পারিবারিক উপাসনা রক্ষা পাওয়ার জন্য অপরিহার্য!
পারিবারিক উপাসনা রক্ষা পাওয়ার জন্য অপরিহার্য!
একটু কল্পনা করুন যে, ‘সর্ব্বশক্তিমান্ ঈশ্বরের সেই মহাদিনের যুদ্ধ’ কত ভয়ংকরই না হবে! (প্রকা. ১৬:১৪) সুস্পষ্ট বাক্যালঙ্কার ব্যবহার করে ভাববাদী মীখা লিখেছিলেন: “পর্ব্বতগণ গলিয়া যাইবে, তলভূমি সকল বিদীর্ণ হইবে, যেমন অগ্নির উত্তাপে মোম গলিয়া যায়, যেমন গড়ান স্থানে জল ঝরিয়া পড়ে।” (মীখা ১:৪) যারা যিহোবাকে সেবা করছে না, তাদের ধ্বংসাত্মক পরিণতি কী হবে? ঈশ্বরের বাক্য বলে: “তৎকালে সদাপ্রভুর নিহত লোক সকল পৃথিবীর এক প্রান্ত হইতে পৃথিবীর অন্য প্রান্ত পর্য্যন্ত দেখা যাইবে।”—যির. ২৫:৩৩.
এইরকম সাবধানবাণীগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে, পরিবারের মস্তকদের—যাদের মধ্যে অনেকে একক বাবা অথবা মা—তাদের যে-সন্তানরা যুক্তি করার মতো যথেষ্ট বড়ো হয়েছে, তাদের বিষয়ে নিজেদেরকে জিজ্ঞেস করা উচিত, ‘তারা কি এই চরম ভয়ংকর ঘটনা থেকে রক্ষা পাবে?’ বাইবেল আশ্বাস দেয় যে, তারা রক্ষা পাবে, যদি তারা তাদের বয়স অনুযায়ী আধ্যাত্মিকভাবে সক্রিয় ও বলবান থাকে।—মথি ২৪:২১.
পারিবারিক উপাসনার জন্য নির্ধারিত সময় রাখার গুরুত্ব
বাবা অথবা মা হিসেবে এই বিষয়টা নিশ্চিত করুন যে, আপনি আপনার সন্তানদেরকে “প্রভুর [“যিহোবার,” NW] শাসনে ও চেতনা প্রদানে” মানুষ করে তোলার জন্য আপনার যথাসাধ্য করছেন। (ইফি. ৬:৪) আপনার সন্তানদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করার গুরুত্বকে অবহেলা করা যায় না। আমরা চাই যে, আমাদের অল্পবয়সি সন্তানরা যেন ফিলিপীর সেই খ্রিস্টানদের মতো হয়, যাদের বিষয়ে পৌল প্রশংসা করেছিলেন কারণ তারা যিহোবার প্রতি স্বেচ্ছায় বাধ্য হয়েছিল। তিনি লিখেছিলেন: “হে আমার প্রিয়তমেরা, তোমরা সর্ব্বদা যেমন আজ্ঞাবহ হইয়া আসিতেছ, তেমনি আমার সাক্ষাতে যেরূপ কেবল সেইরূপ নয়, বরং এখন আরও অধিকতররূপে আমার অসাক্ষাতে, সভয়ে ও সকম্পে আপন আপন পরিত্রাণ সম্পন্ন কর।”—ফিলি. ২:১২.
আপনার অবর্তমানে কি আপনার সন্তানরা যিহোবার আইনগুলোর বাধ্য থাকে? তারা যখন স্কুলে থাকে, সেই সময়ের কথা কী বলা যায়? কীভাবে আপনি আপনার সন্তানদেরকে যিহোবার আইনগুলোর পিছনে যে-প্রজ্ঞা রয়েছে, সেই বিষয়ে দৃঢ়প্রত্যয়ী করার জন্য সাহায্য করতে পারেন, যাতে তারা এমনকী সেই সময়েও এগুলোর দ্বারা পরিচালিত হয়, যখন আপনি তাদের সঙ্গে থাকেন না?
পারিবারিক উপাসনা এই ক্ষেত্রে আপনার সন্তানের বিশ্বাসকে গড়ে তোলায় এক বড়ো ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই, আসুন আমরা আপনাদের পারিবারিক বাইবেল অধ্যয়নকে সফল করে তোলার ক্ষেত্রে তিনটে প্রধান বিষয় নিয়ে আলোচনা করি।
নিয়মিতভাবে করুন
ইয়োব ১:৬ পদে যে-শব্দটিকে “এক দিন” হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে, মূল ভাষার বাইবেলে সেটি ইঙ্গিত করে যে, ঈশ্বরের দূত পুত্রদেরকে এক নির্ধারিত সময়ে তাঁর সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। আপনার সন্তানদের সঙ্গেও তা-ই করুন। পারিবারিক উপাসনার সন্ধ্যার জন্য একটা নির্দিষ্ট দিন ও সময় রাখুন আর এরপর নিয়মিতভাবে সেই দিন ও সময়ে অধ্যয়ন করে চলুন। অধিকন্তু, অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিগুলোর জন্য অন্য আরেকটা সময় নির্ধারণ করে রাখুন।
মাস গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, এইরকম মনোভাবকে প্রশ্রয় দেবেন না যে, সময় পেলে তবে করব। মনে রাখবেন, আপনার সন্তানরা হচ্ছে আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাইবেল ছাত্রছাত্রী। কিন্তু, শয়তান তাদেরকে তার শিকারে পরিণত করতে চাইবে। (১ পিতর ৫:৮) যদি আপনি এই মূল্যবান পারিবারিক উপাসনার সন্ধ্যাকে অধ্যয়নের জন্য ব্যবহার না করে টেলিভিশন দেখার বা অন্য কোনো তুচ্ছ কাজের জন্য ব্যবহার করেন, তাহলে শয়তান জয়ী হবে।—ইফি. ৫:১৫, ১৬; ৬:১২; ফিলি. ১:১০, পাদটীকা।
অধ্যয়নকে বাস্তবসম্মত রাখুন
পারিবারিক উপাসনার সন্ধ্যা নিছক পড়াশোনা করার এক সন্ধ্যা হওয়া উচিত নয়। এটাকে বাস্তবসম্মত রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করুন। কীভাবে? মাঝে মাঝে এমন বিষয়গুলো বাছাই করুন, যেগুলোর মুখোমুখি আপনার সন্তানরা সামনের ২ তীম. ২:১৫.
দিন বা সপ্তাহগুলোতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, পরিচর্যার জন্য মহড়া পর্বগুলোকে যুক্ত করুন না কেন? অল্পবয়সিরা সেই কাজগুলোই করতে পছন্দ করে, যেগুলো তারা ভালোভাবে করতে পারে। বিভিন্ন উপস্থাপনার মহড়া করা এবং আপত্তিগুলোকে খণ্ডন করার উপায় নিয়ে চিন্তা করা তাদেরকে আরও বেশি দৃঢ়প্রত্যয়ী হতে সাহায্য করবে, যখন কিনা তারা রাজ্যের প্রচার কাজের বিভিন্ন দিকে অংশ নেয়।—এ ছাড়া, আপনি এমন মহড়া পর্বগুলোও রাখতে পারেন, যেগুলো আপনার সন্তানকে সঙ্গীসাথিদের চাপ মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে। এমনভাবে আলোচনা করতে উৎসাহিত করুন, যা আপনার সন্তানকে সেই উত্তরগুলো দেওয়ার সুযোগ করে দেয়, যেগুলো দিতে সে স্বচ্ছন্দ বোধ করে। এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, আপনার সন্তানকে এমন প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করা যে, সে কোন ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হয়, কোথায় সেগুলোর মুখোমুখি হয়, যদি সে সেগুলোর কাছে নতিস্বীকার করে, তাহলে কী হবে আর যদি সেগুলোকে প্রতিরোধ করে, তাহলেই বা কী হবে। সময়ে সময়ে, তারা যে-প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলোর মুখোমুখি হয়, সেগুলোর উত্তর তারা কীভাবে দেবে, সেই বিষয়ে মহড়া করুন না কেন?
পারিবারিক উপাসনা আধ্যাত্মিক লক্ষ্যগুলো স্থাপন করার উপকারগুলোর ওপর জোর দেওয়ার জন্য বাবা-মাদের জন্য এক সুযোগ করে দেয়। এই ক্ষেত্রে, আমাদের পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের জীবনকাহিনী আপনার সন্তানকে এই বিষয়টা উপলব্ধি করতে সাহায্য করার চমৎকার ভিত্তি জোগায় যে, একজনের জীবনকে যিহোবার সেবায় কেন্দ্রীভূত করা হচ্ছে অনুসরণ করার জন্য সর্বোত্তম পথ। আপনার সন্তানের হৃদয়ে অগ্রগামীর কাজ করার, বেথেলে সেবা করার, মিনিস্টিরিয়াল ট্রেনিং স্কুল-এ যোগ দেওয়ার বা অন্য কোনো ধরনের পূর্ণসময়ের পরিচর্যা অনুধাবন করার আকাঙ্ক্ষা গড়ে তুলুন।
এই ব্যাপারে সাবধানবাণীমূলক একটা বিষয় হল: কিছু সদুদ্দেশ্যপূর্ণ বাবা-মা, তাদের সন্তান যা হোক বলে তারা চায়, সেটার ওপর এত বেশি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে যে, তাদের সন্তান ইতিমধ্যেই যে-ভালো বিষয়গুলো সম্পাদন করছে, সেটাকে স্বীকার করতে চায় না। অবশ্য, আপনার সন্তানদের বেথেল সেবা এবং মিশনারি কাজের উত্তম লক্ষ্যগুলো স্থাপন করতে উৎসাহিত করা ভালো। কিন্তু, এই ব্যাপারে আপনার প্রত্যাশাগুলো চাপিয়ে দিয়ে আপনার সন্তানকে রাগিয়ে তুলবেন না ও তার মন ভেঙে দেওয়ার কারণ হবেন না। (কল. ৩:২১) সবসময় মনে রাখবেন যে, আপনার ছেলে বা মেয়েকে তার নিজ হৃদয় থেকে যিহোবাকে ভালোবাসতে শিখতে হবে—আপনাদের হৃদয় থেকে নয়। (মথি ২২:৩৭) তাই, আপনার সন্তান যে-ভালো বিষয়গুলো করছে, তার জন্য তাকে প্রশংসা করার উপায়গুলো খুঁজুন এবং সে যা করছে না, সেটা নিয়ে জোরাজুরি করার ইচ্ছাকে প্রতিরোধ করুন। যিহোবা যা-কিছু করেছেন, সেই সমস্তকিছুর প্রতি উপলব্ধি গড়ে তুলুন। এরপর, আপনার সন্তানের হৃদয়কে যিহোবার মঙ্গলভাবের প্রতি সাড়া দিতে পরিচালিত করুন।
অধ্যয়নকে উপভোগ্য করে তুলুন
পারিবারিক উপাসনার সন্ধ্যাকে সফল করে তোলার তৃতীয় প্রধান বিষয়টা হল, এটাকে উপভোগ্য করে তোলা। আপনারা কীভাবে তা সম্পাদন করতে পারেন? মাঝে মাঝে আপনারা হয়তো যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা তৈরি শ্রুতিনাটকগুলো শুনতে পারেন বা কোনো একটা ভিডিও দেখতে ও সেটা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। অথবা আপনারা হয়তো বাইবেলের কোনো একটি অংশ একসঙ্গে পড়তে পারেন, পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে একেকটা চরিত্রের অংশ পড়ার দায়িত্ব দিতে পারেন।
আমাদের প্রহরীদুর্গ এবং সচেতন থাক! (ইংরেজি) পত্রিকাগুলোতে এমন কিছু ধারাবাহিক প্রবন্ধ রয়েছে, যেগুলো পারিবারিক আলোচনার জন্য চমৎকার ভিত্তি জোগায়। উদাহরণস্বরূপ, আপনি হয়তো প্রতিটি সচেতন থাক! পত্রিকার ৩১
পৃষ্ঠায় দেওয়া “আপনি কীভাবে উত্তর দেবেন?” শিরোনামের প্রবন্ধটি ব্যবহার করতে পারেন। প্রহরীদুর্গ পত্রিকার বিভিন্ন জনসাধারণের সংস্করণে “অল্পবয়সি ছেলেমেয়েদের জন্য” শিরোনামের অধ্যয়ন প্রকল্প রয়েছে। এই অধ্যয়ন প্রকল্পগুলোতে মাঝেমধ্যে ছোটো ছেলে-মেয়েদের জন্য “আপনাদের সন্তানদের শিক্ষা দিন” শিরোনামের ধারাবাহিক প্রবন্ধগুলোও থাকে।সচেতন থাক! পত্রিকার “যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য” শিরোনামের ধারাবাহিক প্রবন্ধগুলো, কিশোরবয়সি সন্তানদের বাবা-মার জন্য বিশেষভাবে আগ্রহের বিষয় হবে। অধিকন্তু, “চিন্তা করার মতো বিষয়” শিরোনামের বাক্সটি উপেক্ষা করবেন না। সেই বাক্সটি অন্যান্য পারিবারিক আলোচনার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।
কিন্তু, সাবধান থাকবেন যেন পারিবারিক অধ্যয়ন জেরা করার এক পর্ব না হয়ে ওঠে। উদাহরণস্বরূপ, এইরকম পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, বাবা-মারা যেন তাদের সন্তানদেরকে এমন একটি খাতা রাখার জন্য উৎসাহিত করে, যেখানে তারা পরিবারগতভাবে যে-বিষয়বস্তু আলোচনা করে, সেই বিষয়ে সন্তানদের ব্যক্তিগত ধারণা ও অনুভূতি এবং কীভাবে তারা সেটা তাদের জীবনে প্রয়োগ করবে, তা লিখে রাখে। তবে, আপনার সন্তান তার খাতায় যা লিখেছে, সেগুলো জোরে জোরে পড়ার জন্য তাকে জোর করবেন না। যদি করেন, তাহলে এটা আপনার সন্তানকে অকপটভাবে লেখার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করতে পারে। এই ক্ষেত্রে আপনার সন্তানকে খানিকটা গোপনীয়তা বজায় রাখার সুযোগ দিন।
যদি আপনি আপনার পারিবারিক উপাসনাকে নিয়মিত, বাস্তবসম্মত এবং উপভোগ্য রাখেন, তাহলে যিহোবা আপনার প্রচেষ্টাগুলোতে প্রচুররূপে আশীর্বাদ করবেন। পরিবারের জন্য এই বিশেষ সময়টুকু আপনার প্রিয়জনদের আধ্যাত্মিকভাবে সক্রিয় ও বলবান রাখার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।
[৩১ পৃষ্ঠার বাক্স]
সৃজনশীল হোন
“আমাদের অল্পবয়সি মেয়েদের সঙ্গে অধ্যয়ন করার সময় আমার স্বামী ও আমি মণ্ডলীর সভার জন্য প্রস্তুতি নিতে একটা বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করতাম আর এরপর আমাদের মেয়েদেরকে সেই বিষয়বস্তু থেকে মূল শিক্ষাটার ওপর ছবি আঁকতে বলতাম। মাঝে মাঝে, আমরা বাইবেলের বিভিন্ন দৃশ্য অভিনয় করে দেখাতাম বা ক্ষেত্রের পরিচর্যার উপস্থাপনাগুলোর জন্য মহড়া পর্ব করতাম। আমরা তাদের বয়স অনুযায়ী অধ্যয়নকে আগ্রহজনক, ইতিবাচক ও উপভোগ্য রাখতাম।”—জে. এম., যুক্তরাষ্ট্র।
“আমার বাইবেল ছাত্রীর ছেলেকে বাইবেলের সময়ে গুটানো পুস্তকের ব্যবহার কেমন ছিল, তা বুঝতে সাহায্য করার জন্য, অধ্যায় ও পদের সংখ্যাগুলো মুছে যিশাইয় বইটি ছাপিয়ে ছিলাম। এরপর আমরা পৃষ্ঠাগুলো জোড়া লাগিয়েছিলাম ও পৃষ্ঠার দুই প্রান্তকে একটা টিউবের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলাম। এরপর সেই ছেলে, নাসরতের সমাজগৃহে যিশু যা করেছিলেন, তা করার চেষ্টা করছিল। লূক ৪:১৬-২১ পদের বিবরণ বর্ণনা করে যে, যিশু “[যিশাইয়ের] পুস্তকখানি” বা গুটানো পুস্তকটি “খুলিয়া সেই স্থান পাইলেন,” যে-অংশটুকু তিনি খুঁজছিলেন। (যিশা. ৬১:১, ২) কিন্তু, সেই ছেলেটিও যখন একই বিষয় করার চেষ্টা করেছিল, সে দেখেছিল যে অধ্যায় ও পদের সংখ্যা ছাড়া ওই দীর্ঘ গুটানো পুস্তক থেকে যিশাইয় ৬১ অধ্যায় খুঁজে বের করা খুব কঠিন। গুটানো পুস্তক ব্যবহারে যিশুর দক্ষতা দেখে অভিভূত হয়ে, সেই ছেলে এইরকম বলেছিল: ‘সত্যি, যিশু ছিলেন অসাধারণ!’”—ওয়াই. টি., জাপান।
[৩০ পৃষ্ঠার চিত্র]
মহড়া পর্বগুলো আপনাদের সন্তানদেরকে সঙ্গীসাথিদের চাপের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারে
[৩১ পৃষ্ঠার চিত্র]
পারিবারিক উপাসনার সন্ধ্যাকে উপভোগ্য করে তোলার প্রচেষ্টা করুন