আধ্যাত্মিক পরমদেশকে প্রসারিত করার জন্য কাজ করুন
“আমি আপন চরণের স্থান গৌরবান্বিত করিব।”—যিশা. ৬০:১৩.
গান সংখ্যা: ২৮, ৫৩
১, ২. ইব্রীয় শাস্ত্রে “পাদপীঠ” শব্দটা কোন বিষয়কে নির্দেশ করে?
যিহোবা ঈশ্বর বলেছিলেন: “স্বর্গ আমার সিংহাসন, পৃথিবী আমার পাদপীঠ।” (যিশা. ৬৬:১) এ ছাড়া, ঈশ্বর সেই সময়েও তাঁর “পাদপীঠ” সম্বন্ধে উল্লেখ করেছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন: “আমি আপন চরণের স্থান গৌরবান্বিত করিব।” (যিশা. ৬০:১৩) কীভাবে তিনি তাঁর পাদপীঠকে গৌরবান্বিত করেন বা এটাকে সুন্দর করে তোলেন? আর যারা তাঁর পাদপীঠে অর্থাৎ পৃথিবীতে বাস করছে, তাদের জন্য এর অর্থ কী?
২ এ ছাড়া, ইব্রীয় শাস্ত্রে “পাদপীঠ” শব্দটা ইস্রায়েলের প্রাচীন মন্দিরকে বর্ণনা করার জন্যও ব্যবহার করা হয়েছিল। (১ বংশা. ২৮:২; গীত. ১৩২:৭) সেই মন্দির যিহোবার কাছে অনেক সুন্দর ছিল কারণ এটা ছিল সত্য উপাসনার কেন্দ্র। আর এই মন্দির পৃথিবীতে যিহোবাকে গৌরবান্বিত করার জন্য ব্যবহার করা হতো।
৩. বর্তমানে কোন বিষয়টা সত্য উপাসনার কেন্দ্র আর কখন তা শুরু হয়েছিল?
৩ বর্তমানে কোন বিষয়টা সত্য উপাসনার কেন্দ্র? এটা মন্দিরের মতো কোনো দালান নয়। এটা হচ্ছে এক আধ্যাত্মিক মন্দির আর এটা যেকোনো দালানের চেয়ে যিহোবাকে আরও বেশি গৌরবান্বিত করতে পারে। এই আধ্যাত্মিক মন্দির কী? এটা হচ্ছে ঈশ্বরের সেই ব্যবস্থা, যেটার মাধ্যমে মানুষ তাঁর বন্ধু হয়ে উঠতে পারে এবং তাঁকে উপাসনা করতে পারে। একমাত্র যিশুর মুক্তির মূল্যের কারণেই এই ব্যবস্থা সম্ভবপর হয়েছে। এই ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল ২৯ খ্রিস্টাব্দে, যখন যিশু বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন এবং যিহোবার আধ্যাত্মিক ইব্রীয় ৯:১১, ১২.
মন্দিরের মহাযাজক হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছিলেন।—৪, ৫. (ক) গীতসংহিতার ৯৯ গীত অনুসারে যিহোবার সত্য উপাসকরা কী করতে চায়? (খ) আমাদের নিজেদেরকে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা উচিত?
৪ ঈশ্বর সত্য উপাসনার জন্য ব্যবস্থা করেছেন বলে আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তাই, আমরা অন্যদের কাছে যিহোবার নাম এবং তাঁর অপূর্ব উপহার মুক্তির মূল্য সম্বন্ধে জানানোর মাধ্যমে আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। আশি লক্ষেরও বেশি সত্য খ্রিস্টান প্রতিদিন যিহোবার প্রশংসা করছে, এই বিষয়টা জেনে আমরা কতই-না আনন্দিত! অনেক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি ভুলভাবে চিন্তা করে, তারা মৃত্যুর পর স্বর্গে গিয়ে ঈশ্বরের প্রশংসা করবে। কিন্তু, যিহোবার লোকেরা জানে, এই পৃথিবীতে অর্থাৎ এখানেই এবং এখনই তাঁর প্রশংসা করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
৫ যিহোবার প্রশংসা করার মাধ্যমে আমরা গীতসংহিতা ৯৯:১-৩, ৫-৭ পদে বর্ণিত ঈশ্বরের বিশ্বস্ত দাসদের উদাহরণ অনুকরণ করি। (পড়ুন।) অতীতে মোশি, হারোণ এবং শমূয়েলের মতো বিশ্বস্ত ব্যক্তিরা সত্য উপাসনার জন্য যিহোবার ব্যবস্থাকে পূর্ণরূপে সমর্থন করেছিলেন। বর্তমানে, অভিষিক্ত ব্যক্তিরা স্বর্গে যিশুর সঙ্গে যাজক হিসেবে সেবা শুরু করার আগে, পৃথিবীতে আধ্যাত্মিক মন্দিরের পার্থিব অংশে বিশ্বস্তভাবে যিহোবার সেবা করেন। লক্ষ লক্ষ “আরও মেষ” অনুগতভাবে তাদের সহযোগিতা করে। (যোহন ১০:১৬) উভয় দল একতাবদ্ধভাবে যিহোবার উপাসনা করে। কিন্তু, আমাদের নিজেদেরকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা উচিত আর তা হল, ‘আমি কি সত্য উপাসনার জন্য যিহোবার ব্যবস্থাকে পূর্ণরূপে সমর্থন করছি?’
ঈশ্বরের আধ্যাত্মিক মন্দিরে সেবা করে এমন ব্যক্তিদের শনাক্ত করা
৬, ৭. প্রাথমিক খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে কোন সমস্যা শুরু হয়েছিল আর ১৯১৯ সালের মধ্যে কী ঘটেছিল?
৬ খ্রিস্টীয় মণ্ডলী স্থাপিত হওয়ার ১০০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে, ভবিষ্যদ্বাণীকৃত ধর্মভ্রষ্টতা শুরু হয়েছিল। (প্রেরিত ২০:২৮-৩০; ২ থিষল. ২:৩, ৪) সেই সময়ের পর থেকে ঈশ্বরের সত্য উপাসকদের শনাক্ত করা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠেছিল। এর শত শত বছর পর, যিহোবা তাঁর আধ্যাত্মিক মন্দিরে কারা আসলে ঈশ্বরের সেবা করছে, তা শনাক্ত করার জন্য যিশুকে ব্যবহার করেছিলেন।
৭ উনিশ-শো উনিশ সালের মধ্যে সেই ব্যক্তিদের স্পষ্টভাবে শনাক্ত করা হয়েছিল, যারা ঈশ্বরের অনুমোদন লাভ করেছে এবং তাঁর আধ্যাত্মিক মন্দিরে সেবা করছে। তাদের উপাসনা যাতে যিহোবার কাছে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হয়, সেইজন্য তারা বিভিন্ন রদবদল করেছিল। (যিশা. ৪:২, ৩; মালাখি ৩:১-৪) তাই প্রেরিত পৌল শত শত বছর আগে যে-দর্শন দেখেছিলেন, তা পরিপূর্ণ হতে শুরু করেছিল।
৮, ৯. পৌল একটা দর্শনে যে-‘পরমদেশ’ দেখেছিলেন, সেটা কী?
৮ পৌলের দর্শন সম্বন্ধে ২ করিন্থীয় ১২:১-৪ পদে বর্ণনা করা হয়েছে। (পড়ুন।) সেই দর্শনে যিহোবা পৌলকে এমন কিছু দেখিয়েছিলেন, যা ভবিষ্যতে ঘটবে। পৌল যে-‘পরমদেশ’ দেখেছিলেন, সেটা কী? প্রথমত, এটা আক্ষরিক পরমদেশকে বোঝাতে পারে, যা শীঘ্র পৃথিবীতে আসবে। (লূক ২৩:৪৩) দ্বিতীয়ত, এটা সেই আধ্যাত্মিক পরমদেশকে বোঝাতে পারে, যেটা নতুন জগতে পূর্ণরূপে উপভোগ করা যাবে। আর তৃতীয়ত, এটা স্বর্গে ‘ঈশ্বরের পরমদেশস্থ’ অপূর্ব পরিবেশকে বোঝাতে পারে।—প্রকা. ২:৭.
৯ কিন্তু, কেন পৌল বলেছিলেন, তিনি এমন ‘অকথনীয় কথা শুনিয়াছিলেন, যাহা বলা মনুষ্যের বিধেয় নয়’? কারণ তিনি দর্শনে যে-অপূর্ব বিষয়গুলো দেখেছিলেন, সেই সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করার সময় তখনও আসেনি। তবে বর্তমানে যিহোবা আমাদের সেই বিষয়ে জানানোর সুযোগ দিয়েছেন। তাঁর লোকেরা এখনই যে-আশীর্বাদ উপভোগ করে, আমরা সেই বিষয়ে অন্যদের কাছে জানিয়ে থাকি!
১০. কেন আধ্যাত্মিক পরমদেশ এবং আধ্যাত্মিক মন্দির একই বিষয় নয়?
মালাখি ৩:১৮.
১০ আমরা প্রায়ই আধ্যাত্মিক পরমদেশ নিয়ে কথা বলে থাকি। কিন্তু এটা আসলে কী? এটা হচ্ছে সেই বিশেষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, যা ঈশ্বর তাঁর লোকেদের প্রদান করেন। তাই, আধ্যাত্মিক পরমদেশ এবং আধ্যাত্মিক মন্দির এক বিষয় নয়। আধ্যাত্মিক মন্দির হচ্ছে সত্য উপাসনার জন্য ঈশ্বরের ব্যবস্থা। আর আধ্যাত্মিক পরমদেশ সেই ব্যক্তিদের স্পষ্টভাবে শনাক্ত করে, যারা ঈশ্বরের অনুমোদন লাভ করেছে এবং তাঁর আধ্যাত্মিক মন্দিরে তাঁর উপাসনা করে।—১১. বর্তমানে আমাদের কোন বিশেষ সুযোগ রয়েছে?
১১ এটা জানা কতই-না রোমাঞ্চকর, যিহোবা ১৯১৯ সাল থেকে অসিদ্ধ মানুষদেরকে আধ্যাত্মিক পরমদেশ গড়ে তোলার, এই পরমদেশের পরিবেশ বজায় রাখার ও তা আরও প্রসারিত করার সুযোগ দিয়েছেন! আপনি কি এই চমৎকার কাজে সাহায্য করছেন? আপনি কি পৃথিবীতে যিহোবার গৌরব নিয়ে আসার জন্য তাঁর সঙ্গে কাজ করার বিশেষ সুযোগকে মূল্যবান বলে গণ্য করেন?
যিহোবা তাঁর সংগঠনকে আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলছেন
১২. যিশাইয় ৬০:১৭ পদ যে পরিপূর্ণ হয়েছে, তা আমরা কীভাবে জানি? (শুরুতে দেওয়া ছবিটা দেখুন।)
১২ ভাববাদী যিশাইয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ঈশ্বরের সংগঠনের পার্থিব অংশে বিভিন্ন চমৎকার পরিবর্তন ও রদবদল করা হবে। (পড়ুন, যিশাইয় ৬০:১৭.) এসব পরিবর্তন সম্বন্ধে অল্পবয়সিরা অথবা নতুন খ্রিস্টানরা শুধু পড়েছে কিংবা শুনেছে। কিন্তু, এমন অনেক ভাই-বোন আছেন, যারা সেইসমস্ত চমৎকার রদবদল দেখার বিশেষ সুযোগ লাভ করেছেন! ঈশ্বর যে তাঁর সংগঠনকে পরিচালনা ও নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আমাদের রাজা যিশুকে ব্যবহার করছেন, সেই বিষয়ে এই বিশ্বস্ত দাসেরা নিশ্চিত! আমরা যখন এই প্রিয় খ্রিস্টান ভাই-বোনদের অভিজ্ঞতা শুনি, তখন যিহোবার প্রতি আমাদের বিশ্বাস ও নির্ভরতা আরও দৃঢ় হয়।
১৩. গীতসংহিতা ৪৮:১২-১৪ পদ অনুসারে আমাদের কী করতে হবে?
১৩ সকল সত্য খ্রিস্টানকে যিহোবার সংগঠন সম্বন্ধে অন্যদের কাছে জানাতে হবে। আমরা যদিও শয়তানের দুষ্ট জগতে বাস করছি, কিন্তু আমাদের এক শান্তিপূর্ণ ও একতাবদ্ধ ভ্রাতৃসমাজ রয়েছে। এটা এক অলৌকিক বিষয়! আমাদের “ভাবী বংশের” কাছে যিহোবার সংগঠন এবং আধ্যাত্মিক পরমদেশ সম্বন্ধে আনন্দের সঙ্গে জানাতে হবে!—পড়ুন, গীতসংহিতা ৪৮:১২-১৪.
১৪, ১৫. উনিশ-শো সত্তর সালের পর কোন রদবদলগুলো করা হয়েছিল আর এর ফলে সংগঠন কীভাবে উপকৃত হচ্ছে?
১৪ আমাদের মণ্ডলীগুলোতে অনেক বয়স্ক ব্যক্তি আছেন, যারা বিভিন্ন রদবদল দেখেছেন আর এসব রদবদল যিহোবার সংগঠনের পার্থিব অংশকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। তাদের সেই সময়ের কথা মনে আছে, যখন মণ্ডলীতে প্রাচীনগোষ্ঠীর পরিবর্তে একজন মণ্ডলীর দাস ছিলেন, যখন বিভিন্ন দেশে শাখা কমিটি-র পরিবর্তে একজন শাখার দাস ছিলেন কিংবা যখন যিহোবার সাক্ষিদের পরিচালকগোষ্ঠী-র পরিবর্তে ওয়াচ টাওয়ার সোসাইটি-র প্রেসিডেন্ট নির্দেশনা দিতেন। যদিও এই ভাইদের সঙ্গে সাহায্য করার জন্য বিশ্বস্ত সহযোগীরা ছিলেন, কিন্তু মণ্ডলীতে, শাখা অফিসে এবং বিশ্বপ্রধান কার্যালয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব মূলত একজন ব্যক্তিরই ছিল। ১৯৭০ সালের পর বিভিন্ন রদবদল করা হয়েছিল, যাতে এক জন ব্যক্তির পরিবর্তে প্রাচীনরা দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
১৫ এসব রদবদলের ফলে কেন সংগঠন উপকৃত হয়েছে? কারণ শাস্ত্র থেকে আরও ভালো বোধগম্যতা লাভ করার পর সেইসমস্ত রদবদল করা হয়েছিল। সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একজন ব্যক্তির পরিবর্তে যিহোবা যে-প্রাচীনদের বা ‘মনুষ্যদিগের নানা বর’ জুগিয়েছেন, তাদের সকলের উত্তম গুণাবলি থেকে সংগঠন উপকৃত হচ্ছে।—ইফি. ৪:৮; হিতো. ২৪:৬.
১৬, ১৭. সম্প্রতি যে-সমস্ত রদবদল করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে কোনটা আপনার ভালো লেগেছে এবং কেন?
১৬ সম্প্রতি আমাদের সাহিত্যাদিতে যে-সমস্ত রদবদল করা হয়েছে, সেই বিষয়ে একটু চিন্তা করুন। আমরা পরিচর্যায় সাহায্যকারী এবং আকর্ষণীয় বিভিন্ন প্রকাশনা অর্পণ করতে পারছি। এ ছাড়া, সুসমাচার প্রচার করার জন্য নতুন প্রযুক্তিকে আমরা যেভাবে ব্যবহার করছি, সেই বিষয়টাও চিন্তা করুন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, jw.org ওয়েবসাইট অনেক লোকের কাছে পৌঁছে গিয়েছে, যাতে তারা প্রয়োজনীয় সাহায্য লাভ করতে পারে। এসব রদবদল দেখে আমরা বুঝতে পারি, লোকেদের প্রতি যিহোবার গভীর আগ্রহ রয়েছে এবং তিনি তাদের ভালোবাসেন।
১৭ এ ছাড়া, আমরা যাতে পারিবারিক উপাসনা অথবা ব্যক্তিগত অধ্যয়নের জন্য সময় আলাদা রাখতে পারি, সেইজন্য আমাদের সভাগুলোতে যে-রদবদল করা হয়েছে, সেটাও আমরা উপলব্ধি করি। আর আমাদের সম্মেলনের কার্যক্রমে যে-সমস্ত পরিবর্তন করা হচ্ছে, আমরা সেগুলোও উপলব্ধি করি। আমরা প্রায়ই বলে থাকি, প্রতি বছর সম্মেলনের কার্যক্রম আরও ভালো হচ্ছে! তা ছাড়া, আমাদের বিভিন্ন বাইবেল স্কুল থেকে আমরা প্রশিক্ষণ লাভ করে থাকি। আমরা এই স্কুলগুলোর জন্য কৃতজ্ঞ। এসব রদবদল থেকে এটা স্পষ্ট যে, যিহোবা তাঁর সংগঠনকে নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং তিনি এই আধ্যাত্মিক পরমদেশকে দিন দিন আরও সুন্দর করে তুলছেন!
আমরা যেভাবে আধ্যাত্মিক পরমদেশকে আরও সুন্দর করে তোলার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারি
১৮, ১৯. কীভাবে আমরা আধ্যাত্মিক পরমদেশকে আরও সুন্দর করে তোলার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারি?
১৮ যিহোবা আমাদের সুযোগ দিয়েছেন, যেন আমরা আধ্যাত্মিক পরমদেশকে আরও সুন্দর করে তোলার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারি আর এটা যিশা. ২৬:১৫; ৫৪:২.
আমাদের জন্য এক সম্মানের বিষয়। কিন্তু, আমরা কীভাবে এই কাজে সাহায্য করতে পারি? উদ্যোগের সঙ্গে রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করার এবং আরও শিষ্য তৈরি করার মাধ্যমে আমরা তা করতে পারি। প্রতি বার আমরা যখন কোনো ব্যক্তিকে ঈশ্বরের দাস হয়ে ওঠার জন্য সাহায্য করি, তখন আমরা এই আধ্যাত্মিক পরমদেশকে প্রসারিত করি।—১৯ এ ছাড়া, আমরা যখন আমাদের খ্রিস্টীয় ব্যক্তিত্বকে আরও উন্নত করার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা করি, তখন আমরা আধ্যাত্মিক পরমদেশকে আরও সুন্দর করে তোলার ক্ষেত্রে সাহায্য করি। এর ফলে যারা আমাদের দেখে, তাদের কাছে এই আধ্যাত্মিক পরমদেশ আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। সাধারণত, শুধুমাত্র আমাদের বাইবেলের জ্ঞানের কারণে নয় বরং আমাদের শুদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ আচরণের কারণে লোকেরা প্রথমে সংগঠনের প্রতি আর এরপর যিহোবা এবং যিশু উভয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
২০. হিতোপদেশ ১৪:৩৫ পদ অনুসারে, আমাদের আকাঙ্ক্ষা কী হওয়া উচিত?
২০ যিহোবা এবং যিশু যখন আমাদের অপূর্ব আধ্যাত্মিক পরমদেশ দেখেন, তখন তাঁরা নিশ্চিতভাবেই অনেক আনন্দিত হন। এখন এই পরমদেশকে আরও সুন্দর করে তোলার কাজে অংশ নিয়ে আমরা যে-আনন্দ লাভ করি, সেটা ভবিষ্যতে পৃথিবীতে আক্ষরিক পরমদেশ গড়ে তোলার কাজ করে আমরা যে-আনন্দ লাভ করব, সেটার এক নমুনা মাত্র। আমাদের সবসময় হিতোপদেশ ১৪:৩৫ পদের কথাগুলো মনে রাখা উচিত, যেখানে বলা হয়েছে: “যে দাস বুদ্ধিপূর্ব্বক চলে, তাহার প্রতি রাজার অনুগ্রহ বর্ত্তে।” আসুন, আমরা এই আধ্যাত্মিক পরমদেশকে আরও সুন্দর করে তোলার জন্য বিজ্ঞতার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করে চলি!