জীবনকাহিনি
আমি ঈশ্বরের সঙ্গে ও আমার মায়ের সঙ্গে শান্তিস্থাপন করতে পেরেছি
“কেন তুমি তোমার পূর্বপুরুষদের উপাসনা করবে না?” আমার মা জিজ্ঞেস করেন। “তুমি কি জান না, তাদের কারণেই তুমি জীবন লাভ করেছ? তাদের প্রতি কি তুমি কৃতজ্ঞতা দেখাবে না? বংশ পরম্পরায় পাওয়া প্রথাগুলো তুমি কীভাবে ত্যাগ করতে পার? আমরা যদি পূর্বপুরুষদের প্রতি সম্মান দেখাতে অস্বীকার করি, তা হলে তো আমাদের উপাসনার কোনো অর্থই নেই।” তারপর মা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আমার মা সাধারণত এভাবে কথা বলতেন না। তা ছাড়া, মা নিজেই সাক্ষিদের সঙ্গে আমার বাইবেল অধ্যয়নের ব্যবস্থা করেছিলেন। তবে এর পিছনে কারণ ছিল, তিনি নিজে যে অধ্যয়ন করতে চান না, তা সরাসরি বলতে চাননি। আমি সবসময় তার বাধ্য ছিলাম, কিন্তু এই বার তার নির্দেশ মেনে নেওয়া আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে, কারণ আমি যিহোবাকে খুশি করতে চাই। তাঁর কাছ থেকে প্রাপ্ত শক্তি ছাড়া আমি কখনোই তা করতে পারতাম না।
আমি একজন খ্রিস্টান হই
জাপানের অধিকাংশ লোকের মতো আমরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিলাম। কিন্তু, যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে মাত্র দু-মাস অধ্যয়ন করার পর আমি নিশ্চিত হয়েছিলাম, বাইবেলই সত্য। আমার একজন স্বর্গীয় পিতা আছেন, তা প্রথম বার জানতে পেরে আমি তাঁর সম্বন্ধে আরও জানার জন্য উৎসুক হয়েছিলাম। আমি যা শিখছিলাম, সেগুলো নিয়ে আনন্দ সহকারে মায়ের সঙ্গে আলোচনা করতাম। এরপর, আমি কিংডম হলে রবিবারের সভাগুলোতে যোগ দিতে শুরু করি। সত্য সম্বন্ধে আমার জ্ঞান যখন আরও বৃদ্ধি পায়, তখন আমি মাকে বলি, আমি আর বৌদ্ধ ধর্মের আচারঅনুষ্ঠান পালন করব না। তখন হঠাৎ করেই তার মনোভাব পরিবর্তন হয়ে যায়। মা বলেন, “আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি ভালোবাসা নেই, পরিবারে এমন কোনো সদস্য থাকা লজ্জাজনক।” তিনি আমাকে চাপ দেন, যেন আমি বাইবেল অধ্যয়ন করা ও সভাতে যাওয়া বন্ধ করি। আমার মা এমন কথা বলতে পারেন, তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি! তাকে একেবারে ভিন্ন একজন মানুষ বলে মনে হয়েছিল।
ইফিষীয় ৬ অধ্যায় থেকে আমি শিখেছিলাম, যিহোবা চান যেন আমি আমার বাবা-মায়ের বাধ্য হই। বাবাও মায়ের পক্ষ নিয়েছিলেন। প্রথম প্রথম, আমি এভাবে চিন্তা করেছিলাম, আমি যদি তাদের কথা শুনি, তা হলে তারাও আমার কথা শুনবে এবং আমাদের পরিবারে শান্তি ফিরে আসবে। এ ছাড়া, সামনেই আমার হাই স্কুলের (দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) ভরতি পরীক্ষা থাকায় আমার প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। তাই আমি তাদের বলেছিলাম, আমি তিন মাস সভাতে যাব না। তবে, আমি যিহোবার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, সেই সময় পার হওয়ার পর আমি আবার সভাগুলোতে যোগ দেব।
আমার সেই সিদ্ধান্ত দু-দিক থেকে ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছিল। প্রথমত, আমি মনে করেছিলাম, তিন মাসে আমার অনুভূতির কোনো পরিবর্তন হবে না। কিন্তু, খুব শীঘ্র আমি আধ্যাত্মিক খাদ্যের অভাব বোধ করতে শুরু করি এবং যিহোবার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে থাকি। দ্বিতীয়ত, আমার কথা মেনে নেওয়ার পরিবর্তে বাবা-মা আমাকে আরও বেশি চাপ
দিতে থাকেন, যাতে আমি সত্য উপাসনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সব কিছু বন্ধ করে দিই।সাহায্য এবং বিরোধিতা
কিংডম হলে আমার এমন অনেকের সঙ্গে দেখা হয়, যারা পরিবারের কাছ থেকে বিরোধিতা সহ্য করছিল। তারা আমাকে এই ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছিলেন, যিহোবা আমাকে শক্তি দেবেন। (মথি ১০:৩৪-৩৭) তারা আমাকে বুঝতে সাহায্য করেছিলেন, আমার মাধ্যমেই আমার পরিবার পরিত্রাণ লাভ করার সুযোগ পেতে পারে। তাই, যিহোবার উপর কীভাবে নির্ভরতা দেখানো যায়, তা শেখার জন্য আমি আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করতে শুরু করি।
আমার পরিবার বিভিন্ন উপায়ে বিরোধিতা করেছিল। মা প্রথমে অনুরোধ করেছিলেন আর এরপর বিভিন্ন যুক্তি করেছিলেন। সাধারণত সেইসময়ে আমি চুপ করে থাকতাম। আমি যখন কথা বলতে শুরু করতাম, তখন প্রায় সময়ই আমরা বিরক্ত হতাম, কারণ আমরা দু-জনেই নিজেদের যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করতাম। এখন চিন্তা করি, আমি যদি আমার মায়ের অনুভূতি ও বিশ্বাস আরও বেশি বোঝার চেষ্টা করতাম, তা হলে হয়তো তখন পরিস্থিতি আরও শান্ত থাকত। আমার বাবা-মা ঘরে আমার কাজ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, যাতে আমি ঘরের বাইরে যেতে না পারি। মাঝে মাঝে, তারা আমাকে ঘরে ঢুকতে দিতেন না কিংবা আমার জন্য কোনো খাবার রাখতেন না।
মা অন্যদের কাছেও সাহায্য চেয়েছিলেন। মা সাহায্যের জন্য আমার স্কুলের শিক্ষকের কাছে গিয়েছিলেন, তবে সেই শিক্ষক নিরপেক্ষ ছিলেন। এ ছাড়া, মা আমাকে তার কর্মস্থলে ম্যানেজারের কাছেও নিয়ে গিয়েছিলেন, যাতে তিনি আমাকে বোঝাতে পারেন, কোনো ধর্ম পালন করেই লাভ নেই। ঘরে থাকার সময় মা বিভিন্ন আত্মীয়ের কাছে ফোন করতেন আর কেঁদে কেঁদে সাহায্য চাইতেন। এসব কারণে আমি বিরক্ত হয়েছিলাম। কিন্তু সভায় যাওয়ার পর প্রাচীনরা আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, আমি যেন সেই ব্যক্তিদের সম্বন্ধে চিন্তা করি, যাদের কাছে মা অজান্তে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি হওয়ার বিষয়টা উত্থাপিত হয়েছিল। আমার বাবা-মা তাদের চিন্তাভাবনা অনুযায়ী আমার জন্য
পরিকল্পনা করেছিলেন, যাতে আমি সবচেয়ে উত্তমভাবে জীবন শুরু করতে পারি। তারা আশা করেছিলেন, এর ফলে আমি ভালো চাকরি পাব। বিষয়টা নিয়ে শান্তভাবে আলোচনা করার মতো পরিস্থিতি ছিল না আর তাই আমি আমার বাবা-মাকে চিঠি লিখে আমার লক্ষ্য সম্বন্ধে জানাই। প্রচণ্ড রেগে গিয়ে বাবা তখন এইরকম হুমকি দিয়েছিলেন: “তুমি যদি মনে করো চাকরি খুঁজে পাবে, তা হলে আগামীকালের মধ্যেই খুঁজে বের করবে আর তা না হলে, এই বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবে।” আমি বিষয়টা নিয়ে যিহোবার কাছে প্রার্থনা করেছিলাম। পরের দিন প্রচার করার সময়, আলাদা আলাদাভাবে দু-জন বোন আমাকে তাদের ঘরে গিয়ে তাদের মেয়েদের পড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এতে বাবা খুশি হননি এবং তিনি আমার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন; আসলে, তিনি আমাকে উপেক্ষা করতে শুরু করেছিলেন। মা বলেছিলেন, আমি যদি যিহোবার সাক্ষি না হয়ে একজন অপরাধীও হতাম, সেটা তিনি মেনে নিতেন।যিহোবা আমাকে সঠিকভাবে চিন্তাভাবনা করতে ও কোন পথে যেতে হবে তা বুঝতে সাহায্য করেছিলেন
মাঝে মাঝে আমি চিন্তা করতাম, যিহোবা কি চান, আমাকে এত দূর পর্যন্ত আমার বাবা-মার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে? কিন্তু, আরও প্রার্থনা করার মাধ্যমে এবং যিহোবার প্রেম সম্বন্ধে বিভিন্ন শাস্ত্রপদ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার মাধ্যমে, আমি সেই বিরোধিতা সম্বন্ধে নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করতে পেরেছিলাম ও সেইসঙ্গে এটা বুঝতে পেরেছিলাম, আমার বাবা-মা আমার জন্য চিন্তা করেন বলেই আমার বিরোধিতা করছেন। যিহোবা আমাকে সঠিকভাবে চিন্তাভাবনা করতে ও কোন পথে যেতে হবে তা বুঝতে সাহায্য করেছিলেন। এ ছাড়া, আমি যত বেশি প্রচারে অংশ নিতে থাকি, ততই তা উপভোগ করতে থাকি। তাই, আমি অগ্রগামী হিসেবে সেবা করার লক্ষ্যস্থাপন করেছিলাম।
একজন অগ্রগামী হিসেবে সেবা করা
আমি অগ্রগামী হতে চাই, তা জানতে পেরে বোনদের মধ্যে কেউ কেউ আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, আমার বাবা-মা যতদিন পর্যন্ত শান্ত না হন, আমি যেন ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করি। তখন আমি প্রজ্ঞা চেয়ে প্রার্থনা করেছিলাম, গবেষণা করেছিলাম, আমার উদ্দেশ্য পরীক্ষা করেছিলাম এবং পরিপক্ব ভাই ও বোনদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমি এই সিদ্ধান্তে এসেছিলাম, আমি যিহোবাকে খুশি করতে চাই। তা ছাড়া, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই যে, আমি দেরিতে অগ্রগামী সেবা শুরু করলে, এই সময়ের মধ্যে আমার বাবা-মার মনোভাব পরিবর্তন হয়ে যাবে।
আমি হাই স্কুলের শেষ বছরে অর্থাৎ দ্বাদশ শ্রেণিতে থাকার সময় অগ্রগামী সেবা শুরু করি। অল্পসময় অগ্রগামী সেবা করার পর, আমি যেখানে বেশি প্রয়োজন সেখানে গিয়ে সেবা করার লক্ষ্যস্থাপন করি। কিন্তু, আমি বাড়ি থেকে দূরে যাব, তা আমার বাবা-মা চাননি। তাই, আমার বয়স ২০ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করেছিলাম। তারপর, মাকে আশ্বস্ত করার জন্য আমি শাখা অফিসের কাছে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলে কার্যভার চেয়ে অনুরোধ করেছিলাম, কারণ সেখানে আমাদের আত্মীয়স্বজন ছিল।
সেখানে আমি যাদের সঙ্গে অধ্যয়ন করেছিলাম, তাদের মধ্যে কেউ কেউ বাপ্তিস্ম নিয়েছিল আর এটা দেখে আমি আনন্দিত হয়েছিলাম। একইসময়ে, আমার সেবা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য মাথায় রেখে আমি ইংরেজি ভাষা শিখেছিলাম। আমি যে-মণ্ডলীতে সেবা করতাম, সেখানে দু-জন বিশেষ অগ্রগামী ভাই ছিলেন। আমি তাদের উদ্যোগ ও তারা যেভাবে অন্যদের সাহায্য করেন, তা দেখেছিলাম। এভাবে, আমি বিশেষ অগ্রগামী হওয়ার লক্ষ্যস্থাপন করেছিলাম। এই সময়ের মধ্যে, মা দু-বার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। প্রতি বার আমি তার দেখাশোনা করার জন্য বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলাম। এতে মা খুব অবাক হয়েছিলেন আর তার মনোভাব কিছুটা নরম হয়েছিল।
একের পর এক আশীর্বাদ
সাত বছর পর, আমি আগে উল্লেখিত বিশেষ অগ্রগামী ভাইদের মধ্যে একজনের কাছে থেকে একটা চিঠি পাই। তার নাম আতসুশি। সে বলেছিল, সে বিয়ের কথা চিন্তা করছে আর আমার পরিস্থিতি ও অনুভূতি নিয়েও ভাবছে। তার ব্যাপারে আমার কখনোই রোমান্টিক অনুভূতি ছিল না আর তার যে আমার প্রতি এমন কোনো অনুভূতি আছে, সেটাও আমি কখনো চিন্তা করিনি। এক মাস পর আমি তাকে উত্তর দিই, একে অন্যের বিষয়ে আরও ভালোভাবে জানার ব্যাপারে আমি ইচ্ছুক আছি। আমরা তখন বুঝতে পারি, আমাদের মধ্যে অনেক বিষয়ে মিল রয়েছে। আমরা দু-জনেই পূর্ণসময়ের পরিচর্যা করতে চাই আর তা যেকোনো ক্ষেত্রেই হোক না কেন। পরবর্তী সময়ে আমরা বিয়ে করি। আমাদের বিয়েতে মা, বাবা ও বেশ কয়েক জন আত্মীয়কে যোগ দিতে দেখে আমি অনেক খুশি হয়েছিলাম!
এর অল্পসময় পর, আমরা যখন নিয়মিত অগ্রগামী হিসেবে সেবা করছিলাম, তখন আমার স্বামীকে একজন বিকল্প সীমা
অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। শীঘ্রই আমরা আরও আশীর্বাদ লাভ করেছিলাম। আমাদের প্রথমে বিশেষ অগ্রগামী হিসেবে ও এরপর নিয়মিত সীমার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল। আমাদের সীমার প্রতিটা মণ্ডলী এক বার পরিদর্শন করার পর, শাখা অফিস থেকে আমাদের কাছে ফোন আসে। আমাদের কী জিজ্ঞেস করা হয়েছিল? ‘আপনারা কি নেপালে সীমার কাজ গ্রহণ করতে চান?’আমরা এত দূরে চলে যাব, তা শুনে আমার বাবা-মার কেমন লাগবে, আমি তা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। তাই, আমি তাদের ফোন করেছিলাম। বাবা ফোন ধরেছিলেন আর তিনি বলেছিলেন: “তোমরা একটা সুন্দর জায়গায় যাচ্ছ।” এই ঘটনার মাত্র এক সপ্তাহ আগে, বাবার একজন বন্ধু তাকে নেপালের বিষয়ে একটা বই দিয়েছিলেন আর বাবা চিন্তা করছিলেন, বেড়ানোর জন্য নেপাল একটা সুন্দর জায়গা।
বন্ধুত্বপরায়ণ নেপালীদের সঙ্গে আনন্দ সহকারে সেবা করার সময়, আমরা আরেকটা আশীর্বাদ লাভ করি। আমাদের সীমায় বাংলাদেশ যুক্ত হয়, যে-জায়গাটা নেপালের অনেক কাছে কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে একেবারেই আলাদা। বাংলাদেশে ক্ষেত্রের পরিচর্যা অনেক বৈচিত্র্যময় ছিল। পাঁচ বছর পর, আমাদের আবার জাপানে কার্যভার দেওয়া হয়েছিল, যেখানে আমরা এখন সীমার কাজ উপভোগ করছি।
জাপান, নেপাল, বাংলাদেশ—এই তিনটে দেশে সেবা করে আমি যিহোবা সম্বন্ধে অনেক শিক্ষা লাভ করতে পেরেছি! প্রতিটা দেশের ভিন্ন পরিবেশ ও সংস্কৃতি রয়েছে। আর প্রতিটা দেশের প্রত্যেক ব্যক্তিই স্বতন্ত্র। যিহোবা যেভাবে আলাদা আলাদাভাবে লোকেদের যত্ন নেন, তাদের গ্রহণ করেন, সাহায্য করেন ও আশীর্বাদ করেন, তা আমি দেখেছি।
আর আমার বিষয়ে বলতে পারি, যিহোবা আমাকে তাঁর সম্বন্ধে জানতে দিয়ে, তাঁর কাজ করার সুযোগ দিয়ে এবং একজন চমৎকার খ্রিস্টান স্বামী দিয়ে আশীর্বাদ করেছেন। ঈশ্বর আমাকে বিভিন্ন সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দেশনা দিয়েছেন আর এখন আমি তাঁর সঙ্গে এবং আমার পরিবারের সঙ্গে উত্তম সম্পর্ক বজায় রাখতে পারছি। মা আর আমি আবার উত্তম বন্ধু হতে পেরেছি বলে আমি যিহোবাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ কারণ আমি ঈশ্বর ও আমার মায়ের সঙ্গে শান্তিস্থাপন করতে পেরেছি।