সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

কীভাবে আপনি পরিচর্যায় ধৈর্য বজায় রাখতে পারেন?

কীভাবে আপনি পরিচর্যায় ধৈর্য বজায় রাখতে পারেন?

কীভাবে আপনি পরিচর্যায় ধৈর্য বজায় রাখতে পারেন?

 আপনি কি কখনো এতটাই পরিশ্রান্ত বোধ করেছেন যে আপনি প্রচার কাজ বন্ধ করে দিতে চেয়েছেন? কঠোর বিরোধিতা, উদ্‌বিগ্নতা, খারাপ স্বাস্থ্য, সঙ্গীসাথির চাপ কিংবা যাদের কাছে আমরা প্রচার করি, তাদের কাছ থেকে সাড়া না পাওয়া আমাদের ধৈর্যকে পরীক্ষায় ফেলতে পারে। তা সত্ত্বেও, যিশুর উদাহরণ চিন্তা করুন। তিনি “আপনার সম্মুখস্থ আনন্দের নিমিত্ত” চরম পরীক্ষাগুলো সহ্য করেছিলেন। (ইব্রীয় ১২:২) তিনি জানতেন, ঈশ্বরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো যে পুরোপুরি ভিত্তিহীন, তা প্রমাণ করার মাধ্যমে তিনি যিহোবার হৃদয়কে আনন্দিত করছিলেন।—হিতো. ২৭:১১.

পরিচর্যায় ধৈর্য বজায় রাখার মাধ্যমে আপনিও যিহোবার হৃদয়কে আনন্দিত করতে পারেন। কিন্তু, কিছু বাধা যদি আপনার আধ্যাত্মিক শক্তিকে দুর্বল করে দেয় বলে মনে হয়, তাহলে কী? ক্রিস্টিনা নামে একজন বয়স্ক মহিলা, যার স্বাস্থ্য বেশ খারাপ, তিনি স্বীকার করেন: “আমার পক্ষে ক্লান্ত ও হতাশ বোধ করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বার্ধক্যের কারণে বিভিন্ন সমস্যা যেমন, খারাপ স্বাস্থ্য ও রোজকার জীবন সম্বন্ধে উদ্‌বিগ্নতা সাময়িকভাবে আমার উদ্যোগকে কমিয়ে দিতে পারে।” কীভাবে আপনি এই ধরনের বাধা সত্ত্বেও পরিচর্যায় অধ্যবসায়ী হতে পারেন?

ভাববাদীদের অনুকরণ করুন

প্রচার কাজে অধ্যবসায়ী হওয়ার জন্য বিশ্বস্ত রাজ্য প্রকাশকরা প্রাচীনকালের ভাববাদীদের মতো মনোভাব রাখার প্রচেষ্টা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যিরমিয়ের কথা বিবেচনা করুন। তাকে যখন একজন ভাববাদী হিসেবে সেবা করার জন্য আহ্বান করা হয়েছিল, তখন প্রথমে তিনি অনিচ্ছুক ছিলেন। তা সত্ত্বেও, যিরমিয় ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তার কঠিন কার্যভারে ধৈর্য বজায় রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন কারণ তিনি ঈশ্বরের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করতে শিখেছিলেন।—যির. ১:৬; ২০:৭-১১.

হেনরিক, যিরমিয়ের উদাহরণ থেকে উৎসাহ লাভ করেন। তিনি বলেন: “৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিচর্যা করে চলার সময়, আমি মাঝে মাঝে লোকেদের প্রতিক্রিয়া—তাদের বিদ্বেষপরায়ণ মনোভাব অথবা তাদের উদাসীনতা—দ্বারা নিরুৎসাহিত হয়েছি। এই সময়গুলোতে আমি নিজেকে যিরমিয়ের উদাহরণ স্মরণ করিয়ে দিই। যিহোবার জন্য তার ভালোবাসা এবং তার দৃঢ় আধ্যাত্মিক মনোভাব তাকে ভাববাণী করে যেতে শক্তি জুগিয়েছিল।” (যির. ১:১৭) রাফেয়ু নামে একজন ব্যক্তিও যিরমিয়ের উদাহরণের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তিনি বলেন: “নিজের প্রতি ও নিজের অনুভূতির প্রতি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার পরিবর্তে, যিরমিয় ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করেছিলেন। ব্যাপক শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব সত্ত্বেও, তিনি সবসময় নির্ভীক ছিলেন। আমি তা মনে রাখার চেষ্টা করি।”

আরেকজন ভাববাদী, যার উদাহরণ অনেককে পরিচর্যায় ধৈর্য বজায় রাখতে সাহায্য করেছে, তিনি হলেন যিশাইয়। ঈশ্বর তাকে বলেছিলেন যে, তার নিজের দেশের লোকেরা তার কথা শুনবে না। “তুমি এই জাতির অন্তঃকরণ স্থূল কর, ইহাদের কর্ণ ভারী কর,” যিহোবা বলেছিলেন। তাই বলে যিশাইয় কি ব্যর্থ হয়েছিলেন? ঈশ্বরের দৃষ্টিকোণ থেকে, না! তাকে যখন একজন ভাববাদী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল, তখন তিনি বলেছিলেন: “এই আমি, আমাকে পাঠাও।” (যিশা. ৬:৮-১০) যিশায়ই তার দায়িত্বের প্রতি অটল ছিলেন। আপনি কি প্রচার করার আদেশের প্রতি এভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান?

উদাসীন শ্রোতাদের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, পরিচর্যায় অধ্যবসায়ী থাকার জন্য আমাদেরকে যিশাইয়ের মতো, সেই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াগুলোর প্রতি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা এড়িয়ে চলতে হবে, যেগুলোর মুখোমুখি আমরা হয়ে থাকি। রাফেয়ু এভাবে নিরুৎসাহের সঙ্গে মোকাবিলা করেন: “আমি নির্দয় মন্তব্যগুলো নিয়ে চিন্তা করতে থাকা এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করি। আমার এলাকার লোকেদের তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া দেখানোর অধিকার রয়েছে।” আন্না বলেন: “আমি অপ্রীতিকর বা নিরুৎসাহজনক কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা না করার জন্য প্রচেষ্টা করি। যে-বিষয়গুলো আমাকে এটা করতে সমর্থ করে, সেগুলো হল ক্ষেত্রের পরিচর্যায় যাওয়ার আগে প্রার্থনা করা ও সেই দিনের শাস্ত্রপদ বিবেচনা করা। যেকোনো নেতিবাচক চিন্তাভাবনা নিমিষেই দূর হয়ে যায়।”

ভাববাদী যিহিষ্কেল বাবিলের একগুঁয়ে যিহুদি নির্বাসিত ব্যক্তিদের মধ্যে সেবা করেছিলেন। (যিহি. ২:৬) যদি ভাববাদী লোকেদের কাছে ঈশ্বরের বাক্য না বলতেন আর এর ফলে কোনো দুষ্টলোক যদি সাবধানবাণী না শুনেই মারা যেতেন, তাহলে যিহিষ্কেলকে ব্যক্তিগতভাবে জবাবদিহি করতে হতো। যিহোবা যিহিষ্কেলকে বলেছিলেন: “তাহার রক্তের প্রতিশোধ আমি তোমার হস্ত হইতে লইব।”—যিহি. ৩:১৭, ১৮.

হেনরিক যিহিষ্কেলের মতো মনোভাব বজায় রাখার চেষ্টা করেন: “আমি সমস্ত মানুষের রক্তের দায় থেকে শুচি থাকতে চাই। মূল্যবান মানবজীবনগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।” (প্রেরিত ২০:২৬, ২৭) স্পিগ্‌নিও একইরকম অনুভব করেন: “অন্যেরা যা-ই মনে করুক না কেন, যিহিষ্কেলকে কাজ চালিয়ে যেতে হয়েছিল। এটা আমাকে প্রচার কাজকে সৃষ্টিকর্তার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে সাহায্য করে।”

আপনি একা নন

প্রচার কাজে রত থাকার সময় আপনি একা নন। প্রেরিত পৌলের মতো আমরাও বলতে পারি: “আমরা ঈশ্বরেরই সহকার্য্যকারী।” (১ করি. ৩:৯) ক্রিস্টিনা, যিনি মাঝে মাঝে হতাশ হয়ে পড়েন বলে স্বীকার করেন, তিনি বলেন: “এই কারণেই আমি যিহোবার কাছে সবসময় শক্তির জন্য মিনতি করি। তিনি কখনোই আমাকে নিরাশ করেন না।” হ্যাঁ, আমাদের পরিচর্যায় সমর্থনের জন্য আমাদের ঈশ্বরের আত্মা প্রয়োজন!—সখ. ৪:৬.

আমরা যখন ক্ষেত্রের পরিচর্যায় অংশ নিই, তখন পবিত্র আত্মা আমাদের সেই গুণাবলি প্রদর্শন করতেও সাহায্য করে, যেগুলো “আত্মার ফল” গঠন করে। (গালা. ৫:২২, ২৩) ফলস্বরূপ, এটা আমাদেরকে যা-ই ঘটুক না কেন, প্রচার কাজে অধ্যবসায়ী থাকতে সাহায্য করে। হেনরিক মন্তব্য করেন: “ক্ষেত্রের পরিচর্যায় রত থাকা আমার ব্যক্তিত্বকে গঠন করার ক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য করে। আমি ধৈর্যশীল ও বিবেচক হতে এবং সহজেই হাল ছেড়ে না দিতে শিখে থাকি।” বিভিন্ন বাধা সত্ত্বেও পরিচর্যায় ধৈর্য বজায় রাখা আপনাকে এমনকী আরও প্রচুররূপে আত্মার ফল গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।

এই অদ্বিতীয় কাজ পরিচালনা করার জন্য যিহোবা তাঁর দূতদের ব্যবহার করেন। (প্রকা. ১৪:৬) বাইবেল প্রকাশ করে যে, এই ধরনের “অযুত গুণ অযুত ও সহস্র গুণ সহস্র” আত্মিক প্রাণী রয়েছে। (প্রকা. ৫:১১) যিশুর নির্দেশনার অধীনে দূতেরা পৃথিবীতে ঈশ্বরের দাসদের সমর্থন করে। পরিচর্যায় থাকার সময় আপনি কি তা মনে রাখেন?

“পরিচর্যায় দূতেরা যে আমাদের সঙ্গে রয়েছে, এই বিষয়টা নিয়ে ধ্যান করা আমার কাছে উৎসাহের এক উৎস,” আন্না বলেন। “যিহোবা ও যিশুর তত্ত্বাবধানের অধীনে তারা যে-সাহায্য জুগিয়ে থাকে, সেটাকে আমি মূল্যবান বলে গণ্য করি।” বিশ্বস্ত দূতদের সঙ্গে কাজ করতে সমর্থ হওয়া কী এক বিশেষ সুযোগ!

সহরাজ্য প্রকাশকদের সম্বন্ধে কী বলা যায়? আমাদেরকে বিশ্বস্ত সাক্ষিদের এক বিশাল জনতার সঙ্গে পরিচিত হতে দিয়ে আশীর্বাদ করা হয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই যে, আপনি বাইবেলের এই প্রবাদের সত্যতা সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন: “লৌহ লৌহকে সতেজ করে, তদ্রূপ মনুষ্য আপন মিত্রের মুখ সতেজ করে।”—হিতো. ২৭:১৭.

পরিচর্যায় অন্যদের সঙ্গে কাজ করা আমাদেরকে এমন কার্যকারী পদ্ধতিগুলো লক্ষ করার এক চমৎকার সুযোগ দেয়, যেগুলো হয়তো আমাদের কাছে নতুন। এলজ্‌বিয়েটা বলেন, “বিভিন্ন প্রকাশকের সঙ্গে কাজ করা আমাকে সহবিশ্বাসী ও যে-লোকেদের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়, উভয়ের প্রতি ভালোবাসা দেখানোর সুযোগ দেয়।” বিভিন্ন প্রকাশকের সঙ্গে পরিচর্যায় অংশ নেওয়ার চেষ্টা করুন। এটা আপনার পরিচর্যাকে আগ্রহজনক করে তুলবে।

ভালোভাবে নিজের যত্ন নিন

পরিচর্যায় আমাদের উদ্যম বজায় রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই উত্তম পরিকল্পনা করতে হবে, ব্যক্তিগত অধ্যয়নের উত্তম তালিকা থাকতে হবে এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। অন্য কথায়, আমাদেরকে নিজেদের আধ্যাত্মিক ও শারীরিক যত্ন নিতে হবে।

বাইবেল বলে: “পরিশ্রমীর চিন্তা হইতে [“পরিকল্পনার ফলে,” বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন] কেবল ধনলাভ হয়।” (হিতো. ২১:৫) বর্তমানে ৮৮ বছর বয়সি জিগ্‌মুন্ট বলেন: “আমার সেবায় সুশৃঙ্খল হওয়া এই কাজকে অর্থপূর্ণ রাখতে আমাকে সাহায্য করেছে। সাক্ষ্যদানের জন্য যথেষ্ট সময় পেতে আমি সতর্কভাবে আমার সময়কে সংগঠিত করি।”

শাস্ত্র সম্বন্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ জ্ঞান আমাদেরকে পরিচর্যার জন্য শক্তিশালী ও সুসজ্জিত করে। বেঁচে থাকার জন্য যেমন আমাদের দৈহিক খাদ্যের প্রয়োজন, ঠিক তেমনই প্রচার কাজে অংশ নিয়ে চলার জন্য আমাদের নিয়মিতভাবে আধ্যাত্মিক খাদ্য খেতে হবে। প্রতিদিন ঈশ্বরের বাক্য থেকে পুষ্টি লাভ করা এবং “উপযুক্ত সময়ে খাদ্য” গ্রহণ করা আমাদেরকে পরিচর্যার জন্য শক্তিশালী করতে পারে।—মথি ২৪:৪৫-৪৭.

এলজ্‌বিয়েটা তার পরিচর্যাকে উন্নত করার জন্য তার জীবনধারায় মৌলিক পরিবর্তনগুলো করেছিলেন। তিনি বলেন: “আমি টেলিভিশন দেখার পিছনে যে-সময় ব্যয় করতাম, তা অনেক কমিয়ে দিয়েছিলাম, যাতে পরিচর্যার জন্য প্রস্তুতি নিতে আরও বেশি সময় আমার হাতে থাকে। আমি প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাইবেল পড়ার সময়, এলাকায় যে-লোকেদের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল, তাদের কথা চিন্তা করি। আমি এমন শাস্ত্রপদ ও প্রবন্ধগুলো খুঁজি, যেগুলো তাদের সাহায্য করতে পারে।”

পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ করা পূর্ণশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করবে এবং আপনাকে পরিচর্যায় পূর্ণরূপে অংশ নিতে সমর্থ করবে। অন্যদিকে, মাত্রাতিরিক্ত বিনোদন আপনার কাজের গুণগত মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। একজন উদ্যোগী প্রকাশক আন্‌জে বলেন: “বিশ্রামের অভাব অতিরিক্ত ক্লান্ত করে ফেলে আর সেখান থেকেই নিরুৎসাহিতার সূত্রপাত হয়। তা এড়ানোর জন্য আমি যা করা দরকার, সমস্তকিছুই করি।”—উপ. ৪:৬.

আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, তুলনামূলকভাবে অল্প সংখ্যক লোক সুসমাচারের প্রতি উপলব্ধি দেখায়। কিন্তু, যিহোবা আমাদের কাজ কখনো ভুলে যাবেন না। (ইব্রীয় ৬:১০) এমনকী অনেকে যদি আমাদের সঙ্গে কথা না-ও বলতে চায়, তবুও আমরা তাদের দরজা থেকে চলে যাওয়ার পর আমাদের সাক্ষাৎ সম্বন্ধে তারা হয়তো কথা বলতে পারে। এর প্রভাব হয়তো যিহিষ্কেলের সম্বন্ধে আমরা যা পড়ি, সেইরকম হতে পারে: লোকেরা “জানিতে পাইবে, তাহাদের মধ্যে এক জন ভাববাদী উপস্থিত হইল।” (যিহি. ২:৫) এটা ঠিক যে, আমাদের পরিচর্যা কোনো সহজ কাজ নয়, তবে এটা থেকে আমরা বাস্তব উপকারগুলো লাভ করি এবং যে-লোকেরা আমাদের কথা শোনে, তারাও তা লাভ করতে পারবে।

“পরিচর্যায় অংশ নেওয়া আমাদেরকে নতুন ব্যক্তিত্ব পরিধান করতে এবং ঈশ্বর ও প্রতিবেশীদের জন্য আমাদের ভালোবাসা প্রদর্শন করতে সাহায্য করে,” জিগ্‌মুন্ট বলেন। “জীবনরক্ষাকারী এই কাজে অংশ নেওয়া এক বিশেষ সুযোগ। এই মাত্রায় কিংবা এই একই ধরনের পরিস্থিতিতে এই কাজ আর কখনোই পুনরাবৃত্তি হবে না,” আন্‌জে বলেন। বর্তমানে পরিচর্যায় অধ্যবসায়ী হওয়ার দ্বারা আপনিও প্রচুর আশীর্বাদ অর্জন করতে পারবেন।—২ করি. ৪:১, ২.

[৩১ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

আমাদের আধ্যাত্মিক ও শারীরিক চাহিদাগুলোর যত্ন নেওয়া আমাদেরকে পরিচর্যায় ধৈর্য বজায় রাখতে সাহায্য করে