সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ধর্ম আমার পছন্দ নাকি আমার বাবা-মার?

ধর্ম আমার পছন্দ নাকি আমার বাবা-মার?

ধর্ম আমার পছন্দ নাকি আমার বাবা-মার?

 পোল্যান্ডে অনেক লোকই যিহোবার সাক্ষিদের এই কথাগুলো বলে থাকে, “এই ধর্মেই আমার জন্ম আর মৃত্যু পর্যন্ত আমি এই ধর্মই পালন করব।” এটা ইঙ্গিত দেয় যে, তাদের মতে ধর্ম এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে ক্রমান্বয়ে পালিত হয়। তুমি কি তোমার এলাকায় ধর্ম সম্বন্ধে একইরকম মনোভাব দেখতে পাও? এইরকম এক দৃষ্টিভঙ্গির ফলে প্রায়ই কী হয়ে থাকে? ধর্ম এক রীতিগত এবং কেবলমাত্র পারিবারিক পরম্পরাগত বিষয় হয়ে যায়। সেই যিহোবার সাক্ষিদের ক্ষেত্রেও কি এটা ঘটতে পারে, যারা তাদের বাবা-মা অথবা ঠাকুরদাদা-ঠাকুরমা কিংবা দাদু-দিদিমার কাছ থেকে এক চমৎকার আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকার লাভ করেছে?

তীমথিয়ের ক্ষেত্রে তা হয়নি, যাকে তার ধর্মপ্রাণ মা ও দিদিমা নির্দেশনা দিয়েছিল, যাতে তিনি সত্য ঈশ্বরকে বিশ্বাস করতে এবং ভালোবাসতে পারেন। তীমথিয় “শিশুকাল অবধি” পবিত্র শাস্ত্রকলাপ সম্বন্ধে জানতেন। পরবর্তী সময়ে, তার মা এবং দিদিমার সঙ্গে তিনি দৃঢ়প্রত্যয়ী হয়েছিলেন যে, খ্রিস্ট ধর্মই সত্য। তিনি শাস্ত্র থেকে যিশু খ্রিস্ট সম্বন্ধে যা যা শুনেছিলেন, সেই বিষয়ে তিনি ‘প্রমাণ জ্ঞাত হইয়াছিলেন [‘নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করেছিলেন,’ বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন]।’ (২ তীম. ১:৫; ৩:১৪, ১৫) তাই যদিও বর্তমানে খ্রিস্টান বাবা-মারা সন্তানদেরকে যিহোবার দাস হতে সাহায্য করার জন্য তাদের যথাসাধ্য করে থাকে, তবে সন্তানদের নিজেদেরই তা হওয়ার জন্য আকাঙ্ক্ষা গড়ে তুলতে হবে।—মার্ক ৮:৩৪.

প্রত্যেক ব্যক্তিকে দৃঢ়প্রত্যয়জনক যুক্তির দ্বারা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করতে হবে, যদি তিনি প্রেমের দ্বারা পরিচালিত হয়ে যিহোবাকে সেবা করতে চান এবং যেকোনো পরিস্থিতি সত্ত্বেও নীতিনিষ্ঠা বজায় রাখতে চান। তাহলে তার বিশ্বাস দৃঢ় এবং বদ্ধমূল বা সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।—ইফি. ৩:১৭; কল. ২:৬, ৭.

সন্তানদের ভূমিকা

“আমার সবসময়ই মনে হয়েছে যে, যিহোবার সাক্ষিরা সত্য ধর্ম পালন করে,” আ্যলবার্ট ব্যাখ্যা করেন, যিনি এক সাক্ষি পরিবারে বড় হয়ে উঠেছিলেন, * “কিন্তু আমার কীভাবে জীবনযাপন করা উচিত সেই সম্বন্ধে তারা যা বলত, তা মেনে নেওয়া আমার পক্ষে কঠিন ছিল।” তুমি যদি একজন অল্পবয়সি হয়ে থাকো, তাহলে তুমিও হয়তো একই মত পোষণ করে থাকো। আমরা যেভাবে জীবনযাপন করি বলে ঈশ্বর চান, সেটার সঙ্গে কী জড়িত রয়েছে তা উপলব্ধি করার আর এরপর তাঁর ইচ্ছা পালন করে প্রীত বা আনন্দিত হওয়ার প্রচেষ্টা করো না কেন? (গীত. ৪০:৮) “আমি এমনি এমনিই প্রার্থনা করতে শুরু করেছিলাম,” আ্যলবার্ট বলেন। “প্রথম প্রথম, তা আমার কাছে কঠিন মনে হতো। আমি জোর করে তা করতাম। কিন্তু, শীঘ্র আমি অনুভব করেছিলাম যে, আমি যদি যা সঠিক তা করার চেষ্টা করি, তাহলে আমি ঈশ্বরের দৃষ্টিতে মূল্যবান হতে পারি। এটা আমাকে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো করার জন্য শক্তি দিয়েছিল।” যিহোবার সঙ্গে এক ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তোলার দ্বারা তুমি সেই বিষয়গুলো করার আকাঙ্ক্ষা গড়ে তুলতে পারো, যেগুলো তিনি আমাদের কাছ থেকে চান।—গীত. ২৫:১৪; যাকোব ৪:৮.

এমন একটা খেলার বিষয়ে চিন্তা করো, যেটা তুমি খেলেছ যেমন, দাবা বা বিশেষ কোনো খেলা। তুমি যদি নিয়মকানুন না জানো বা ভালো করে খেলতে না পারো, তাহলে সম্ভবত তা একঘেঁয়ে মনে হবে। কিন্তু, তুমি যদি নিয়মকানুন শেখো এবং খেলায় পারদর্শী হয়ে ওঠো, তাহলে তুমি কি তা খেলার জন্য উৎসুক হবে না, এমনকী খেলার জন্য সুযোগ করে নেবে না? খ্রিস্টীয় কাজকর্মের ক্ষেত্রেও একই বিষয় সত্য। তাই খ্রিস্টীয় সভাগুলোর জন্য প্রস্তুতি নিতে পদক্ষেপ নাও। এতে অংশগ্রহণ করো। তোমার বয়স অল্প হওয়া সত্ত্বেও, তুমি হয়তো তোমার উদাহরণের দ্বারা অন্যদের “উৎসাহিত” করতে পারো।—ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন।

তোমার বিশ্বাস সম্বন্ধে অন্যদেরকে বলার ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য। এটাও প্রেমের দ্বারা পরিচালিত হয়ে করা উচিত, বাধ্যবাধকতার দ্বারা নয়। নিজেকে জিজ্ঞেস করো: ‘কেন আমি যিহোবা সম্বন্ধে অন্যদের বলতে চাই? কোন কারণগুলোর জন্য আমি তাঁকে ভালোবাসি?’ একজন প্রেমময় পিতা হিসেবে যিহোবাকে তোমার জানা প্রয়োজন। যিরমিয়ের মাধ্যমে তিনি বলেছিলেন: “তোমরা আমার অন্বেষণ করিয়া আমাকে পাইবে; কারণ তোমরা সর্ব্বান্তঃকরণে আমার অন্বেষণ করিবে।” (যির. ২৯:১৩, ১৪) এর জন্য তোমার কাছ থেকে হয়তো কী আশা করা হতে পারে? “আমাকে আমার চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করতে হয়েছিল,” ইয়াকুপ বলে। “আমি ছোটোবেলা থেকেই সভাগুলোতে যোগ দিয়েছি এবং পরিচর্যায় গিয়েছি কিন্তু এই কাজগুলো কিছুটা রুটিনমাফিক হয়ে গিয়েছিল। যখন আমি যিহোবাকে আরও ভালোভাবে জেনেছি এবং তাঁর সঙ্গে এক ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলেছি, কেবলমাত্র তখনই আমি প্রকৃতপক্ষে সত্যের সঙ্গে জড়িত হয়েছি।”

তুমি তোমার পরিচর্যাকে কতখানি উপভোগ করো, তাতে উত্তম ও গঠনমূলক মেলামেশা বিরাট অবদান রাখে। “জ্ঞানীদের সহচর হও, জ্ঞানী হইবে,” একটি অনুপ্রাণিত প্রবাদ বলে। (হিতো. ১৩:২০) তাই সেই ব্যক্তিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করো, যারা আধ্যাত্মিক লক্ষ্যগুলোর অনুধাবন করে এবং যিহোবার সেবায় সুখী। ইয়লা বলে: “অল্পবয়সি, আধ্যাত্মিকমনা অনেক ব্যক্তির সঙ্গে মেলামেশা করে আমি উৎসাহিত হয়েছি। আমি খুব আনন্দের সঙ্গে নিয়মিতভাবে পরিচর্যায় অংশ নিতে শুরু করেছিলাম।”

বাবা-মার ভূমিকা

“আমাকে যিহোবা সম্বন্ধে শিখিয়েছে বলে আমি আমার বাবা-মার কাছে খুবই কৃতজ্ঞ,” ইয়লা বলে। হ্যাঁ, বাবা-মারা তাদের সন্তানদের পছন্দের ওপর এক জোরালো প্রভাব ফেলতে পারে। প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “পিতারা, তোমরা . . . প্রভুর [“যিহোবার,” NW] শাসনে ও চেতনা প্রদানে [আপন আপন সন্তানদিগকে] মানুষ করিয়া তুল।” (ইফি. ৬:৪) এই অনুপ্রাণিত পরামর্শ স্পষ্টভাবে দেখায় যে, বাবা-মার ভূমিকা হল তাদের সন্তানদের নিজেদের পথ সম্বন্ধে নয় বরং যিহোবার পথ সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া। হয়তো আপনি যা চান তা আপনার সন্তানদের মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে, এটা কত চমৎকারই না হবে, যদি আপনি আপনার সন্তানদেরকে তাদের জীবনে যিহোবার উদ্দেশ্যগুলোর সঙ্গে মিল রেখে জীবনযাপন করার লক্ষ্য স্থাপন করতে সাহায্য করেন!

আপনি আপনার সন্তানদেরকে যিহোবার বাক্যগুলো যত্নপূর্বক শিক্ষা দিতে পারেন এবং ‘গৃহে বসিবার কিম্বা পথে চলিবার সময়ে এবং শয়ন কিম্বা গাত্রোত্থান কালে ঐ সমস্তের কথোপকথন করিতে’ পারেন। (দ্বিতীয়. ৬:৬, ৭) “আমরা বিভিন্ন ধরনের পূর্ণসময়ের পরিচর্যা সম্বন্ধে অনেক কথা বলতাম,” তিন ছেলের বাবা-মা রিশার্ড এবং ইভা স্মরণ করে বলেন। এর ফল কী হয়েছিল? “ছেলেরা খুব অল্প বয়সেই ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয়-এ নাম লেখাতে চেয়েছিল, প্রকাশক হয়েছিল এবং পরিশেষে তারা নিজে থেকেই বাপ্তিস্ম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে তারা বেথেলকর্মী অথবা অগ্রগামী হিসেবে সেবা করেছিল।”

বাবা-মার উত্তম উদাহরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রিশার্ড বলেন, “আমরা দ্বৈত জীবনযাপন—ঘরে একরকম এবং মণ্ডলীতে আরেকরকম আচরণ—না করার ব্যাপারে সংকল্পবদ্ধ ছিলাম।” অতএব নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: ‘আমার সন্তানেরা আমার জীবনে কী দেখতে পায়? তারা কি যিহোবার প্রতি প্রকৃত প্রেম দেখতে পায়? তারা কি আমার প্রার্থনা এবং ব্যক্তিগত অধ্যয়নের তালিকার মধ্যে এই প্রেম লক্ষ করে? ক্ষেত্রের পরিচর্যা, আমোদপ্রমোদ এবং বস্তুগত বিষয়গুলোর প্রতি আমার মনোভাব এবং মণ্ডলীর অন্যান্য সদস্যের বিষয়ে আমি যা বলি, সেগুলোর মধ্যে তারা কি এটা দেখতে পায়?’ (লূক ৬:৪০) সন্তানেরা আপনার দৈনন্দিন জীবন লক্ষ করবে এবং আপনি যা বলেন ও যা করেন, সেটার মধ্যে যেকোনো অসংগতি শনাক্ত করবে।

সন্তানদের মানুষ করার ক্ষেত্রে শাসন এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু, ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত বাক্য আমাদের ‘বালককে তাহার গন্তব্য পথানুরূপ শিক্ষা দিতে’ বলে। (হিতো. ২২:৬) ইভা এবং রিশার্ড বলে, “আমরা প্রত্যেক সন্তানের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে বাইবেল অধ্যয়ন করার জন্য সময় করে নিতাম।” অবশ্য, প্রত্যেক সন্তানের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে অধ্যয়ন করার প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব বাবা-মার। পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, একজন সন্তানের সঙ্গে স্বতন্ত্র ব্যক্তির মতো আচরণ করতে হবে। এর জন্য নমনীয়তা এবং যুক্তিবাদিতা প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, আপনার সন্তানদেরকে নির্দিষ্ট কোনো গানবাজনা খারাপ কেবল এই বিষয়টা বলার পরিবর্তে বরং কীভাবে বিজ্ঞ সিদ্ধান্তগুলো নিতে হয়, কীভাবে বাইবেলের নীতিগুলো জড়িত, তা তাদেরকে দেখান না কেন?

আপনার সন্তানরা হয়তো ভালোভাবেই জানে যে, আপনি তাদের কাছ থেকে কী আশা করেন এবং তারা আপনার ইচ্ছাগুলো মেনে নেয় বলে মনে হতে পারে। তবুও, আপনাকে তাদের হৃদয়ে পৌঁছাতে হবে। মনে রাখবেন, “মনুষ্যের হৃদয়ের পরামর্শ গভীর জলের ন্যায়; কিন্তু বুদ্ধিমান তাহা তুলিয়া আনিবে।” (হিতো. ২০:৫) বুদ্ধিমান বা বিচক্ষণ হোন, আপনার সন্তানদের হৃদয়ে ওত পেতে থাকতে পারে এমন যেকোনো সমস্যার লক্ষণগুলো খুঁজুন এবং সঙ্গেসঙ্গে পদক্ষেপ নিন। কোনোরকম অভিযোগ না করে দেখান যে, আপনি চিন্তিত আর উপযুক্ত প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করুন। তবে, খুব বেশি প্রশ্ন জিজ্ঞেস না করার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। আপনার আন্তরিক চিন্তা তাদের হৃদয়ে পৌঁছাবে এবং তাদেরকে সাহায্য করার জন্য তা আপনাকে সহায়তা করবে।

মণ্ডলীর ভূমিকা

ঈশ্বরের একজন দাস হিসেবে আপনি কি মণ্ডলীর যুবক-যুবতীদের, তারা যে-আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকার লাভ করেছে, সেটার প্রতি উপলব্ধি দেখাতে সাহায্য করতে পারেন? যদিও সন্তানদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব বাবা-মার, তবে মণ্ডলীর অন্যান্য সদস্য, বিশেষ করে প্রাচীনরা তাদের প্রচেষ্টায় সমর্থন করতে পারে। বিশেষভাবে তাদেরকে সাহায্য করা গুরুত্বপূর্ণ, যারা ধর্মীয় দিক দিয়ে বিভক্ত পরিবারের মধ্যে রয়েছে।

অল্পবয়সিদের সাহায্য করার জন্য প্রাচীনরা কী করতে পারে, যাতে অল্পবয়সিরা যিহোবাকে ভালোবাসতে পারে এবং অনুভব করতে পারে যে, তাদের প্রয়োজন রয়েছে ও তাদেরকে মূল্য দেওয়া হয়? মারিয়ুশ, যিনি পোল্যান্ডের একটা মণ্ডলীতে অধ্যক্ষ হিসেবে সেবা করেন, তিনি বলেন: “প্রাচীনদের উচিত অল্পবয়সিদের সঙ্গে ভাববিনিময় করা, ভাববিনিময় করা, ভাববিনিময় করা। শুধুমাত্র সমস্যা উত্থাপিত হলেই নয় বরং অন্যান্য সময়ে—পরিচর্যায়, সভার পরে বা অন্য যেকোনো সময়ে—তা করা উচিত।” অল্পবয়সিদের জিজ্ঞেস করুন না কেন যে, তারা মণ্ডলীর বিষয়ে কেমন বোধ করে থাকে? এইরকম খোলাখুলি ভাববিনিময় অল্পবয়সিদের মণ্ডলীর নিকটবর্তী করে এবং তাদেরকে এটার এক অংশ মনে করতে সমর্থ করে।

আপনি যদি একজন প্রাচীন হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি কি আপনার মণ্ডলীর যুবক-যুবতীদের সম্বন্ধে জানেন? আগে উল্লেখিত আ্যলবার্ট যদিও এখন প্রাচীন হিসেবে সেবা করছেন, তবে বয়ঃসন্ধিকালে তিনি বিভিন্ন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তিনি বলেন, “একজন প্রাপ্তবয়স্ক যুবক হিসেবে আমার ব্যক্তিগত পালকীয় সাক্ষাতের প্রয়োজন হয়েছিল।” যুবক-যুবতীদের আধ্যাত্মিক মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করার মাধ্যমেও প্রাচীনরা তাদের প্রতি ব্যক্তিগত আগ্রহ দেখাতে পারে।—২ তীম. ১:৩.

অল্পবয়সিদের জন্য মণ্ডলীর কাজকর্মে জড়িত হওয়া ভালো। তা না হলে, তারা হয়তো জাগতিক লক্ষ্যগুলো অনুধাবন করার ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে পারে। বয়স্ক ব্যক্তিরা, আপনারা কি তাদের সঙ্গে পরিচর্যায় অংশ নিতে এবং তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারেন? অল্পবয়সিদের সঙ্গে অবসর সময় কাটান এবং নির্ভরযোগ্যতা ও বন্ধুসুলভ এক পরিবেশ গড়ে তুলুন। ইয়লা স্মরণ করে বলে: “একজন অগ্রগামী বোন আমার প্রতি ব্যক্তিগত আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তার সঙ্গেই আমি প্রথম বারের মতো নিজের ইচ্ছায় পরিচর্যায় গিয়েছিলাম।”

তোমার ব্যক্তিগত পছন্দ

অল্পবয়সিরা, তোমরা নিজেদের জিজ্ঞেস করো: ‘আমার লক্ষ্যগুলো কী? আমি যদি এখনও বাপ্তিস্ম না নিয়ে থাকি, তাহলে কি বাপ্তিম নেওয়াই আমার লক্ষ্য?’ বাপ্তিস্ম নেওয়ার সিদ্ধান্ত পারিবারিক পরম্পরার প্রতি কোনো বাধ্যবাধকতা থেকে নয় বরং যিহোবার প্রতি পূর্ণহৃদয়ের ভালোবাসা থেকে উদ্ভূত হওয়া উচিত।

হ্যাঁ, যিহোবা যেন তোমার সত্যিকারের বন্ধু হন এবং সত্য যেন তোমার ধন হয়। যিহোবা ভাববাদী যিশাইয়ের মাধ্যমে ঘোষণা করেছিলেন: “ব্যাকুল হইও না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর।” যতদিন তুমি যিহোবার বন্ধু হিসেবে থাকবে, ততদিন তিনি তোমার সঙ্গে থাকবেন। তিনি অবশ্যই তোমাকে শক্তিশালী করবেন এবং ‘আপন ধর্ম্মশীলতার দক্ষিণ হস্ত দ্বারা তোমাকে ধরিয়া রাখিবেন।’—যিশা. ৪১:১০.

[পাদটীকা]

^ কিছু নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

[৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

আপনার সন্তানের হৃদয়ে কী রয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা করুন

[৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

বাপ্তিস্ম নেওয়ার সিদ্ধান্ত যিহোবার প্রতি পূর্ণহৃদয়ের ভালোবাসা থেকে উদ্ভূত হয়