সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

প্রেমে একতাবদ্ধ বার্ষিক সভার রিপোর্ট

প্রেমে একতাবদ্ধ বার্ষিক সভার রিপোর্ট

প্রেমে একতাবদ্ধ বার্ষিক সভার রিপোর্ট

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির, জার্সি শহরে যিহোবার সাক্ষিদের সম্মেলন হলে উপস্থিত লোকেরা খুবই রোমাঞ্চিত হয়েছিল। ২০০৯ সালের ৩ অক্টোবর সকালে, ৫,০০০ জনেরও বেশি ব্যক্তি ওয়াচ টাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি অভ্‌ পেনসিলভানিয়ার ১২৫তম বার্ষিক সভার জন্য একত্রিত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের তিনটে বেথেল কমপ্লেক্স এবং কানাডা বেথেলের সঙ্গে অডিও/ভিডিওর মাধ্যমে সংযুক্ত করা কার্যক্রম আরও হাজার হাজার ব্যক্তি শুনেছিল ও দেখেছিল। যিহোবার প্রতি প্রেমে একতাবদ্ধ মোট ১৩,২৩৫ জন তিন ঘন্টার এই সভা উপভোগ করেছিল।

পরিচালকগোষ্ঠীর সদস্য জেফ্রি জ্যাকসন সভাপতি হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি বেথেলকর্মীদের এক গায়কদলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দ্বারা কার্যক্রম শুরু করেছিলেন, যারা আমাদের নতুন গানবই থেকে বিভিন্ন গান গেয়েছিল। গায়কদলকে পরিচালনা দিয়েছিলেন পরিচালকগোষ্ঠীর আরেকজন সদস্য ডেভিড স্প্‌ল্যান, যিনি বিশুদ্ধ উপাসনায় সংগীতের গুরুত্ব সম্বন্ধে সংক্ষেপে আলোচনা করেছিলেন। সভায় শ্রোতাদেরকে তিনটে নতুন গান গাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল; প্রথমে গায়কদল আর তারপর গায়কদল ও শ্রোতারা একসঙ্গে সেগুলো গেয়েছিল। শুধুমাত্র এই বিশেষ সমাবেশের জন্যই গায়কদলকে ব্যবহার করা হয়েছিল; এটাকে যেন খ্রিস্টীয় সভা, সীমা অথবা জেলা সম্মেলনে অনুসরণ করার জন্য এক আদর্শ হিসেবে নেওয়া না হয়।

বিভিন্ন শাখা থেকে আসা রিপোর্ট

পরিদর্শনকারী শাখা কমিটি-র সদস্যরা পাঁচটা শাখার রিপোর্ট দিয়েছিল। কেনেথ লিট্‌ল্‌ বলেছিলেন যে, কানাডা শীঘ্র যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার জন্য বেশিরভাগ পত্রিকা ছাপাতে শুরু করবে, যার ফলে সেই শাখার উৎপাদন দশ গুণ বৃদ্ধি পাবে। তা সম্পাদন করার জন্য নতুন একটা মুদ্রণযন্ত্র দুটো শিফ্‌টে অর্থাৎ দিনে মোট ১৬ ঘন্টা কাজ করবে।

রেনার থম্পসন ডমিনিকান রিপাবলিকের রাজ্যের কাজের বিষয়ে রিপোর্ট তুলে ধরেছিলেন এবং অ্যালবার্ট ওলি নাইজেরিয়াতে আমাদের কাজকর্ম সম্বন্ধে বর্ণনা করেছিলেন। মোজাম্বিক থেকে আসা এমিল ক্রিটসিংগার ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, সেখানে দশকের পর দশক ধরে তাড়না ভোগ করার পর ১৯৯২ সালে যিহোবার সাক্ষিরা রেজিস্ট্রীভুক্ত হয়েছিল। এই তিনটে দেশেই সম্প্রতি প্রকাশকদের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার শাখা থেকে আসা ভিভ মরিটস্‌ পূর্ব তিমোরের কাজের উন্নতি সম্বন্ধে বলেছিলেন, যেটার দেখাশোনা অস্ট্রেলিয়ার ভাইয়েরা করে থাকে।

পরিচালকগোষ্ঠীর বিভিন্ন কমিটি

১৯৭৬ সালে যিহোবার সাক্ষিদের সমস্ত কাজকর্ম পরিচালকগোষ্ঠীর ছয়টা কমিটির তত্ত্বাবধানের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে, সাহায্যকারী হিসেবে আরও মেষ শ্রেণীর সদস্যদের নিযুক্ত করা হয়েছিল। বর্তমানে এই কাজে ২৩ জন সাহায্য করছে। তাদের মধ্যে ছয় জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। তারা মোট ৩৪১ বছর পূর্ণসময়ের পরিচর্যা করেছে—প্রত্যেকে গড়ে ৫৭ বছর।

ডন অ্যাডামস্‌, যিনি ১৯৪৩ সালে বেথেলে এসেছিলেন, তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, অন্য পাঁচটা কমিটির কোঅর্ডিনেটরদের নিয়ে কোঅর্ডিনেটরস্‌ (সমন্বয়কারী) কমিটি গঠিত, যেটা নিশ্চিত করে যে, পাঁচটা কমিটিই একসঙ্গে নির্বিঘ্নে কাজ করছে। এই কমিটি বিশ্বব্যাপী যিহোবার সাক্ষিদের প্রভাবিত করে এমন গুরুতর জরুরি অবস্থা, তাড়না, মামলামোকদ্দমা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অন্যান্য জরুরি বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।

ড্যান মলচ্যান পারসোনেল (কর্মী সংক্রান্ত) কমিটি-র কাজ সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করেছিলেন, যে-কমিটি বিশ্বব্যাপী ১৯,৮৫১ জন বেথেলকর্মীর আধ্যাত্মিক ও শারীরিক মঙ্গলের বিষয়ে তত্ত্বাবধান করে থাকে। ডেভিড সিনক্লেয়ার কীভাবে পাবলিশিং (প্রকাশনা সংক্রান্ত) কমিটি শাখাগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও সরঞ্জাম কেনাকাটার বিষয়টা তত্ত্বাবধান করে, সেই বিষয়ে কথা বলেছিলেন। এরপর রবার্ট ওঅলেন, যিনি বেথেলে প্রায় ৬০ বছর ধরে সেবা করছেন, তিনি বলেছিলেন যে, কীভাবে সার্ভিস (পরিচর্যা সংক্রান্ত) কমিটি ক্ষেত্রে এবং মণ্ডলীগুলোতে যিহোবার লোকেদের কাজের তত্ত্বাবধান করে থাকে। উইলিয়াম ম্যালেনফন্ট টিচিং (শিক্ষাদান সংক্রান্ত) কমিটি সম্মেলনের কার্যক্রম প্রস্তুত করার জন্য যে-কঠোর পরিশ্রম করে থাকে, সেই বিষয়ে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করেছিলেন। পরিশেষে, জন উইসচুক বর্ণনা করেছিলেন যে, কীভাবে রাইটিং (লিখন সংক্রান্ত) কমিটি আমাদের প্রকাশনার বিষয়বস্তুর পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়ার বিষয়টা তত্ত্বাবধান করে থাকে। *

২০১০ সালের বার্ষিক শাস্ত্রপদ প্রেমের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে

পরবর্তী তিনটে বক্তৃতা পরিচালকগোষ্ঠীর সদস্যরা দিয়েছিল। গ্যারিট লুশ এই প্রশ্নটা দিয়ে শুরু করেছিলেন যে, “আপনারা কি অন্যের ভালোবাসা পেতে চান?” তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, ভালোবাসা হল মানুষের এক মৌলিক চাহিদা আর আমরা সকলে ভালোবাসা পেয়েই সমৃদ্ধি লাভ করি। প্রেমের কারণেই আমরা অস্তিত্বে রয়েছি কারণ যিহোবা নিঃস্বার্থ প্রেমবশত আমাদের সৃষ্টি করেছেন। আমাদের প্রচার ও শিক্ষা দেওয়ার কাজের প্রধান উদ্দেশ্য হল, যিহোবার প্রতি প্রেম।

নীতিগত প্রেম শুধুমাত্র আমাদের প্রতিবেশীদের প্রতিই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে আমাদের শত্রুদের প্রতিও দেখানো হয়ে থাকে। (মথি ৫:৪৩-৪৫) শ্রোতাদের সেই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করতে উৎসাহিত করা হয়েছিল, যা যিশু আমাদের জন্য ভোগ করেছিলেন আর সেগুলো হল তাঁকে চাবুক মারা হয়েছিল, উপহাস করা হয়েছিল, তাঁর গায়ে থুথু দেওয়া হয়েছিল এবং তাঁকে বিদ্ধ করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও, তিনি সেই সৈন্যদের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন, যারা তাঁকে বিদ্ধ করেছিল। এই বিষয়টা কি আমাদের তাঁকে আরও বেশি করে ভালোবাসতে পরিচালিত করে না? এরপর ভাই লুশ ২০১০ সালের বার্ষিক শাস্ত্রপদ ঘোষণা করেছিলেন: ১ করিন্থীয় ১৩:৭, ৮, ‘প্রেম সকলই ধৈর্য্যপূর্ব্বক সহ্য করে। প্রেম কখনও শেষ হয় না।’ আমাদের শুধুমাত্র চিরকাল বেঁচে থাকারই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে চিরকাল ভালোবাসার এবং ভালোবাসা লাভ করার প্রত্যাশাও রয়েছে।

আপনার জ্বালানি কি শেষ হয়ে যাচ্ছে?

স্যামুয়েল হার্ড একটা দৃষ্টান্ত দিয়ে তার বক্তৃতা শুরু করেছিলেন। ধরুন, আপনার এক বন্ধু আপনাকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে করে ৫০ কিলোমিটার পথ যাত্রা করেন। যাত্রীর আসনে বসে আপনি জ্বালানি নির্দেশক লক্ষ করে দেখেন যে, জ্বালানি প্রায় শেষ হতে চলেছে। আপনি আপনার বন্ধুকে বলেন যে, জ্বালানি প্রায় শেষ। তিনি বলেন চিন্তা করার কিছু নেই; ট্যাঙ্কে এখনও প্রায় চার লিটার জ্বালানি রয়েছে। কিন্তু, শীঘ্র আপনাদের জ্বালানি শেষ হয়ে যায়। রাস্তাতেই আপনাদের ‘জ্বালানি শেষ’ হয়ে যেতে পারে জেনেও কি প্রায় খালি ট্যাঙ্ক নিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়া ঠিক হবে? ট্যাঙ্ক ভরতি রাখা কতই না উত্তম! রূপকভাবে বললে, আমাদের যিহোবা বিষয়ক জ্ঞানের জ্বালানি দিয়ে ট্যাঙ্ক ভরতি রাখা প্রয়োজন।

তা করতে হলে, আমাদের পর্যাপ্ত জ্বালানি ভরতে হবে আর তা নিয়মিতভাবে। চারটে উপায়ে আমরা তা করে থাকি। প্রথমত, ব্যক্তিগত অধ্যয়ন অর্থাৎ প্রতিদিন বাইবেল পড়ার দ্বারা এটির সঙ্গে পরিচিত হওয়া। শুধুমাত্র পড়ার চেয়ে আমরা যা পড়ি, তা আমাদের বুঝতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমাদের পারিবারিক উপাসনার সন্ধ্যার সদ্‌ব্যবহার করা। আমরা কি প্রতি সপ্তাহে আমাদের ট্যাঙ্ক পুরোপুরি, নাকি শুধুমাত্র সামান্যই ভরতি করি? তৃতীয়ত, মণ্ডলীর সভাগুলোতে উপস্থিত থাকা। চতুর্থত, শান্ত-নিরিবিলি পরিবেশে ধ্যান করা অর্থাৎ যিহোবার পথ সম্বন্ধে চিন্তা করা। গীতসংহিতা ১৪৩:৫ পদ বলে: “আমি পূর্ব্বকালের দিন সকল স্মরণ করিতেছি, তোমার সমস্ত কর্ম্ম ধ্যান করিতেছি।”

‘ধার্ম্মিকেরা দেদীপ্যমান হইবে’

জন বার তৃতীয় ও শেষ বক্তৃতাটা দিয়েছিলেন, যেটা গম এবং শ্যামাঘাস সম্বন্ধীয় যিশুর দৃষ্টান্তের বিষয়ে ব্যাখ্যা করেছিল। (মথি ১৩:২৪-৩০, ৩৮, ৪৩) সেই দৃষ্টান্ত ‘শস্যচ্ছেদনের’ সময়কে নির্দেশ করে, যে-সময়ে ‘রাজ্যের সন্তানগণকে’ সংগ্রহ করা হয় ও শ্যামাঘাস পোড়ানোর জন্য পৃথক করা হয়।

ভাই বার এই বিষয়টা স্পষ্ট করেছিলেন যে, সংগ্রহ করার কাজ অনির্দিষ্ট সময় ধরে চলবে না। তিনি মথি ২৪:৩৪ পদ উল্লেখ করেছিলেন, যেখানে বলা আছে: “এই কালের লোকদের লোপ হইবে না, যে পর্য্যন্ত না এ সমস্ত সিদ্ধ হয়।” তিনি দু-বার এই মন্তব্য পড়েছিলেন: “যিশু স্পষ্টতই বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, ১৯১৪ সালে যখন সেই চিহ্ন স্পষ্ট হতে শুরু করেছিল, তখন যে-অভিষিক্তরা জীবিত ছিল, তারা সেই অন্যান্য অভিষিক্ত ব্যক্তির সঙ্গে একই সময়ে জীবিত থাকবে, যারা মহাক্লেশের শুরু দেখতে পাবে।” ‘এই কালের লোক’ বা বংশের সঠিক ব্যাপ্তি সম্বন্ধে আমরা জানি না কিন্তু এটা সেই দুটো দলকে অন্তর্ভুক্ত করে, যারা একই সময়ে বেঁচে থাকে। এমনকী যদিও অভিষিক্তরা বিভিন্ন বয়সের, তবুও যে-দুটো দল নিয়ে এই বংশ গঠিত, তারা এই শেষকালের কোনো এক সময়ে একই সঙ্গে বেঁচে থাকে। এটা জানা কতই না সান্ত্বনাদায়ক যে, সেই বয়স্ক অভিষিক্ত ব্যক্তিরা, যারা ১৯১৪ সালের শুরুতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান চিহ্ন বুঝতে পেরেছিল, তাদের সমসাময়িক অপেক্ষাকৃত কমবয়সি অভিষিক্ত ব্যক্তিরা মহাক্লেশ শুরু হওয়ার আগে মারা যাবে না!

“রাজ্যের সন্তানগণ” তাদের স্বর্গীয় পুরস্কারের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে কিন্তু আমাদের সকলকে অবশ্যই বিশ্বস্ত থাকতে হবে অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত দেদীপ্যমান হতে হবে। আমাদের সময়ে “গোম” সংগ্রহ করতে দেখার কী এক বিশেষ সুযোগই না আমাদের রয়েছে।

শেষ গান হওয়ার পর, পরিচালকগোষ্ঠীর সদস্য থিওডোর জারাস শেষ প্রার্থনা করেছিলেন। বার্ষিক সভাটা কী এক গঠনমূলক কার্যক্রম হিসেবেই না প্রমাণিত হয়েছিল!

[পাদটীকা]

^ পরিচালকগোষ্ঠীর ছয়টা কমিটির কাজের বর্ণনার জন্য ২০০৮ সালের ১৫ মে প্রহরীদুর্গ পত্রিকার ২৯ পৃষ্ঠা দেখুন।

[৫ পৃষ্ঠার বাক্স]

প্রাচীনদের জন্য স্কুল

বার্ষিক সভায়, পরিচালকগোষ্ঠীর একজন সদস্য অ্যান্থনি মরিস ঘোষণা করেছিলেন যে, মণ্ডলীর প্রাচীনদের জন্য ক্রমাগত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। ২০০৮ সালের শুরুর দিকে নিউ ইয়র্কের প্যাটারসন শিক্ষাকেন্দ্রে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনদের জন্য একটা স্কুল শুরু হয়েছিল। ৭২তম ক্লাস সবেমাত্র শেষ হয়েছিল আর এ পর্যন্ত ৬,৭২০ জন প্রাচীনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আরও অনেক কিছু করা বাকি রয়েছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ৮৬,০০০-রেরও বেশি প্রাচীন রয়েছে। তাই, পরিচালকগোষ্ঠী নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে ২০০৯ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে আরেকটা স্কুল শুরু করার বিষয়টা অনুমোদন করেছে।

প্যাটারসনে চার জন ভ্রমণ অধ্যক্ষকে দুই মাস ধরে নির্দেশক হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শিক্ষা দেওয়ার জন্য তাদেরকে এরপর ব্রুকলিনে পাঠানো হবে এবং আরও চার জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরপর তারা ব্রুকলিনের স্কুলে শিক্ষা দেবে আর সেই প্রথম চার জন শিক্ষা দেওয়ার জন্য সম্মেলন হল এবং কিংডম হলের স্কুলগুলোতে যাবে। এই ব্যবস্থা ততক্ষণ পর্যন্ত পুনরাবৃত্তি হতে থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সপ্তাহে ইংরেজি ভাষায় ছ-টা স্কুলে শিক্ষা দেওয়ার মতো ১২ জন নির্দেশক তৈরি হচ্ছে। এরপর চার জন নির্দেশককে স্প্যানিশ ভাষায় শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এটা বর্তমানের রাজ্যের পরিচর্যা স্কুল-এর বিকল্প নয়; বরং, এর উদ্দেশ্য হল প্রাচীনদের আধ্যাত্মিকতাকে বৃদ্ধি করা। ২০১১ সালের পরিচর্যা বছরে, বিশ্বব্যাপী শাখাগুলো সম্মেলন হল ও কিংডম হলে স্কুলের আয়োজন করবে।

[৪ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

“যিহোবার উদ্দেশে গান গাও” (ইংরেজি) নামক আমাদের এই নতুন গানবই থেকে গান গাওয়ার দ্বারা বার্ষিক সভা শুরু হয়েছিল