সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

এই বিষম সময়ে “হৃদয়ের শুচিতা” বজায় রাখুন

এই বিষম সময়ে “হৃদয়ের শুচিতা” বজায় রাখুন

এই বিষম সময়ে “হৃদয়ের শুচিতা” বজায় রাখুন

“কে উই অস্বীকার করতে পারবে না যে, আজকে গির্জায় শুদ্ধতা বজায় রাখা এক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” সম্প্রতি ইতালিতে গির্জার সঙ্গে জড়িত যৌন কেলেঙ্কারি সম্বন্ধে ক্যাথলিক সাংবাদিক ভিট্টরিয়ো মিসোরি এই মন্তব্য করেছিলেন। “আর যাজকদের চিরকুমার থাকার চাহিদাকে বাদ দিলেও এটাকে সমাধান করা যাবে না, কারণ এইরকম ৮০ শতাংশ ঘটনার সঙ্গে সমকামী ব্যক্তিরা জড়িত—যে-ঘটনাগুলোতে যাজকরা পুরুষ বা ছোটো ছেলেদের যৌন নিপীড়ন করে থাকে।”—লা স্তামপা।

কোনো সন্দেহ নেই যে, বৃদ্ধিরত দুষ্টতা এই বর্তমান বিধিব্যবস্থার ‘শেষ কালের’ এক চিহ্ন। (২ তীম. ৩:১-৫) সংবাদ বিবৃতিগুলো যেমন দেখায়, ঘটতে থাকা এই নৈতিক অবক্ষয় শুধুমাত্র সাধারণ লোকেদের ওপরই নয়, কিন্তু নিজেদেরকে ঈশ্বরের লোক বলে দাবি করে এমন লোকেদের ওপরও এক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাদের কলুষিত ও অশুচি হৃদয় তাদেরকে মন্দ কাজগুলো করতে প্ররোচিত করে। (ইফি. ২:২) তাই, উপযুক্ত কারণেই যিশু সাবধান করেছিলেন যে, “অন্তঃকরণ হইতে কুচিন্তা, নরহত্যা, ব্যভিচার, বেশ্যাগমন, চোর্য্য, মিথ্যাসাক্ষ্য, নিন্দা আইসে।” (মথি ১৫:১৯) কিন্তু, যিহোবা ঈশ্বর চান যেন তাঁর দাসেরা “হৃদয়ের শুচিতা” ভালোবাসে। (হিতো. ২২:১১) তাই, এই বিষম সময়ে একজন খ্রিস্টান কীভাবে এক শুচি হৃদয় বজায় রাখতে পারেন?

“নির্ম্মলান্তঃকরণ” হওয়া বলতে যা বোঝায়

বাইবেলে ‘হৃদয়’ শব্দটি প্রায়ই রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। একটি তথ্যগ্রন্থ অনুসারে, হৃদয়ের জন্য ব্যবহৃত বাইবেলের শব্দটি “মানুষের অভ্যন্তরস্থ অংশকে” ইঙ্গিত করে এবং এটা “মানুষের এমন এক অংশ, যেটা ঈশ্বরের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, যেটার ওপর ঈশ্বরের সঙ্গে একজনের সম্পর্ক স্থাপিত এবং যেটা নৈতিক আচরণকে নির্ধারণ করে।” হৃদয় প্রতিনিধিত্ব করে যে, ভিতরে আমরা আসলে কেমন ব্যক্তি। ওপরে উদ্ধৃত তথ্যগ্রন্থটি যেমন তুলে ধরে, এই হৃদয়কেই যিহোবা পরীক্ষা করেন এবং তাঁর দাসদের এই হৃদয়ের প্রতিই তিনি উপলব্ধি দেখিয়ে থাকেন।—১ পিতর ৩:৪.

বাইবেলে ‘নির্ম্মল’ বা শুচি এবং “বিমল” বা শুদ্ধ এই শব্দগুলো আক্ষরিক অর্থে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকে ইঙ্গিত করতে পারে। কিন্তু এই শব্দগুলো সেটার জন্যও প্রয়োগ করা হয়েছে, যেটা নৈতিক ও ধর্মীয় অর্থে কলুষতামুক্ত—ভেজাল, নোংরা বা দুর্নীতিপূর্ণ নয়। পর্বতেদত্ত উপদেশে যিশু ঘোষণা করেছিলেন: “ধন্য [“সুখী,” বাংলা জুবিলী বাইবেল] যাহারা নির্ম্মলান্তঃকরণ।” বস্তুতপক্ষে, তিনি সেই লোকেদের বিষয়ে উল্লেখ করেছিলেন, যারা ভিতরে শুদ্ধ। (মথি ৫:৮) তাদের আবেগ-অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা ও মনোভাব শুচি। প্রেম ও কৃতজ্ঞতার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তারা পূর্ণ হৃদয়ে, আন্তরিকভাবে ও অকপটভাবে যিহোবাকে ভালোবাসে। (লূক ১০:২৭) আপনি সেই অর্থে শুচি হতে চান, তাই নয় কি?

“নির্ম্মলান্তঃকরণ” বজায় রাখা প্রতিদ্বন্দ্বিতা স্বরূপ

যিহোবার একজন দাসের শুধুমাত্র “অঞ্জলি নির্দ্দোষ” হলেই হবে না কিন্তু সেইসঙ্গে “অন্তঃকরণ বিমল” বা শুদ্ধও হতে হবে। (গীত. ২৪:৩, ৪) কিন্তু, আজকে ঈশ্বরের দাসদের জন্য “অন্তঃকরণ বিমল” বা শুদ্ধ রাখা দিন দিন এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়ে উঠছে। শয়তান ও তার অধীনস্থ এই জগৎ আর সেইসঙ্গে আমাদের নিজেদের অসিদ্ধতা আমাদেরকে যিহোবার কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার জন্য প্রচণ্ড চাপ দেয়। এই চাপ প্রতিরোধ করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হল, আমরা যেন “হৃদয়ের শুচিতা” ভালোবাসি এবং তা বজায় রাখার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হই। এটা আমাদের সুরক্ষা প্রদান করবে এবং ক্রমাগত ঈশ্বরের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করবে। কীভাবে আমরা এক শুচি হৃদয় বজায় রাখতে পারি?

ইব্রীয় ৩:১২ পদে আমরা এই সাবধানবাণীটা পাই: “ভ্রাতৃগণ, দেখিও, পাছে অবিশ্বাসের এমন মন্দ হৃদয় তোমাদের কাহারও মধ্যে থাকে যে, তোমরা জীবন্ত ঈশ্বর হইতে সরিয়া পড়।” আমরা যদি “অবিশ্বাসের” এক হৃদয় গড়ে তুলি, তাহলে আমরা “নির্ম্মলান্তঃকরণ” বা হৃদয়ে শুচি থাকতে পারব না। ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসকে দুর্বল করে দেওয়ার জন্য শয়তান দিয়াবল কোন ধারণাগুলো ছড়িয়ে দেয়? এই ধারণাগুলোর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে বিবর্তনবাদ, নৈতিক ও ধর্মীয় সাপেক্ষবাদ এবং পবিত্র শাস্ত্রের ঐশিক অনুপ্রেরণা নিয়ে সন্দেহ। এই ধরনের বিপদজনক মতবাদগুলোর দ্বারা আমরা নিজেদেরকে প্রভাবিত হতে দেব না। (কল. ২:৮) প্রতিদিন বাইবেল পড়া ও গভীরভাবে ধ্যান করা হল এই ধরনের আক্রমণগুলোর বিরুদ্ধে প্রধান অস্ত্র। ঈশ্বরের বাক্যের সঠিক জ্ঞান যিহোবার প্রতি আমাদের ভালোবাসা এবং তাঁর আচরণের প্রতি আমাদের উপলব্ধিকে বৃদ্ধি করবে। এই ধরনের ভালোবাসা ও উপলব্ধিবোধ অপরিহার্য, যদি আমরা মিথ্যা যুক্তিগুলো প্রত্যাখ্যান করতে এবং যিহোবার প্রতি আমাদের বিশ্বাসকে দৃঢ় রাখতে চাই, যাতে আমরা এক শুচি হৃদয় বজায় রাখতে পারি।—১ তীম. ১:৩-৫.

মাংসিক অভিলাষগুলোর মুখোমুখি হওয়ার সময়

“হৃদয়ের শুচিতা” বজায় রাখার প্রচেষ্টায়, আমরা আরেক ধরনের যে-আক্রমণের মুখোমুখি হতে পারি, সেটার সঙ্গে মাংসিক ও বস্তুগত অভিলাষ বা আকাঙ্ক্ষা জড়িত। (১ যোহন ২:১৫, ১৬) টাকাপয়সার প্রতি ভালোবাসা অথবা ধনসম্পদ সঞ্চয় ও বস্তুগত জিনিস লাভ করার আকাঙ্ক্ষা হৃদয়কে কলুষিত করতে ও একজন খ্রিস্টানকে ঈশ্বরের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করতে পরিচালিত করতে পারে। কিছুজন কাজের জায়গায় অসৎ হয়ে গিয়েছে, অন্যদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে অথবা এমনকী অন্যদের টাকা বা জিনিসপত্র চুরি করেছে।—১ তীম. ৬:৯, ১০.

অন্যদিকে, যিহোবাকে অসন্তুষ্ট করার এক গঠনমূলক ভয় গড়ে তোলার, ন্যায়বিচার ভালোবাসার এবং এক শুদ্ধ বিবেক বজায় রাখার সংকল্প নেওয়ার দ্বারা আমরা দেখাই যে, আমরা “হৃদয়ের শুচিতা” ভালোবাসি। সেই ভালোবাসা আমাদেরকে “সর্ব্ববিষয়ে সদাচরণ করিতে” পরিচালিত করে। (ইব্রীয় ১৩:১৮) আমরা যখন ন্যায্য আচরণ করি, তখন সদাচরণ বা সততা এক উত্তম সাক্ষ্য প্রদান করতে পারে। এমিলিও নামে ইতালীয় একজন সাক্ষি, যিনি একটা জনপরিবহণ কোম্পানিতে একজন ড্রাইভার হিসেবে কাজ করেন, তিনি ৪৭০ ইউরো (৬৮০ মার্কিন ডলার) ভরতি একটা মানিব্যাগ খুঁজে পেয়েছিলেন। তার সহকর্মীদের অবাক করে দিয়ে, তিনি সেই মানিব্যাগটা তার সুপারভাইজারের হাতে তুলে দিয়েছিলেন, যিনি পরে মানিব্যাগটা সেই ব্যক্তিকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন যিনি তা হারিয়েছিলেন। এমিলিওর কয়েকজন সহকর্মীর ওপর তার এই আচরণ এতটাই ছাপ ফেলেছিল যে, তারা বাইবেলের প্রতি আগ্রহী হয়েছিল এবং বাইবেল অধ্যয়ন করতে শুরু করেছিল। এর ফলে, দুটো পরিবার থেকে সাতজন ব্যক্তি সত্য গ্রহণ করেছিল। হ্যাঁ, শুচি হৃদয়ে সততার সঙ্গে আচরণ করা, প্রকৃতপক্ষে অন্যদেরকে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে পরিচালিত করতে পারে।—তীত ২:১০.

আরেকটা বিষয় যা একজন খ্রিস্টানের হৃদয়ের শুচিতার ওপর এক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তা হল যৌনতা সম্বন্ধে এক বিকৃত, অনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি। অনেকে যে বিবাহপূর্ব, বিবাহবহির্ভূত ও সমকামী সম্পর্ককে সাধারণ বিষয় বলে মনে করে থাকে, সেটা একজন খ্রিস্টানের হৃদয়কে কলুষিত করতে পারে। একজন ব্যক্তি, যিনি যৌন অনৈতিকতায় জড়িয়ে পড়েন, তিনি হয়তো পাপকে লুকোনোর দ্বারা কপটভাবে দ্বৈত জীবনযাপন করতে পারেন। সেটা নিশ্চিতভাবেই ‘হৃদয়ের শুচিতাকে’ প্রতিফলিত করবে না।

গাব্রিয়েলির বয়স যখন ১৫ বছর, তখন তিনি বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং সঙ্গেসঙ্গে অগ্রগামীর কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু, পরবর্তী সময়ে তিনি খারাপ সঙ্গীসাথিদের সঙ্গে নাইটক্লাবগুলোতে সময় কাটাতে শুরু করেছিলেন। (গীত. ২৬:৪) এটা ছিল এক অনৈতিক ও কপটতাপূর্ণ জীবনধারার শুরু আর তাই তাকে খ্রিস্টীয় মণ্ডলী থেকে সমাজচ্যুত করা হয়েছিল। যিহোবার কাছ থেকে পাওয়া এই ধরনের শাসন তাকে গভীরভাবে চিন্তা করতে পরিচালিত করেছিল। গাব্রিয়েলি স্মরণ করেন: “পূর্বে যে-বিষয়গুলোকে আমি কখনো গুরুত্বের সঙ্গে নিইনি, আমি সেগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে শুরু করেছিলাম। আমি প্রতিদিন বাইবেল পড়তে শুরু করি ও যিহোবা প্রকৃতপক্ষে যা বলেন, তা শোনার চেষ্টা করি এবং মনোযোগ সহকারে ঐশিক প্রকাশনাগুলো অধ্যয়ন করি। ব্যক্তিগত অধ্যয়ন যে কত পুরস্কারজনক ও পরিতৃপ্তিদায়ক হতে পারে এবং বাইবেল পড়া ও ঐকান্তিক প্রার্থনা করা থেকে যে কত শক্তি লাভ করা যেতে পারে, তা আমি বুঝতে পেরেছিলাম।” এটা গাব্রিয়েলিকে তার অনৈতিক আচরণ পরিত্যাগ করতে এবং যিহোবার সঙ্গে তার সম্পর্ককে পুনর্স্থাপন করতে সাহায্য করেছিল।

এখন গাব্রিয়েলি তার স্ত্রীর সঙ্গে আবারও একজন অগ্রগামী হিসেবে সেবা করছেন। তার প্রতি যা ঘটেছিল তা নিশ্চিত করে যে, বাইবেল এবং ‘বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান্‌ দাসের’ কাছ থেকে পাওয়া প্রকাশনাগুলো অধ্যয়ন করা কীভাবে একজন ব্যক্তিকে এক শুচি হৃদয় বজায় রাখতে এবং অনৈতিক কাজকে প্রত্যাখ্যান করতে সাহায্য করতে পারে।—মথি ২৪:৪৫; গীত. ১৪৩:১০.

পরীক্ষার সময়ে “হৃদয়ের শুচিতা”

বিরোধীদের কাছ থেকে আসা চাপ, আর্থিক সমস্যা আর গুরুতর অসুস্থতা ঈশ্বরের কিছু দাসকে নিরুৎসাহিত করেছে। কখনো কখনো তাদের হৃদয়ও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। এমনকী রাজা দায়ূদও এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন: “আমার আত্মা অন্তরে অবসন্ন হইয়াছে, আমার অন্তরে চিত্ত অসার হইয়াছে।” (গীত. ১৪৩:৪) কী তাকে এই ধরনের মুহূর্তগুলো কাটিয়ে উঠতে সমর্থ করেছিল? ঈশ্বর তাঁর দাসদের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করেছিলেন এবং দায়ূদ নিজে কীভাবে উদ্ধার লাভ করেছিলেন, সেই বিষয় নিয়ে তিনি ধ্যান করেছিলেন। যিহোবা তাঁর মহান নামের জন্য যা করেছিলেন, সেই নিয়ে তিনি ধ্যান করেছিলেন। দায়ূদ ঈশ্বরের কাজগুলো সম্বন্ধে আলোচনা বা চিন্তা করেছিলেন। (গীত. ১৪৩:৫) একইভাবে, আমাদের সৃষ্টিকর্তার বিষয় নিয়ে ধ্যান করা এবং তিনি আমাদের জন্য যা-কিছু করেছেন ও করে চলেছেন সেই সমস্ত নিয়ে ধ্যান করা আমাদেরকে এমনকী পরীক্ষার সময়েও সাহায্য করতে পারে।

যখন আমাদের প্রতি কোনো অন্যায় করা হয় বা আমরা মনে করি যে, আমাদের প্রতি কোনো অন্যায় করা হয়েছে, তখন আমরা তিক্ত হয়ে উঠতে পারি। সবসময় সেই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করার ফলে আমাদের ভাইবোনদের প্রতি আমাদের নেতিবাচক অনুভূতি গড়ে উঠতে পারে। আমরা হয়তো মেলামেশা বন্ধ করে দিতে, নিজেদের পৃথক করে রাখতে ও অন্যদের প্রতি সামান্যই আগ্রহ দেখাতে পারি। কিন্তু, এই ধরনের এক প্রতিক্রিয়া দেখানো কি “হৃদয়ের শুচিতা” রাখার ব্যাপারে আমাদের ইচ্ছার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে? স্পষ্টতই, এই ধরনের এক হৃদয়ের অবস্থা বজায় রাখার লক্ষ্যের সঙ্গে আমাদের খ্রিস্টান ভাইবোনদের প্রতি আমাদের আচরণ ও প্রতিক্রিয়া জড়িত।

দিন দিন কলুষিত ও নৈতিকভাবে অধঃপতিত হচ্ছে এমন এক জগতে সত্য খ্রিস্টান হিসেবে আমরা লোকেদের নজরে পড়ি কারণ আমরা “হৃদয়ের শুচিতা” ভালোবাসি। ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার ফলে আমরা যে-মনের শান্তি লাভ করি, তা আমাদের জীবনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। সর্বোপরি, আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তা, যিহোবা ঈশ্বরের সঙ্গে এক অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব উপভোগ করি, যিনি সেই লোকেদের ভালোবাসেন যারা “শুদ্ধচিত্ত।” (গীত. ৭৩:১) হ্যাঁ, আমরা সেই ব্যক্তিদের মধ্যে থাকতে পারব, যারা সুখী হবে কারণ যিশু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, “তাহারা ঈশ্বরের দর্শন পাইবে,” কারণ যারা “হৃদয়ের শুচিতা” ভালোবাসে, ঈশ্বর তাদের পক্ষে কাজ করবেন।—মথি ৫:৮.