সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

কোন অর্থে আদমকে ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছিল?

কোন অর্থে আদমকে ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছিল?

কোন অর্থে আদমকে ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছিল?

ঈশ্বর বলেছিলেন: “আমরা আমাদের প্রতিমূর্ত্তিতে, . . . মনুষ্য নির্ম্মাণ করি।” (আদি. ১:২৬) কী ঐতিহাসিক এক ঘোষণা! আর “ঈশ্বরের পুত্ত্র” আদম, ইতিহাসে কী বিশিষ্ট এক পদমর্যাদা লাভ করে—প্রথম মনুষ্য প্রাণী! (লূক ৩:৩৮) কেবল সৃষ্টির ছয় দিনের সময়কাল শেষ হয়ে আসছিল বলে নয় কিন্তু আরও গুরুত্বপূর্ণ, ‘ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তিতেই তাহাকে সৃষ্টি করা হইয়াছিল’ বলেই আদম যিহোবার পার্থিব সৃজনশীল কাজগুলোর শ্রেষ্ঠ গৌরব ছিল। (আদি. ১:২৭) আদমকে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে, অর্থাৎ সাদৃশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছিল, এই কথাগুলো অর্থ কী ছিল?

সিদ্ধ মানুষ আদম এবং অপেক্ষাকৃত অনেকটা নিম্নতর তার অধঃপতিত বংশধর, পার্থিব অন্য সমস্ত প্রাণীর চেয়ে অনেক শ্রেষ্ঠ মানসিক ক্ষমতা ও দক্ষতাগুলোর অধিকারী ছিল। তার মহান সৃষ্টিকর্তার সাদৃশ্যে সৃষ্ট হওয়ার অর্থ ছিল যে, আদমের মধ্যে প্রেম, প্রজ্ঞা, ন্যায়বিচার ও শক্তির মতো ঐশিক গুণগুলো ছিল। তাই সে নৈতিক বোধের অধিকারী ছিল, যেটার অন্তর্ভুক্ত এক বিবেক, এমন কিছু যা পার্থিব জীবনের ক্ষেত্রে একেবারে নতুন। ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে, আদমের বিশ্বব্যাপী এক তত্ত্বাবধায়ক হওয়ার আর সমুদ্র ও ভূমিতে গমনশীল প্রাণীদের এবং আকাশের পাখিদের বশীভূত করার প্রয়োজন ছিল।

ঈশ্বরতুল্য গুণগুলোর অধিকারী হওয়ার জন্য আদমের, পুরোপুরি অথবা আংশিকভাবে একজন আত্মিক প্রাণী হওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না। যিহোবা মানুষকে মৃত্তিকার ধূলিকণা থেকে সৃষ্টি করেছিলেন ও যাতে করে সে এক সজীব প্রাণী হয়, সেইজন্য তিনি তার মধ্যে জীবনীশক্তি প্রবেশ করিয়েছিলেন এবং তাকে তার সৃষ্টিকর্তার প্রতিমূর্তি ও সাদৃশ্যকে প্রতিফলিত করার ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন। “প্রথম মনুষ্য মৃত্তিকা হইতে।” “প্রথম ‘মনুষ্য’ আদম ‘সজীব প্রাণী হইল।’” (আদি. ২:৭; ১ করি. ১৫:৪৫, ৪৭) যদিও পুরোপুরিভাবে মানুষ এবং ধূলা থেকে সৃষ্ট, তবুও এটাই যিহোবার ইচ্ছা ছিল যে, মানুষ যেন তার সৃষ্টিকর্তার গৌরব নিয়ে আসার জন্য এই শ্রেষ্ঠ দক্ষতাগুলোকে ব্যবহার করার দ্বারা ঈশ্বরের অপূর্ব গুণগুলো ও ব্যক্তিত্বকে প্রতিফলিত করে।