সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

‘একচিত্তে ও একপ্রাণে’ ঈশ্বরকে সেবা করা

‘একচিত্তে ও একপ্রাণে’ ঈশ্বরকে সেবা করা

‘একচিত্তে ও একপ্রাণে’ ঈশ্বরকে সেবা করা

 যিহুদি এবং ধর্মান্তরিত ব্যক্তিরা যিশু খ্রিস্টের শিষ্যদের চারপাশে একত্রিত হয়েছে। পঞ্চাশত্তমীর উৎসব চলছে এবং এই দর্শনার্থীরা পশ্চিমের রোম এবং পূর্বাঞ্চলের পার্থীয়ার মতো দূরবর্তী স্থানগুলো থেকে যিরূশালেমে এসেছে। জনতার মধ্যে বিভিন্ন ভাষায় কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। অথচ, যিশুর অনেক শিষ্য, যারা তাদের সঙ্গে কথা বলছে, তারা গালীলীয়। তা দেখে হতবুদ্ধি হয়ে পড়া কিছু দর্শনার্থী জিজ্ঞেস করে: “আমরা কেমন করিয়া প্রত্যেক জন নিজ নিজ জন্মদেশীয় ভাষায় কথা শুনিতেছি?”—প্রেরিত ২:৮.

এরপর, পিতর উঠে দাঁড়ান এবং দর্শনার্থীরা যে-অলৌকিক কাজ দেখছিল, সেটার ভিত্তি সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করেন। সঙ্গেসঙ্গে সাড়া পাওয়া যায়। হাজার হাজার নতুন ব্যক্তি বাপ্তাইজিত হয়! (প্রেরিত ২:৪১) যদিও মণ্ডলী দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তবুও একতা বজায় থাকে। “যে বহুসংখ্যক লোক বিশ্বাস করিয়াছিল, তাহারা একচিত্ত ও একপ্রাণ ছিল,” বাইবেল লেখক লূক বলেন।—প্রেরিত ৪:৩২.

সাধারণ কাল ৩৩ সালের পঞ্চাশত্তমীর দিনে যে-হাজার হাজার ব্যক্তি বাপ্তিস্ম নিয়েছিল, তারা তাদের নতুন বিশ্বাস সম্বন্ধে আরও বেশি শেখার জন্য যিরূশালেমেই আরেকটু দীর্ঘসময় থেকে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু, তারা কিছুটা বেশি সময় থাকার চিন্তা করে এখানে আসেনি। তাই, আর্থিক সংস্থানের জন্য একটা সাময়িক তহবিল গঠন করা হয়েছিল। কয়েক জন বিশ্বাসী স্বেচ্ছায় তাদের সম্পত্তি বিক্রি করেছিল এবং যাদের যেমন প্রয়োজন, সেই অনুসারে সকলকে অংশ দেওয়ার জন্য প্রেরিতদের কাছে সেই অর্থ নিয়ে এসেছিল। (প্রেরিত ২:৪২-৪৭) প্রেম ও উদারতার কী চমৎকার এক মনোভাব!

সত্য খ্রিস্টানদের সবসময়ই এই ধরনের এক প্রেমময় ও উদার মনোভাব ছিল। আজকে, খ্রিস্টীয় মণ্ডলী ‘একচিত্তে ও একপ্রাণে’ ঐক্যবদ্ধভাবে যিহোবাকে সেবা করে চলে। খ্রিস্টানরা সুসমাচার প্রচার করার এবং রাজ্যের বিষয়গুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যক্তিগতভাবে তাদের সময়, শক্তি এবং টাকাপয়সা উদারভাবে দান করে থাকে।— “কেউ কেউ যে-উপায়গুলোতে দান করে থাকে” শিরোনামের বাক্সটা দেখুন।

[৬, ৭ পৃষ্ঠার বাক্স]

 কেউ কেউ যে-উপায়গুলোতে দান করে থাকে

শিক্ষামূলক কাজের জন্য দান

অনেকে “শিক্ষামূলক কাজের জন্য” লেখা দানবাক্সে দেওয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আলাদা করে রাখে।

প্রত্যেক মাসে, মণ্ডলীগুলো এই অর্থ যিহোবার সাক্ষিদের সেই শাখা অফিসে পাঠিয়ে দেয়, যে-অফিস তাদের নিজের দেশের জন্য কাজ করে থাকে। স্বেচ্ছাকৃত দান হিসেবে দেওয়া অর্থও সরাসরি এই অফিসগুলোতে অথবা যিহোবার সাক্ষিদের শাখা অফিসে পাঠানো হয়ে থাকে, যেটা আপনাদের দেশের জন্য কাজ করে। চেকগুলো “ওয়াচ টাওয়ার”-কে * প্রদানযোগ্য হিসেবে পাঠানো উচিত। এ ছাড়া, অলংকার অথবা অন্য কোনো মূল্যবান জিনিসও দান করা যেতে পারে। এই ধরনের দানের সঙ্গে একটা ছোটো চিঠিতে উল্লেখ করে দেওয়া উচিত যে, এই দানগুলো এক শর্তহীন উপহার হিসেবে পাঠানো হয়েছে।

শর্তযুক্ত দানের ট্রাস্ট ব্যবস্থা *

পৃথিবীব্যাপী ব্যবহারের জন্য অর্থ ওয়াচ টাওয়ার ট্রাস্টে রাখা যেতে পারে। তবে, অনুরোধ জানালে, প্রদত্ত অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আরও তথ্য জানার জন্য, দয়া করে স্থানীয় শাখা অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করুন, যেটা আপনাদের দেশের জন্য কাজ করে।

দাতব্য পরিকল্পনা *

শিক্ষামূলক কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপহার হিসেবে শর্তহীন অর্থ পাঠানো ছাড়াও, দান করার অন্যান্য উপায় রয়েছে। এগুলোর অন্তর্ভুক্ত:

বিমা: কোনো জীবনবিমা প্রকল্পের অথবা অবসর গ্রহণ/পেনশন পরিকল্পনার স্বত্বভোগী হিসেবে ওয়াচ টাওয়ার-এর নাম দেওয়া যেতে পারে।

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ডিপোজিটের সার্টিফিকেট অথবা ব্যক্তির অবসর গ্রহণকালীন অ্যাকাউন্টগুলো স্থানীয় ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুসারে, ওয়াচ টাওয়ার-এর ট্রাস্টে দেওয়া যেতে পারে অথবা ব্যক্তির মৃত্যুর পর ওয়াচ টাওয়ার-কে প্রদানযোগ্য হিসেবে দেওয়া যেতে পারে।

স্টক ও বন্ড: স্টক ও বন্ডগুলোকে শর্তহীন উপহার হিসেবে ওয়াচ টাওয়ার-কে দান করা যেতে পারে।

স্থাবর সম্পত্তি: বিক্রয়যোগ্য স্থাবর সম্পত্তি হয় এক শর্তহীন উপহার হিসেবে দান করা যেতে পারে অথবা আবাসিক সম্পত্তির ক্ষেত্রে দাতার জন্য জীবনস্বত্বরূপে সংরক্ষণ করে তা প্রদান করা যেতে পারে, এই শর্তে যে, তিনি তার জীবনকালে সেখানে বসবাস করতে পারবেন। কোনো স্থাবর সম্পত্তি দেওয়ার জন্য দলিলের ব্যবস্থা করার আগে আপনার দেশের শাখা অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

বার্ষিক বৃত্তি উপহার: বার্ষিক বৃত্তি উপহার হল একটা ব্যবস্থা, যেটার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিযুক্ত কর্পোরেশনকে অর্থ অথবা সম্পত্তির মালিকানাসূচক দলিলগুলো হস্তান্তর করেন, যা যিহোবার সাক্ষিরা ব্যবহার করে। এটার বিনিময়ে, দাতা অথবা দাতার দ্বারা নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি জীবনভর প্রতি বছর এক নির্দিষ্ট বার্ষিক বৃত্তির অর্থ লাভ করেন। যে-বছর থেকে বার্ষিক বৃত্তি উপহার ব্যবস্থা চালু হয়, সেই সময় থেকে দাতা আয়করের ক্ষেত্রেও ছাড় পেয়ে থাকেন।

উইল ও ট্রাস্ট: সম্পত্তি অথবা অর্থ আইনসম্মতভাবে সম্পন্ন উইলের সাহায্যে ওয়াচ টাওয়ার-কে হস্তান্তর করা যেতে পারে অথবা ট্রাস্ট চুক্তির স্বত্বভোগী হিসেবে ওয়াচ টাওয়ার-এর * নাম দেওয়া যেতে পারে। কোনো ট্রাস্টের দ্বারা একটা ধর্মীয় সংগঠন উপকৃত হলে সেটা কর দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু সুযোগসুবিধা দিতে পারে।

“দাতব্য পরিকল্পনা” শব্দটি যেমন ইঙ্গিত করে যে, এই ধরনের দানগুলো করার জন্য সাধারণত দাতার আগে থেকেই পরিকল্পনা করা দরকার। যে-ব্যক্তিরা কোনো ধরনের দাতব্য পরিকল্পনার মাধ্যমে যিহোবার সাক্ষিদের শিক্ষামূলক কাজে সাহায্য করতে চায়, তাদের সহযোগিতা করার জন্য ইংরেজি ও স্প্যানিশ ভাষায় একটা ব্রোশার প্রস্তুত করা হয়েছে, যেটির শিরোনাম হল চ্যারিটেবেল প্ল্যানিং টু বেনিফিট কিংডম সার্ভিস ওয়ার্ল্ডওয়াইড। * এই ব্রোশারটি উপহারগুলো দেওয়ার বিভিন্ন উপায় সম্বন্ধে তথ্য জোগানোর জন্য লিখিত হয়েছে, যেগুলো হয় এখনই বা মৃত্যুর পর উইলের মাধ্যমে দেওয়া যেতে পারে। ব্রোশারটি পড়া এবং তাদের নিজস্ব আইনগত অথবা কর উপদেষ্টাদের সঙ্গে পরামর্শ করার পর, অনেকেই পৃথিবীব্যাপী যিহোবার সাক্ষিদের ধর্মীয় ও মানবিক কাজকে সমর্থন করার জন্য সাহায্য করতে সমর্থ হয়েছে আর তা করার ফলে কর দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সুবিধাগুলো বৃদ্ধি করেছে।

আরও তথ্য জানার জন্য, নীচে দেওয়া ঠিকানায় অথবা আপনার দেশের জন্য যিহোবার সাক্ষিদের যে-অফিস কাজ করছে, সেখানে চিঠি লিখে অথবা টেলিফোনে যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

Jehovah’s Witnesses,

Post Box ৬৪৪০,

Yelahanka,

Bangalore ৫৬০ ০৬৪,

Karnataka.

Telephone: (০৮০) ২৮৪৬৮০৭২

[পাদটীকাগুলো]

^ ভারতে এটা “দ্যা ওয়াচ টাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি অভ্‌ ইন্ডিয়া”-কে প্রদানযোগ্য হিসেবে পাঠানো উচিত।

^ ভারতে প্রযোজ্য নয়।

^ নোট: বিভিন্ন দেশে কর সংক্রান্ত নিয়মকানুন ভিন্ন হতে পারে। কর সংক্রান্ত আইন এবং পরিকল্পনার বিষয়ে মতামত লাভের জন্য দয়া করে আপনার হিসাবরক্ষক অথবা আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করুন। এ ছাড়া, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে স্থানীয় শাখা অফিসের সঙ্গে দয়া করে আলোচনা করে নিন।

^ ভারতে, “দ্যা ওয়াচ টাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি অভ্‌ ইন্ডিয়া” ব্যবহার করুন।

^ ভারতে পাওয়া যাচ্ছে না।