সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনার কি একজন আধ্যাত্মিক পরামর্শদাতা রয়েছেন?

আপনার কি একজন আধ্যাত্মিক পরামর্শদাতা রয়েছেন?

আপনার কি একজন আধ্যাত্মিক পরামর্শদাতা রয়েছেন?

 মাত্র ষোলো বছর বয়সে উষিয় যিহূদার দক্ষিণ রাজ্যের রাজা হয়েছিলেন। তিনি সা.কা.পূ. নবম শতাব্দীর শেষের দিক থেকে শুরু করে সা.কা.পূ. অষ্টম শতাব্দীর প্রথম দিক পর্যন্ত, ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজত্ব করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই উষিয় “সদাপ্রভুর সাক্ষাতে যাহা ন্যায্য তাহা করিতেন।” কী তাকে এইরকম এক ন্যায়নিষ্ঠ পথ অনুসরণ করতে প্রভাবিত করেছিল? ঐতিহাসিক বিবরণ বলে: “ঈশ্বরীয় দর্শনে বুদ্ধিমান [‘ঈশ্বরকে ভয় করতে উপদেশ দিতেন,’ বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন] যে সখরিয়, তাঁহার জীবনকালে [উষিয়] ঈশ্বরের অন্বেষণ করিতে থাকিলেন; আর যত কাল সদাপ্রভুর অন্বেষণ করিলেন, তত কাল ঈশ্বর তাঁহাকে কৃতকার্য্য করিলেন।”—২ বংশাবলি ২৬:১, ৪, ৫.

বাইবেলের এই বিবরণ ছাড়া রাজার উপদেষ্টা সখরিয় সম্বন্ধে আর বেশি কিছু জানা যায় না। কিন্তু, ‘ঈশ্বরকে ভয় করতে উপদেশ দিতেন’ এমন একজন ব্যক্তি হিসেবে সখরিয় যা সঠিক, তা করার ক্ষেত্রে সেই অল্পবয়সি শাসকের ওপর এক চমৎকার প্রভাব ফেলেছিলেন। দি এক্সপোজিটারস্‌ বাইবেল মন্তব্য করে যে, সখরিয় স্পষ্টতই “পবিত্র শিক্ষায় অভিজ্ঞ, আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ এবং তার জ্ঞান প্রকাশ করতে সক্ষম একজন ব্যক্তি ছিলেন।” একজন বাইবেল পণ্ডিত সখরিয় সম্বন্ধে এই উপসংহার করেছিলেন: “ভবিষ্যদ্বাণী সম্বন্ধে তার প্রচুর জ্ঞান ছিল ও . . . তিনি একজন বুদ্ধিমান, ধর্মপ্রাণ এবং সৎ ব্যক্তি ছিলেন; আর তিনি উষিয়ের ওপর বিরাট প্রভাব ফেলেছিলেন বলে মনে হয়।”

উষিয়ের বিশ্বস্ত জীবনধারা তাকে অনেক আশীর্বাদ এনে দিয়েছিল আর তিনি “অতিশয় শক্তিমান্‌ হইলেন” কারণ “ঈশ্বর . . . তাঁহার সাহায্য করিলেন।” হ্যাঁ, ‘সখরিয়ের জীবনকালে’ উষিয়ের জাগতিক সফলতা তার আধ্যাত্মিক সফলতার ওপর নির্ভর করেছিল। (২ বংশাবলি ২৬:৬-৮) সফল হওয়ার পর উষিয় তার পরামর্শদাতা সখরিয়ের শিক্ষাগুলো পরিত্যাগ করেছিলেন। উষিয়ের “মন উদ্ধত হইল, তিনি দুরাচরণ করিলেন, আর তিনি . . . সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে সত্যলঙ্ঘন করিলেন।” একটা সুনির্দিষ্ট ভক্তিহীন কাজের পরিণতি হিসেবে তিনি এক জঘন্য চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, যেটা তাকে অক্ষম করে দিয়েছিল আর তাই তিনি পূর্ণ অর্থে একজন রাজা হিসেবে আর সেবা করতে পারেননি।—২ বংশাবলি ২৬:১৬-২১.

আপনার কি এমন কেউ রয়েছেন, যাকে একজন উপদেশদাতা, একজন পরামর্শদাতা বলা যেতে পারে আর যিনি আপনাকে “ঈশ্বরের অন্বেষণ করিতে” প্রভাবিত করেন? থাকতে পারে, তা আপনি একজন অল্পবয়সি অথবা যৌবন পার করে এসেছেন এমন একজন ব্যক্তি, পুরুষ কিংবা নারী যা-ই হোন না কেন। এই ধরনের একজন পরামর্শদাতাকে মূল্যবান হিসেবে গণ্য করুন কারণ তার দেওয়া উপদেশ যিহোবার দৃষ্টিতে যা ন্যায্য, তা করে চলার জন্য আপনাকে সাহায্য করতে পারে। এই পরিপক্ক খ্রিস্টানের কথা শুনুন এবং তিনি যে-পরামর্শ দেন, তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করুন। ‘ঈশ্বরকে ভয় করতে উপদেশ দেন’ এমন একজন ব্যক্তির বিজ্ঞ কথাবার্তাকে আপনি যেন কখনোই উপেক্ষা না করেন।—হিতোপদেশ ১:৫; ১২:১৫; ১৯:২০.