সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

কোরিয়াতে ঈশ্বরের পালকে আমি বৃদ্ধি পেতে দেখেছি

কোরিয়াতে ঈশ্বরের পালকে আমি বৃদ্ধি পেতে দেখেছি

কোরিয়াতে ঈশ্বরের পালকে আমি বৃদ্ধি পেতে দেখেছি

বলেছেন মিলটন হেমিলটন

“আমরা আপনাদেরকে এটা জানানোর জন্য দুঃখিত যে, কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সরকার মিশনারিদের জন্য সমস্ত ভিসা বাতিল করে দিয়েছে আর এই ইঙ্গিত দিয়েছে যে, আপনাদেরকে এই দেশে থাকতে দেওয়া হবে না। . . . এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা আপনাদেরকে সাময়িকভাবে জাপানে কার্যভার দিচ্ছি।”

 উনিশশো চুয়ান্ন সালের শেষের দিকে আমার স্ত্রী ও আমি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন থেকে উপরোক্ত বার্তাটি পেয়েছিলাম। সেই বছরের প্রথমদিকে, আমরা উত্তর নিউ ইয়র্কে গিলিয়েড স্কুল-এর ২৩তম ক্লাস থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়েছিলাম। আমরা যখন চিঠিটি পেয়েছিলাম, তখন আমরা সাময়িকভাবে ইন্ডিয়ানার ইন্ডিয়ানাপোলিসে সেবা করছিলাম।

আমার স্ত্রী লিজ (আগে লিজ সিমক) ও আমি ছিলাম ছেলেবেলার বন্ধু। পরে ১৯৪৮ সালে আমরা বিয়ে করি। সে পূর্ণসময়ের পরিচর্যাকে ভালবাসত কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে বিদেশে সেবা করার বিষয়ে একটু দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। কী তার মনকে পরিবর্তন করেছিল?

লিজ গিলিয়েডের সম্ভাব্য ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটা সভায় আমার সঙ্গে যেতে রাজি হয়েছিল। ১৯৫৩ সালের গ্রীষ্মকালে নিউ ইয়র্কের ইয়াংকি স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সময়ে সেই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই উৎসাহমূলক সভার পর, আমরা গিলিয়েড-এর জন্য আবেদনপত্র পূরণ করেছিলাম। আমরা খুব আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম যে, পরের ক্লাসেই যোগদান করার জন্য আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যেটা ১৯৫৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয়েছিল।

আমাদেরকে কোরিয়াতে কার্যভার দেওয়া হয়েছিল, যদিও তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ সবেমাত্র ১৯৫৩ সালের গ্রীষ্মকালে শেষ হয়েছিল, যে-যুদ্ধ দেশটাকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল। উপরোক্ত চিঠিতে যেমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, সেইমতো আমরা প্রথমে জাপানে গিয়েছিলাম। ২০ দিন সমুদ্রযাত্রার পর, আমরা ১৯৫৫ সালের জানুয়ারি মাসে ছয়জন সহমিশনারির সঙ্গে সেখানে পৌঁছেছিলাম আর তাদেরকেও কোরিয়াতে কার্যভার দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে জাপান শাখার অধ্যক্ষ লয়েড ব্যারি সকাল ৬টার সময় জেটিতে আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। শীঘ্রই আমরা ইয়োকোহামার মিশনারি হোমের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলাম। পরে সেই একই দিনে, আমরা পরিচর্যায় বের হয়েছিলাম।

অবশেষে আমরা কোরিয়াতে প্রবেশ করি

পরে এক সময়, আমরা কোরিয়া প্রজাতন্ত্রে প্রবেশ করার ভিসা পেয়েছিলাম। ১৯৫৫ সালের ৭ মার্চ, আমাদের বিমান টোকিওর হানিদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিওলের ইয়োয়দো বিমানবন্দরের উদ্দেশে তিন ঘন্টার পথ যাত্রা করেছিল। ২০০ জনেরও বেশি কোরিয়ান সাক্ষি আমাদেরকে স্বাগত জানিয়েছিল আর আমরা আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলাম। সেই সময়ে সমগ্র কোরিয়াতে মাত্র ১,০০০ জন সাক্ষি ছিল। পাশ্চাত্যের অনেক লোকের মতো আমরাও ভেবেছিলাম যে, তারা যে-দেশেরই হোক না কেন, প্রাচ্যের সমস্ত লোক দেখতে একইরকম ও তাদের আচরণও একইরকম। শীঘ্রই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, আসলে তা নয়। কোরিয়ার লোকেদের যে কেবল নিজস্ব ভাষা এবং বর্ণমালা রয়েছে এমন নয় কিন্তু সেইসঙ্গে তাদের নিজস্ব রন্ধনপ্রণালী, শারীরিক গঠন এবং ঐতিহ্যগত পোশাক আর তাদের কাছে অনুপম এমন অন্যান্য জিনিসও রয়েছে যেমন, তাদের ঘরবাড়ির নকশা।

আমাদের প্রথম বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল ভাষা শেখা। কীভাবে কোরিয়ান ভাষা শিখতে হয়, সেই বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো বইপত্র ছিল না। শীঘ্রই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, শুধুমাত্র ইংরেজি উচ্চারণ ব্যবহার করে হুবহু কোরিয়ান শব্দগুলোর উচ্চারণ নকল করা অসম্ভব ছিল। একজন ব্যক্তি একমাত্র কোরিয়ান ভাষার বর্ণমালা শেখার দ্বারাই সঠিক উচ্চারণ শিখতে পারেন।

আমরা অনেক ভুল করতাম। উদাহরণস্বরূপ, লিজ একজন গৃহকর্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিল যে, তার কাছে একটি বাইবেল আছে কি না। গৃহকর্ত্রী অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে ভিতরে গিয়েছিলেন ও একটা দেশলাইয়ের বাক্স নিয়ে ফিরে এসেছিলেন। লিজ সাংকিয়াং, যে-শব্দটি “বাইবেল”-এর জন্য ব্যবহার করা হয়, সেটি না চেয়ে বরং সাংইয়াং (দেশলাই) চেয়েছিল।

কয়েক মাস পর, আমাদেরকে দক্ষিণাঞ্চলের বন্দর নগরী পুসানে একটা মিশনারি হোম প্রতিষ্ঠা করার কার্যভার দেওয়া হয়েছিল। আমরা আমাদের দুজনের ও আমাদের সঙ্গে সেখানে কার্যভারপ্রাপ্ত দুই বোনের জন্য তিনটে ছোটো রুম ভাড়া করতে সমর্থ হয়েছিলাম। রুমগুলোতে জল সরবরাহের জন্য কোনো কল ছিল না ও ফ্লাশ টয়লেটও ছিল না। একমাত্র রাতেই জলের চাপ যথেষ্ট থাকায় একটা পাইপ দিয়ে তিন তলায় জল তোলা হতো। তাই, বিভিন্ন পাত্রে জল সংগ্রহ করার জন্য আমরা পালাক্রমে ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠতাম। পান করার উপযোগী করে তোলার জন্য আমরা জল ফুটাতাম অথবা জলে ক্লোরিন মেশাতাম।

অন্যান্য সমস্যাও ছিল। বিদ্যুৎ সরবরাহ এতটাই সীমিত ছিল যে, আমরা ওয়াশিং মেশিন অথবা ইস্ত্রি ব্যবহার করতে পারতাম না। বারান্দা ছিল আমাদের রান্নাঘর আর জিনিসপত্র বলতে ছিল মাত্র একটা কেরোসিনের স্টোভ। শীঘ্রই, আমরা প্রত্যেকেই আমাদের নির্ধারিত রান্নার দিনে খাবার প্রস্তুত করতে শিখে গিয়েছিলাম। আমাদের আসার তিন বছর পর, লিজ ও আমি দুজনেই হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়েছিলাম। ওই বছরগুলোতে অধিকাংশ মিশনারি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। আমাদের সুস্থ হয়ে উঠতে বেশ কিছু মাস লেগেছিল আর আমরা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা ভোগ করেছিলাম।

বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করার জন্য সাহায্য পেয়েছি

বিগত ৫৫ বছর ধরে কোরিয়ান উপদ্বীপের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই অস্থির ছিল। অসামরিক এলাকা উপদ্বীপটাকে বিভক্ত করেছিল। এটা কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাজধানী সিওল থেকে ৫৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। ১৯৭১ সালে, ব্রুকলিনের প্রধান কার্যালয় থেকে ফ্রেডরিক ফ্রাঞ্জ এখানে পরিদর্শন করতে এসেছিলেন। আমি তাকে সেই অসামরিক এলাকাতে নিয়ে গিয়েছিলাম, যেটা হল পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত সীমান্ত। বছরের পর বছর ধরে, রাষ্ট্রসংঘের কর্মকর্তারা দুই সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রায়ই সেখানে সাক্ষাৎ করত।

অবশ্য, আমরা কোরিয়ান উপদ্বীপের পরিস্থিতিসহ এই জগতের রাজনীতির ব্যাপারে নিরপেক্ষতা বজায় রাখি। (যোহন ১৭:১৪) সহমানবদের বিরুদ্ধে অস্ত্র বহন করতে প্রত্যাখ্যান করায় ১৩,০০০-রেরও বেশি কোরিয়ান সাক্ষিকে মোট ২৬,০০০ বছর জেল খাটতে হয়েছে। (২ করি. ১০:৩, ৪) সেই দেশের অল্পবয়সি সমস্ত ভাই এই বিষয়ে অবগত রয়েছে যে, তাদেরকে এই বিষয়টার মুখোমুখি হতে হবে কিন্তু তারা ভয়ের কাছে নতিস্বীকার করে না। দুঃখের বিষয় হল যে, সরকার সেই খ্রিস্টান পরিচারকদের “অপরাধী” বলে আখ্যা দেয়, যাদের একমাত্র “অপরাধ” হল যে, তাদের খ্রিস্টীয় নিরপেক্ষতার ব্যাপারে আপোশ করতে তারা অস্বীকার করে।

১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে, আমিও সৈন্যবাহিনীতে যোগ দিতে অস্বীকার করেছিলাম আর তাই আমাকে আড়াই বছর যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার লুইসবার্গে জেল খাটতে হয়েছিল। তাই, যদিও আমাদের কোরিয়ান ভাইয়েরা জেলে আরও কঠিন এক সময়ের মুখোমুখি হয়েছিল কিন্তু এই অল্পবয়সি সাক্ষিরা যে-পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল, সেটার সঙ্গে আমি পরিচিত রয়েছি। এটা অনেককে জানতে উৎসাহিত করেছিল যে, আমাদের মধ্যে কিছু মিশনারি কোরিয়াতে একই ধরনের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে।—যিশা. ২:৪.

আমরা এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হই

আমাদের নিজেদের নিরপেক্ষতা এমন একটা বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল, যা ১৯৭৭ সালে উত্থিত হয়েছিল। কর্মকর্তারা মনে করেছিল যে, আমরা অল্পবয়সি কোরিয়ানদের সৈন্যবাহিনীতে যোগ না দিতে ও অস্ত্র গ্রহণ না করতে প্রভাবিত করেছি। তাই সরকার, কোনো কারণে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া মিশনারিদেরকে পুনরায় দেশে প্রবেশ করার অনুমতি দিতে অস্বীকার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই বিধিনিষেধ ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বহাল ছিল। সেই বছরগুলোতে আমরা যদি কোরিয়া ছেড়ে যেতাম, তাহলে আমাদেরকেও পুনরায় ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হতো না। তাই, আমরা সেই বছরগুলোতে এমনকি বাড়িতেও বেড়াতে যাইনি।

আমরা বহুবার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খ্রিস্টের অনুসারী হিসেবে আমাদের নিরপেক্ষ অবস্থান সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করেছি। পরিশেষে তারা বুঝতে পেরেছিল যে, আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না, তখন শেষপর্যন্ত—দশ বছর পর—বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছিল। সেই বছরগুলোতে বিভিন্ন কারণে যেমন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণে কিছু মিশনারিকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল কিন্তু আমাদের মধ্যে বাকিরা থেকে গিয়েছিলাম আর আমরা আনন্দিত যে, আমরা তা করেছিলাম।

১৯৮০-র দশকের মাঝামাঝিতে, আমাদের পরিচর্যার বিরোধীরা আমাদের বৈধ সত্তার পরিচালকদের এই বলে মিথ্যাভাবে অভিযুক্ত করেছিল যে, তারা অল্পবয়সি ছেলেদেরকে সৈন্যবাহিনীতে যোগদান করা থেকে বিরত থাকতে শিক্ষা দিয়েছে। এই কারণে, জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সরকার আমাদের প্রত্যেককে ডেকে পাঠিয়েছিল। ১৯৮৭ সালের ২২ জানুয়ারি, সরকারী কার্যালয় অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে মনে করেছিল। এটা সম্ভাব্য যেকোনো ভুল ধারণাকে খণ্ডন করতে সাহায্য করেছিল।

ঈশ্বর আমাদের কাজে আশীর্বাদ করেন

আমাদের নিরপেক্ষতার কারণে, পুসানে বছরের পর বছর ধরে আমাদের প্রচার কাজের প্রতি তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছিল। তাই, আমাদের বড় সম্মেলনগুলোর জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজে পাওয়া আগের চেয়ে আরও বেশি কঠিন হয়ে উঠেছিল। এই কারণে, সাক্ষিরা নিজে থেকে এগিয়ে এসে পুসানে একটা সম্মেলন হল নির্মাণ করেছিল, যেটা ছিল প্রাচ্যের প্রথম হল। ১৯৭৬ সালের ৫ এপ্রিলে, ১,৩০০ জনের এক জনতার সামনে উৎসর্গীকরণের বক্তৃতাটি দেওয়ার বিশেষ সুযোগ আমার হয়েছিল।

১৯৫০ সাল থেকে, যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার সৈন্যকে কোরিয়াতে কার্যভার দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার পর, অনেকেই সক্রিয় সাক্ষি হয়েছে। আমরা প্রায়ই তাদের কাছ থেকে চিঠিপত্র পাই আর তাদেরকে আধ্যাত্মিকভাবে সাহায্য করতে পারাকে আমরা এক আশীর্বাদ বলে মনে করি।

দুঃখের বিষয় যে, ২০০৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরে, আমি মৃত্যুতে আমার প্রিয়তমা সঙ্গী লিজকে হারাই। আমি ভীষণভাবে তার অভাব বোধ করি। এখানে তার ৫১ বছর অতিবাহিত করার সময়ে, সে যেকোনো কার্যভার আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করেছিল আর কখনো অভিযোগ করেনি। একসময় যে-দেশকে কখনো ছাড়তে চায় না বলে সে বলেছিল, সেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার কথা সে কখনো বলেনি বা সেই সম্বন্ধে এমনকি কোনো ইঙ্গিতও দেয়নি!

আমি কোরিয়ার বেথেল পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে সেবা করে চলেছি। শুরুর বছরগুলোতে মাত্র কয়েক জন সদস্য থেকে আজ বেথেল পরিবারের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২৫০ জন হয়েছে। শাখা কমিটির সেই সাতজন সদস্য, যারা এখানকার কাজকর্ম দেখাশোনা করে, তাদের সঙ্গে সেবা করা হল আমার জন্য এক বিশেষ সুযোগ।

আমরা যখন কোরিয়াতে এসেছিলাম, তখন এটি খুবই দরিদ্র দেশ ছিল কিন্তু এখন এটি পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটা। কোরিয়াতে ৯৫,০০০ জনেরও বেশি সাক্ষি রয়েছে আর তাদের প্রায় ৪০ শতাংশ হয় নিয়মিত অগ্রগামী নতুবা সহায়ক অগ্রগামী হিসেবে সেবা করছে। এই সমস্তই আরও কারণ জোগায় যে, কেন এখানে ঈশ্বরের সেবা করতে সমর্থ হওয়া ও ঈশ্বরের পালকে বৃদ্ধি পেতে দেখাকে আমি উপলব্ধি করি।

[২৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

সহমিশনারিদের সঙ্গে কোরিয়াতে পৌঁছানো

[২৪, ২৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

পুসানে সেবারত

[২৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

১৯৭১ সালে অসামরিক এলাকাতে ভাই ফ্রাঞ্জের সঙ্গে

[২৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

মৃত্যুর অল্প কিছুদিন আগে লিজের সঙ্গে

[২৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

কোরিয়া শাখা, যেখানে আমি বেথেল পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে সেবা করে চলেছি