নিজেকে যিহোবার সংগঠনে ব্যস্ত রাখা
নিজেকে যিহোবার সংগঠনে ব্যস্ত রাখা
বলেছেন ভারনন জুবকো
আমি কানাডার সাসকাচেয়ান প্রদেশের স্টেনেন নামে এক গ্রামের কাছাকাছি একটা খামারে বড়ো হই। আমার বাবা-মায়ের নাম ফ্রেড এবং অ্যাডেলা আর তারা আমার দিদি অরিলিয়া ও আমার এবং সেইসঙ্গে আমার ছোটো ভাইবোন অ্যালভিন, অ্যালেগ্রা ও ডেরিলের আধ্যাত্মিক এবং বস্তুগত বিষয় জোগানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করত। আমাদের সত্য শিক্ষা দিয়েছিল বলে আমরা এখনও পর্যন্ত আমাদের বাবা-মায়ের কাছে কৃতজ্ঞ।
আমার বাবা একজন অভিষিক্ত খ্রিস্টান আর তিনি একজন নির্ভীক সুসমাচার প্রচারক ছিলেন। তিনি জীবিকানির্বাহের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতেন কিন্তু সেইসঙ্গে এই বিষয়টাও লক্ষ রাখতেন যেন সকলে জানে যে, তিনি একজন সাক্ষি। তিনি সবসময় সত্য সম্বন্ধে কথা বলতেন। তার উদ্যোগ ও সাহস আমার ওপর এক স্থায়ী ছাপ ফেলে গিয়েছে। তিনি প্রায়ই আমাকে এই কথা বলতেন, “নিজেকে যিহোবার সংগঠনে ব্যস্ত রেখো আর তাহলে তুমি অনেক সমস্যা এড়াতে পারবে।”
প্রায়ই আমরা স্টেনেন ও এর আশেপাশের এলাকায় রাস্তায় সাক্ষ্যদান করতাম। আমার জন্য সেটা সবসময় সহজ ছিল না। প্রতিটা শহরেই উৎপীড়করা ছিল, যারা আমাদের মতো ছোটোদের কাছে এসে উপহাস করত। আট বছর বয়সে একবার আমি যখন প্রহরীদুর্গ ও সচেতন থাক! (ইংরেজি) পত্রিকা নিয়ে রাস্তার এক কোণে দাঁড়িয়েছিলাম, তখন ছোটো ছেলেদের একটা দল আমাকে ঘিরে ফেলেছিল। তারা আমার নতুন টুপি কেড়ে নিয়ে আমার পাশেই একটা খুঁটিতে আটকে রেখেছিল। ভালো যে, একজন বয়স্ক ভাই, যিনি আমার দিকে নজর রাখছিলেন, তিনি কী ঘটছিল, তা লক্ষ করেছিলেন। তিনি এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “কোনো সমস্যা হয়েছে ভার্ন?” সেই ছেলেরা তাড়াতাড়ি চলে গিয়েছিল। যদিও সেই অভিজ্ঞতা কিছুটা খারাপ ছিল কিন্তু সেটা আমাকে এই শিক্ষা দিয়েছিল যে, রাস্তায় সাক্ষ্যদান করার সময় একজন ব্যক্তির খুঁটির মতো দাঁড়িয়ে না থেকে ক্রমাগত এগিয়ে চলা উচিত। বড়ো হয়ে ওঠার সময়ে এই ধরনের প্রশিক্ষণ আমাকে ঘরে ঘরে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সাহস প্রদান করেছিল।
অ্যালভিন এবং আমি ১৯৫১ সালের মে মাসে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলাম। সেই সময়ে আমার বয়স ছিল ১৩ বছর। আমার এখনও মনে আছে ভাই জ্যাক নেথেন, যিনি আমাদের বাপ্তিস্মের বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তিনি আমাদের জোরালো পরামর্শ দিয়েছিলেন যেন আমরা কখনো যিহোবার সম্বন্ধে কথা না বলে একটা মাসও অতিবাহিত না করি। * আমাদের পরিবারে অগ্রগামী হিসেবে সেবা করাকে সবসময়ই অনুসরণযোগ্য সর্বোত্তম কেরিয়ার বলে বিবেচনা করা হতো। তাই, ১৯৫৮ সালে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার পর আমি অগ্রগামীর কাজ করার জন্য ম্যানিটোবার উইনিপেগে গিয়েছিলাম। যদিও বাবা আমাদের পারিবারিক ব্যাবসায় তার সঙ্গে কাজ করার জন্য আমাকে একজন করাতি হিসেবে পেয়ে আনন্দিত ছিলেন কিন্তু তিনি ও মা আমাকে পূর্ণসময়ের পরিচর্যার ব্যাপারে অত্যন্ত উৎসাহিত করেছিলেন এবং আমার চলে যাওয়ার বিষয়টাকে সমর্থন করেছিলেন।
একটা নতুন ঘর ও একজন নতুন সঙ্গী
১৯৫৯ সালে শাখা অফিস, কুইবেকে যেতে পারবে এমন যেকোনো ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, যেখানে সুসমাচার প্রচারকদের অনেক প্রয়োজন ছিল। আমি অগ্রগামীর কাজ ১ করি. ৯:২২, ২৩.
করার জন্য মনট্রিলে গিয়েছিলাম। কী এক পরিবর্তন! ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলতে ও একটা ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে শেখা আমার জীবনের এক নতুন অধ্যায় ছিল। আমাদের সীমা অধ্যক্ষ আমাকে বলেছিলেন, “কখনো বলবেন না, ‘আমাদের দেশে আমরা এভাবে করতাম।’” সেটা এক উত্তম পরামর্শ ছিল।—আমি যখন কুইবেকে গিয়েছিলাম, তখন আমার কোনো অগ্রগামী সঙ্গী ছিল না। কিন্তু, শার্লি টারকাট নামে একজন যুবতী বোন, যার সঙ্গে আমার আগে উইনিপেগে দেখা হয়েছিল, সে ১৯৬১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা বিয়ে করার পর আমার স্থায়ী সঙ্গী হয়ে উঠেছিল। সে-ও এমন একটা পরিবার থেকে এসেছিল, যারা যিহোবাকে ভালোবাসত। যদিও আমি সেই সময়ে এটা পুরোপুরিভাবে বুঝতে পারিনি, তবুও বছর গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে আমার জন্য শক্তি ও উৎসাহের এক অমূল্য উৎস হয়ে উঠেছিল।
গ্যাসপের অভিযান
আমাদের বিয়ের দু-বছর পর আমাদেরকে কুইবেকের রিমোওস্কিতে বিশেষ অগ্রগামী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। পরের বছর বসন্তকালে শাখা অফিস আমাদেরকে কানাডার পূর্ব উপকূল বরাবর গ্যাসপে উপদ্বীপে একটা প্রচার অভিযান চালাতে বলেছিল। আমাদের কার্যভার ছিল যত বেশি সম্ভব সত্যের বীজ বপন করা। (উপ. ১১:৬) আমরা আমাদের গাড়িতে ১,০০০-রেরও বেশি পত্রিকা, প্রায় ৪০০-টি বই এবং সেইসঙ্গে কিছু খাবার ও কাপড়চোপড় নিয়ে এক মাসের প্রচার অভিযান শুরু করেছিলাম। আমরা সুবিন্যস্তভাবে গ্যাসপের ছোটো ছোটো সমস্ত গ্রামে কাজ করেছিলাম। স্থানীয় রেডিও স্টেশন এই বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছিল যে, সাক্ষিরা আসছে ও সেইসঙ্গে লোকদের বলে দিয়েছিল যেন তারা আমাদের প্রকাশনা না নেয়। কিন্তু, অধিকাংশ অধিবাসী ঘোষণাটা ভুল বুঝেছিল এবং মনে করেছিল যে, সেটা আমাদের প্রকাশনা সম্বন্ধে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে আর তাই তারা সাহিত্যাদি গ্রহণ করেছিল।
সেই সময়ে কুইবেকের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় প্রচার করার স্বাধীনতা তুলনামূলকভাবে নতুন ছিল এবং পুলিশের দ্বারা প্রচার কাজ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টা অস্বাভাবিক ছিল না। একটা শহরে এমনটা ঘটেছিল, যেখানে আমরা প্রায় প্রতিটা ঘরে সাহিত্যাদি অর্পণ করছিলাম। একজন অফিসার আমাদেরকে তার সঙ্গে পুলিশ স্টেশনে যেতে বলেছিলেন আর আমরা সেইমতো কাজ করেছিলাম। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, সেই শহরের উকিল আমাদের প্রচার কাজ বন্ধ করার জন্য একটা আদেশ জারি করেছেন। যেহেতু পুলিশ প্রধান সেই দিনের মতো চলে গিয়েছিলেন, তাই আমি উকিলের সামনে টরোন্টোর শাখা অফিস থেকে প্রাপ্ত একটা বিস্তারিত প্রমাণপত্র তুলে ধরেছিলাম, যেটাতে আমাদের প্রচার করার অধিকার সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করা ছিল। চিঠিটা পড়ার পর সেই উকিল সঙ্গেসঙ্গে বলেছিলেন: “দেখুন, আমি কোনো ঝামেলা করতে চাই না। ধর্মপল্লীর যাজকই আমাকে আপনাদেরকে থামাতে বলেছেন।” যেহেতু আমরা সেই এলাকার লোকেদের বোঝাতে চেয়েছিলাম যে, আমাদের কাজ অবৈধ নয়, তাই আমরা অবিলম্বে যেখানে পুলিশ আমাদের থামিয়ে দিয়েছিল, সেখানে ফিরে গিয়েছিলাম এবং পুনরায় আমাদের পরিচর্যা শুরু করেছিলাম।
পরদিন সকালে আমরা যখন পুলিশ প্রধানের সঙ্গে দেখা করার জন্য ফিরে গিয়েছিলাম, তখন তিনি আমাদের কাজ থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল শুনে বিরক্ত হয়েছিলেন। উকিলের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় আমি যে কতটা রেগে গিয়েছিলাম, তা শুনলে আপনারা বুঝতে পারতেন! সেই পুলিশ অফিসার আমাদের বলেছিলেন যে, আমাদের যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে আমরা যেন সরাসরি তাকে ফোন করি এবং তিনি বিষয়টা দেখবেন। যদিও আমরা বিদেশি ছিলাম এবং ফ্রেঞ্চ ভাষায় খুব কমই কথা বলতে পারতাম, তবুও আমরা দেখেছিলাম যে, লোকেরা সদয় ও অতিথিপরায়ণ। কিন্তু, আমরা ভাবছিলাম যে, ‘তারা কি কখনো সত্য সম্বন্ধে জানতে পারবে?’ কয়েক বছর পর আমরা এই প্রশ্নের উত্তর পেয়েছিলাম, যখন আমরা গ্যাসপের বিভিন্ন জায়গায় কিংডম হল নির্মাণ করার জন্য সেখানে ফিরে গিয়েছিলাম। আমরা দেখেছিলাম যে, আমরা যাদের কাছে সাক্ষ্য দিয়েছিলাম, তাদের মধ্যে অনেকেই এখন আমাদের ভাইবোন। সত্যিই, যিহোবাই হলেন বৃদ্ধিদাতা।—১ করি. ৩:৬, ৭.
আমরা এক উত্তরাধিকার লাভ করি
১৯৭০ সালে আমাদের মেয়ের লিসার জন্ম হয়েছিল। যিহোবার কাছ থেকে এই উত্তরাধিকার আমাদের জীবনে আরও অনেক আনন্দ বয়ে এনেছিল। শার্লি ও লিসা অনেক কিংডম হল নির্মাণ প্রকল্পে আমার সঙ্গে কাজ করেছিল। লিসা তার স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার পর বলেছিল: “মা-বাবা শোনো, যেহেতু আমার কারণে তোমাদের কিছু সময়ের জন্য পূর্ণসময়ের সেবা থেকে বিরত থাকতে হয়েছে, তাই আমি একজন অগ্রগামী হয়ে সেটার ক্ষতিপূরণ করার চেষ্টা করব।” ২০ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে কিন্তু লিসা এখনও একজন
অগ্রগামী হিসেবে কাজ করছে, তবে এখন তার স্বামী সিলভাঁর সঙ্গে। তারা একসঙ্গে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করার বিশেষ সুযোগ পেয়েছে। পরিবারগতভাবে আমাদের লক্ষ্য হল, আমাদের জীবনকে সাদাসিধে রাখা এবং যিহোবার সেবায় নিজেদেরকে বিলিয়ে দেওয়া। অগ্রগামীর কাজ শুরু করার সময় লিসা যে-কথাগুলো বলেছিল, সেগুলো আমি কখনো ভুলিনি। সত্যি বলতে কী, সে-ই আমাকে ২০০১ সালে পূর্ণসময়ের পরিচর্যায় ফিরে যেতে অনুপ্রাণিত করেছে আর তখন থেকে আমি অগ্রগামীর কাজ করে চলছি। অগ্রগামীর কাজ আমাকে ক্রমাগতভাবে আমার সমস্ত কাজে যিহোবার ওপর নির্ভর করার এবং এক সাদাসিধে অথচ পরিতৃপ্তিদায়ক ও সুখী জীবনযাপন করার জন্য শিক্ষা দিয়ে চলেছে।নির্মাণ প্রকল্পের জন্য প্রেম, আনুগত্য ও বিশ্বস্ততা প্রয়োজন
যিহোবা আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন যে, আমরা যদি নিজেদের বিলিয়ে দিই এবং তিনি আমাদের যে-কার্যভারই দিন না কেন, তা গ্রহণ করি, তাহলে আমরা অনেক আশীর্বাদ লাভ করব। রিজিওনাল বিল্ডিং কমিটি-তে সেবা করা এবং আমার ভাইবোনদের সঙ্গে কুইবেক ও অন্যান্য জায়গার বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করা হল এক মূল্যবান সুযোগ।
যদিও কিছু স্বেচ্ছাসেবক হয়তো মঞ্চে দাঁড়িয়ে চমৎকার বক্তৃতা দিতে পারে না কিন্তু কিংডম হল নির্মাণ প্রকল্পে তারা অসাধারণ কাজ করে থাকে। এই প্রিয় ব্যক্তিরা তাদের হৃদয় দিয়ে কাজ করে আর তাদের মেধার স্পষ্ট প্রমাণ দেখা যায়। এর ফলে সবসময়ই এক চমৎকার বিল্ডিং নির্মিত হয়, যা যিহোবার উপাসনায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, “কিংডম হল নির্মাণ প্রকল্পের একজন স্বেচ্ছাসেবকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলি কী?” আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে, একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই সবচেয়ে প্রথমে যিহোবা ও তাঁর পুত্র এবং সেইসঙ্গে ভ্রাতৃসমাজকে ভালোবাসতে হবে। (১ করি. ১৬:১৪) দ্বিতীয়ত, আনুগত্য ও বিশ্বস্ততা প্রয়োজন। বিভিন্ন বিষয় যখন আমাদের মনমতো হয় না—যা সাধারণত হবেই—তখনও একজন অনুগত ব্যক্তি ঈশতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ক্রমাগত সমর্থন করে যাবেন। বিশ্বস্ততা তাকে ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলোর জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।
যিহোবার কাছে কৃতজ্ঞ
যদিও ১৯৮৫ সালে আমার বাবা মারা গিয়েছেন কিন্তু নিজেকে যিহোবার সংগঠনে ব্যস্ত রাখার বিষয়ে বলা তার উপদেশ এখনও আমার মনে গেঁথে রয়েছে। যিহোবার সংগঠনের স্বর্গীয় অংশে কার্যভার লাভ করেছে এমন অন্যান্য ব্যক্তির মতো নিঃসন্দেহে তিনিও অনেক ব্যস্ত। (প্রকা. ১৪:১৩) মার বয়স এখন ৯৭ বছর। স্ট্রোক করার কারণে তিনি আর আগের মতো কথা বলতে পারেন না; তবে এখনও তিনি বাইবেলের বিষয় মনে রাখতে পারেন। তিনি তার চিঠিতে বিভিন্ন শাস্ত্রপদ উদ্ধৃত করেন এবং আমাদেরকে বিশ্বস্তভাবে যিহোবার সেবা করে যেতে উৎসাহিত করেন। সন্তান হিসেবে আমরা সবাই এইরকম প্রেমময় বাবা-মা পেয়ে কতই না কৃতজ্ঞ!
আমার বিশ্বস্ত স্ত্রী ও সঙ্গী শার্লিকে পেয়েও আমি যিহোবার কাছে কৃতজ্ঞ। তার মা তাকে যে-উপদেশ দিয়েছিলেন, সেটা সে সবসময় মনে রেখেছে, “ভার্নকে সত্যে অনেক ব্যস্ত থাকতে হবে আর তোমাকে অন্যদের সঙ্গে তাকে ভাগ করে নেওয়ার বিষয়টা শিখতে হবে।” ৪৯ বছর আগে যখন আমাদের বিয়ে হয়েছিল, তখন আমরা এই দৃঢ়সংকল্প নিয়েছিলাম যে, আমরা একসঙ্গে বৃদ্ধ হব, যিহোবার সেবা করব আর যদি আমরা দুজনেই এই বিধিব্যবস্থার শেষ থেকে রক্ষা পাই, তাহলে একসঙ্গে আবারও যৌবন লাভ করব ও চিরকাল তাঁকে সেবা করে যাব। হ্যাঁ, আমরা ‘প্রভুর কার্য্যে উপচিয়া’ পড়েছি। (১ করি. ১৫:৫৮) যিহোবা সত্যিই আমাদের যত্ন নিয়েছেন এবং এই বিষয়ে লক্ষ রেখেছেন যেন আমাদের কখনো কোনো ভালো বিষয়ের অভাব না হয়।
[পাদটীকা]
^ জ্যাক হ্যালিডে নেথেনের জীবনকাহিনির জন্য ১৯৯০ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রহরীদুর্গ (ইংরেজি) পত্রিকার ১০-১৪ পৃষ্ঠা দেখুন।
[৩১ পৃষ্ঠার চিত্র]
“পরিবারগতভাবে আমাদের লক্ষ্য হল, আমাদের জীবনকে সাদাসিধে রাখা এবং যিহোবার সেবায় নিজেদেরকে বিলিয়ে দেওয়া”