প্রাচীন মৃৎপাত্রের টুকরো বাইবেলের বিবরণকে সুনিশ্চিত করে
প্রাচীন মৃৎপাত্রের টুকরো বাইবেলের বিবরণকে সুনিশ্চিত করে
বাইবেল হল ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত বাক্য। (২ তীমথিয় ৩:১৬) এটি প্রাচীনকালের লোকজন, স্থান এবং ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিগুলো সম্বন্ধে যা বলে, তা সঠিক। শাস্ত্রের প্রামাণিকতা কোনোভাবেই প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর ওপর নির্ভর করে না, যদিও এই ধরনের আবিষ্কারগুলো বাইবেলের বিবরণ সম্বন্ধে আমাদের বোধগম্যতাকে সুনিশ্চিত অথবা জ্ঞানালোকিত করে।
প্রাচীন জায়গাগুলো খনন করার সময় প্রত্নতত্ত্ববিদরা যে-অসংখ্য জিনিসপত্র খুঁজে পেয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই হল মৃৎপাত্রের ভাঙা টুকরো। এ ছাড়া, মাটির পাত্রের এই টুকরোগুলোকে অসট্রাকা বলা হয়। মাটির পাত্রের টুকরোগুলো মিশর ও মেসোপটেমিয়াসহ প্রাচীন মধ্যপ্রাচ্যের অনেক জায়গায় সস্তাদামের লেখার উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বিভিন্ন চুক্তি, জমাখরচের হিসাব-নিকাশ, বিক্রয় ও এইরকম আরও অন্যান্য বিষয়ের নথি রাখার জন্য অসট্রাকা ব্যবহৃত হতো, ঠিক যেমন আজকে লেখার প্যাড ব্যবহৃত হয়। অসট্রাকার ওপর সাধারণত কালি দিয়ে লেখা হতো আর এখানকার পাঠ্যাংশগুলোর কোনোটাতে মাত্র একটা শব্দ থাকত, আবার কোনোটাতে অনেক লাইন অথবা কলম থাকত।
ইস্রায়েলে প্রত্নতাত্ত্বিক খননগুলো বাইবেলের সময়ের অসংখ্য অসট্রাকা আবিষ্কার করেছে। সা.কা.পূ. সপ্তম থেকে অষ্টম শতাব্দীর তিনটে সংগ্রহ বিশেষ আগ্রহের বিষয়, কারণ সেগুলো বাইবেলে পাওয়া ঐতিহাসিক তথ্যের বিভিন্ন বিস্তারিত বর্ণনাকে সুনিশ্চিত করে। এগুলো হল শমরিয়া অসট্রাকা, অরাদ অসট্রাকা এবং লাখীশ অসট্রাকা। আসুন আমরা এই সংগ্রহগুলোর প্রত্যেকটা ভাল করে পরীক্ষা করি।
শমরিয়া অসট্রাকা
সাধারণ কাল পূর্ব ৭৪০ সালে অশূরীয়দের দ্বারা পরাজিত হওয়ার আগে পর্যন্ত শমরিয়া নগরটি ইস্রায়েলের উত্তর রাজ্যের দশ বংশের রাজধানী ছিল। শমরিয়ার উৎপত্তি সম্বন্ধে ১ রাজাবলি ১৬:২৩, ২৪ পদ জানায়: “যিহূদা-রাজ আসার একত্রিংশ বৎসরে [সা.কা.পূ. ৯৪৭ সালে] অম্রি ইস্রায়েলের উপরে রাজত্ব করিতে আরম্ভ . . . করেন; . . . পরে তিনি দুই তালন্ত রৌপ্য মূল্য দিয়া শেমরের কাছে শমরিয়া পাহাড় ক্রয় করিলেন, আর সেই পাহাড়ের উপরে গাঁথিলেন; এবং যে নগর গাঁথিলেন, ঐ পাহাড়ের . . . নামানুসারে সেই নগরের নাম শমরিয়া রাখিলেন।” রোমীয়দের সময়কাল জুড়ে নগরটি অস্তিত্বে ছিল, যখন এর নাম পালটে সেবাস্টি রাখা হয়েছিল। অবশেষে সা.কা. ষষ্ঠ শতাব্দীতে এক নগর হিসেবে এর অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়েছিল।
১৯১০ সালে প্রাচীন শমরিয়ায় এক খননের সময়, প্রত্নতত্ত্ববিদদের একটা দল অসট্রাকার এক সংগ্রহ খুঁজে পেয়েছিল, যেটাকে তারা সা.কা.পূ. অষ্টম শতাব্দীর বলে মনে করেছিল। এই পাঠ্যাংশে শমরিয়ার আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাওয়া তেল ও মদের তালিকা লিপিবদ্ধ ছিল। এই আবিষ্কার সম্বন্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে, প্রাচীন অভিলিখন—বাইবেলের সময়কার জগতের কণ্ঠস্বর (ইংরেজি) বইটি বলে: “১৯১০ সালে প্রাপ্ত ৬৩টা অসট্রাকাকে . . . যথার্থভাবেই প্রাচীন ইস্রায়েল থেকে রক্ষাপ্রাপ্ত উৎকীর্ণ [লিখিত] লিপির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক সংগ্রহ বলে গণ্য করা হয়। এর গুরুত্ব শমরিয়া অসট্রাকার বিষয়বস্তু থেকে উদ্ভূত হয় না . . . বরং তা ইস্রায়েলীয় ব্যক্তিগত নাম, বংশের নাম এবং ভৌগোলিক খেতাবগুলো সম্বন্ধে তাদের ব্যাপক তালিকা থেকে উদ্ভূত হয়।” কীভাবে এই নামগুলো বাইবেলের বিবরণের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনাকে সুনিশ্চিত করে?
ইস্রায়েলীয়রা যখন প্রতিজ্ঞাত দেশ জয় করেছিল ও সেই দেশ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল, তখন শমরিয়া অঞ্চলটা মনঃশির গোষ্ঠীর এলাকায় অবস্থিত ছিল। যিহোশূয়ের পুস্তক ১৭:১-৬ পদ অনুসারে, মনঃশির বংশের দশ গোষ্ঠীকে, তার নাতি গিলিয়দের মাধ্যমে এই এলাকায় জমি ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। তারা ছিল অবীয়েষর, হেলক, অস্রীয়েল, শেখম ও শমীদা। ষষ্ঠ ব্যক্তি হেফরের কোনো নাতি ছিল না কিন্তু পাঁচ জন নাতনি—মহলা, নোয়া, হগ্লা, মিল্কা ও তির্সা—ছিল আর তারা প্রত্যেকেই দেশের এক অংশ করে জমি পেয়েছিলেন।—গণনাপুস্তক ২৭:১-৭.
শমরিয়া অসট্রাকা এই গোষ্ঠীর নামগুলোর মধ্যে সাতটা নাম সংরক্ষণ করে—পাঁচটা নামই গিলিয়দের পুত্রদের আর দুটো নাম হেফরের নাতনি হগ্লা ও নোয়ার। শমরিয়া অসট্রাকাতে সংরক্ষিত গোষ্ঠীর নামগুলো বাইবেলে প্রাপ্ত যোগসূত্র ছাড়াও, মনঃশির গোষ্ঠীর ও যে-এলাকায় তারা স্থায়ীভাবে বসবাস করত বলে বাইবেল জানায়, তার মধ্যে এক যোগসূত্র দেখায়,” এনআইভি আর্কিওলজিক্যাল স্টাডি বাইবেল বলে। তাই, বাইবেলে বর্ণিত ইস্রায়েলের প্রাচীন গোষ্ঠীর ইতিহাসের এই দিকটা, এই অসট্রাকাগুলোর দ্বারা সুনিশ্চিত করা হয়।
এ ছাড়া, শমরিয়া অসট্রাকা ইস্রায়েলীয়দের ধর্মীয় পরিস্থিতিকে, ঠিক বাইবেলে যেভাবে বর্ণিত রয়েছে, সেভাবেই সুনিশ্চিত করে। শমরিয়া অসট্রাকা যখন লেখা হয়েছিল, সেই সময়ে ইস্রায়েলীয়রা যিহোবার উপাসনাকে কনানীয়দের দেবতা বালের সঙ্গে সংযুক্ত করেছিল। এ ছাড়া, সা.কা.পূ. অষ্টম শতাব্দীতে লিখিত হোশেয়র ভবিষ্যদ্বাণীও এমন একটা সময় সম্বন্ধে ভাববাণী করেছিল, যখন ইস্রায়েল অনুতপ্ত হয়ে যিহোবাকে “আমার স্বামী” বলে ডাকবে এবং “আমার বালী [বালদেব]” অথবা “আমার নাথ” বলে আর ডাকবে না। (হোশেয় ২:১৬, ১৭) শমরিয়া অসট্রাকায় প্রাপ্ত কিছু ব্যক্তিগত নামের অর্থ “বাল আমার পিতা,” “বাল গান করেন,” “বাল বলবান,” “বাল স্মরণ করেন” এবং এই ধরনের অন্যান্য অভিব্যক্তি। প্রতি ১১ জন ব্যক্তির নামের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে যিহোবার নামের রূপ যুক্ত রয়েছে আর প্রতি ৭ জনের নামের সঙ্গে ‘বালের’ নামের রূপ যুক্ত রয়েছে।
অরাদ অসট্রাকা
অরাদ ছিল এক প্রাচীন নগর, যেটা যিরূশালেমের বেশ দক্ষিণে মোটামুটি শুষ্ক এলাকায় অবস্থিতি, যেটাকে দক্ষিণাঞ্চল বা নেগেব বলা হয়। অরাদে করা খনন কাজ শলোমনের রাজত্বের (সা.কা.পূ. ১০৩৭-৯৯৮ সাল) সময় থেকে সা.কা.পূ. ৬০৭ সালে বাবিলীয়দের দ্বারা যিরূশালেম ধ্বংস পর্যন্ত সময়কালের ছয়টা ধারাবাহিক ইস্রায়েলীয় দুর্গ আবিষ্কার করেছিল। খননকারীরা অরাদ থেকে বাইবেলের সময়ের সবচেয়ে বড় অসট্রাকার সংগ্রহটি পুনরুদ্ধার করেছিল। এটার মধ্যে ইব্রীয়, অরামীয় ও অন্যান্য ভাষায় ২০০টারও বেশি খোদাই করা বস্তু রয়েছে।
অরাদে পাওয়া অসট্রাকাগুলোর কয়েকটা যাজকীয় পরিবার সম্বন্ধে বাইবেলের তথ্যকে সুনিশ্চিত করে। উদাহরণস্বরূপ, একটা মৃৎপাত্রের টুকরো যাত্রাপুস্তক ৬:২৪ এবং গণনাপুস্তক ২৬:১১ পদে উল্লেখিত ‘কোরহের সন্তানদের’ বিষয় উল্লেখ করে। গীতসংহিতা ৪২, ৪৪-৪৯, ৮৪, ৮৫, ৮৭ এবং ৮৮-র শীর্ষলিখনগুলো এই গীতগুলোকে নির্দিষ্টভাবে “কোরহ-সন্তানদের” বলে উল্লেখ করে। অরাদ অসট্রাকায় উল্লেখিত অন্যান্য যাজকীয় পরিবার হল পশ্হূরের এবং মরেমোতের পরিবার।—১ বংশাবলি ৯:১২; ইষ্রা ৮:৩৩.
আরেকটা উদাহরণ বিবেচনা করুন। একটা দুর্গের ধ্বংসাবশেষে, যা বাবিলীয়রা যিরূশালেমকে ধ্বংস করার ঠিক আগের সময়কার, খননকারীরা দুর্গের সেনাপতির উদ্দেশে লেখা একটা মৃৎপাত্রের টুকরো খুঁজে পেয়েছিল। শাস্ত্রের প্রসঙ্গ (ইংরেজি) নামক প্রকাশনা অনুসারে, এর কিছুটা অংশ বলে: “আমার প্রভু ইলিয়াশিব। স্বয়ং ইয়াওয়ে [যিহোবা] যেন আপনার মঙ্গলের বিষয় চিন্তা করেন। . . . আপনি আমাকে যে-আদেশগুলো দিয়েছেন সেই সম্বন্ধে বলা যায়: বর্তমানে সমস্তকিছুই ঠিক আছে: তিনি ইয়াওয়ের মন্দিরে বাস করছেন।” অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি মনে করে যে, যে-মন্দিরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটা হল যিরূশালেমের মন্দির, যেটা মূলত শলোমনের সময়ে নির্মিত হয়েছিল।
লাখীশ অসট্রাকা
প্রাচীন দুর্গ নগর লাখীশ যিরূশালেম থেকে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ছিল। ১৯৩০ সালে খনন কাজ চলাকালে একসঙ্গে অনেকগুলো অসট্রাকা পাওয়া গিয়েছিল আর এর মধ্যে অন্তত ১২টা টুকরো হচ্ছে চিঠি, যেগুলোকে ‘যিহূদা যখন [বাবিলীয় রাজা] নবূখদ্নিৎসরের দ্বারা অবশ্যম্ভাবী আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল, তখন তাদের রাজনৈতিক অবস্থা ও প্রচলিত বিশৃঙ্খলার সম্বন্ধে বর্ণনার কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিঠিগুলো হচ্ছে একজন অধস্তন কর্মকর্তা ও সম্ভবত লাখীশের সেনাপতি ইয়ায়শের মধ্যে আদানপ্রদান করা চিঠি। এই চিঠিগুলোতে ব্যবহৃত ভাষা সমসাময়িক ভাববাদী যিরমিয়ের সময়কার লেখাগুলোর মতো। এগুলোর মধ্যে দুটো চিঠি কীভাবে সেই সংকটপূর্ণ সময় সম্বন্ধে বাইবেলের বিবরণকে সমর্থন করে, তা বিবেচনা করুন।
যিরমিয় ৩৪:৭ পদে ভাববাদী সেই সময় সম্বন্ধে বর্ণনা করেন, যখন “বাবিল-রাজের সৈন্য যিরূশালেমের বিরুদ্ধে, ও যিহূদার অবশিষ্ট সমস্ত নগরের বিরুদ্ধে, লাখীশের বিরুদ্ধে ও অসেকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতেছিল; বাস্তবিক যিহূদা দেশস্থ নগরের মধ্যে প্রাচীরবেষ্টিত সেই দুইটীমাত্র নগর অবশিষ্ট ছিল।” লাখীশের চিঠিগুলোর একটার লেখক সেই একই ঘটনাগুলোর বর্ণনা করেন বলে মনে হয়। তিনি লেখেন: “আমরা লাখীশের [অগ্নি] সংকেতের (ধ্বজাগুলোর) জন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখছি . . . কারণ আমরা অসেকারকে দেখতে পাচ্ছি না।” অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি মনে করে এটা ইঙ্গিত করে যে, অসেকা বাবিলীয়দের কাছে পরাজিত হয়েছিল আর এরপর লাখীশের পরাজিত হওয়ার কথা ছিল। এই পাঠ্যাংশে একটা আগ্রহজনক বিবরণ হল যে, এতে ‘ধ্বজার’ উল্লেখ রয়েছে। যিরমিয় ৬:১ পদও যোগাযোগের এই ধরনের মাধ্যম ব্যবহারের বিষয় উল্লেখ করে।
লাখীশের আরেকটা চিঠি, বাবিলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সময় মিশর থেকে সাহায্য পাওয়ার জন্য যিহূদার রাজার প্রচেষ্টা সম্বন্ধে ভাববাদী যিরমিয় ও যিহিষ্কেল যা বলেন, সেটাকে সমর্থন করে বলে মনে হয়। (যিরমিয় ৩৭:৫-৮; ৪৬:২৫, ২৬; যিহিষ্কেল ১৭:১৫-১৭) লাখীশের চিঠিটি বলে: “এখন আপনার দাস নিম্নোক্ত তথ্যটি পেয়েছে: ইলনাতানের পুত্র সেনাপতি কনিয়াহু মিশরে প্রবেশ করার জন্য দক্ষিণ দিকে চলে গিয়েছেন।” পণ্ডিত ব্যক্তিরা সাধারণত এই পদক্ষেপকে মিশরের কাছ থেকে সামরিক সাহায্য পাওয়ার জন্য এক প্রচেষ্টা হিসেবে ব্যাখ্যা করে।
এ ছাড়া, লাখীশ অসট্রাকা বেশ কিছু নাম উল্লেখ করে, যে-নামগুলো যিরমিয় বইয়ে পাওয়া যায়। এই নামগুলো হল নেরিয়, যাসিনিয়, গমরিয়, ইল্নাথন ও হোশয়িয়। (যিরমিয় ৩২:১২; ৩৫:৩; ৩৬:১০, ১২; ৪২:১) এই নামগুলো একই ব্যক্তিদেরকে প্রতিনিধিত্ব করে কি না, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায় না। কিন্তু যেহেতু যিরমিয় সেই সময়ে বাস করতেন, তাই সাদৃশ্য লক্ষণীয়।
এক সাধারণ বৈশিষ্ট্য
শমরিয়া, অরাদ ও লাখীশ অসট্রাকা সংগ্রহগুলো বাইবেলে লিপিবদ্ধ বেশ কিছু বিস্তারিত বিবরণকে সুনিশ্চিত করে। এগুলোর অন্তর্ভুক্ত হল পারিবারিক নাম, ভৌগোলিক খেতাব এবং সেই সময়ের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্বন্ধীয় বিভিন্ন বিষয়। কিন্তু, তিনটে সংগ্রহের মধ্যেই একটা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
অরাদ ও লাখীশ সংগ্রহগুলোতে পাওয়া চিঠিগুলোতে এই ধরনের বাক্যাংশ রয়েছে যেমন, “যিহোবা যেন আপনার ওপর শান্তি বর্তান।” লাখীশের বার্তাগুলোর সাতটার মধ্যে মোট ১১ বার ঈশ্বরের নামের উল্লেখ রয়েছে। অধিকন্তু, তিনটে সংগ্রহের মধ্যেই যে-ব্যক্তিগত অনেক ইব্রীয় নাম পাওয়া গিয়েছে, সেগুলোতে যিহোবা নামের সংক্ষিপ্ত রূপ রয়েছে। তাই, এই অসট্রাকাগুলো সুনিশ্চিত করে যে, সেই সময়কার ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে ঐশিক নাম বহুল ব্যবহৃত হতো।
[১৩ পৃষ্ঠার চিত্র]
অরাদের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া একটা মৃৎপাত্রের টুকরো, যা ইলিয়াশিব নামে একজন ব্যক্তির উদ্দেশে লেখা হয়েছে
[সৌজন্যে]
Photograph © Israel Museum, Jerusalem; courtesy of Israel Antiquities Authority
[১৪ পৃষ্ঠার চিত্র]
লাখীশের একটা চিঠিতে ঈশ্বরের নাম দেখা যাচ্ছে
[সৌজন্যে]
Photograph taken by courtesy of the British Museum