আমি জীবনের অর্থ খুঁজে পেয়েছি
আমি জীবনের অর্থ খুঁজে পেয়েছি
বলেছেন গ্যাসপার মার্টিনেস
কোনো না কোনোভাবে আমার গল্পটা হল গ্রামের এক দরিদ্র ছেলের সাধারণ গল্প, যে শহরে এসে ধনী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু আপনারা দেখতে পাবেন যে, আমার অর্জিত সেই ধনসম্পদ আমি যা আশা করেছিলাম, ঠিক তা ছিল না।
আমি ১৯৩০-এর দশকে উত্তর স্পেনের রিওজা অঞ্চলের এক অনুর্বর গ্রাম্য এলাকায় বড় হয়ে উঠেছিলাম। দশ বছর বয়সে আমাকে স্কুল ছাড়তে হয়েছিল কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে আমি লিখতে-পড়তে শিখে গিয়েছিলাম। আমার ছয় ভাইবোনের সঙ্গে আমি আমার দিনগুলো মেষপালের দেখাশোনা করে কিংবা আমাদের ছোটো জমিতে চাষাবাদ করে কাটিয়েছি।
দরিদ্রতা আমাদেরকে এই চিন্তা করতে পরিচালিত করেছিল যে, অর্থ এবং বিষয়সম্পত্তি হল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেই ব্যক্তিদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠেছিলাম, যাদের আমাদের চেয়েও বেশি বস্তুগত বিষয় ছিল। তা সত্ত্বেও, বিশপ একবার বলেছিলেন যে, আমাদের গ্রামটা ছিল “তার এলাকার মধ্যে সবচেয়ে ধর্মানুগত গ্রাম।” তখন তিনি বুঝতেই পারেননি যে, পরবর্তী সময়ে অনেকে ক্যাথলিক ধর্ম পরিত্যাগ করবে।
আরও ভালো কিছুর জন্য অন্বেষণ
আমি একই গ্রামের একটি মেয়ে মারসেদেসকে বিয়ে করেছিলাম। খুব শীঘ্র, আমাদের একটি ছেলে হয়েছিল, যার দেখাশোনা আমাদের করতে হতো। ১৯৫৭ সালে আমরা কাছাকাছি একটা শহর লোগ্রোনিয়ায় চলে গিয়েছিলাম আর অবশেষে আমার পরিবারের সবাই একই কাজ করেছিল। শীঘ্র আমি দেখতে পেয়েছিলাম যে, একজন অনভিজ্ঞ কর্মী হিসেবে আমার পরিবারকে ভরণপোষণ করার মতো যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করার খুব কম সম্ভাবনাই আমার রয়েছে। আমি ভেবেছিলাম যে, নির্দেশনার জন্য আমি কোথায় যাব। আমি একটা স্থানীয় লাইব্রেরিতে অন্বেষণ করতে শুরু করেছিলাম, যদিও আমি আসলেই জানতাম না যে কী খুঁজতে হবে।
পরে আমি একটা রেডিও প্রোগ্রাম সম্বন্ধে শুনেছিলাম, যেটা চিঠিপত্র আদান-প্রদানের মাধ্যমে বাইবেল অধ্যয়ন কোর্স করার প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি এই কোর্স শেষ করার পর পরই, কয়েক জন ইভানজেলিক্যাল প্রোটেস্টান্ট আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তাদের উপাসনার স্থানে কয়েক বার যাওয়ার পর, আমি সেই দলের বিশিষ্ট সদস্যদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে পেয়েছিলাম। আমি সেখানে ফিরে যাইনি আর এইরকম সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলাম যে, সব ধর্ম নিশ্চয়ই একইরকম।
আমার চোখ থেকে আঁশ পড়ে যায়
১৯৬৪ সালে এয়ুখেনিও নামে এক যুবক আমাদের বাড়িতে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। তিনি ছিলেন একজন যিহোবার সাক্ষি, যে-ধর্ম সম্বন্ধে আমি আগে কখনো শুনিনি। কিন্তু আমি বাইবেল নিয়ে কথা বলতে খুবই ইচ্ছুক ছিলাম। আমি মনে করেছিলাম যে, শাস্ত্র সম্বন্ধে আমার যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে। চিঠিপত্র আদান-প্রদানের মাধ্যমে করা কোর্স থেকে আমি বাইবেলের যে-পদগুলো সম্বন্ধে শিখেছিলাম, সেগুলোর কয়েকটা ব্যবহার করে আমি তাকে উত্তর দিয়েছিলাম। যদিও আমি নির্দিষ্ট কয়েকটা প্রোটেস্টান্ট মতবাদকে সমর্থন করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু আমি আসলে হৃদয় থেকে সেগুলো বিশ্বাস করতাম না।
দু-বার দীর্ঘ আলোচনা করার পর, আমাকে স্বীকার করতেই হয়েছিল যে, এয়ুখেনিও একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তির মতো ঈশ্বরের গীত. ৩৭:১১, ২৯; যিশা. ৯:৬, ৭; মথি ৬:৯, ১০.
বাক্যকে ব্যবহার করেছিলেন। যদিও তার স্কুলের শিক্ষা আমার চেয়েও কম ছিল কিন্তু তিনি যেভাবে শাস্ত্রপদগুলোকে খুঁজে বের করেছিলেন এবং সেগুলোর প্রয়োগের ওপর যুক্তি করেছিলেন, তা দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এয়ুখেনিও আমাকে বাইবেল থেকে দেখিয়েছিলেন যে, আমরা শেষকালে বাস করছি এবং ঈশ্বরের রাজ্য খুব শীঘ্র পৃথিবীতে এক পরমদেশ নিয়ে আসবে। আমি কৌতূহলী হয়ে উঠেছিলাম।—আমি সানন্দে একটা বাইবেল অধ্যয়নের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলাম। আমি যা শিখেছিলাম, তার প্রায় সবগুলোই নতুন ছিল আর এগুলো আমার হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল। আমার সামনে নতুন নতুন আশা ছিল, যেগুলোর জন্য বেঁচে থাকা সার্থক ছিল। আমার অন্বেষণ শেষ হয়েছিল। তখন আমার কাছে সামাজিক পদমর্যাদাকে উন্নত করার প্রচেষ্টা অবান্তর বলে মনে হয়েছিল আর আমার কাজের সমস্যাগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য কঠোর চেষ্টা করা কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। এমনকী অসুস্থতা এবং মৃত্যুকেও অতিক্রম করা যাবে।—যিশা. ৩৩:২৪; ৩৫:৫, ৬; প্রকা. ২১:৪.
আমি যা শিখছিলাম তা সঙ্গেসঙ্গেই আমি আমার আত্মীয়স্বজনকে বলতে শুরু করেছিলাম আর উদ্যমের সঙ্গে তাদের কাছে ব্যাখ্যা করেছিলাম যে, ঈশ্বর এক পরমদেশ পৃথিবী নিয়ে আসার প্রতিজ্ঞা করেছেন, যেখানে বিশ্বস্ত মানুষেরা চিরকাল বেঁচে থাকতে পারবে।
আমার পরিবার বাইবেলের সত্যকে গ্রহণ করে নেয়
বাইবেলের প্রতিজ্ঞাগুলোর বিষয়ে আলোচনা করার জন্য শীঘ্র আমাদের মধ্যে প্রায় বারো জন প্রত্যেক রবিবার বিকেলে আমার কাকার বাড়িতে মিলিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তা করার জন্য আমরা প্রতি সপ্তাহে দু-তিন ঘন্টা ব্যয় করতাম। এয়ুখেনিও যখন দেখেছিলেন যে, আমার আত্মীয়স্বজনের মধ্যে এইরকম এক বড় দলের বাইবেলের প্রতি আগ্রহ রয়েছে, তখন তিনি প্রত্যেকটা পরিবারের প্রতি ব্যক্তিগতভাবে মনোযোগ দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করেছিলেন।
ডুর্যাঙ্গো নামে এক ছোট্ট শহরে আমার অন্যান্য আত্মীয়স্বজন ছিল, যে-শহরটা প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে ছিল আর সেখানে কোনো সাক্ষি ছিল না। তাই তিন মাস পর, আমি কয়েক দিনের জন্য ছুটি নিয়েছিলাম যাতে আমি তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমার নতুন বিশ্বাস সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করতে পারি। সেই সময়ে, প্রতি সন্ধ্যায় আমরা প্রায় দশ জন একসঙ্গে মিলিত হতাম আর আমি প্রায় ভোর পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কথা বলতাম। তারা সবাই শুনে আনন্দিত হয়েছিল। যখন আমার সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ শেষ হয়েছিল, তখন আমি তাদের কাছে কয়েকটি বাইবেল এবং কিছু বাইবেল সাহিত্যাদি ছেড়ে এসেছিলাম। সেই সময় থেকে আমরা যোগাযোগ রেখেছিলাম।
যখন সাক্ষিরা ডুর্যাঙ্গোতে—যেখানে কেউই আগে কখনো প্রচার করেনি, সেই জায়গাতে—এসে পৌঁছেছিল, তারা দেখতে পেয়েছিল যে, ১৮ জন ব্যক্তি বাইবেল অধ্যয়নের জন্য উৎসুকভাবে অপেক্ষা করছে। সাক্ষিরা প্রতিটা পরিবারের জন্য একটা করে বাইবেল অধ্যয়নের ব্যবস্থা করে দিতে পেরে আনন্দিত হয়েছিল।
তখন পর্যন্ত মারসেদেস সত্য শেখার প্রতি আগ্রহী হয়নি আর এর পিছনে বাইবেলের শিক্ষাগুলোকে গ্রহণ করতে অনিচ্ছুক হওয়ার চেয়ে আরও বড় কারণ ছিল লোকভয়। সেই সময় স্পেনে যিহোবার সাক্ষিদের কাজ নিষিদ্ধ ছিল, তাই সে ভেবেছিল যে, কর্তৃপক্ষ হয়তো আমাদের দুই সন্তানকে স্কুল থেকে বের করে দেবে এবং আমাদের সবাইকে সমাজ থেকে বহিষ্কার করা হবে। কিন্তু যখন সে দেখেছিল যে পুরো পরিবার বাইবেলের সত্যকে গ্রহণ করে নিচ্ছে, তখন সেও অধ্যয়ন করতে চেয়েছিল।
দু-বছরের মধ্যে আমার পরিবারের ৪০ জন সদস্য যিহোবার সাক্ষি হয়েছিল এবং ঈশ্বরকে সেবা করার জন্য তাদের উৎসর্গীকরণের প্রতীক হিসেবে বাপ্তিস্ম নিয়েছিল। হ্যাঁ, আমার মতো আমার পরিবারেরও জীবনের উদ্দেশ্য একই ছিল। আমার মনে হয়েছিল যে, আমি এমন কিছু অর্জন করেছি, যা সত্যিই মূল্যবান। আমরা প্রচুর আধ্যাত্মিক ধনসম্পদ লাভ করেছিলাম।
আমার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবন আরও সমৃদ্ধ হয়
পরবর্তী ২০ বছর ধরে, আমি আমাদের দুই সন্তানকে মানুষ করে তোলার এবং স্থানীয় মণ্ডলীকে সাহায্য করার ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছিলাম। মারসেদেস এবং আমি লোগ্রোনিয়াতে যখন চলে গিয়েছিলাম, তখন সেই শহরের প্রায় ১,০০,০০০ জন অধিবাসীর মধ্যে মাত্র প্রায় ২০ জন সাক্ষি ছিল। শীঘ্র, আমি মণ্ডলীতে অনেক দায়িত্ব পেয়েছিলাম।
এরপর আমার বয়স যখন ৫৬ বছর, তখন আমার কোম্পানি অপ্রত্যাশিতভাবে আমি যে-কারখানায় কাজ করতাম, সেটা বন্ধ করে দেয় আর এর ফলে আমি বেকার হয়ে পড়ি। পূর্ণসময়ের পরিচর্যা করার জন্য সবসময়ই আমার এক আকুল আকাঙ্ক্ষা ছিল, তাই একজন অগ্রগামী হওয়ার জন্য আমি আমার এই নতুন পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করেছিলাম। আমি যে-পেনশন পেতাম তা খুবই কম ছিল আর তা দিয়ে ভরণপোষণ জোগানো সহজ ছিল না। মারসেদেস পরিষ্কার করার কাজ করে সাহায্য করেছিল।
আমরা আমাদের পরিবারের ভরণপোষণ করতে পেরেছিলাম আর আমাদের কখনোই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাব হয়নি। আমি এখনও একজন অগ্রগামী এবং মারসেদেস মাঝে মাঝে একজন সহায়ক অগ্রগামী হিসেবে কাজ করে আর সে প্রচার কাজ খুবই উপভোগ করে।কয়েক বছর আগে, মারসেদেস নিয়মিতভাবে মারচে নামে একজন যুবতীকে পত্রিকা দিত, যিনি ছোটোবেলায় বাইবেল অধ্যয়ন করেছিলেন। মারচে আগ্রহের সঙ্গে আমাদের পত্রিকাগুলো পড়তেন এবং মারসেদেস লক্ষ করেছিল যে, মারচের হৃদয়ে তখনও বাইবেলের সত্যের প্রতি উপলব্ধিবোধ ছিল। পরিশেষে, মারচে বাইবেলের সত্যকে গ্রহণ করেছিলেন এবং বেশ উন্নতি করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু তার স্বামী বিদেনটে প্রচুর মদ খেতেন এবং কোনো চাকরিতেই টিকে থাকতে পারতেন না। এর ফল স্বরূপ, তিনি তাকে আর্থিকভাবে কোনো সাহায্য করতেন না; তার মদের অপব্যবহার তাদের বিয়েকে ভাঙনের মুখে ঠেলে দিয়েছিল।
আমার স্ত্রী মারচেকে পরামর্শ দিয়েছিল যেন বিদেনটে আমার সঙ্গে কথা বলেন আর শেষপর্যন্ত তিনি তা করেছিলেন। বেশ কয়েক বার সাক্ষাৎ করার পর, তিনি বাইবেল অধ্যয়ন করতে রাজি হয়েছিলেন। বিদেনটে পরিবর্তিত হতে শুরু করেছিলেন, এক এক সময়ে তিনি কয়েক দিনের জন্য মদ খাওয়া থেকে বিরত থাকতেন। এরপর তার মদ খাওয়া থেকে বিরত থাকার সময়কাল এক সপ্তাহ বা তার চেয়ে বেশি স্থায়ী হতো। পরিশেষে, তিনি মদ খাওয়া পুরোপুরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। তার বাহ্যিক চেহারায় বেশ উন্নতি হয়েছিল এবং তার পরিবার একতাবদ্ধ হয়েছিল। তার স্ত্রী এবং মেয়েসহ পুরো পরিবার, এখন তারা যেখানে বাস করে সেই ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের ছোট্ট মণ্ডলীতে খুব ভালো সমর্থন প্রদান করে থাকে।
এক অর্থপূর্ণ জীবনের দিকে ফিরে তাকানো
অনেক বছর আগে আমার যে-আত্মীয়স্বজন বাইবেলের শিক্ষাগুলো শিখেছিল, তাদের মধ্যে কেউ কেউ যদিও এখন মারা গিয়েছে, তবে আমাদের যৌথ পরিবারটা বেড়ে চলেছে আর ঈশ্বর আমাদের প্রচুররূপে আশীর্বাদ করেছেন। (হিতো. ১০:২২) এটা দেখা কতই না পরিতৃপ্তিদায়ক যে, ৪০ বছর আগে যারা বাইবেল অধ্যয়ন করতে শুরু করেছিল তাদের মধ্যে প্রায় সবাই—তাদের ছেলে-মেয়ে এবং নাতিনাতনিসহ—যিহোবাকে বিশ্বস্তভাবে সেবা করে চলেছে!
এখন আমার বিরাট সংখ্যক নিকটাত্মীয় যিহোবার সাক্ষি আর তাদের মধ্যে অনেকে প্রাচীন, পরিচারক দাস এবং অগ্রগামী হিসেবে সেবা করছে। আমার বড়ো ছেলে এবং তার স্ত্রী স্পেনের মাদ্রিদে যিহোবার সাক্ষিদের শাখা অফিসে সেবা করে। আমি যখন সাক্ষি হয়েছিলাম, তখন স্পেনে আমরা প্রায় ৩,০০০ জন ছিলাম। এখন সেখানে ১,০০,০০০-রও বেশি সাক্ষি রয়েছে। আমি পূর্ণসময়ের পরিচর্যাকে পুরোপুরিভাবে উপভোগ করি এবং তাঁর সেবায় নিয়োজিত এক সুন্দর জীবনের জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। খুব কম লেখাপড়া জানা সত্ত্বেও, মাঝে মাঝে আমি বিকল্প সীমা অধ্যক্ষ হিসেবে সেবা করতে পারি।
কয়েক বছর আগে আমি দেখেছি যে, আমি যে-গ্রামে বড় হয়ে উঠেছিলাম, সেটা প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে দরিদ্রতা শেষপর্যন্ত সমস্ত অধিবাসীকে আরও ভালো এক জীবনের অন্বেষণে তাদের খেতখামার এবং ঘরবাড়ি ত্যাগ করতে বাধ্য করেছে। আনন্দের বিষয় যে, সেই অভিবাসীদের মধ্যে অনেকে—যার অন্তর্ভুক্ত আমি—আধ্যাত্মিক ধন খুঁজে পেয়েছে। আমরা শিখেছি যে, জীবনের অর্থ রয়েছে এবং যিহোবাকে সেবা করা প্রচুর আনন্দ নিয়ে আসে।
[৩২ পৃষ্ঠার চিত্র]
ভাই মার্টিনেসের পরিবারের যে-সদস্যরা সত্যে রয়েছে, তাদের মধ্যে প্রায় সবাই