সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

“কোমল সমবেদনাপূর্ণ” হোন

“কোমল সমবেদনাপূর্ণ” হোন

“কোমল সমবেদনাপূর্ণ” হোন

 আমাদের সহমানবদের মধ্যে অধিকাংশেরই দুর্ভিক্ষ, অসুস্থতা, দরিদ্রতা, অপরাধ, আভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হওয়ার সময়ে আগে আর কখনো সমবেদনাপূর্ণ সাহায্যের এতটা প্রয়োজন হয়নি। সমবেদনা বলতে অন্যের কষ্ট বা দুর্দশার প্রতি সহানুভূতিশীল সচেতনতা আর সেইসঙ্গে সেটা লাঘব করার আকাঙ্ক্ষাকে বোঝায়। উত্তপ্ত সূর্যের প্রখর রোদের মধ্যে এক গ্লাস ঠাণ্ডা জলের মতো, সমবেদনা একজন হতাশ ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দিতে, তার ব্যথা উপশম করতে এবং একজন দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তিকে উদ্দীপিত করে তুলতে পারে।

আমরা আমাদের কথা ও কাজের মাধ্যমে—অন্যদের যত্ন নেওয়ার এবং তাদের প্রয়োজনের সময়ে তাদের কাছে থাকার মাধ্যমে—সমবেদনা দেখাতে পারি। পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিত ব্যক্তিদের প্রতিই শুধু সমবেদনা দেখানো ঠিক নয়। এমনকি যাদেরকে আমরা চিনি না এমন লোকেদেরকে অন্তর্ভুক্ত করার দ্বারাও আমরা প্রশস্ত হতে পারি। “যাহারা তোমাদিগকে প্রেম করে, তাহাদিগকেই প্রেম করিলে তোমাদের কি পুরস্কার হইবে?” যিশু খ্রিস্ট পর্বতেদত্ত উপদেশে জিজ্ঞেস করেছিলেন। এই সমবেদনাপূর্ণ ব্যক্তি এও বলেছিলেন: “অতএব সর্ব্ববিষয়ে তোমরা যাহা যাহা ইচ্ছা কর যে, লোকে তোমাদের প্রতি করে, তোমরাও তাহাদের প্রতি সেইরূপ করিও।”—মথি ৫:৪৬, ৪৭; ৭:১২.

সুবর্ণ নিয়ম হিসেবে পরিচিত এই কথাগুলো আপনি পবিত্র শাস্ত্র থেকে পড়তে পারেন। অনেকেই এই বিষয়ে একমত যে, সমবেদনা দেখানোর ক্ষেত্রে বাইবেল হল সর্বোত্তম নির্দেশক। শাস্ত্র বারংবার সেই লোকেদেরকে সাহায্য করার ব্যাপারে আমাদের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে বলে থাকে, যারা যেকোনো কারণেই হোক না কেন নিজেদের ভরণপোষণ করতে পারে না। বাইবেল, এটির গ্রন্থকার এবং আমাদের সৃষ্টিকর্তা যিহোবা ঈশ্বরকে এমন একজন ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরে, যিনি সমবেদনা দেখানোর ক্ষেত্রে সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ।

উদাহরণস্বরূপ, আমরা পড়ি: “[ঈশ্বর] অনাথ ও বিধবাদের অধিকারগুলো রক্ষা করেন। তিনি বিদেশিদের যত্ন নেন এবং তাদের অন্ন ও বস্ত্র দেন।” (দ্বিতীয় বিবরণ ১০:১৮, কনটেমপোরারি ইংলিশ ভারসন) যিহোবা ঈশ্বরকে এমন ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যিনি ‘উপদ্রুতদের পক্ষে ন্যায়বিচার করেন, ক্ষুধিতদিগকে খাদ্য দান করেন।’ (গীতসংহিতা ১৪৬:৭) সুযোগসুবিধা বঞ্চিত বিদেশিদের সম্বন্ধে যিহোবা এই আইন প্রদান করেছিলেন: “তোমাদের নিকটে তোমাদের স্বদেশীয় লোক যেমন, তোমাদের সহপ্রবাসী বিদেশী লোকও তেমনি হইবে; তুমি তাহাকে আপনার মত প্রেম করিও।”—লেবীয় পুস্তক ১৯:৩৪.

কিন্তু, সবসময় সমবেদনা দেখানো সহজ নয়। প্রেরিত পৌল কলসীর খ্রিস্টানদের উদ্দেশে লিখেছিলেন: “তোমরা পুরাতন মনুষ্যকে তাহার ক্রিয়াশুদ্ধ বস্ত্রবৎ ত্যাগ করিয়াছ, এবং সেই নূতন মনুষ্যকে পরিধান করিয়াছ, যে আপন সৃষ্টিকর্ত্তার প্রতিমূর্ত্তি অনুসারে তত্ত্বজ্ঞানের নিমিত্ত নূতনীকৃত হইতেছে . . . তোমরা, ঈশ্বরের মনোনীত লোকদের, পবিত্র ও প্রিয় লোকদের, উপযোগী মতে করুণার চিত্ত [“সমবেদনার কোমল স্নেহ,” NW] . . . পরিধান কর।”—কলসীয় ৩:৯, ১০, ১২.

তাই, সমবেদনাপূর্ণ মনোভাব গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টার প্রয়োজন। এই মনোভাব ‘নূতন মনুষ্য’ বা ব্যক্তিত্বের একটা অংশ, যা খ্রিস্টানরা পরিধান করবে বলে আশা করা হয়। পৌল প্রাচীন রোমের এক নিষ্ঠুর জগতে বাস করতেন। তিনি তার সহবিশ্বাসীদের উৎসাহিত করেছিলেন যাতে তারা আরও সহানুভূতিশীল ও আরও সমবেদনাপূর্ণ হওয়ার জন্য তাদের ব্যক্তিত্বে লক্ষণীয় পরিবর্তনগুলো নিয়ে আসে।

সমবেদনার ক্ষমতা

যারা সমবেদনা দেখিয়ে থাকে, তাদেরকে কিছু লোক দুর্বল ও অরক্ষিত বলে মনে করে থাকে। এইরকম দৃষ্টিভঙ্গি কি সঠিক?

অবশ্যই না! অকৃত্রিম সমবেদনা দেখানোর পিছনে প্রকৃত চালিকাশক্তি হল গভীর প্রেম যেটার উৎস হলেন ঈশ্বর যিনি এই গুণটির মূর্ত প্রতীক। “ঈশ্বর প্রেম।” (১ যোহন ৪:১৬) উপযুক্তভাবেই, যিহোবাকে “করুণা-সমষ্টির পিতা এবং সমস্ত সান্ত্বনার ঈশ্বর” বলে সম্বোধন করা হয়েছে। (২ করিন্থীয় ১:৩) ‘করুণা-সমষ্টি’ হিসেবে অনুবাদিত অভিব্যক্তিটির অর্থ হল মূলত “মমতা, অন্যদের ক্ষতিতে সমবেদনা দেখানো।” যিহোবা “অকৃতজ্ঞদের ও দুষ্টদের প্রতিও কৃপাবান্‌”!—লূক ৬:৩৫.

আমাদের সৃষ্টিকর্তা চান যেন আমরাও সমবেদনার মতো সদয় গুণাবলি দেখাই। মীখা ৬:৮ পদে আমরা পড়ি: “হে মনুষ্য, যাহা ভাল, তাহা তিনি তোমাকে জানাইয়াছেন; বস্তুতঃ ন্যায্য আচরণ, দয়ায় অনুরাগ . . . ইহা ব্যতিরেকে সদাপ্রভু তোমার কাছে আর কিসের অনুসন্ধান করেন?” হিতোপদেশ ১৯:২২ পদে আমরা পড়ি: “দয়াতেই মনুষ্যকে বাঞ্ছনীয় করে।” ঈশ্বরের পুত্র যিশু খ্রিস্ট, যিনি তাঁর পিতার ব্যক্তিত্বকে নিখুঁতভাবে প্রতিফলিত করেছিলেন, তিনি একইভাবে তাঁর অনুসারীদের পরামর্শ দিয়েছিলেন: “তোমাদের পিতা যেমন দয়ালু, তোমরাও তেমনি দয়ালু হও।” (লূক ৬:৩৬) দ্যা যিরূশালেম বাইবেল এই পরামর্শটিকে এভাবে অনুবাদ করে: “সমবেদনাপূর্ণ হও, যেমন তোমাদের পিতাও সমবেদনাপূর্ণ।”

যেহেতু সমবেদনার আমাদেরকে প্রচুর পুরস্কার প্রদানের ক্ষমতা রয়েছে, তাই আমাদের সমবেদনাপূর্ণ হওয়ার উপযুক্ত কারণ রয়েছে। প্রায়ই আমরা হিতোপদেশ ১১:১৭ পদে লেখা কথাগুলোর সত্যতা দেখে থাকি: “দয়ালু আপন প্রাণের উপকার করে।” আমরা যখন এমন কারোর প্রতি সমবেদনা দেখাই যার প্রয়োজন রয়েছে, তখন ঈশ্বর সেটাকে তাঁর প্রতি অনুগ্রহ দেখানো হয়েছে বলে মনে করেন। তাঁর উপাসকদের দেখানো যেকোনো ধরনের সমবেদনার বিনিময়ে তিনি তাদের প্রতি দয়া পরিশোধ করার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। রাজা শলোমন অনুপ্রাণিত হয়ে বলেছিলেন: “যে দরিদ্রকে কৃপা করে, সে সদাপ্রভুকে ঋণ দেয়; তিনি তাহার সেই উপকারের পরিশোধ করিবেন।” (হিতোপদেশ ১৯:১৭) আর পৌল লিখেছিলেন: “জানিও, কোন সৎকর্ম্ম করিলে প্রত্যেক ব্যক্তি . . . প্রভু [“যিহোবা,” NW] হইতে তাহার ফল পাইবে।”—ইফিষীয় ৬:৮.

সমবেদনা শান্তি বজায় রাখার এবং দ্বন্দ্ব বা মতভেদ মীমাংসা করার ক্ষমতা রাখে। এটা ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে এবং ক্ষমা করতে সাহায্য করে। ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে কারণ আমরা যেভাবে চাই, সবসময় আমাদের চিন্তাভাবনা বা অনুভূতিগুলোকে সেইভাবে প্রকাশ করি না অথবা আমাদের কাজগুলোকে হয়তো ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হতে পারে। এক্ষেত্রে সমবেদনা সেই সমস্যার সমাধান করতে এবং শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। এমন একজন ব্যক্তিকে ক্ষমা করা সহজ, যিনি সমবেদনাপূর্ণ বলে পরিচিত। সমবেদনা আমাদেরকে খ্রিস্টানদের উদ্দেশে দেওয়া পৌলের এই পরামর্শ মেনে চলতে সাহায্য করে: “পরস্পর সহনশীল হও, এবং যদি কাহাকেও দোষ দিবার কারণ থাকে, তবে পরস্পর ক্ষমা কর।”—কলসীয় ৩:১৩.

সমবেদনা—কাজের মধ্যে সহানুভূতি দেখানো

অধিকন্তু, সমবেদনার দুর্দশা দূর করার ক্ষমতা রয়েছে। আমরা যেমন লক্ষ করেছি যে, যারা দুর্দশার মধ্যে রয়েছে, তাদের প্রতি এটা সহানুভূতির মনোভাব প্রতিফলিত করে এবং যারা কষ্ট ভোগ করে, তাদের সঙ্গে কষ্ট ভোগ করার জন্য আমাদের পরিচালিত করে। সমবেদনা দেখানোর অন্তর্ভুক্ত হল, দুরাবস্থার মধ্যে থাকা লোকেদের প্রতি কোমল বিবেচনা প্রদর্শন এবং এই ধরনের ব্যক্তিদেরকে ব্যবহারিক উপায়ে সাহায্য করা।

খ্রিস্টানরা সহানুভূতিশীল হওয়ার মাধ্যমে যিশুকে অনুকরণ করে। তিনি কখনোই এত ব্যস্ত ছিলেন না যে, অন্যদেরকে বস্তুগত ও আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে সাহায্য করতে পারেননি। তিনি যখন উপলব্ধি করেছিলেন যে, অন্যদের প্রয়োজন রয়েছে, তখন তিনি সমবেদনার সঙ্গে সাহায্য করার উপায় খুঁজে নিয়েছিলেন।

যিশু যখন আধ্যাত্মিকভাবে নিঃস্ব জনতাকে দেখেছিলেন, তখন তিনি কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন তা বিবেচনা করুন: “কিন্তু বিস্তর লোক দেখিয়া তিনি তাহাদের প্রতি করুণাবিষ্ট হইলেন [“মমতা বোধ করলেন,” NW], কেননা তাহারা ব্যাকুল ও ছিন্নভিন্ন ছিল, যেন পালকবিহীন মেষপাল।” (মথি ৯:৩৬) এখানে “মমতা বোধ করলেন” হিসেবে অনুবাদিত শব্দটি সম্বন্ধে একজন বাইবেল পণ্ডিত বলেন যে, এটি “এমন এক আবেগকে” নির্দেশ করে, “যা একজন ব্যক্তির গভীরতম অনুভূতিগুলোকে নাড়া দেয়।” প্রকৃতপক্ষে, এই শব্দটিকে সমবেদনাপূর্ণ অনুভূতির জন্য গ্রিক ভাষার সবচেয়ে জোরালো শব্দ বলে অভিহিত করা হয়েছে।

একইভাবে, সমবেদনাপূর্ণ খ্রিস্টানরা অন্যদের বস্তুগত এবং আধ্যাত্মিক প্রয়োজনীয়তার প্রতি দ্রুত সাড়া দেয়। প্রেরিত পিতর লিখেছিলেন: “তোমরা সকলে সমমনা, পরদুঃখে দুঃখিত, ভ্রাতৃপ্রেমিক, স্নেহবান্‌ [“কোমল সমবেদনাপূর্ণ,” NW] . . . হও।” (১ পিতর ৩:৮) উদাহরণস্বরূপ, একটা অভাবী খ্রিস্টান পরিবারকে যখন তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার কারণে নতুন এলাকায় চলে যেতে হয়েছিল, তখন সেখানকার সহবিশ্বাসীরা ছয় মাস ধরে তাদেরকে ভাড়া ছাড়ায় একটা বাড়ি ব্যবহার করতে দিয়েছিল। সেই পরিবারের স্বামী বলেন: “আমরা কেমন আছি, তার খোঁজ নেওয়ার জন্য প্রত্যেক দিন তারা দেখতে আসত আর তাদের উৎসাহজনক মন্তব্যের কারণে আমাদের এমন মনে হতো যেন আমরা নিজেদের ঘরেই রয়েছি।”

সত্য খ্রিস্টানরা অপরিচিত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধেও উদ্বিগ্ন হয়ে থাকে। আনন্দের সঙ্গে তারা তাদের শক্তি, সময়, অর্থ এবং বস্তুগত সম্পদ সেই লোকেদের সেবায় ব্যয় করে থাকে, যাদেরকে তারা চেনে না। আগের প্রবন্ধে বর্ণিত সেই স্বেচ্ছাসেবকরা যিহোবার সাক্ষিদের নিয়ে গঠিত ছিল, যারা সম্পূর্ণ অপরিচিত ব্যক্তিদের সাহায্য করেছিল।

তাই, খ্রিস্টীয় মণ্ডলী সমবেদনা এবং প্রেমপূর্ণ দয়ার পরিবেশে পরিপূর্ণ। প্রেমের দ্বারা পরিচালিত হয়ে মণ্ডলীর সদস্যরা সেবা করার বিভিন্ন উপায় খোঁজার ক্ষেত্রে শক্তিপ্রাপ্ত হয়। বিভিন্ন ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে মণ্ডলীর মধ্যে থাকা অনাথ ও বিধবাদের হয়তো আপনার চিন্তা এবং সহানুভূতির প্রয়োজন হতে পারে। আপনি কি এই ধরনের ব্যক্তিদেরকে তাদের দরিদ্রতা, সীমিত চিকিৎসা সেবা, অপর্যাপ্ত বাসস্থান অথবা অন্যান্য ব্যক্তিগত সমস্যার সঙ্গে সফলভাবে মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারেন?

গ্রিসের এক দম্পতির কথা বিবেচনা করুন। স্বামীর স্ট্রোক হয়েছিল। তাকে আর তার স্ত্রীকে শত শত মাইল দূরের একটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাদের সীমিত আয় তাদের কমলালেবুর বাগান থেকে ফল সংগ্রহের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তারা হাসপাতালে থাকাকালীন কে সেই কাজ করবে? স্থানীয় মণ্ডলী পদক্ষেপ নিয়েছিল। তারা ফল সংগ্রহ করে তা বিক্রি করেছিল, যা সেই অভাবী দম্পতিকে অর্থ সরবরাহ করেছিল আর সেইসঙ্গে তাদেরকে মানসিকভাবেও শান্তি প্রদান করেছিল।

সমবেদনা বিভিন্ন উপায়ে দেখানো যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সমবেদনাপূর্ণ খ্রিস্টানরা উপলব্ধি করে যে, কখনো কখনো দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তিদের মূলত যে-বিষয়টা প্রয়োজন তা হল, তাদের সঙ্গে যেন এমন লোকেরা সদয়ভাবে সাক্ষাৎ করে, যারা সহানুভূতির সঙ্গে তাদের কথা শুনবে, তাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখাবে এবং শাস্ত্র থেকে সান্ত্বনা দেবে।—রোমীয় ১২:১৫.

এক সমবেদনাপূর্ণ পরিবেশ উপভোগ করুন

বিশ্বব্যাপী খ্রিস্টীয় মণ্ডলী শান্তি ও সান্ত্বনার এমন এক আশ্রয়স্থল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে, যেখানে সমবেদনা এবং দয়া দেখানো হয়। সত্য খ্রিস্টানরা উপলব্ধি করে যে, সমবেদনা যেখানে আকর্ষণ করে, নিষ্ঠুরতা সেখানে দূরত্ব বাড়িয়ে দেয়। তাই, তাদের স্বর্গীয় পিতাকে অনুকরণ করতে চেষ্টা করার সময় তারা বিভিন্ন ব্যবহারিক উপায়ে “কোমল সমবেদনাপূর্ণ” হওয়ার জন্য কঠোর সংগ্রাম করে।

যিহোবার সাক্ষিরা আপনাকে তাদের খ্রিস্টীয় সমাজের মধ্যে বিদ্যমান সমবেদনাপূর্ণ, প্রেমময়, যত্নশীল পরিবেশ উপভোগ করার জন্য উষ্ণ আমন্ত্রণ জানায়। তারা নিশ্চিত যে, আপনার কাছে সেই পরিবেশকে অভ্যর্থনাপূর্ণ ও হৃদয়স্পর্শী বলে মনে হবে।

[৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

কলসীর খ্রিস্টানদেরকে পৌল সমবেদনার কোমল স্নেহ পরিধান করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

যিশু যখন প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছিলেন, তখন তিনি সমবেদনার সঙ্গে সাহায্য করার এক উপায় খুঁজে নিয়েছিলেন