সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ঈশ্বরকে সেবা করার জন্য কখনোই খুব বেশি দেরি হয়ে যায় না

ঈশ্বরকে সেবা করার জন্য কখনোই খুব বেশি দেরি হয়ে যায় না

ঈশ্বরকে সেবা করার জন্য কখনোই খুব বেশি দেরি হয়ে যায় না

দক্ষিণ স্পেনের মালাগাতে একজন মা ও তার মেয়ে, যাদের দুজনের নামই আনা, তারা ২০০৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর বাপ্তিস্ম নিয়েছিল। তারা সেই ২,৩৫২ জন ব্যক্তির মধ্যে ছিল, যারা ২০০৯ সালে স্পেনে এই পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু, এই মা ও মেয়ের ক্ষেত্রে একটা অসাধারণ বিষয় ছিল আর তা হল, তাদের বয়স। তাদের বয়স ছিল যথাক্রমে ১০৭ বছর ও ৮৩ বছর!

কোন বিষয়টা তাদেরকে যিহোবার প্রতি তাদের উৎসর্গীকরণের প্রতীক হিসেবে বাপ্তিস্ম নিতে পরিচালিত করেছিল? ১৯৭০ সালের শুরুর দিকে একজন সাক্ষি প্রতিবেশী প্রায়ই মেয়ে আনাকে তার ঘরে অনুষ্ঠিত মণ্ডলীর বই অধ্যয়নে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানাতেন। আনা মাঝে মাঝে সেখানে যোগ দিতেন। কিন্তু, তার চাকরির কারণে আনা খুব বেশি উন্নতি করতে পারেননি।

প্রায় দশ বছর পর, আনার ছেলে-মেয়েদের মধ্যে কয়েক জন বাইবেল অধ্যয়ন করতে শুরু করেছিল এবং পরবর্তী সময়ে যিহোবার দাস হয়ে উঠেছিল। তাদের মধ্যে একজন, মারি কারমেন, অবশেষে বাইবেলের সত্যের প্রতি তার মায়ের ভালোবাসাকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন এবং তাকে বাইবেল অধ্যয়নের প্রস্তাব গ্রহণ করতে সাহায্য করেছিলেন। এরপর, মারি কারমেনের দিদিমা অর্থাৎ বড়ো আনা বাইবেলের প্রতি আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত, এই পরিবারের দশ জন সদস্য বাপ্তিস্মের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল।

তাদের বাপ্তিস্মের দিন মা ও মেয়ে অর্থাৎ দুই আনা আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিল। “তাঁকে জানার জন্য আমাকে সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে যিহোবা আমাকে দয়া করেছেন,” ১০৭ বছর বয়সি আনা বলেছিলেন। তার মেয়ে আরও বলেছিলেন, “পরমদেশ আসার আগেই, আমি যিহোবার সেবা করতে চাই আর আমার পক্ষে যতটা সম্ভব তাঁর ইচ্ছা পালন ও সুসমাচার প্রচার করতে চাই।”

যে-বিষয়টা এই দুই বিধবা মহিলাকে বিশেষ আনন্দ দিয়ে থাকে তা হল, সভাগুলোতে যোগ দেওয়া। “তারা কখনোই কোনো সভা বাদ দেয় না,” তাদের মণ্ডলীর একজন প্রাচীন বলেন। “তারা সবসময়ই প্রহরীদুর্গ অধ্যয়নে উত্তর দেওয়ার জন্য উদ্‌গ্রীব থাকে।”

তাদের বিশ্বস্ত উদাহরণ হান্না নামে একজন বিধবার কথা মনে করিয়ে দেয়, যিনি “ধর্ম্মধাম হইতে প্রস্থান না করিয়া উপবাস ও প্রার্থনা সহকারে রাত দিন উপাসনা করিতেন।” এটা তাকে শিশু যিশুকে দেখার বিশেষ সুযোগ দান করেছিল। (লূক ২:৩৬-৩৮) ৮৪ বছর বয়সেও হান্না যিহোবাকে সেবা করার জন্য খুব বেশি বৃদ্ধ হয়ে যাননি আর বর্তমানে একই ধরনের নামের অধিকারী দুই ব্যক্তিও তা হয়নি।

আপনার কি এমন আত্মীয়স্বজন রয়েছে, যারা বাইবেলের বার্তা শুনতে ইচ্ছুক? অথবা আপনার কি এমন কোনো বয়স্ক আগ্রহী ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়েছে, যার ঘরে সাক্ষাৎ করার সময় যিনি আপনার বার্তা শুনতে ইচ্ছুক হয়েছেন? এইরকম ব্যক্তিরা এই অভিজ্ঞতার দুই আনার মতো হতে পারে কারণ সত্য ঈশ্বর যিহোবাকে সেবা করার জন্য কখনোই খুব বেশি দেরি হয়ে যায় না।

[২৫ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

“যিহোবা আমাকে দয়া করেছেন”

[২৫ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

“পরমদেশ আসার আগেই, আমি যিহোবার সেবা করতে চাই”