সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনি কি অন্যদের কাছে সতেজতাদায়ক?

আপনি কি অন্যদের কাছে সতেজতাদায়ক?

আপনি কি অন্যদের কাছে সতেজতাদায়ক?

 লেবানন-সিরিয়া সীমান্তের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত পর্বতমালায়, হর্মোণ পর্বতের বিশাল চূড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,৮১৪ মিটারের চেয়ে উঁচু। বছরের বেশির ভাগ সময়ই, হর্মোণের চূড়া বরফে ঢাকা থাকে আর রাতের উষ্ণ জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে শিশির উৎপন্ন করে। পাহাড়ের ঢালে দেবদারু জাতীয় গাছের ও ফলের গাছের ওপর এবং পাহাড়ের পাদদেশে আঙুর খেতের ওপর শিশির ক্ষরে পড়ে। প্রাচীন ইস্রায়েলের দীর্ঘ শুষ্ক ঋতুতে, এইরকম সতেজতাদায়ক শিশির গাছপালার জন্য আর্দ্রতার মূল উৎস ছিল।

ঐশিকভাবে অনুপ্রাণিত এক গীতে, যিহোবার উপাসকদের মাঝে সতেজতাদায়ক একতাকে “হর্ম্মোণের শিশিরের” সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, “যাহা সিয়োন পর্ব্বতে ক্ষরিয়া পড়ে।” (গীতসংহিতা ১৩৩:১,) ঠিক যেমন হর্মোণ পর্বত উদ্ভিদের জন্য সতেজতাদায়ক শিশির সরবরাহ করে থাকে, তেমনই আমরাও যাদের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ হয় তাদেরকে সতেজতা প্রদান করতে পারি। কীভাবে আমরা তা করতে পারি?

যিশুর সতেজতাদায়ক উদাহরণ

যিশু খ্রিস্ট অন্যদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিলেন। তাঁর সঙ্গে এমনকি ক্ষণিকের সাক্ষাৎও খুবই সতেজতাদায়ক হতে পারত। উদাহরণস্বরূপ, সুসমাচার লেখক মার্ক বলেন: “[যিশু শিশুদিগকে] কোলে করিলেন, ও তাহাদের উপরে হস্তার্পণ করিয়া আশীর্ব্বাদ করিলেন।” (মার্ক ১০:১৬) সেই অল্পবয়সি ছেলেমেয়েদের জন্য তা নিশ্চয়ই কত সতেজতাদায়কই না ছিল!

মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে তাঁর শেষ রাতে, যিশু তাঁর শিষ্যদের পা ধুইয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর নম্রতা নিশ্চয়ই তাদের হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল। তারপর যিশু তাদের বলেছিলেন: “আমি তোমাদিগকে দৃষ্টান্ত দেখাইলাম, যেন তোমাদের প্রতি আমি যেমন করিয়াছি, তোমরাও তদ্রূপ কর।” (যোহন ১৩:১-১৭) হ্যাঁ, তাদেরও নম্র হওয়ার দরকার ছিল। যদিও প্রেরিতরা তখনই বিষয়টা বুঝতে পারেনি এবং পরে সেই রাতেই, তাদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ বলে গণ্য হবে, সেই নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু করেছিল কিন্তু যিশু বিরক্ত হননি। পরিবর্তে, তিনি ধৈর্য সহকারে তাদের সঙ্গে যুক্তি করেছিলেন। (লূক ২২:২৪-২৭) এমনকি “[যিশু] নিন্দিত হইলে প্রতিনিন্দা করিতেন না।” বস্তুতপক্ষে, “তিনি . . . দুঃখভোগ কালে তর্জ্জন করিতেন না, কিন্তু যিনি ন্যায় অনুসারে বিচার করেন, তাঁহার উপর ভার রাখিতেন।” যিশুর সতেজতাদায়ক উদাহরণ অনুকরণযোগ্য।—১ পিতর ২:২১, ২৩.

যিশু বলেছিলেন: “আমার যোঁয়ালি আপনাদের উপরে তুলিয়া লও, এবং আমার কাছে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে” বা সতেজতা লাভ করবে। (মথি ১১:২৯) যিশুর দ্বারা ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষাপ্রাপ্ত হওয়ার বিষয়টা একটু কল্পনা করে দেখুন। তাদের সমাজগৃহে তাঁকে শিক্ষা দিতে শোনার পর, তাঁর নিজ অঞ্চলের লোকেরা চমৎকৃত হয়ে বলেছিল: “ইহার এমন জ্ঞান ও এমন পরাক্রম-কার্য্য সকল কোথা হইতে হইল?” (মথি ১৩:৫৪) যিশুর জীবনী ও পরিচর্যা সম্বন্ধে পড়া আমাদেরকে অন্যদের কাছে সতেজতাদায়ক হওয়া সম্বন্ধে অনেক কিছু শিক্ষা দিতে পারে। আসুন আমরা বিবেচনা করে দেখি যে, কীভাবে যিশু গঠনমূলক কথাবার্তা এবং সাহায্য করার মনোভাব রাখার দ্বারা এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন।

গঠনমূলক কথাবার্তা বজায় রাখা

একটা নতুন বাড়ি গড়ে তোলার চেয়ে সেটাকে ভেঙে ফেলা আরও বেশি সহজ। ভাঙা-গড়া সম্বন্ধীয় এই একই নীতি আমাদের কথাবার্তার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অসিদ্ধ মানুষ হিসেবে, আমাদের সকলেরই দোষত্রুটি রয়েছে। রাজা শলোমন বলেছিলেন: “এমন ধার্ম্মিক লোক পৃথিবীতে নাই, যে সৎকর্ম্ম করে, পাপ করে না।” (উপদেশক ৭:২০) অন্য ব্যক্তির দোষ ধরা ও ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্যের দ্বারা তার মনোবল ভেঙে দেওয়া সহজ। (গীতসংহিতা ৬৪:২-৪) অন্যদিকে, আমাদের কথাবার্তাকে গঠনমূলক রাখার জন্য দক্ষতার প্রয়োজন।

যিশু লোকেদেরকে গড়ে তোলার জন্য তাঁর জিহ্বাকে ব্যবহার করেছিলেন। তাদের কাছে রাজ্যের সুসমাচার ঘোষণা করার দ্বারা যিশু তাদেরকে আধ্যাত্মিক সতেজতা প্রদান করেছিলেন। (লূক ৮:১) এ ছাড়া, যারা যিশুর শিষ্য হয়েছিল তাদের কাছে তাঁর স্বর্গীয় পিতাকে প্রকাশ করার দ্বারাও তিনি তাদেরকে সতেজ করেছিলেন। (মথি ১১:২৫-২৭) তাই, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, লোকেরা যিশুর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল!

এর বিপরীতে, অধ্যাপক ও ফরীশীরা অন্যদের প্রয়োজনগুলোর প্রতি বিবেচনা দেখাত না। যিশু বলেছিলেন, “তাহারা . . . ভোজে প্রধান স্থান, সমাজগৃহে প্রধান প্রধান আসন, . . . ভালবাসে।” (মথি ২৩:৫-৭) বস্তুতপক্ষে, সাধারণ লোকেদেরকে তারা নিচু চোখে দেখত, তাই বলেছিল: “এই যে লোকসমূহ ব্যবস্থা জানে না, ইহারা শাপগ্রস্ত।” (যোহন ৭:৪৯) সেই মনোভাবের মধ্যে নিশ্চয়ই সতেজতাদায়ক কিছুই ছিল না!

আমাদের হৃদয়ে কী আছে এবং অন্যদেরকে আমরা কোন দৃষ্টিতে দেখি, তা আমাদের কথাবার্তা প্রায়ই প্রকাশ করে দেয়। যিশু বলেছিলেন: “ভাল মানুষ আপন হৃদয়ের ভাল ভাণ্ডার হইতে ভালই বাহির করে; এবং মন্দ মানুষ মন্দ ভাণ্ডার হইতে মন্দই বাহির করে; যেহেতুক হৃদয়ের উপচয় হইতে তাহার মুখ কথা কহে।” (লূক ৬:৪৫) তা হলে, আমাদের কথাবার্তা যে অন্যদের কাছে সতেজতাদায়ক, সেটা নিশ্চিত করার জন্য আমরা কী করতে পারি?

একটা বিষয় হচ্ছে, কোনো কথা বলার আগে আমরা একটু থেমে চিন্তা করতে পারি। হিতোপদেশ ১৫:২৮ পদ বলে: “ধার্ম্মিকের মন উত্তর করিবার নিমিত্ত চিন্তা করে।” এইরকম চিন্তা করার জন্য অনেক সময়ের দরকার নেই। আগে থেকে একটু চিন্তা করে নিলেই, আমরা সাধারণত নির্ধারণ করতে পারব যে, আমাদের মন্তব্যগুলোকে লোকেরা কীভাবে নেবে। আমরা নিজেদেরকে জিজ্ঞেস করতে পারি: ‘আমি যা বলতে যাচ্ছি, তা কি প্রেমময়? এটা কি সত্য নাকি কেবল গুজবের ওপর ভিত্তি করে? এটা কি “যথাকালে কথিত বাক্য?” আমি যাদেরকে এটা বলি তাদেরকে কি এটা সতেজ করবে ও গড়ে তুলবে?’ (হিতোপদেশ ১৫:২৩) আমরা যদি বুঝতে পারি যে, চিন্তাধারাটা গঠনমূলক অথবা সময়োপযোগী নয়, তা হলে আসুন আমরা সেটাকে উপেক্ষা করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করি। কেবলমাত্র নেতিবাচক কথাবার্তা পরিহার করা পরিবর্তে, আরও গঠনমূলক ও উপযুক্ত কিছু বলার চেষ্টা করুন না কেন? অবিবেচনাপূর্ণ কথাবার্তা “খড়্গাঘাতের” মতো কিন্তু গঠনমূলক কথাবার্তা “স্বাস্থ্যস্বরূপ।”—হিতোপদেশ ১২:১৮.

আরেকটা সাহায্য হল, যে-বিষয়গুলো ঈশ্বরের দৃষ্টিতে আমাদের সহবিশ্বাসীদেরকে মহামূল্যবান করে তোলে, সেগুলোর ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা। যিশু বলেছিলেন: “পিতা, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তিনি আকর্ষণ না করিলে কেহ আমার কাছে আসিতে পারে না।” (যোহন ৬:৪৪) যিহোবা তাঁর প্রত্যেক বিশ্বস্ত দাসের—এমনকি সেই ব্যক্তিদেরও যাদের এক কঠোর ব্যক্তিত্ব রয়েছে বলে আমরা মনে করি, তাদেরও—উত্তম গুণগুলোকে দেখেন। তাদের উত্তম গুণগুলোকে শনাক্ত করার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা করার দ্বারা, আমরা তাদের সম্বন্ধে গঠনমূলক কথা বলার কারণ খুঁজে পাব।

অন্যদের সাহায্য করুন

যিশু নিপীড়িত ব্যক্তিদের দুর্দশা পুরোপুরিভাবে বুঝতে পেরেছিলেন। বস্তুতপক্ষে, “বিস্তর লোক দেখিয়া তিনি তাহাদের প্রতি করুণাবিষ্ট হইলেন, কেননা তাহারা ব্যাকুল ও ছিন্নভিন্ন ছিল, যেন পালকবিহীন মেষপাল।” (মথি ৯:৩৬) কিন্তু যিশু শুধু তাদের করুণ অবস্থার চেয়ে আরও বেশি কিছু দেখেছিলেন; তিনি তাদেরকে সাহায্য করার জন্য কিছু করেছিলেন। তিনি এই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন: “হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব” বা সতেজ করব। এ ছাড়া, তিনি এই আশ্বাসও দিয়েছিলেন: “আমার যোঁয়ালি সহজ ও আমার ভার লঘু।”—মথি ১১:২৮, ৩০.

আজকে, আমরা ‘বিষম সময়ে’ বাস করছি। (২ তীমথিয় ৩:১) অনেক লোকই ‘সংসারের চিন্তায়’ নিজেদের ভারগ্রস্ত বলে মনে করে। (মথি ১৩:২২) অন্যদের বিভিন্ন দুর্দশাদায়ক ব্যক্তিগত পরিস্থিতির বোঝা রয়েছে। (১ থিষলনীকীয় ৫:১৪) যাদের সতেজতার প্রয়োজন রয়েছে, কীভাবে আমরা তাদেরকে তা জোগাতে পারি? খ্রিস্টের মতো, আমরা তাদের ভার লাঘব করার জন্য সাহায্য করতে পারি।

কেউ কেউ তাদের সমস্যাগুলো সম্বন্ধে অন্যদের সঙ্গে কথা বলার দ্বারা নিজেদেরকে ভারমুক্ত করার চেষ্টা করে। হতাশ ব্যক্তিরা যদি আমাদের কাছে সাহায্যের জন্য আসে, তা হলে আমরা কি মন দিয়ে তাদের কথা শোনার জন্য সময় করে নিই? একজন সহমর্মী শ্রোতা হওয়ার জন্য আত্মশাসনের প্রয়োজন। কীভাবে উত্তর দেব অথবা কীভাবে সমস্যাটার সমাধান করব, সেই সম্বন্ধে চিন্তা করার পরিবর্তে বরং এর সঙ্গে অন্য ব্যক্তি যা বলছে, তাতে মনোযোগ দেওয়া জড়িত। মন দিয়ে শুনে, চোখের দিকে তাকিয়ে এবং যখন উপযুক্ত, তখন একটু হেসে আমরা দেখাই যে আমরা তাদের জন্য চিন্তা করি।

খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে, সহবিশ্বাসীদের উৎসাহিত করার জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কিংডম হলের সভাগুলোতে যোগ দেওয়ার সময়, আমরা সেই ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে পারি, যারা স্বাস্থ্যগত সমস্যাগুলোর সঙ্গে লড়াই করছে। মাঝে মাঝে তাদেরকে গড়ে তোলার জন্য যা প্রয়োজন তা হচ্ছে, সভার আগে অথবা পরে, তাদেরকে উৎসাহজনক কিছু বলার জন্য একটু সময় করে নেওয়া। এ ছাড়া, আমরা যে-বই অধ্যয়ন দলে যোগ দিই, সেই দলের সদস্যদের মধ্যে অনুপস্থিত থাকা ব্যক্তিদের বিষয়েও হয়তো আমরা লক্ষ রাখতে পারি। সম্ভবত আমরা তাদেরকে ফোন করে তাদের মঙ্গলের প্রতি আমাদের আগ্রহের কথা প্রকাশ করতে অথবা তাদেরকে সাহায্য প্রদান করতে পারি।—ফিলিপীয় ২:৪.

খ্রিস্টান প্রাচীনরা মণ্ডলীতে এক গুরু দায়িত্বের ভার বহন করে। আমরা সহযোগিতা করার এবং যে-কার্যভার পাই, সেটা নম্রতভাবে পালন করার দ্বারা তাদের ভারকে লাঘব করতে সাহায্য করায় অনেক কিছু করতে পারি। ঈশ্বরের বাক্য আমাদের জোরালো পরামর্শ দেয়: “তোমরা তোমাদের নেতাদিগের আজ্ঞাগ্রাহী ও বশীভূত হও, কারণ নিকাশ দিতে হইবে বলিয়া তাঁহারা তোমাদের প্রাণের নিমিত্ত প্রহরি-কার্য্য করিতেছেন,—যেন তাঁহারা আনন্দপূর্ব্বক সেই কার্য্য করেন, আর্ত্তস্বরপূর্ব্বক না করেন; কেননা ইহা তোমাদের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।” (ইব্রীয় ১৩:১৭) এক ইচ্ছুক মনোভাব প্রদর্শন করার দ্বারা, আমরা সেই ব্যক্তিদের সতেজ করতে পারি, যারা “উত্তমরূপে শাসন করেন।”—১ তীমথিয় ৫:১৭.

গঠনমূলক কথাবার্তায় ও সাহায্যকারী কাজকর্মে উপচে পড়ুন

সতেজতাদায়ক শিশির উৎপন্ন হয় অসংখ্য অতি ক্ষুদ্র জলবিন্দু থেকে, যা হঠাৎ করে মৃদুভাবে ক্ষরে পড়ে। একইভাবে, অন্যদের কাছে সতেজতাদায়ক হওয়া সম্ভবত শুধু একবার প্রশংসনীয় কাজ করার ফলে হয় না, বরং এটা সবসময়ই আমাদের খ্রিস্টতুল্য গুণগুলোকে প্রদর্শন করার ক্রমবর্ধমান প্রভাব থেকে হয়ে থাকে।

“ভ্রাতৃপ্রেমে পরস্পর স্নেহশীল হও,” প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন। “সমাদরে এক জন অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর।” (রোমীয় ১২:১০) আসুন আমরা পৌলের পরামর্শকে কাজে লাগাই। আমাদের কথাবার্তা ও কাজকর্মের দ্বারা, আমরা যেন সত্যিই অন্যদের কাছে সতেজতাদায়ক হই।

[১৬ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

হর্মোণ পর্বতের শিশির—গাছপালার জন্য আর্দ্রতার এক সতেজতাদায়ক উৎস

[১৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

একজন সহমর্মী শ্রোতা অন্যদেরকে সতেজ করেন