সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনি কি জানতেন?

আপনি কি জানতেন?

আপনি কি জানতেন?

যিশুর পাশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুবৃর্ত্তদের অপরাধ কী ছিল?

বাইবেল সেই দুর্বৃত্তদের “দস্যু” বলে উল্লেখ করে। (মথি ২৭:৩৮; মার্ক ১৫:২৭) বাইবেলভিত্তিক কিছু অভিধান উল্লেখ করে যে, শাস্ত্র এক ধরনের অপরাধ থেকে আরেক ধরনের অপরাধের পার্থক্য বোঝাতে ভিন্ন ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করে। গ্রিক শব্দ ক্লেপটিস এমন একজন চোরকে নির্দেশ করত, যে ধরা পড়ার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য গোপনে কাজ করে। এই শব্দটি ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদার প্রতি প্রযোজ্য, যিনি শিষ্যদের টাকার থলি থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে টাকা চুরি করতেন। (যোহন ১২:৬) অন্যদিকে, লিসটিস শব্দটি সাধারণত এমন একজন ব্যক্তিকে নির্দেশ করত, যে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে দস্যুতাপূর্ণ কাজ করে আর এমনকী সেই শব্দটি একজন বিপ্লবী, একজন বিদ্রোহী অথবা একজন গেরিলাকেও নির্দেশ করে। যিশুর সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তিরা এই দ্বিতীয় শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ছিল। বস্তুতপক্ষে, তাদের মধ্যে একজন এই কথা বলেছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে: “আমরা ন্যায়সঙ্গত দণ্ড পাইতেছি; কারণ যাহা যাহা করিয়াছি, তাহারই সমুচিত ফল পাইতেছি।” (লূক ২৩:৪১) এটা ইঙ্গিত দেয় যে, তারা কেবল চুরির চেয়ে আরও বড়ো অপরাধের দোষে দোষী ছিল।

ওই দুই দস্যুর মতো, বারাব্বাকেও একজন লিসটিস বলে উল্লেখ করা হয়েছে। (যোহন ১৮:৪০) বারাব্বা যে নিশ্চিতভাবেই একজন সাধারণ চোর ছিলেন না, তা লূক ২৩:১৯ পদ থেকে স্পষ্ট হয়, যেখানে বলা হয়েছে, সে “নগরের মধ্যে দাঙ্গা ও নরহত্যা প্রযুক্ত . . . কারাবদ্ধ হইয়াছিল।”

তাই, যিশুর সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুর্বৃত্তরা যখন দস্যুতাপূর্ণ কাজ করেছিল, তখন হতে পারে যে, তারা রাষ্ট্রদ্রোহিতা অথবা এমনকী খুনখারাপির সঙ্গে জড়িত ছিল। যেটাই হোক না কেন, রোমীয় দেশাধ্যক্ষ পন্তীয় পীলাত তাদেরকে বিদ্ধকরণ প্রক্রিয়ায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করেছিলেন। (w১২-E ০২/০১)