পর, আমরা পূর্বদিকে—আমাদের প্রথম গন্তব্যস্থল ক্যামেরুনের রাজধানী ইয়াউন্ডের দিকে—যেতে থাকি।
ছয়জন চালকের সকলেই আপনাকে বলবে যে, দশ টন বইপত্রে বোঝাই একটা ট্রাক সামলানো কতখানি কঠিন। প্রথম তিন দিন পাকা রাস্তায় খুব কম সমস্যাই দেখা দেয় কিন্তু তা সত্ত্বেও, পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার ও সতর্কতা অবলম্বন করার দরকার রয়েছে। এরপর, হঠাৎ করে আমরা প্রবল বৃষ্টির মধ্যে পড়ে যাই। এখান থেকে মাটির রাস্তা শুরু হয়। দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখা যায় না, রাস্তা পিচ্ছিল থাকে আর রাস্তা এবড়োখেবড়ো বলে আমাদেরকে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাতে হয়। এরপর সন্ধ্যা নেমে আসে। এই সময়ে আমরা গাড়ি থামাই, কিছু খাবারদাবার খাই এবং ড্যাশবোর্ডের ওপর আমাদের পা তুলে ঘুমানোর চেষ্টা করি। এই ধরনের সফরে জীবন এমনই!
পরদিন খুব সকালে আমাদের যাত্রা পুনরায় শুরু হয়। চালকদের মধ্যে একজন রাস্তার পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রেখে সাহায্য করতে থাকেন। যদি আমরা রাস্তার পাশে কোনো খাতের খুব কাছাকাছি চলে আসি, তা হলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক করে দেন। চালকরা খুব ভালভাবেই জানে যে, যদি তারা একটা খাতের মধ্যে গিয়ে পড়ে, তা হলে সেখান থেকে উঠতে কয়েক দিনও লেগে যেতে পারে। আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত না সীমানা অতিক্রম করে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে প্রবেশ করি, ততক্ষণ পর্যন্ত রাস্তাঘাটের অবস্থা তেমন একটা উন্নত নয়। পরবর্তী ৬৫০ কিলোমিটার পথ আমরা চমৎকার বাগান, পাহাড়ি গ্রামাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যাই। আমরা যখন গ্রামের মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাই, তখন সেখানকার ছোট ছোট ছেলেমেয়ে, বয়স্ক লোকেরা এবং পিঠে বেঁধে রাখা শিশুসহ মায়েরা আমাদের উদ্দেশে হাত নাড়ে। আভ্যন্তরীণ বিক্ষোভের কারণে এই দিনগুলোতে রাস্তায় খুব অল্পই গাড়ি দেখা যায়, তাই লোকেরা উৎসুকভাবে আমাদের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
পরিতৃপ্তিদায়ক অভিজ্ঞতাগুলো
আমাদের চালকদের মধ্যে জাঁভিয়া নামে একজন আমাদের বলেন যে, ব্যস্ত তালিকা সত্ত্বেও তারা কিছুটা বিশ্রাম নেওয়ার জন্য প্রায়ই ছোট গ্রামগুলোতে থামে এবং বাইবেল সাহিত্যাদি বিতরণ করে। তিনি স্মরণ করে বলেন: “বাবুয়াতে আমরা সবসময়ই হাসপাতালের একজন পরিচারকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করতাম, যিনি রাজ্যের বার্তার প্রতি প্রচুর আগ্রহ দেখিয়েছিলেন এবং আমরা তার সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বাইবেল অধ্যয়ন
পরিচালনা করতাম। এমনকি একদিন আমরা তাকে এবং তার পরিবারকে নোহ সম্বন্ধে ভিডিও ক্যাসেটও দেখিয়েছিলাম। বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীরা এসেছিল এবং তার ঘর অল্পসময়ের মধ্যে আগ্রহী দর্শকে ভরে গিয়েছিল। প্রত্যেকেই নোহ সম্বন্ধে শুনেছিল কিন্তু এখন তারা তার কাহিনি টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে পেয়েছে। তাদের উপলব্ধি দেখতে পাওয়াটা খুবই হৃদয়গ্রাহী ছিল। এরপর, তারা তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছিল এবং রাতে সেখানে থাকার জন্য পীড়াপীড়ি করেছিল। যদিও আমাদেরকে তখনই নিজেদের গন্তব্যস্থলে রওনা দিতে এবং দীর্ঘ যাত্রা অব্যাহত রাখতে হয়েছিল কিন্তু আমরা এই নম্র লোকেদের কাছে সুসমাচার জানাতে পেরে আনন্দিত হয়েছিলাম।”ইজরেল নামে আরেকজন চালক, আমাদের গন্তব্যস্থল বাংগির দিকে যাত্রার সময়ের আরেকটা ঘটনা স্মরণ করেন। “যতই আমরা বাংগির নিকটবর্তী হচ্ছিলাম,” তিনি বর্ণনা করেন, “ততই আমরা ব্যারিকেডের সম্মুখীন হচ্ছিলাম। আনন্দের বিষয় যে, অনেক সৈন্য বন্ধুত্বপরায়ণ ছিল এবং পূর্বের সফরগুলোর কারণে আমাদের ট্রাকের বিষয় মনে করতে পেরেছিল। তারা আমাদেরকে তাদের সঙ্গে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল এবং আনন্দের সঙ্গে বাইবেল সাহিত্যাদি গ্রহণ করেছিল। একটি বই তাদের কাছে মহামূল্যবান ছিল, তাই তারা বইটিতে তাদের নাম এবং তারিখ ও সেইসঙ্গে বইটি যিনি তাদেরকে দিয়েছিলেন, তার নাম লিখে রেখেছিল। কয়েক জন সৈন্যের আত্মীয়স্বজন সাক্ষি ছিল আর তাই তাদের বন্ধুত্বপরায়ণ হওয়ার এটাও একটা কারণ ছিল।”
সবচেয়ে অভিজ্ঞ চালক জোজেফ সেই বিষয় সম্বন্ধে বলেন, যেটাকে তিনি এই ধরনের সফরের প্রধান অংশ বলে মনে করেন আর তা হচ্ছে, গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো। একটা নির্দিষ্ট সফরের বিষয়ে তিনি স্মরণ করে বলেন: “বাংগির ঠিক কয়েক কিলোমিটার দূরে থাকতেই, আমরা আমাদের ভাইদেরকে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, আমরা খুব শীঘ্রই পৌঁছাব। তারা আমাদেরকে শহরের মধ্য দিয়ে নিয়ে আসে এবং আইনগত কিছু বিষয় সম্পাদন করতে আমাদের সাহায্য করে। আমাদের পৌঁছানোর পর, শাখা অফিসের সকলে আমাদেরকে উষ্ণ আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা জানাতে বের হয়ে আসে। কাছাকাছি মণ্ডলীগুলো থেকে সাহায্যকারীরা আসে এবং কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বাইবেল, বইপত্র, পুস্তিকা এবং পত্রিকার শত শত কার্টন ট্রাক থেকে নামানো হয় এবং গুদামে রাখার জন্য জড়ো করা হয়।”
“কখনো কখনো,” জোজেফ আরও বলেন, “আমাদের মালপত্রের মধ্যে দানকৃত কাপড়চোপড়, জুতা এবং বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন জিনিস থাকত, যেগুলো প্রতিবেশী দেশ কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের জন্য পাঠানো হতো। কৃতজ্ঞ ভাইবোনদের হাসি দেখতে পাওয়া কতই না আনন্দদায়ক ছিল!”
একদিন বিশ্রাম নেওয়ার পর, আমরা আমাদের ট্রাক নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হই এবং ফিরতি পথে যাত্রা করি। সামনে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে কিন্তু আমাদের যেসব পরিতৃপ্তিদায়ক অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেগুলো যেকোনো কষ্টকে পুষিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।
দীর্ঘ পথ, মুষলধারে বৃষ্টিপাত, খারাপ রাস্তা, গাড়ির চাকা বদলানো এবং কোনো মেরামতের প্রয়োজন দেখা দিলে তা হয়তো বিরক্তিকর হতে পারে। সবসময় উচ্ছৃঙ্খল সৈন্যদের মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু, আফ্রিকার দূরবর্তী অঞ্চলগুলোতে রাজ্যের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার এবং যারা তা গ্রহণ করে, সেই লোকেদের জীবনে এর প্রভাব দেখার চেয়ে অন্য কোনোকিছুই এই চালকদের জন্য আরও বেশি পরিতৃপ্তি নিয়ে আসতে পারে না।
উদাহরণ হিসেবে, এই বহনকারীদের কারণেই সুদানের সীমান্তের কাছাকাছি মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের দূরবর্তী অঞ্চলের একজন গ্রামবাসী এখন বাইবেলের একটা আধুনিক অনুবাদ পড়তে পারছেন। তার স্ত্রী প্রহরীদুর্গ পত্রিকার সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলো অধ্যয়ন করছেন এবং তাদের ছেলেমেয়েরা মহান শিক্ষকের কাছ থেকে শেখো * (ইংরেজি) বইটি থেকে উপকৃত হচ্ছে। তারা এবং এইসব গ্রামাঞ্চলের আরও অনেকেই আধ্যাত্মিক খাদ্য পাচ্ছে, যেমনটা বড় বড় শহরে তাদের খ্রিস্টান ভাইবোনেরা পাচ্ছে। এটা প্রকৃতই প্রচুর পরিতৃপ্তির উৎস!
[পাদটীকাগুলো]
^ এই সময়ে, দুয়ালা ও বাংগির মধ্যে রাস্তার নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য অনেক কিছু করা হয়েছে।
^ যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত।
[৯ পৃষ্ঠার মানচিত্রগুলো/চিত্র]
(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)
ক্যামেরুন
দুয়ালা
মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র
বাংগি
[৯ পৃষ্ঠার চিত্র]
জোজেফ
[৯ পৃষ্ঠার চিত্র]
এমানুয়েল
[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]
বাংগিতে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের শাখা অফিস
[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]
বাংগিতে ট্রাক থেকে মালপত্র নামানো হচ্ছে