সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ইন্টারনেট সারাবিশ্বের তথ্য আহরণের এই হাতিয়ারকে বিজ্ঞতার সঙ্গে ব্যবহার করা

ইন্টারনেট সারাবিশ্বের তথ্য আহরণের এই হাতিয়ারকে বিজ্ঞতার সঙ্গে ব্যবহার করা

ইন্টারনেট সারাবিশ্বের তথ্য আহরণের এই হাতিয়ারকে বিজ্ঞতার সঙ্গে ব্যবহার করা

কয়েক-শো বছর আগে, মুদ্রণের আবিষ্কার লোকেদের ভাববিনিময়ের ক্ষেত্রে এক বিরাট পরিবর্তন এনেছিল। আধুনিক দিনে ইন্টারনেটের আবিষ্কারকে সেটার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এই ব্যবহারিক হাতিয়ারকে সারাবিশ্বের ভাববিনিময়ের এক হাতিয়ার বলা হয়েছে এবং তা বলাটা উপযুক্ত। আপনি যখন এই “ইনফরমেশন সুপারহাইওয়ে” বা “তথ্যের মহাসড়কের” মধ্যে দিয়ে ভ্রমণ করেন, তখন বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তথ্য, পরিসংখ্যান এবং মতামত বেছে নিতে পারেন।

ভাববিনিময় করার ক্ষমতা হল আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে প্রাপ্ত এক অপূর্ব উপহার। এটা আমাদেরকে পরস্পরের সঙ্গে ধারণা আদান-প্রদান করতে এবং অন্যদেরকে তথ্য জানাতে সমর্থ করে। যিহোবাই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি তাঁর মানবপরিবারের সঙ্গে ভাববিনিময় করেছিলেন এবং কীভাবে এক অর্থপূর্ণ জীবনযাপন করা যায়, সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট ও সঠিক তথ্য জানিয়েছিলেন। (আদি. ১:২৮-৩০) কিন্তু, মানবইতিহাসের শুরুতে যা ঘটেছিল, সেটার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ভাববিনিময়ের এই উপহারের অপব্যবহারও করা যেতে পারে। শয়তান হবাকে পুরোপুরি মিথ্যা তথ্য দিয়েছিল। শয়তান তাকে যা বলেছিল, সে সেটা শুনেছিল এবং তা আদমকেও জানিয়েছিল আর আদম মানবজাতিকে বিপর্যয়ের পথে ঠেলে দিয়েছিল।—আদি. ৩:১-৬; রোমীয় ৫:১২.

ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্বন্ধে কী বলা যায়? যদিও একদিকে ইন্টারনেট মূল্যবান তথ্য জোগাতে, আমাদের সময় বাঁচাতে এবং এক কার্যকারী ভূমিকা পালন করতে পারে, কিন্তু অন্যদিকে এটা আমাদেরকে ভুল তথ্য দিতে, আমাদের প্রচুর সময় কেড়ে নিতে এবং নৈতিকভাবে কলুষিত করতেও পারে। আসুন আমরা বিবেচনা করে দেখি যে, কীভাবে আমরা সারাবিশ্বের তথ্য আহরণের এই হাতিয়ারকে নিজেদের উপকারের জন্য ব্যবহার করতে পারি।

তথ্য—নির্ভরযোগ্য অথবা অনির্ভরযোগ্য?

কখনো এইরকমটা ধরে নেবেন না যে, ইন্টারনেটে যে-সমস্ত তথ্য পাওয়া যায়, সেগুলোর সবই ভালো ও উপকারজনক। ইন্টারনেটের সার্চ ইঞ্জিনকে মাশরুম উত্তোলনকারী একটা দলের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে, যারা অক্লান্তভাবে সমস্ত ধরনের—খাওয়ার যোগ্য ও সেইসঙ্গে বিষাক্ত—মাশরুম সংগ্রহ করে একটা পাত্রেই রাখে এবং আমাদের খাওয়ার জন্য তা পরিবেশন করে। আপনি কি প্রতিটা মাশরুম সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা না করেই সেগুলো খেতে শুরু করবেন? অবশ্যই না! ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন অসংখ্য কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে, যাতে কোটি কোটি ওয়েব পেইজ থেকে তথ্য সংগ্রহ অথবা গ্রহণ করতে পারে আর এই ওয়েব পেইজগুলোতে সবচেয়ে ভালো থেকে শুরু করে সবচেয়ে খারাপ সমস্ত তথ্যই রয়েছে। রূপকভাবে বললে, গম থেকে তুষ আলাদা করার জন্য আমাদের বিচক্ষণতা প্রয়োজন, যাতে আমাদের মন ভুল তথ্যের দ্বারা বিষাক্ত হয়ে না যায়।

১৯৯৩ সালে, বিখ্যাত একটা পত্রিকায় এমন একটা কার্টুন ছাপানো হয়েছিল, যেখানে একটা কম্পিউটারের সামনে দুটো কুকুর রয়েছে। একটা কুকুর আরেকটা কুকুরের কাছে ব্যাখ্যা করছে: “ইন্টারনেটের মধ্যে কেউই বুঝতে পারে না যে, তুমি আসলে একটা কুকুর।” অনেক আগে শয়তান, হবার সঙ্গে “কথাবার্তা” শুরু করার জন্য একটা সর্পের পিছনে নিজের আসল পরিচয় লুকিয়ে রেখেছিল এবং তাকে বলেছিল যে, হবা চাইলে ঈশ্বরের মতো হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে, ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করেন এমন যেকোনো ব্যক্তি এমনকী নিজের নাম প্রকাশ না করেই কোনো বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠার ভান করতে পারেন আর দাবি করতে পারেন যে, তিনি সমস্তকিছু জানেন। আর বিভিন্ন ধারণা, তথ্য, চিত্র এবং পরামর্শ প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কার কতটা স্বাধীনতা রয়েছে, সেই বিষয়ে ধরাবাঁধা কোনো নিয়মনীতি নেই।

ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় হবার মতো হয়ে যাবেন না। যে-তথ্য দেওয়া হয়, তা যাচাই করুন এবং অনুসন্ধান করুন। সেই তথ্যের ওপর নির্ভর করার আগে জিজ্ঞেস করুন: (১) কে এই বিষয়বস্তু প্রকাশ করেছেন? রচয়িতার যোগ্যতার কোন প্রমাণপত্র রয়েছে? (২) কেন এটা প্রকাশ করা হয়েছে? কী লেখককে অনুপ্রাণিত করেছে? কোনোরকম পক্ষপাতিত্ব? (৩) রচয়িতা কোথা থেকে তথ্য পেয়েছেন? তিনি কি এমন কোনো উৎস সম্বন্ধে তুলে ধরেছেন, যেখান থেকে পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে? (৪) সেটা কি কোনো চলতি তথ্য? প্রথম শতাব্দীতে, প্রেরিত পৌল তীমথিয়কে এমন উপদেশ দিয়েছিলেন, যা বর্তমানেও সমভাবে প্রযোজ্য। পৌল লিখেছিলেন: “তোমার কাছে যাহা গচ্ছিত হইয়াছে, তাহা সাবধানে রাখ; যাহা অযথারূপে বিদ্যা নামে আখ্যাত, তাহার ধর্ম্মবিরূপক নিঃসার শব্দাড়ম্বর ও বিরোধবাণী হইতে বিমুখ হও।”—১ তীম. ৬:২০.

সময় বাঁচায় নাকি কেড়ে নেয়?

যদি বিজ্ঞতার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়, তাহলে ইন্টারনেট নিঃসন্দেহেই আমাদের সময়, শক্তি ও অর্থ বাঁচায়। আমরা ঘর থেকে বের না হয়ে খুব সহজেই কেনাকাটা সেরে ফেলতে পারি। ইন্টারনেটে দরদাম তুলনা করে আমরা টাকাপয়সা বাঁচাতে পারি। অনলাইন ব্যাঙ্কিং অনেক লোকের জীবনকে আরও সহজ করে দিয়েছে; ঘরে বসে সহজেই যেকোনো সময়ে বিভিন্ন আর্থিক বিষয় সামলানো যেতে পারে। আমরা যদি কোনো ভ্রমণ করার পরিকল্পনা করি, তাহলে ইন্টারনেট কোনো সুবিধাজনক ও সাশ্রয়ী ভ্রমণ পরিকল্পনা খুঁজে বের করার জন্য কার্যকারী মাধ্যম জুগিয়ে থাকে এবং দরকার হলে বুকিং করতেও সাহায্য করে থাকে। আমরা সহজেই টেলিফোন নম্বর, ঠিকানা এবং আমাদের নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছানোর বিভিন্ন রাস্তা খুঁজে পেতে পারি। বিশ্বব্যাপী যিহোবার সাক্ষিদের শাখা অফিসগুলো সময়, শ্রম ও টাকাপয়সা বাঁচানোর জন্য এইরকম অনেক সেবা ব্যবহার করে থাকে।

কিন্তু, নেতিবাচক দিকটাও বিবেচনায় রাখা উচিত। এর সঙ্গে, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে যে-সময় চলে যায়, সেটা জড়িত। অনেকের কাছে ইন্টারনেট একটা সাহায্যকারী হাতিয়ারের চেয়ে বরং একটা মজার খেলনার মতো। তারা বিভিন্ন গেমস্‌ খেলার, কেনাকাটা করার, চ্যাটিং করার, ই-মেইল পাঠানোর, গবেষণা করার এবং সার্ফিং বা বিভিন্ন সাইট ঘাঁটাঘাঁটি করার পিছনে অত্যধিক সময় ব্যয় করে থাকে। এক সময়, তারা হয়তো আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অবহেলা করতে শুরু করে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং মণ্ডলী। ইন্টারনেট ব্যবহার করাটা এমনকী এক নেশা হয়ে উঠতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১০ সালে প্রকাশিত একটা পরিসংখ্যান দেখায় যে, কোরিয়ার ১৮.৪ শতাংশ উঠতি বয়সি ছেলে-মেয়ে ইন্টারনেটের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। জার্মান গবেষকরা বলেছে যে, “দিন দিন আরও বেশি সংখ্যক মহিলা তাদের সঙ্গীদের আসক্তি সম্বন্ধে অভিযোগ করতে শুরু করেছে।” একজন মহিলা এইরকম অভিযোগ করেছেন যে, ইন্টারনেটের ওপর নির্ভর করা তার স্বামীকে এত নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন করে দিয়েছে যে, সেই কারণে তাদের বিয়ে ভেঙে গিয়েছে।

যিহোবার সাক্ষিদের একটা শাখা অফিস এমন একটা চিঠি পেয়েছে, যেখানে একজন ব্যক্তি নিজেকে ইন্টারনেটখোর বলে অভিহিত করেছেন। মাঝে মাঝে তিনি ইন্টারনেটের পিছনে দিনে ১০ ঘন্টাও কাটিয়ে দিয়েছেন। “শুরুতে ভেবেছিলাম কোনো সমস্যাই হবে না,” এই মন্তব্য করার পর তিনি আরও বলেন: “কিন্তু এক সময় আমি সভায় যাওয়া কমিয়ে দিই আর প্রার্থনা করাও বন্ধ করে দিই।” তিনি যখন সভাগুলোতে যেতেন, তখন কোনো প্রস্তুতি না নিয়েই যেতেন আর তার মন “আবারও লগ অন করার জন্য” পাগল হয়ে থাকত। আনন্দের বিষয় হল, তিনি তার সমস্যার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন এবং বিষয়টা সংশোধন করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আমরা যেন কখনো এমন পর্যায়ে চলে না যাই যে, ইন্টারনেট ব্যবহার করা আমাদের জন্য এক নেশা হয়ে ওঠে।

তথ্য—উপকারী নাকি অপকারী?

প্রথম থিষলনীকীয় ৫:২১, ২২ পদে আমরা পড়ি: “সর্ব্ববিষয়ের পরীক্ষা কর; যাহা ভাল, তাহা ধরিয়া রাখ। সর্ব্বপ্রকার মন্দ বিষয় হইতে দূরে থাক।” আমাদের নির্ধারণ করতে হবে যে, ইন্টারনেটে আমরা যে-তথ্য পাই, তা ঈশ্বরের অনুমোদন লাভের এবং তাঁর উচ্চ মানগুলো পূরণের জন্য উপকারী কি না। এই তথ্য একজন খ্রিস্টানের জন্য নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য এবং উপযুক্ত হওয়া উচিত। ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফি খুব ব্যাপক মাত্রায় ছেয়ে গিয়েছে আর আমরা যদি সতর্ক না থাকি, তাহলে সহজেই এর ফাঁদে আটকা পড়ে যেতে পারি।

তাই, নিজেদেরকে এই প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করা বিজ্ঞতার কাজ: ‘স্ক্রিনের মধ্যে আমি যা দেখি, তা কি আমি আমার সঙ্গী, বাবা-মা অথবা আমার খ্রিস্টান ভাইবোনেরা ঘরে ঢুকলে চট করে লুকিয়ে ফেলি?’ এর উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আমাদের শুধুমাত্র অন্যদের সামনেই ইন্টারনেট ব্যবহার করা উচিত। সত্যিই, ইন্টারনেট আমাদের ভাববিনিময় এবং কেনাকাটা করার ধরনকে পালটে দিয়েছে। কিন্তু, এটা আবার ‘মনে মনে ব্যভিচার করিবার’ সম্পূর্ণ নতুন এক উপায়ও খুলে দিয়েছে।—মথি ৫:২৭, ২৮.

পাঠাবেন নাকি পাঠাবেন না?

ইন্টারনেট ব্যবহার করার অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে তথ্য লাভ করা ও সেইসঙ্গে তা অন্যদের কাছে জানানো। যদিও আমাদের তথ্য সংগ্রহ করার এবং তা অন্যদের কাছে জানানোর স্বাধীনতা রয়েছে কিন্তু একইসঙ্গে আমাদের সেই তথ্যের সত্যতা ও যথার্থতা নিশ্চিত করার দায়িত্বও রয়েছে। অন্যদের কাছে আমরা যা লিখি এবং পাঠাই, সেটার সঠিকতা সম্বন্ধে আমরা কি প্রমাণ দিতে পারি? সেই তথ্য অন্যদের কাছে জানানোর অনুমতি কি আমাদের রয়েছে? * সেই তথ্য কি উপকারী ও গঠনমূলক? সেটা অন্যদের কাছে জানানোর ব্যাপারে আমাদের উদ্দেশ্য কী? আমরা কি কেবল অন্যদেরকে প্রভাবিত করার জন্য তা করে থাকি?

সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে ই-মেইল এক উপকারী বিষয় হতে পারে। কিন্তু, একইসঙ্গে এটা আমাদেরকে তথ্যের স্রোতে ভাসিয়ে দিতে পারে। আমরা কি পরিচিত সকলকে নতুন নতুন অনেক তথ্য ও তুচ্ছ বিষয় পড়ানোর জন্য তাদের কাছে সেগুলো পাঠানোর মাধ্যমে তাদেরকে ভারগ্রস্ত করে তুলছি, হতে পারে তাদের মূল্যবান সময় কেড়ে নিচ্ছি? সেন্ড বাটনে চাপ দেওয়ার আগে আমাদের উদ্দেশ্য কি আমাদের পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত নয়? আমরা আসলে কী সম্পাদন করতে চাই? লোকেরা তাদের পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের কাছে নিজেদের অভিজ্ঞতা জানানোর জন্য চিঠি লিখত আর এভাবে নিজেদের জীবনে যা ঘটছে, সেই সম্বন্ধে তাদেরকে জানাত। আমাদের ই-মেইল করার মূল উদ্দেশ্য কি এটাই হওয়া উচিত নয়? কেনই-বা আমরা অন্যদের কাছে এমন বিষয়বস্তু জানাব, যেটার সত্যতা আমরা প্রমাণ করতে পারি না?

তাহলে, কীভাবে আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করা উচিত? একেবারেই বাদ দিয়ে দেব? কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো তা করার প্রয়োজন হতে পারে। পূর্বে উল্লেখিত ইন্টারনেটখোর বহু বছরের নেশা কাটিয়ে ওঠার জন্য সেটাই করেছিলেন। অন্যদিকে, ইন্টারনেট ব্যবহার করা আমাদেরকে উপকৃতও করতে পারে, যদি আমরা “পরিণামদর্শিতা”—যা ‘আমাদের প্রহরী হইবে’—ও “বুদ্ধি”—যা ‘আমাদের রক্ষা করিবে’—সহকারে তা ব্যবহার করি।—হিতো. ২:১০, ১১.

[পাদটীকা]

^ ছবির ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য। যদিও আমরা হয়তো নিজেদের ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ছবি তুলতে পারি, কিন্তু সেগুলো অন্যদের কাছে বিতরণ করার অধিকারই হয়তো আমাদের নেই আর সেই ছবির ব্যক্তিদের নাম এবং ঠিকানা দেওয়া তো দূরের কথা।

[৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

কীভাবে আপনি ভুল তথ্যের শিকার হওয়া এড়াতে পারেন?

[৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

সেন্ড বাটনে চাপ দেওয়ার আগে আপনার কী বিবেচনা করে দেখা উচিত?