সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

যিহোবা দুঃখী ব্যক্তিদের কান্না শোনেন

যিহোবা দুঃখী ব্যক্তিদের কান্না শোনেন

যিহোবা দুঃখী ব্যক্তিদের কান্না শোনেন

প্রাচীন ইস্রায়েলের বিজ্ঞ রাজা শলোমন যেমন মন্তব্য করেছিলেন, “[আমাদের] সকলের প্রতি কাল ও দৈব ঘটে।” (উপ. ৯:১১) কোনো দুঃখজনক ঘটনা কিংবা বেদনাদায়ক পরীক্ষা হয়তো আমাদের জীবনকে একেবারে উলটপালট করে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পরিবারের কোনো ঘনিষ্ঠ সদস্যের আকস্মিক মৃত্যু আবেগগতভাবে অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। এই ঘটনার পরবর্তী সপ্তাহের পর সপ্তাহ এবং মাসের পর মাস ধরে শোক ও হতাশার অনুভূতি হয়তো ভারগ্রস্ত করে ফেলতে পারে। একজন ব্যক্তি এতটাই বিভ্রান্ত হয়ে পড়তে পারেন যে, তিনি নিজেকে প্রার্থনায় যিহোবার নিকটবর্তী হওয়ার অযোগ্য বলে মনে করেন।

এইরকম পরিস্থিতিতে, একজন ব্যক্তির উৎসাহ, বিবেচনা ও ভালোবাসা প্রয়োজন। গীতরচক দায়ূদ আশ্বাস দিয়ে গেয়েছিলেন: “সদাপ্রভু পতনোন্মুখ সকলকে ধরিয়া রাখেন, অবনত সকলকে উত্থাপন করেন।” (গীত. ১৪৫:১৪) বাইবেল আমাদেরকে বলে যে, “যাহাদের অন্তঃকরণ একাগ্র, তাহাদের পক্ষে আপনাকে বলবান দেখাইবার জন্য [সদাপ্রভুর] চক্ষু পৃথিবীর সর্ব্বত্র ভ্রমণ করে।” (২ বংশা. ১৬:৯) তিনি ‘চূর্ণ ও নম্রাত্মা মনুষ্যের সঙ্গেও বাস করেন, যেন নম্রদিগের আত্মাকে সঞ্জীবিত করেন ও চূর্ণ লোকদের হৃদয়কে সঞ্জীবিত করেন।’ (যিশা. ৫৭:১৫) কীভাবে যিহোবা চূর্ণমনা বা দুঃখী এবং নম্র ব্যক্তিদের সমর্থন ও সান্ত্বনা প্রদান করেন?

“যথাকালে কথিত বাক্য”

একটা যে-উপায়ে যিহোবা উপযুক্ত সময়ে সাহায্য জোগান তা হল, খ্রিস্টীয় ভ্রাতৃসমাজের মাধ্যমে। খ্রিস্টানদেরকে ‘বিষণ্ণদের প্রতি সান্ত্বনার বাক্য বলতে’ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। (১ থিষল. ৫:১৪NW) সমবেদনাপূর্ণ সহবিশ্বাসীদের কাছ থেকে চিন্তা প্রকাশের ও প্রেমের বিভিন্ন অভিব্যক্তি একজন ব্যক্তিকে তার দুর্দশা এবং শোকের সময়ে স্থির থাকার জন্য সাহায্য করতে পারে। এমনকী সংক্ষিপ্ত কথাবার্তার মধ্যেও সান্ত্বনাদায়ক বাক্য বলা হলে, তা বিষণ্ণ ব্যক্তিদের মনকে সঞ্জীবিত করার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে। এই ধরনের বিবেচনাপূর্ণ মন্তব্য হয়তো এমন কারো কাছ থেকে আসতে পারে, যিনি একইরকম মানসিক ও আবেগগত যন্ত্রণা সহ্য করেছেন। অথবা সেগুলো হয়তো এমন কোনো বন্ধুর বলা বিচক্ষণ মন্তব্য হতে পারে, যার একইরকম পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই ধরনের ব্যবহারিক উপায়গুলোর মাধ্যমে যিহোবা দুঃখী ব্যক্তিদের মনকে সঞ্জীবিত করতে পারেন।

অ্যালিক্স নামে একজন নববিবাহিত খ্রিস্টান প্রাচীনের কথা বিবেচনা করুন, যিনি অপ্রত্যাশিতভাবে তার স্ত্রীকে মৃত্যুতে হারিয়েছেন কারণ তার স্ত্রী দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। একজন সহানুভূতিশীল ভ্রমণ অধ্যক্ষ অ্যালিক্সের সঙ্গে সান্ত্বনাদায়ক কথাবার্তা বলার এক লক্ষ্য স্থাপন করেছিলেন। তিনিও তার স্ত্রীকে মৃত্যুতে হারিয়েছিলেন, তবে আবারও বিয়ে করেছিলেন। সেই ভ্রমণ অধ্যক্ষ ভাই বর্ণনা করেছিলেন যে, কীভাবে তার দুর্বল আবেগঅনুভূতি তাকে ভারগ্রস্ত করে তুলেছিল। তিনি যখন পরিচর্যায় এবং মণ্ডলীর সভাগুলোতে অন্যদের সঙ্গে থাকতেন, তখন তিনি ভালোই থাকতেন। কিন্তু, তিনি যখন তার নিজের ঘরে প্রবেশ করতেন এবং দরজা বন্ধ করতেন, তখন তিনি খুবই একাকী বোধ করতেন। “এটা জানা কতই না স্বস্তিদায়ক যে, আমার যেরকম লাগত, তা খুবই স্বাভাবিক বিষয় আর অন্যেরাও একইরকম বোধ করে থাকে,” অ্যালিক্স বলেন। নিশ্চিতভাবেই, “যথাকালে কথিত বাক্য” দুর্দশার সময় সান্ত্বনাদায়ক সমর্থন হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।—হিতো. ১৫:২৩.

আরেকজন খ্রিস্টান প্রাচীনও অ্যালিক্সের সঙ্গে কিছু উৎসাহজনক কথাবার্তা বলতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, যিনি এমন কয়েক জন ব্যক্তির সঙ্গে পরিচিত ছিলেন, যারা মৃত্যুতে তাদের সাথিকে হারিয়েছে। তিনি সমবেদনা দেখিয়ে প্রেমের সঙ্গে বলেছিলেন যে, যিহোবা জানেন আমাদের কেমন লাগে এবং আমাদের কী প্রয়োজন। “সামনের মাস ও বছরগুলোতে আপনার যদি মনে হয় যে, আপনার একজন সাথির প্রয়োজন,” সেই ভাই বলেছিলেন, “তাহলে সেই ক্ষেত্রে যিহোবার প্রেমময় ব্যবস্থা হচ্ছে পুনর্বিবাহ।” অবশ্য, মৃত্যুতে তাদের সাথিকে হারিয়েছে ও পরে পুনর্বিবাহ করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে এমন সকলেই আবারও বিয়ে করার মতো অবস্থানে নেই। কিন্তু, সেই ভাইয়ের কথাগুলো স্মরণ করে অ্যালিক্স বলেছিলেন, “এটা যে যিহোবারই ব্যবস্থা তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া, আপনাকে এমন যেকোনো নেতিবাচক চিন্তাভাবনা করা থেকে স্বস্তি প্রদান করবে যে, ভবিষ্যতে পুনর্বিবাহ করলে আপনি আপনার সাথির প্রতি অথবা যিহোবার স্থাপিত বৈবাহিক ব্যবস্থার প্রতি আনুগত্যহীন হয়ে পড়বেন।”—১ করি. ৭:৮, ৯, ৩৯.

গীতরচক দায়ূদ, যিনি ব্যক্তিগতভাবে অনেক পরীক্ষা এবং কষ্ট ভোগ করেছিলেন, তিনি স্বীকার করেছিলেন: “ধার্ম্মিকগণের প্রতি সদাপ্রভুর দৃষ্টি আছে, তাহাদের আর্ত্তনাদের প্রতি তাঁহার কর্ণ আছে।” (গীত. ৩৪:১৫) নিশ্চিতভাবেই, সমবেদনাময় এবং পরিপক্ক সহখ্রিস্টানদের বিচক্ষণতা ও বিবেচনাপূর্ণ বিভিন্ন অভিব্যক্তির মাধ্যমে যিহোবা দুঃখী ব্যক্তিদের কান্নার উত্তর দিতে পারেন। এই ধরনের ব্যবস্থা একই সঙ্গে মূল্যবান ও ব্যবহারিক।

খ্রিস্টীয় সভাগুলোর মাধ্যমে সাহায্য

একজন হতাশ ব্যক্তি সহজেই এমন নেতিবাচক চিন্তাভাবনার দ্বারা প্রভাবিত হন, যা তাকে অন্যদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার জন্য চাপ সৃষ্টি পারে। কিন্তু, হিতোপদেশ ১৮:১ পদ সাবধান করে: “যে পৃথক্‌ হয় সে নিজ অভীষ্ট চেষ্টা করে, এবং সমস্ত বুদ্ধিকৌশলের বিরুদ্ধে উচ্চণ্ড হয়।” অ্যালিক্স স্বীকার করেছিলেন: “আপনি যখন আপনার সাথিকে হারান, তখন আপনার মনে অনেক নেতিবাচক চিন্তাভাবনা আসে।” তার মনে আছে যে, তিনি নিজেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন: “‘আমি কি অন্য কিছু করতে পারতাম? আমি কি আরও বিবেচক হতে পারতাম?’ আমি একাকী হতে চাইনি। আমি বিপত্নীক হতে চাইনি। এই ধরনের চিন্তাভাবনা বন্ধ করা খুবই কঠিন, কারণ প্রতিদিন আপনার মনে পড়বে যে, আপনি একা।”

দুঃখী ব্যক্তিদের আগের চেয়ে আরও বেশি গঠনমূলক মেলামেশার প্রয়োজন। আর তা মণ্ডলীর সভাগুলোতে সহজেই পাওয়া যায়। এই ধরনের পরিবেশে, আমরা আমাদের মনকে এমন ইতিবাচক এবং গঠনমূলক চিন্তাভাবনা গ্রহণ করে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখি, যা ঈশ্বরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

খ্রিস্টীয় সভাগুলো আমাদেরকে নিজেদের পরিস্থিতির প্রতি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখতে সাহায্য করে। আমরা যখন বাইবেলের বিভিন্ন পদ শুনি বা সেগুলো নিয়ে ধ্যান করি, তখন আমরা নিজেদের চিন্তাভাবনাকে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত দুঃখকষ্টের প্রতিই নয় বরং প্রকৃতই গুরুত্বপূর্ণ দুটো বিষয়ের—যিহোবার সার্বভৌমত্বের ন্যায্যতা প্রতিপাদনের ও তাঁর নামের পবিত্রীকরণের—ওপর কেন্দ্রীভূত রাখি। আধ্যাত্মিক নির্দেশনা লাভের সেই সময়গুলোতে আমরা এটা জেনে শক্তিশালী হই যে, এমনকী অন্যেরা আমাদের দুর্দশা সম্বন্ধে না জানলেও অথবা আমাদের কেমন লাগে, সেটা না বুঝলেও নিশ্চিতভাবে যিহোবা জানেন ও বোঝেন। তিনি জানেন যে, “মনের ব্যথায় আত্মা ভগ্ন হয়।” (হিতো. ১৫:১৩) সত্য ঈশ্বর আমাদেরকে সাহায্য করতে চান এবং আমাদেরকে এগিয়ে চলার প্রেরণা ও শক্তি দেন।—গীত. ২৭:১৪.

রাজা দায়ূদ যখন তার শত্রুদের কাছ থেকে চরম চাপের মুখে পড়েছিলেন, তখন তিনি আর্তনাদ করে ঈশ্বরকে বলেছিলেন: “ইহাতে আমার আত্মা অন্তরে অবসন্ন হইয়াছে, আমার অন্তরে চিত্ত অসার হইয়াছে।” (গীত. ১৪৩:৪) দুঃখকষ্ট প্রায়ই একজন ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক শক্তিকে হ্রাস করে ফেলে, এমনকী হৃদয়কেও অসাড় করে ফেলে। আমাদের ওপর দুর্দশা অসুস্থতার আকারে বা দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক অক্ষমতার মাধ্যমে আসতে পারে। আমরা আস্থা রাখতে পারি যে, যিহোবা আমাদেরকে টিকে থাকতে সাহায্য করবেন। (গীত. ৪১:১-৩) যদিও যিহোবা বর্তমানে কাউকেই অলৌকিকভাবে সুস্থ করেন না কিন্তু তিনি সেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে তার পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞা ও শক্তি দেন। মনে রাখবেন যে, দায়ূদ যখন পরীক্ষার দ্বারা ভারগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন, তখন তিনি যিহোবার ওপর নির্ভর করেছিলেন। “আমি পূর্ব্বকালের দিন সকল স্মরণ করিতেছি,” তিনি গেয়েছিলেন। “তোমার সমস্ত কর্ম্ম ধ্যান করিতেছি, তোমার হস্তের কার্য্য আলোচনা করিতেছি।”—গীত. ১৪৩:৫.

প্রকৃত বিষয়টা হল, ঈশ্বরের বাক্যে লিপিবদ্ধ এই অনুপ্রাণিত মনোভাব ইঙ্গিত দেয় যে, যিহোবা আমাদের অনুভূতি বোঝেন। এই ধরনের বাক্যগুলো নিশ্চয়তা দেয় যে, তিনি আমাদের সনির্বন্ধ অনুরোধগুলো শোনেন। যদি আমরা যিহোবার সাহায্য গ্রহণ করি, তাহলে ‘তিনিই আমাদিগকে ধরিয়া রাখিবেন।’—গীত. ৫৫:২২.

“অবিরত প্রার্থনা কর”

যাকোব ৪:৮ পদ বলে: “ঈশ্বরের নিকটবর্ত্তী হও, তাহাতে তিনিও তোমাদের নিকটবর্ত্তী হইবেন।” ঈশ্বরের নিকটবর্তী হওয়ার একটা উপায় হল প্রার্থনা। প্রেরিত পৌল আমাদেরকে ‘অবিরত প্রার্থনা করিবার’ পরামর্শ দেন। (১ থিষল. ৫:১৭) এমনকী আমাদের পক্ষে যদি নিজেদের অনুভূতিকে কথায় প্রকাশ করা কঠিন হয়, তবুও “আত্মা আপনি অবক্তব্য আর্ত্তস্বর দ্বারা আমাদের পক্ষে অনুরোধ করেন।” (রোমীয় ৮:২৬, ২৭) যিহোবা নিশ্চিতভাবেই বোঝেন যে, আমাদের কেমন লাগে।

মনিকা, যিনি যিহোবার সঙ্গে এই ধরনের অন্তরঙ্গতা উপভোগ করেন, তিনি বলেন: “প্রার্থনা করার, বাইবেল পড়ার এবং ব্যক্তিগত অধ্যয়নের মাধ্যমে আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি যে, যিহোবা আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে উঠেছেন। তিনি আমার কাছে এতটাই বাস্তব হয়ে উঠেছেন যে, আমি ক্রমাগতভাবে আমার জীবনে তাঁর যত্ন অনুভব করতে পারি। এটা জানা সান্ত্বনাদায়ক, এমনকী আমি যখন ব্যাখ্যা করতে পারি না যে, আমার কেমন লাগে, সেই সময়ও তিনি আমাকে বুঝতে পারেন। আমি জানি যে, তাঁর দয়া ও আশীর্বাদ কখনো শেষ হবে না।”

তাই আসুন আমরা সহখ্রিস্টানদের প্রেমময় এবং সান্ত্বনার অভিব্যক্তিগুলো গ্রহণ করে নিই, খ্রিস্টীয় সভাগুলোতে যে-প্রেমময় পরামর্শ ও বিশ্বাসকে শক্তিশালী করার অনুস্মারকগুলো শুনে থাকি, তা কাজে লাগাই এবং হৃদয় উজার করে যিহোবার কাছে প্রার্থনা করি। এইসমস্ত সময়োপযোগী ব্যবস্থা হল যিহোবার উপায়, যেগুলোর মাধ্যমে তিনি দেখান যে, তিনি আমাদের জন্য চিন্তা করেন। অ্যালিক্স ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলেন: “আমাদেরকে আধ্যাত্মিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য যিহোবা ঈশ্বর যে-ব্যবস্থাগুলো জুগিয়ে যাচ্ছেন, সেগুলো মেনে চলার ক্ষেত্রে আমরা যদি নিজেদের অংশটুকু করি, তাহলে আমরা আমাদের সামনে আসতে পারে এমন যেকোনো পরীক্ষার মোকাবিলা করার জন্য ‘পরাক্রমের উৎকর্ষ’ লাভ করতে পারব।”—২ করি. ৪:৭.

[১৮ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

দুঃখী ব্যক্তিদের জন্য সান্ত্বনা

গীতসংহিতার গীতগুলো মানব অনুভূতির বিভিন্ন অভিব্যক্তি দ্বারা সমৃদ্ধ আর সেইসঙ্গে এগুলো বার বার এই আশ্বাস দেয় যে, যিহোবা সেই দুঃখী ব্যক্তির কান্না শোনেন, যিনি আবেগগত চাপের কারণে ভারগ্রস্থ। নীচের পদগুলো বিবেচনা করুন:

“সঙ্কটে আমি সদাপ্রভুকে ডাকিলাম, আমার ঈশ্বরের উদ্দেশে আর্ত্তনাদ করিলাম; তিনি নিজ মন্দির হইতে আমার রব শুনিলেন, তাঁহার সম্মুখে আমার আর্ত্তনাদ তাঁহার কর্ণে প্রবেশ করিল।”—গীত. ১৮:৬.

“সদাপ্রভু ভগ্নচিত্তদের নিকটবর্ত্তী, তিনি চূর্ণমনাদের পরিত্রাণ করেন।”—গীত. ৩৪:১৮.

“তিনি [সদাপ্রভু] ভগ্নচিত্তদিগকে সুস্থ করেন, তাহাদের ক্ষত সকল বাঁধিয়া দেন।”—গীত. ১৪৭:৩.

[১৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

দুর্দশার দিনগুলোতে “যথাকালে কথিত বাক্য” কতই না সান্ত্বনাদায়ক বলে প্রমাণিত হতে পারে!