সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

যে-প্রবণতা আমাদের মনকে বিষিয়ে তুলতে পারে হিংসা

যে-প্রবণতা আমাদের মনকে বিষিয়ে তুলতে পারে হিংসা

যে-প্রবণতা আমাদের মনকে বিষিয়ে তুলতে পারে হিংসা

নেপোলিয়ান বোনাপার্টের মধ্যে এটা ছিল। জুলিয়াস সিজারের মধ্যে এটা ছিল। মহান আলেকজান্ডারের মধ্যেও এটা ছিল। সমস্ত ধরনের ক্ষমতা ও প্রতাপ থাকা সত্ত্বেও এই ব্যক্তিরা নিজেদের হৃদয়ে এমন এক প্রবণতা পুষে রেখেছিল, যা একজন ব্যক্তির মনকে বিষিয়ে তুলতে পারে। এই তিন জনই কাউকে না কাউকে হিংসা করত।

“নেপোলিয়ান হিংসা করতেন সিজারকে, সিজার হিংসা করতেন [মহান] আলেকজান্ডারকে এবং আমার মনে হয় আলেকজান্ডার হিংসা করতেন হারকিউলিসকে, যার কখনো কোনো অস্তিত্বই ছিল না,” ইংরেজ দার্শনিক বারট্রেন্ড রাসেল লিখেছিলেন। হিংসা যে-কাউকে সংক্রামিত করতে পারে, তা একজন ব্যক্তির যত ধনসম্পদই থাকুক না কেন, তিনি যত সদ্‌গুণের অধিকারীই হোন না কেন এবং জীবনে যত সফলই হয়ে থাকুন না কেন।

হিংসা হচ্ছে অন্যদের প্রতি অসন্তোষের এক অনুভূতি আর তা তাদের সহায়সম্পদ, সমৃদ্ধি, সুযোগ-সুবিধা এবং অন্যান্য বিষয়ের কারণে হতে পারে। হিংসা থেকে ঈর্ষার পার্থক্য দেখাতে গিয়ে বাইবেলের একটি তথ্যগ্রন্থ বলে: “‘ঈর্ষা‘ . . . অন্যের মতো ধনী হওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে নির্দেশ করে আর ‘হিংসা’ শব্দটি অন্যের যা আছে, তা কেড়ে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে নির্দেশ করে।” একজন হিংসুটে ব্যক্তি কেবল অন্যদের যা আছে, সেটা দেখে অসন্তুষ্টই হন না কিন্তু সেইসঙ্গে তিনি তাদের কাছ থেকে সেগুলো কেড়েও নিতে চান।

কীভাবে আমাদের মধ্যে হিংসার উদয় হতে পারে এবং এর পরিণতিগুলো কী, তা পরীক্ষা করা আমাদের জন্য বিজ্ঞতার কাজ হবে। বিশেষভাবে, হিংসা যেন আমাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, সেটার জন্য আমরা কোন পদক্ষেপগুলো নিতে পারি, তা আমাদের জানতে হবে।

যে-মনোভাব হিংসার আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারে

যেহেতু অসিদ্ধ মানুষের “মাৎসর্য্যের” বা হিংসার প্রতি প্রবণতা রয়েছে, তাই বিভিন্ন বিষয় এই প্রবণতাকে উসকে দিতে এবং আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। (যাকোব ৪:৫) এগুলোর মধ্যে একটাকে শনাক্ত করে, প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “আইস আমরা . . . অনর্থক দর্প না করি পরস্পরকে জ্বালাতন [“পরস্পরের মধ্যে প্রতিযোগিতা,” NW] না করি, পরস্পর হিংসাহিংসি না করি।” (গালা. ৫:২৫, ২৬) প্রতিযোগিতার মনোভাব আমাদের মধ্যে হিংসা করার যে-অসিদ্ধ প্রবণতা রয়েছে, সেটাকে এমনকী আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। ক্রিস্টিনা এবং হোসে নামে দুজন খ্রিস্টান এই বিষয়টার সত্যতা বুঝতে পেরেছিল। *

ক্রিস্টিনা, যিনি একজন নিয়মিত অগ্রগামী, তিনি বলেন: “আমি প্রায়ই লক্ষ করেছি যে, আমি অন্যদের প্রতি হিংসার মনোভাব নিয়ে তাকাই। তাদের কী রয়েছে এবং আমার কী নেই, সেটা নিয়ে আমি তুলনা করি।” একবার, ক্রিস্টিনা এক দম্পতির সঙ্গে খাবার খাচ্ছিলেন, যাদের ভ্রমণ কাজে সেবা করার বিশেষ সুযোগ রয়েছে। যেহেতু তিনি জানতেন যে, তিনি এবং তার স্বামী এরিক, সেই ভ্রমণ অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রীর প্রায় সমবয়সি এবং অতীতে তাদের একই ধরনের কার্যভার ছিল, তাই ক্রিস্টিনা বলেছিলেন: “আমার স্বামীও একজন প্রাচীন! তাহলে আপনারা কেমন করে ভ্রমণের কাজ করছেন অথচ আমরা কিছুই করছি না?” প্রতিযোগিতার মনোভাবের দ্বারা জ্বালানো হিংসার আগুন, তিনি এবং তার স্বামী যে-উত্তম কাজ করছিলেন, সেই ব্যাপারে তাকে অন্ধ করে দিয়েছিল আর এতে তিনি তাদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না।

হোসে, মণ্ডলীতে একজন পরিচারক দাস হিসেবে সেবা করতে চেয়েছিলেন। তাকে নিযুক্ত না করে যখন অন্যদের নিযুক্ত করা হয়েছিল, তখন তিনি তাদেরকে হিংসা করতে শুরু করেছিলেন এবং প্রাচীনগোষ্ঠীর কোঅর্ডিনেটরের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছিলেন। “হিংসার কারণে আমি এই ভাইকে ঘৃণা করেছিলাম এবং তার উদ্দেশ্য সম্বন্ধে ভুল বুঝেছিলাম,” হোসে স্বীকার করেন। “হিংসা যখন আপনার জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে, তখন আপনি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়েন এবং স্পষ্টভাবে চিন্তা করতে ব্যর্থ হন।”

যে-শাস্ত্রীয় উদাহরণগুলো আমাদেরকে শিক্ষা প্রদান করে

বাইবেলে অনেক সতর্কবাণীমূলক উদাহরণ রয়েছে। (১ করি. ১০:১১) এগুলোর মধ্যে কিছু উদাহরণ কেবল কীভাবে হিংসা গড়ে উঠে, সেটাই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে এটাও দেখায় যে, যারা এর কাছে নতিস্বীকার করে, তাদেরকে এটা কীভাবে কলুষিত করে।

উদাহরণস্বরূপ, আদম ও হবার প্রথম সন্তান কয়িন সেই সময় ক্রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল, যখন যিহোবা হেবলের বলি গ্রাহ্য করেছিলেন কিন্তু তার বলি গ্রাহ্য করেননি। কয়িন এই পরিস্থিতিটা কাটিয়ে উঠতে পারত কিন্তু সে হিংসার দ্বারা এতটাই অন্ধ হয়ে গিয়েছিল যে, সে তার ভাইকে হত্যা করেছিল। (আদি. ৪:৪-৮) তাই, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, বাইবেল কয়িনকে “সেই পাপাত্মার” অর্থাৎ শয়তানের “লোক” হিসেবে অভিহিত করে!—১ যোহন ৩:১২.

যোষেফের দশ ভাই, তাদের বাবার সঙ্গে যোষেফের বিশেষ সম্পর্ক ছিল বলে তাকে হিংসা করত। যোষেফ যখন তাদেরকে তার ভবিষ্যদ্‌বাণীমূলক স্বপ্নের বিষয়ে বলেছিলেন, তখন যোষেফের প্রতি তাদের ঘৃণা বেড়ে গিয়েছিল। তারা এমনকী তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। অবশেষে, তারা তাকে একজন দাস হিসেবে বিক্রি করে দিয়েছিল এবং নিষ্ঠুরভাবে তাদের বাবাকে এটা বিশ্বাস করতে পরিচালিত করেছিল যে, যোষেফ মারা গিয়েছেন। (আদি. ৩৭:৪-১১, ২৩-২৮, ৩১-৩৩) অনেক বছর পর, পরস্পরকে এই কথা বলার দ্বারা তারা তাদের পাপ স্বীকার করেছিল: “নিশ্চয়ই আমরা আপনাদের ভাইয়ের বিষয়ে অপরাধী, কেননা সে আমাদের কাছে বিনতি করিলে আমরা তাহার প্রাণের কষ্ট দেখিয়াও তাহা শুনি নাই।”—আদি. ৪২:২১; ৫০:১৫-১৯.

কোরহ, দাথন এবং অবিরামের মধ্যে সেই সময়ে হিংসা জেগে উঠেছিল, যখন তারা নিজেদের বিশেষ সুযোগগুলোকে মোশি ও হারোণের বিশেষ সুযোগগুলোর সঙ্গে তুলনা করেছিল। তারা মোশিকে ‘কর্ত্তৃত্ব করিবার’ এবং অন্যদের তুলনায় নিজেকে উচ্চীকৃত করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিল। (গণনা. ১৬:১৩) এটা মিথ্যা অভিযোগ ছিল। (গণনা. ১১:১৪, ১৫) স্বয়ং যিহোবা মোশিকে নিযুক্ত করেছিলেন। কিন্তু, এই বিদ্রোহীরা মোশির পদমর্যাদার প্রতি হিংসা করেছিল। পরিশেষে, হিংসার কারণে তারা যিহোবার হাতে বিনষ্ট হয়ে গিয়েছিল।—গীত. ১০৬:১৬, ১৭.

হিংসা কত দূর পর্যন্ত যেতে পারে, সেটা রাজা শলোমন দেখেছিলেন। একজন মহিলা, যার নিজের নবজাত শিশু মারা গিয়েছিল, তিনি তার সঙ্গে বসবাসরত সঙ্গীকে এইরকম চিন্তা করতে প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিলেন যে, যে-শিশুটি মারা গিয়েছে, সেটা তারই শিশু। বিচার চলার একটা পর্যায়ে, সেই মিথ্যাবাদী এমনকী জীবিত শিশুটিকে হত্যা করার ব্যাপারে যে-সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তাতে সম্মতি জানিয়েছিলেন। কিন্তু, শলোমন লক্ষ রেখেছিলেন, যেন শিশুটিকে তার আসল মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।—১ রাজা. ৩:১৬-২৭.

হিংসার কারণে বিভিন্ন মারাত্মক পরিণতি হতে পারে। ওপরে উল্লেখিত শাস্ত্রীয় উদাহরণগুলো দেখায় যে, এটা ঘৃণা, অবিচার এবং হত্যা করার দিকে পরিচালিত করতে পারে। অধিকন্তু, প্রতিটা ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা এমন কিছুই করেনি যেটার কারণে তাদের ওপর যে-বিষয়গুলো ঘটেছিল, তারা সেগুলোর প্রাপ্য ছিল। হিংসা যেন আমাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ না করে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য এমন কিছু কি রয়েছে, যা আমরা করতে পারি? হিংসার প্রতিষেধক হিসেবে আমরা কোন পদক্ষেপগুলো নিতে পারি?

বিভিন্ন শক্তিশালী প্রতিষেধক!

প্রেম ও ভ্রাতৃস্নেহ গড়ে তুলুন। প্রেরিত পিতর খ্রিস্টানদের উপদেশ দিয়েছিলেন: “তোমরা সত্যের আজ্ঞাবহতায় অকল্পিত ভ্রাতৃপ্রেমের নিমিত্ত আপন আপন প্রাণকে বিশুদ্ধ করিয়াছ বলিয়া অন্তঃকরণে পরস্পর একাগ্র ভাবে প্রেম কর।” (১ পিতর ১:২২) আর প্রেম কী? প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “প্রেম চিরসহিষ্ণু, প্রেম মধুর, ঈর্ষা করে না, প্রেম আত্মশ্লাঘা করে না, গর্ব্ব করে না, অশিষ্টাচরণ করে না, স্বার্থ চেষ্টা করে না।” (১ করি. ১৩:৪, ৫) আমাদের হৃদয়ে অন্যদের প্রতি এই ধরনের প্রেম গড়ে তোলা কি মাৎসর্য বা হিংসার মতো এক নেতিবাচক প্রবণতাকে রোধ করবে না? (১ পিতর ২:১) দায়ূদকে হিংসা করার পরিবর্তে যোনাথন ‘আপন প্রাণের মত তাঁহাকে ভালোবাসিতেন।’—১ শমূ. ১৮:১.

ঈশ্বরভয়শীল লোকেদের সঙ্গে মেলামেশা করুন। ৭৩ গীতের রচয়িতা সেই দুষ্ট লোকেদের হিংসা করেছিলেন, যারা সমস্যামুক্ত এক বিলাসবহুল জীবনযাপন উপভোগ করেছিল। কিন্তু, “ঈশ্বরের ধর্ম্মধামে” প্রবেশ করার মাধ্যমে তিনি তার হিংসাকে জয় করেছিলেন। (গীত. ৭৩:৩-৫, ১৭) সহউপাসকদের সঙ্গে মেলামেশা করা গীতরচককে সেই আশীর্বাদগুলোকে শনাক্ত করতে সাহায্য করেছিল, যেগুলো তিনি ‘ঈশ্বরের নিকটে থাকার’ মাধ্যমে লাভ করেছিলেন। (গীত. ৭৩:২৮) খ্রিস্টীয় সভাগুলোতে নিয়মিতভাবে সহবিশ্বাসীদের সঙ্গে মেলামেশা করা, আমাদের জন্যও একই বিষয় করতে পারে।

সদাচরণ করার চেষ্টা করুন। কয়িনের মধ্যে হিংসা এবং ঘৃণা গড়ে উঠতে দেখে ঈশ্বর তাকে বলেছিলেন: “সদাচরণ কর।” (আদি. ৪:৭) খ্রিস্টানদের জন্য ‘সদাচরণ করার’ অর্থ কী? যিশু বলেছিলেন যে, আমাদের ‘সমস্ত অন্তঃকরণ, আমাদের সমস্ত প্রাণ ও আমাদের সমস্ত মন দিয়া আমাদের ঈশ্বর প্রভুকে প্রেম করিতে হইবে আর আমাদের প্রতিবাসীকে আপনাদের মত প্রেম করিতে হইবে।’ (মথি ২২:৩৭-৩৯) যিহোবার সেবায় এবং অন্যদেরকে সাহায্য করায় আমাদের জীবনকে কেন্দ্রীভূত করার মাধ্যমে আমরা যে-পরিতৃপ্তি লাভ করি, তা হিংসার অনুভূতির বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী প্রতিষেধক। রাজ্যের প্রচার এবং শিষ্য তৈরি করার কাজে অর্থপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করা, ঈশ্বরকে এবং আমাদের প্রতিবেশীকে সেবা করার এক চমৎকার উপায় আর এটা আমাদের জন্য ‘সদাপ্রভুর আশীর্ব্বাদ’ নিয়ে আসে।—হিতো. ১০:২২.

যাহারা আনন্দ করে, তাহাদের সহিত আনন্দ করুন।’  (রোমীয় ১২:১৫) যিশু তাঁর শিষ্যদের সাফল্য দেখে আনন্দ করেছিলেন ও সেইসঙ্গে উল্লেখ করেছিলেন যে, প্রচার কাজে তিনি যা-কিছু করেছেন, তারা এমনকী সেগুলোর চেয়ে আরও বেশি কিছু সম্পাদন করবে। (লূক ১০:১৭, ২১; যোহন ১৪:১২) আমরা যিহোবার দাস হিসেবে একতাবদ্ধ; তাই আমাদের যেকোনো একজনের সাফল্যই আমাদের সকলের জন্য এক আশীর্বাদস্বরূপ। (১ করি. ১২:২৫, ২৬) তাই, অন্যেরা যখন আরও বড়ো কোনো দায়িত্ব লাভ করে, তখন হিংসা করার পরিবর্তে আমাদের কি আনন্দ করা উচিত নয়?

এই লড়াই সহজ নয়!

হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই করা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে। ক্রিস্টিনা স্বীকার করেন: “এখনও আমার হিংসার প্রতি এক তীব্র প্রবণতা রয়েছে। যদিও আমি এটাকে ঘৃণা করি কিন্তু তার পরও আমার মধ্যে এই অনুভূতি রয়ে গিয়েছে আর আমাকে ক্রমাগত এটাকে দমন করতে হয়।” হোসেকেও একই ধরনের লড়াই করতে হয়েছে। “যিহোবা আমাকে প্রাচীনগোষ্ঠীর কোঅর্ডিনেটরের উত্তম গুণাবলি উপলব্ধি করতে সাহায্য করেছিলেন,” তিনি বলেন। “ঈশ্বরের সঙ্গে এক উত্তম সম্পর্ক অমূল্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।”

মাৎসর্য বা হিংসা হচ্ছে ‘মাংসের কার্য্য সকলের’ মধ্যে একটা, যেটার বিরুদ্ধে প্রত্যেক খ্রিস্টানের লড়াই করা উচিত। (গালা. ৫:১৯-২১) হিংসাকে আমাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে না দিয়ে আমরা নিজেদের জীবনকে আরও সুখী করতে পারি এবং আমাদের স্বর্গীয় পিতা যিহোবাকে আনন্দিত করতে পারি।

[পাদটীকা]

^ কিছু নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

[১৭ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

‘যাহারা আনন্দ করে, তাহাদের সহিত আনন্দ করুন’